বড় চেহারার প্রাণীর চেয়ে ছোট প্রানীর কি যন্ত্রণা বোধ কম? প্রাণীর তুলনায় উদ্ভিদের যন্ত্রণা বোধ কি কম ? এ নিয়ে কোন স্টাডি আছে?
অপ্রাসঙ্গিকভাবে মনে পড়ল, ভবতোষ দত্ত বিলেতে পিএইচডি করতে যাবার আগে যখন মৌলনা আজাদের পড়াতেন তখন স্নেহশীল বয়োঃজ্যষ্ঠ অধ্যাপক "নরকের কীট হয়ে জন্মাবে" বলে একবার সিউডো অভিশাপ দিয়েছিলেন। ভবতোষ দত্ত হাসতে হাসতে বলেছিলেন, "নরকের কীটের বোধ নিয়ে নরকের কীট হয়ে জন্মালে তো অসুবিধে নেই।"
"কিন্তু চিকেন রান্না হলে চিকেনে ঝোলটা খেতে খুব আগ্রহ।"
তারপর ইমপসিবল বারগারে কেমন বিটরুটের "টাটকা" রক্ত ঝরছে বলে তাদের সে কি উল্লাস!
@kk, ধন্যবাদ। স্টীমড বান হলে অবিশ্যি কথাই ছিল না |
আচ্ছা পাইকে অনেকদিন দেখি না, ভাটে তো নয়ই, টইতেও পোস্ট করে না। সব ঠিকঠাক?
আচ্ছা স্যান্ডি। ওকিডোকি আর্টিচোকি :-))
kk, আমি সবাইকে মিন করিনি। দুই গ্রূপের অনেকে এই এটিটিউড দেখান এটাই বলা উদ্দেশ্য ছিল। আরো এক্সপ্লিসিট হয় উচিত ছিল বোধ হয়।
মিঠু,
হ্যাঁ, ঠিক ঠিক! :-))
তোমার দেখাদেখি নাক অলা স্মাইলি দিলাম। এটা দেখতে বেশি ভালো লাগছে দেখি!
অরিন,
আপনার ২-৫৩ র পোস্টের শেষ লাইনটার জন্য আপনাকে একটি 'বাও' সমেত ধন্যবাদ। বাও এখানে অবশ্যই জেস্চার বাও, খাবার বাও স্টীমড বান নয় :))
স্য্যন্ডি,
৩-৫৯ এর পোস্টে সামান্য ওভার জেনেরালাইজেশন হলো না? সব ভিগানদেরই কি হোলিয়ার দ্যান দাউ অ্যাটিটিউড থাকে? না কিছু ভিগানদের? একই ভাবে সব ওমনিভোরদের অ্যাটিটিউডও এক নয়। তাই না?
ভিগান আর ভেজিটেরিয়ানদের মধ্যেও অনেকগুলো স্তর আছে। কেউ কেউ বাড়িতে পিওর ভেজিটেরিয়ান কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে তরল পানীয়র আসরে মাংস খায়। অনেকে আছে মাছ মাংস ডিম খায় না, অথচ ডিমওলা কেক বা বিস্কিট সাঁটিয়ে দেয়। আর একটা পিস কে পেয়েছিলাম যে মাছ মাংস ডিম কিছুই খায় না কিন্তু চিকেন রান্না হলে চিকেনে ঝোলটা খেতে খুব আগ্রহ।
কলি,অভ্যু প্রচন্ড খুশি হয়ে আপন মনে গোটাকয়েক রান্নার টই খুলে দিয়েছিলো- সম্ভাবনাময় কিছু মনে হলেই একটা করে টই:-))
বড় চেহারার প্রাণীর চেয়ে ছোট প্রানীর কি যন্ত্রণা বোধ কম? প্রাণীর তুলনায় উদ্ভিদের যন্ত্রণা বোধ কি কম ? এ নিয়ে কোন স্টাডি আছে?
অরিন, ভাল লিখেছেন
স্যাণ্ডাই, আপনার থারমোডাইনামিকসের উপমাটা বেশ হয়েছে।
সাসটেনেবিলিটি শুধু খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপার হলে একরকম হত। সেরকম টা তো নয়। কেউ ভেগান বলে সে একেবারে সাংঘাতিক রকম সাসটেনেবল জীবনযাপন করছে, এটাও যেমন সকলের ক্ষেত্রে খাটে না, তেমন কেউ সব কিছু খাচ্ছে বলে একেবারে আনসাসটেনেবল জীবনযাপন করছে, এইরকম দাবী করে বসাটাও মেনে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে যে কালে কার্বন এমিশন, পলিউশন, আনসাসটেনেবিলিটি, মানবাধিকার, পশু-পাখির অধিকার, প্ল্যানেটের হেল্থ, সব ঘেঁটে ঘ হয়ে আছে।
আরে বলেন কেন, শুধু ভেগান কেন, প্লেন অ্যান্ড সিম্পল ভেজিটেরিয়ানদের মধ্যেও যা সব স্যাম্পল দেখেছি - একজন মেয়েকে চিনতাম, তার মুরগী মারা নিয়ে যা সমস্যা ছিল, তার এক শতাংশও যদি এক বিশেষ ধর্মের মানুষ মারা নিয়ে থাকত তো বর্তে যেতাম। বলা বাহুল্য সে এখন দেশে ফিরে গিয়ে খুব আমোদেই আছে।
আমাকে কোনো ভিগান আমার dietary habits নিয়ে তাচ্ছিল্য করলে বা তার নিজের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে moral high ground দেখালে আমি একটু জ্ঞান দিয়ে দিই থার্মোডিনামিক্স নিয়ে। বিশেষত সে যদি সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের হয়।বলি যে কমপ্লিট সাস্টেইনিবিলিটি বলে কিছু হয় না, বড়োজোর লেস ড্যামেজিং বলা যেতে পারে। এনট্রপি বাড়তে বাড়তে একদিন ম্যাক্সিমাম হয়ে যাবে আর পুরো সিস্টেম থার্মোডয়ানামিক ইকুলিব্রিয়ামে পৌঁছে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ভিগান হয়ে প্রসেসটাকে স্লো ডাউন করা যায়, তার বেশি না। খুবই পেসিমিস্টিক ভিউ হয়ত।
কাপতে > চাপাতে
ঠিক বলেছেন। এই ভিগানদের holier than thou অ্য়াটিটিড দেখলে পিত্তি শুদ্ধু জ্বলে যায়। এরা আনেকেই উপযাচক হয়ে অন্যদেরকে জ্ঞান দেয় এবং সবসময় দেখাতে চায় যে ওমনিভোরাসৱা কত নিষ্ঠুর আর পরিবেশের জন্য ড্যামেজিং। অপরদিকে আমাদের মত যারা ওমনিভোরাস তাদের অনেকের আবার ভিগানদেরকে অকারণ হ্যাটা করার প্রবণতাও চাক্ষুষ করেছি। অনেকে তো ভিগানদের সরাসারি বলে "ক্যা বকরি কে তারাহ ঘাসপুস খাতে হো"। নিজের খাদ্যাভ্যাস নিজের থাকাই ভাল, অন্যের উপর কাপতে গেলেই কনফ্লিক্ট অবশ্যম্ভাবী।
কালকে দেখলাম অনেকে ভেগান নিয়ে নানান রকম লিখেছেন। দু একটা কথা বলার ছিল |
ভেগান বলতে আমি যতটুকু বুঝি সেই মানুষ যিনি জীবনধারণের জন্য উদ্ভিদ ব্যতীত অন্য কিছুর জ্ঞানত অনিষ্ট করেন না, তা উদ্ভিদেরও এমন অনিষ্ট হতে দেন না যে গাছপালা একেবারে উজাড় হয়ে মরে টরে যায়। যে কারণে খাবার দাবারের এঁদের প্রোটিন সোর্স গাছ-ফল-শাকসবজি থেকে আসে (এঁরা খাবারের তালিকায় দুধ, মধু, পোকামাকড় বর্জন করেন, পরিধানের ক্ষেত্রে রেশম, চামড়ার জ্যাকেট, বেল্ট এসব চলে না, ইত্যাদি) | আমাদের মধ্যে অনেকে এই ধরণের মানুষজনকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেন দেখেছি, কারণ আমাদের সচরাচর জীবনযাত্রা, খাওয়া দাওয়ার যা প্যাটার্ণ, এঁরা সেসবের ধার ধারেন না, পরেন না, "কিরকম যেন"। আবার বহু ভেগানকেও দেখেছি, এঁরা সব নিজেদের আর পাঁচজনের চেয়ে উর্দ্ধে ভাবেন, যেন আমরা যারা ওইরকম জীবন যাপন করি না, আমরা কি না কি ঘোর অন্যায় করছি। জ্ঞান দিতে ভালবাসেন।
এই যে উদ্ভিদ ভিত্তিক জীবনযাত্রা (ইং: plant based lifestyle, সংক্ষেপে "উভিজ") যাঁরা অতিবাহিত করেন, তাঁরা কিন্তু নানান "গোত্রের" | বহু মানুষ শারীরিক কারণে উভিজ, ধরুণ ডায়াবিটিস বা উচ্চ রক্তচাপ জনিত অসুখ রয়েছে, যার জন্য কায়িক পরিশ্রম, এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস তাঁদের নিদান। এবং এই ধরণের খাবার খেতে খেতে, জীবনযাত্রা অতিবাহিত করতে করতে এঁদের মধ্যে অনেকে আবিষ্কার করেন যে, এতে বেশ কিছুটা পরিবেশের সাশ্রয় হয়, এক ধরণের এথিকাল জীবনযাত্রা অতিবাহিত করা যায়, যার জন্য ভেগানদের অন্য ব্যাপারগুলোও এঁরা গ্রহণ করেন |
আবার আরেক দল রয়েছেন যাঁরা কিছুটা ধর্মীয় কারণে উভিজ। এঁরা হচ্চেন যাকে বৌদ্ধমতে বলে "অপ্রাণিহিত" (ত্রিবিষ পরিহিত, মোহ, ক্রোধ, অজ্ঞানতা পরিহার করে চলেন, জীবনধারণের জন্য) । এইজন্য কোন রকম প্রাণী যেন তাঁদের দ্বারা আহত না হয়, না তাঁদের কারণে মারা যায়, এই ব্যাপারটা তাঁরা খেয়াল করে চলেন। শিকার করা, বা কসাইএর পেশা এঁরা গ্রহণ করবেন না, আশা করা যায় যে এঁরা সত্যি সত্যি জীবনে সমস্ত রকমের হিংসা পরিহার করে চলেন, কথা বার্তায় অতিশয় ভদ্র, ইত্যাদি, পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা করেন যতটা পারেন, ভেগান জীবনযাত্রা তাই এঁদের জীবনের অঙ্গবিশেষ।
বাদবাকী আরো অনেকের এই যে একটা এথিকাল লাইফ স্টাইলের কারণে উভিজ জীবনধারণ, ব্যাপারটা জটিল, সে ব্যাপারটা আমি ঠিক বুঝি না, অনেকে স্টাইল করে ভেগান হয়, চালিয়াতি করার জন্যে । মনে হয় কে ব্যথা পেল বা পেল না, সেইটে এঁদের খুব একটা বিবেচ্য নয় (না হলে শাক সবজিই বা খাবেন কেন), বরং নিজের কনসামপশানের জন্য প্রকৃতি/পরিবেশ/প্রাণীকূল ধ্বংস যেন না হয়, এইটাও তাঁরা চান। তা যতক্ষণ অন্য লোককে বিরক্ত না করছেন, এঁদের গালিগালাজ না করাটাই ভদ্রলোকের রীতি, :-)
@S: "আরে ওটাকেই গাছের প্রাণ আবিষ্কার করা বলা হয়। ... এইযে আমরা বলি নিউটন মাধ্যাকর্ষণ আবিষ্কার করেছিলেন। কেন? তার আগে কি মাধ্যাকর্ষণ ছিলনা নাকি লোকে জানতো না যে উপর দিকে ঢিল ছুঁড়লে নীচে পড়বে।"
:-), একদম! দারুণ বললেন।
বড়েস, আপনি ঠিক। হাক্সলি ওই এক ঘর থেকে অন্য ঘরে বেতার তরঙ্গের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী।
জগদীশচন্দ্র মোট তিনটি পেটেন্টের অধিকারী। তার একটি আমেরিকা থেকে নেওয়া (পেটেন্ট নম্বর ৭৫৫৮৪০) ডায়ড ডিটেক্টরের জন্য। অন্য দুটি ইংল্যান্ড থেকে নেওয়া (নং ১৫৪৬৭ ও ১৮৪৩০)। প্রথমটির শিরোনাম ‘Improvements in and connected with Wireless Telegraphy and other Signalling’ আর দ্বিতীয়টির নাম ‘Improved Means or Apparatus for Detecting or Indicating Light Waves, Hertizan Waves and other Radiations’।
জগদীশচন্দ্রের কাজ নিয়ে হাক্সলির একটি প্রবন্ধ একদা দশম শ্রেণির ইংরেজিতে পাঠ্য ছিল। সেখানে ক্রেসকোগ্রাফ ও বেতার তরঙ্গের আলোচনা ছিল।
তবুও বাঙালি গাবিয়ে বেড়ায় তিনি নাকি পেটেন্ট নেননি! আরে বাপু, জগদীশচন্দ্র CIE খেতাব পেয়েছিলেন।
সরি সরি । ইয়েস কেকে। :))
আর এটা? https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=11871
সর্ষেবাটা মোচাকাটা চিতলের মুইঠ্যা ইত্যাদি
https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=12663
https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=9839
আমি তো ওটাই বলেছিলাম, যে উনি দেখিয়েছেন গাছে দেরও ব্যথা লাাগে।
হেঁ হেঁ, বেশ কিছু ভালো টই তো আমার খোলা :)
মিঠু,
'মোচাকাটা' না 'মোচাবাটা'? ;)
খান পাঁচেক টই ছিলো ঐ সিরিজের, না? পড়তেও সুস্বাদু টইগুলো!
অরণ্য,
আমি এখন আর স্মোকি চত্বরে থাকি না তো। বড় ভালো জায়গা। মিস করি।
আরে ওটাকেই গাছের প্রাণ আবিষ্কার করা বলা হয়। আর কোথায় একটা পড়েছিলাম যে তিনিই প্রথম সফলভাবে রেডিও সিগনাল পাঠিয়ে বা রিসিভ করে দেখিয়েছিলেন। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরই মনে হয় একটা ঘর থেকে আরেকটা ঘরে। রেডিও বলে আমরা যেটাকে চিনি সেটা জাস্ট একটা ইনস্ট্রুমেন্ট। মার্কনিও কিন্তু নোবেল পেয়েছিলেন রেডিও টেলিগ্রাফির জন্য, রেডিও নামক যন্ত্র তৈরী করার জন্য নয়।
এইযে আমরা বলি নিউটন মাধ্যাকর্ষণ আবিষ্কার করেছিলেন। কেন? তার আগে কি মাধ্যাকর্ষণ ছিলনা নাকি লোকে জানতো না যে উপর দিকে ঢিল ছুঁড়লে নীচে পড়বে।
অপু,
আমি অনেকদিন গুরুতে আসিনি। তুমিও সম্ভবত তাই। তুমি আমাকে 'কেকে' বলে ডাকতে কিন্তু। ভুলে গেছো বুঝি? :)
এই তো https://prohor.in/trees-have-life-jagadish-chandra-did-not-invent-he-is-not-the-inventor-of-radio