১০০ দিনের কাজ কনসেপ্ট টা গোটাটাই ইউপিএ ১ আমলের কনসেপ্ট। আইডিয়াটার জন্য অরুনা রায় কে সাধারণত ক্রেডিট দেবা হয়।
@ LCM দুঃখিত, বিভিন্ন বানান ভুল এসেছে, আসলে গুগল পদ্ধতি তে লেখার সময় ভীষন মাাাইলল ফাঁকসন করে। কিি ছু লেেে খআ আস্তে চাইছেনা। বেশি ভাওএল চলে আসছে।
"বামেরা এসব সোশ্যাল প্রোগ্রামের বিরোধীতা করবেই বা কেন?"
যেগুলো নিয়ে বিস্তর ঢক্কা নিনাদ করছে তিনো ও তার চামচারা, সেগুলোর বেশীর ভাগই বাম আমলে চালু হয়েছিল। তখন মিডিয়া থেকে শুরু করে পন্ডিতেরা সবাই খিল্লি করত ঐসব নিয়ে। এখন অবিশ্যি সে সাহস নেই। ১০০ দিনের কাজও সম্ভবতঃ UPA1 আমলেই চালু হয়েছিল।
যে সব ভালো ও আধুনিক লিবেরাল রা পোবোন্দো অপছন্দ করেন, তারা সেল্ফ প্রফেস্ড বিজেপি কে ঠ্যাকানোর, ও তৃণমূল কে তাড়ানোর জন্য গোপনে উদগ্রীব, টেলিভিশন চ্যানেল ও খুলতে পারেন আমি আপত্তি করব না, স্যাটেলাইট ও পাঠাতে পারেন। ওয়েব সাইট লিখতে পারেন। পূবোন্দো লেখা টা সোজা বলে বলেছিলাম। :-)
"অরিণ, একটা প্রশ্ন আছে, ভাইরাস মিউটেট করে একটু কম মারাত্মক হওয়া উচিত না?"
নতুন "স্ট্রেন" টা মারাত্মক দুটো কারণে: এক, আগেরটার তুলনায় দ্রুত ছড়াতে পারে বলে; দুই, মে ধরণের পরীক্ষা এখন অবধি হচ্ছে, তাতে ফলস নেগেটিভ আরো বেশী আসবে। যে কারণে মনে করা হচ্ছে মে বহু দেশে সেপ্টেমবার মাস থেকে ছড়িয়েছে।
এই ইনফেকশনের সুদূর প্রসারী এফেক্ট কিন্তু অজানা।
ফুলে গন্ধ নেই সে তো ভাবতেও পারিনা
জীবনে পোবোন্দ নেই সে তো ভাবতেও পারিনা
রাজনৈতিক প্রচারের জন্য প্রবন্ধ লিখতে বলছিলাম। তো তাতে অনেকে আবাজ দিচ্ছি দেন। প্রবন্ধ সোজা হবে। বিজেপিকে এবং তৃণমূল কে হারানোরকথা বলছিলেন অনেকে , বিজেপিকে ভয় পাচ্ছিলেন অনেকে, তো আমার বক্তব্য হল বিজেপিকে রেটোরিকাল স্পেস ছাড়ার কোন অর্থ হয় না, পোবোন্দ তে তারা, নাক শিটকোচ্ছেন, তারা এক ই উদ্দেশ্যে টিভি চ্যানেল , ওয়েবসাইট ,ইউটিউব চ্যানেলখুলতে ফিরেন কাগজে নিজেদের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। ন ইলে শুধু ই বসে যদি ও বাবা বিজেপি আসছে বি বাঃ বেশ হয়েছে দিদি ডান্ডা খাবে বলে মজা দেখার অভিপ্রায়ে পোস্টকরেন তাকে ফ্যাচর অথবা ফ্যাচর (দুই) এর বেশি গুরুত্ব দেবার কোন কারণ দেখিনা।
অমিত ভাদুড়ির লেখা সম্পর্কে শমীক লাহিড়ি।
উপরের লিঙ্কে (২১-১২-২০) আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এই লেখাটি পড়ুন।
এর সঙ্গে কমরেড শমীক লাহিড়ী-র ওয়াল থেকে নেওয়া লেখাটি যুক্ত করা হলো, সেটিও পড়ুন। বুঝতে সুবিধা হবে।
*************************
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
"বিজেপির একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। তারা সামাজিক ক্ষেত্রে সামন্ততান্ত্রিক, সনাতন বর্ণব্যবস্থায় বিশ্বাসী; কিন্তু ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কর্পোরেটপন্থী - তারা মনে করে, ব্যবসায়ীদের লাভের সুযোগ করে দিলে তাঁরাই দেশকে বৃদ্ধির দিকে পথে নিয়ে যাবেন। এটা ফ্যাসিস্ট মানসিকতার নির্ভুল চিহ্ন। গোটা দুনিয়াতেই ফ্যাসিস্টরা এই সামাজিক রক্ষণশীলতা আর কর্পোরেটপন্থার দ্বিত বজায় রেখে চলে।"
" পশ্চিমবঙ্গে এখন অনেকেই বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন। তাঁরা আসলে বিজেপির এই চেহারার সঙ্গে পরিচিত নন। বিভিন্ন কারণে এই রাজ্যে একটা পরিবেশ আছে, যেখানে সামাজিক রক্ষণশীলতা - জাতপাতের বিচার ইত্যাদি - উত্তর ভারতের তুলনায় অনেক কম। ফলে, বাঙালি মধ্যবিত্ত বুঝতেই পারছেন না যে, বিজেপি এলে সামাজিক ক্ষেত্রে ঠিক কতখানি বিপদ হবে। এবং, হাতে গোনা কয়েকজন পুঁজিপতিদের হাতে দেশের আর্থিক লাগাম চলে গেলে কি মুশকিলে পড়তে হবে।"
কথাগুলো আমার নয়। অধ্যাপক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ শ্রী অমিত ভাদুড়ির একটি সাক্ষাৎকার আজ আনন্দবাজার পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
বিজেপির নেতারা হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন - কে এই অমিত ভাদুড়ি? শাহ ছাড়াও অনেক ভালো অমিতও আছেন।
তাদের জন্য জানিয়ে রাখি, এই অর্থনীতিবিদ প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা থেকে পাশ করে, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনলোজি ও কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। বিশ্বের বহু বিশ্ববিধ্যালয়ে তিনি পড়িয়েছেন। যেমন - প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা, আই.আই.এম কলকাতা, দিল্লি স্কুল অব ইকনমিক্স ( ভক্তগণ এটা কিন্তু প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্কুল নয়),
জে এন ইউ, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েনা ও লিনৎস বিশ্ববিদ্যালয়, অস্টিয়া। এছাড়াও জার্মানি, ইটালির বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়িয়েছেন। ৬০টি'রও বেশি আর্ন্তজাতিক গবেষণা পত্র ও ম্যাক্রো ইকনমিক্সের উপর ৬টি তাত্ত্বিক বই লিখেছেন, যেগুলি পৃথিবীর নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়।
তবে হ্যাঁ, তিনি "Whole Political Science" নিয়ে এম এ পাশ করতে পারেন নি এবং ১৪ টি ভাষা জ্ঞানে সম্বৃদ্ধ লেখক হিসাবে ১০২ খানি বই লিখে উঠতে পারেন নি। তিনি সাঁওতালী বা উর্দ্দু ভাষাতেও লিখতে পারেন নি। সেই অর্থে মাননীয় ও মাননীয়ার চাইতে জ্ঞানগম্মিতে অধ্যাপক ভাদুড়ি বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছেন তো বটেই।
সে যাইহোক, একটা প্রশ্ন উঠেই আসে তা হ'লো - যে কোম্পানির কাগজ এই সাক্ষাৎকার ছেপেছে, তার মালিক কি এটা পড়েছেন?
যদি পড়েই থাকেন তাহলে এই ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দলকে বাঙলার শাসন ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কাছা এঁটে নেমে পড়েছেন কেন? বাংলা ও বাঙালিকে এত বড় বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়ার সর্বস্ব পণ করেছেন কেন?
অধ্যাপক অমিত ভাদুড়ি একটা সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করেছেন যে, ফ্যাসিস্টরা কর্পোরেটপন্থা নিয়ে চলে অর্থাৎ বাছাই করা ব্যবসায়ীদের হাতে দেশ তুলে দেয়। তা ফ্যাসিস্টদের আনুকুল্যে নিজেদের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্যই কি ধুতি মালকোচা মেরে ফ্যাসিস্টদের পক্ষে নেমে পড়েছেন? মোদি-শাহ-দের তুষ্ট করে নিজেদের স্ফীত সম্পদ কয়েকগুণ বাড়িয়ে নেওয়ার লোভেই কি এই লেজ নাড়া? মুনাফার পাহাড়ে চড়ার স্বপ্নেই কি লালা ঝড়ছে?
তাহলে আপনাদের সাথেও মানুষের যুদ্ধ হবে।
হিটলারের উত্থান ও তাঁর নৃশংস হত্যালীলার কাহিনী গোপন করে, তাঁকে "Harmless Fluff" (নিরীহ ও নরম প্রকৃতির) বানাবার মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়েছিল সেই সময়ের সংবাদ মাধ্যমের বড় অংশই।
তাই সংবাদমাধ্যমের মালিকদের বর্তমান এই ভূমিকা ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি মাত্র।
শমীক লাহিড়ী
২১ ডিসেম্বর, ২০২০
সব ব্যাপারেই অনেক ঘাপলা হচ্ছে। আমার ধারণা এই স্বাস্থ্যসাথী ব্যাপারটাও ভোটের পরেই মায়া হয়ে যাবে। কেননা জাস্ট হিসেব মিলছে না। বামেদের উচিত হবে খুব মন দিয়ে লোকেদের কার্ডগুলো করানো। তারপর এলাকার লোক অসুস্থ হলে তাদের সাথে হাসপাতালে যাওয়া, মোবাইল ফোন নিয়ে। কার্ড রিফিউজি করলে, বা অতিরিক্ত চাইলে সেটা রেকর্ড করে হল্লা মাচাতে শুরু করা। এক সময়ে বামেদের এই লেভেলে জনসংযোগ ছিল। এখন যদি নাও থাকে তো এখন থেকে শুরু করা যায়। শ্রমজীবী ক্যান্টিন থেকে যে জনসংযোগ তৈরী হয়েছে সেখান থেকে শুরু করা যেতেই পারে।
এবারে উন্নততর তিনোরা ক্ষমতায় এসেই সব সমস্যার সমাধান করে দেবে। কয়েকমাস অপেক্ষা করো।
এলসিএম, এইগুলো বামের দোষ কেন হবে? এই ইসুগুলোতে বামের অনেক কাজ ছিল বিরোধীদল হিসেবে।
এদিকে, শুক্রবার ওয়াশিংটনডিসি তে এক এয়ারপোর্টে এই অবস্থা - বলছে দু দিনে নাই ১০ লাখ এর বেশি মানুষ ইউএস এয়ারপোর্ট গুলো দিয়ে যাতায়াত করেছে --
Crowds are seen at Washington's Reagan National Airport on Friday. More than a million people went through airport security each of the past two days, despite the coronavirus pandemic.
বোঝো ! সব দোষ বামেদের... সাইকেল ঘাপলা বামেদের দোষ, নাবালিকা বিবাহ না কমলে বামেদের দোষ। আর দোষ দেবার মতন বামই বা কোথায় পাবে
সাইকেলের ব্যাপারেও অনেক ঘাপলা হচ্ছে। বামেরা চেপে ধরলে এগুলোর কিছুকিঞ্চিৎ অন্ততঃ হিসেব বের হত। কিন্তু কোথায় কী?
বামেরা এসব সোশ্যাল প্রোগ্রামের বিরোধীতা করবেই বা কেন? বরং ধরুক কত টাকা সত্যি কাজে লাগছে আর কত টাকা কাটমানি হয়ে মায়া হয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে দেখলাম কন্যাশ্রী করেও নাবালিকা বিবাহ কমেনি। ওই টাকাগুলো কি হল? পরিবারগুলো কি টাকার মায়া ছেড়ে দিল, নাকি কাটমানি দিয়ে কিছু টাকা নিয়ে খুশি থাকল, নাকি পুরো টাকাটাই মায়া?
স্ত্রী সুজাতা কিছুক্ষণ আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। খবর পেয়েঘণ্টাখানেক নীরবেই ছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্য যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জবাব দেওয়ার। কিন্তু উত্তর দিতে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বসে কেঁদে ভাসালেন সৌমিত্র। বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠানোর ঘোষণা করেও সুজাতাকে প্রশ্ন করলেন, ‘‘আমি কি খুব পাপী?’’ রাজনীতির জন্য ভালোবাসাকে বিসর্জন দেওয়ার অভিযোগ তুলে কান্নাভেজা গলায় বললেন, ‘‘সুজাতা, খুব ভুল করলে। আর তুমি পদবিতে খাঁ লিখো না। শুধু মণ্ডল লিখো।’’
সমস্ত সরকারী স্কুলসিস্টেমটাকে পুরো একেবারে সর্বনাশ করে কার্যতঃ সব উচ্চ, মধ্য, সাধ্য সব বিত্তকেই ঠেলে দিল বেসরকারী মহার্ঘ্য স্কুলসিস্টেমে, অন্য কোনো অপশনই তাদের রইল না। এটাই সমস্ত কিছু গোড়ায় কোপ মারা। ওদিকে ওই বেসকারী সিস্টেম আপনা হাত জগন্নাথ, কোনো অ্যাকাউন্টেবিলিটি নেই ওদের কারুর কাছে। যেকোনোদিন দক্ষিণা ডবল করে দিয়ে ঘাড় ধরে সেটাই নেবে, না দিলে "তবে টিসি নিয়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে চলে যান, আমাদের দুয়ারে লাইন পড়ে আছে নতুন ছাত্র ছাত্রী হবার আশায়।" এই পুরো জিনিসটা সবচেয়ে মারাত্মক অন্তর্ঘাত। একেবারে নিরুপায় অসহায় করে দিয়েছে বিরাট সংখ্যক মানুষকে।
রমিতের পোস্টে কিছু শব্দ এরকম হল কি করে
ব্যাপার হলো বাম ফ্রন্টের পক্ষে কিছু জিনিসের বিরোধিতা করা খুব কঠিন হয়ে গেছে। এই যে সি এম লক্ষ লক্ষ টাকা উড়িয়ে, তবিল সাফ করে ঘোষণা করছে চাল দেব, ডাল দেব, পুজোর চাঁদা দেব, সাইকেল দেব, জামা দেব, বিয়ের পণের টাকা দেব, ভোটার বেকার ভাতা দেব এই সব বি রো ধি তা করা খুব কঠিন, করলেই বলে দেবে এরা গরিব মানুষের বিরোধী। যদি বেেসরকারি শিক্ষআ প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি হাসপাতালে র রমরমা র বি রো ধি তা করে তখন বলবে 34 বছর ধরে কম্পিউটার এর ইংরেজি র এরা বি রো ধি তা করত, আবার এসে গেছে। এই যে স্বাস্থ্য সাাথেঈ করে বে স হা গুলো কেই লেজিটিমআইজ করা হল সেটা কেউ বলতে পআরবে না। আবার সরকারি শিক্ষআ যে ভাতের হোটেলএ পর্যবসিত হচ্ছে সে টা নিয়েও বলাা খুুবব মুুস্কিিিল। কারন প্রতি ক্ষে ত্রে কিছু মানুষ অল্প হলেও উপকৃত হচ্ছে। ভিিখার অভ্যেস হয়ে গেলে আর বদলানো মুশকিল।
পশ্চিমবঙ্গে ইলেকশন - আর চার/পাঁচ মাস বাকি - ২০২১ এর এপ্রিল-মে। আগের বারে ২০১৬ সালে (মোট ২৯৪ সিট):
- তৃণমূল ২১১ (৪৪.৯% ভোট)
- কংগ্রেস ৪৪ (১২.২% ভোট)
- বামফ্রন্ট ২৬ (১৯.৭% ভোট)
- বিজেপি ৩ (৬.১% ভোট)
অবশ্য এর মধ্যে ২০১৯ সালে লোকসভা ইলেকশনে পশ্চিমবঙ্গে (মোট ৪২ সিট) এ :
- তৃণমূল ২২ (৪৩.৩% ভোট)
- বিজেপি ১৮ (৪০.৬% ভোট)
- কংগ্রেস ২ (৫.৬% ভোট)
- বামফ্রন্ট ০ (৬.৩% ভোট)
এবারে দেখা যাক কি হয়, মেজরিটির জন্য ১৪৮ সিট
না, নেই তো। চালের দাম মিনিমাম ষাট টাকা করার অ্যাজেন্ডা কোন দলের লিস্টে নেই। অগত্যা সস্তার চাল এড়াবেন কিকরে?
কী আশ্চর্য! এই ড্যাশগুলোকে দূর করার জন্য কোনো স্ট্রং দল নেই? মূল বামেরা এমনকি আঁতেল বামগুলোর সঙ্গেও তো জোট বেঁধে বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।
ব্যোম ভোলে
এ আর নতুন কি ছবি? দিদির পায়ের তলায় নেতাজীর ছবি দেখেননি? তারপরে তো বাসস্টপের প্রতীক্ষালয়ে বিপ্লবীদের সঙ্গে "লহ প্রণাম" সহ দিদি তো রাজ্য জুড়ে। যারা এতদিন তিনোর ফ্লেক্স বানাতো তারাই বিজেপিরটাও বানাচ্ছে।তাই একই কালচার। ২ টাকা কিলো চালের সঙ্গে দশবছরের রাজনীতিহীনতা প্যাকটিশ করা বাঙালী যা খেতে চায় তাই পাচ্ছে।
৮০% ভোট জোড়া ফুল আর পদ্মফুল ধরে রাখবে। এদল ওদল আসতে যেতে কোনো হাই এনার্জি transition state-ও পেরোতে হয় না আজকাল। নাগপুরের ইচ্ছাফুল, পচ্চিমবঙ্গে তিনোমুল।
পোবোন্দ কি নিয়ে লিখবেন আর পড়বে কে? কাল প্রাইম টাইমে খাঁ দম্পতির পুনর্মিলনের জন্য দেড় ঘন্টা ব্যয় করেছে সঙ্গে কুমন।
সেইসব তৃপবু রা এখন কোথায়? তেনারা কি এখন সেজেগুজে বিজেপির জন্য "লহ অভিনন্দন লহ ফুলচন্দন " র থালা সাজাচ্ছে নাকি?
সেই "আ আ আ আ আ যা" গানটা?
একটা লারেলাপ্পা হিন্দি বলিউডি গান টাইপের জাতীয় সঙ্গীত হলে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্য হয় বটে।
রবীন্দ্রনাথের গানটানও বদলে দেবে বলছে, এমনকি জাতীয় সঙ্গীতের কিছু শব্দ বদলাবার প্রস্তাব করেছে এক ড্যাশ ড্যাশ। আবার দাঁত কেলিয়ে বলছে সেই প্রস্তাব নাকি খুব সমর্থন পেয়েছে তার দলে। এদের তো দুরমুশ করে চ্যাপটা করা দরকার।
সরাসরি বলছি , বিজেপির গাঁড়ে দম নেই, পশ্চিম বঙ্গে ভোটের আগে এন আর সি, সি এ এ নিয়ে বেশি কথা বলার। নিরামিষ আর বাড়িতে ফ্রিজে মাঙ্গ্শো থাকলে তাই নিয়ে বাড়াবাড়ি করার এমনকি লাভ জেহাদের বিরুদ্ধে আইন করার কথ বলে। a সর্বস্তরের বাঙলার ছেলে মেয়েরা প্রেম করে পার্টি টা সারা জীবনের মত তুলে দেবে :-)
জঘন্য এই ওয়ান নেশন পার্টি, শুধু আসামের জন্য এসব বানিয়েছিল, শুধু আসামের বাঙালি দের বাঁশ দেবে বলে, ১৯ লক্ষ বাঙালি কে জেলে পাঠিয়েছে, সেখানে ক্ষমতায় থাকার জন্য, মধ্য উচ্চবিত্ত বাঙালির , তথাকথিত বাঙালি মেডিয়া গোষ্ঠী গুলির আত্মসম্মান প্রচন্ড কম তাই বিজেপি এখানে ভোট চাইতে এসে মার খাচ্ছে না। টেলিভিশন চ্যানেল বাইনারি নিরপেক্ষতা দেখাচ্ছে যেটা সম্পূর্ণ ডুবিয়াস। ক্লিয়ারলি সমাজের প্রতিদিনের মতই রাজনীতিতেও অনেক পক্ষ আছে এবং দুটি বৃইহৎঅ শক্তি কে হিম শিম খেতে হচ্ছে তাদের সামলাতে। এই সেদিন পাহাড় আর জংগল হাসছিল, এখন হাসছে কিন্তু পশ্চাতে।
তৃণমূলের টোটাল মিথ্যাচার, সকাল থেকে রাত অব্দি ঢপ দেবা, বিচিত্র আর্বিট্রারি শাসন চালানোর অভ্যাস, শ্রমিক কর্মচারী অধিকার বিরোধিতা , সিন্ডিকেট মস্তানি , ক্লাব চালানোর মত করে সরকার চালানো, এই সব আজে বাজে না থাকলে এখানে বিজেপি র পাত্তা পাবার কথাই না। কাগজ কে বাঘ বলে মনে হচ্ছে তার মেন কারণ আমাদের বাঙালি হিন্দু দের আত্মসম্মানের অভাব আর মুসলমান দের প্রতি আশ্চর্য ঘৃনা কে আমরা স্মৃতির অতল থেকে তুলে আনছি। যেটা অ্যাকচুয়ালি বাবা মা দের ও না, দাদু দিদিমা দের ছিল, সেটাকে ফিরিএ আনছি, পাবলিক স্পেস মুসলমান দের সংগে শেয়ার করতে গর রাজি হচচছি, ভাঅবছি তাতে খুব দু পয়সা হবে। থুৎকুড়ি জাগে।
রবীন্দ্রনাথ নজরুলের দেশে কোথাকার অমিত শাহ আর দেড়ে ঢপবাজ উনিজি করে খাচ্ছেন, আর রাজ্য নেতারা প্লেন হেলিকপ্টারের পাশে ভিড় করছেন। আনবিইভেবলি ব্লাডি ডিসগাস্টিং।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
এটা যদি সি এ এ । এন অর সি প্রশ্নে ডিফেন্সিভ বিজেপি না হয়, তো কারে ডিফেনসিভ কয় জানি না।
চারিদিকে খালি রোড শো আর গ্ল্যামার দেখলে হবে ভাইটি।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত