anandaB | 50.125.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:৫০467986@বোধিসত্ত্ব ওই লেখাটার (গুরুভার আবেদন) একদম শেষে একটা লিংক আছে ,আমার ধারণা আপনি যে অপসন খুঁজছেন ওখানে পেয়ে যাবেন
a | 59.102.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:৪৬467985অরিনবাবু ধন্যযোগ। তবে আমি বলছিলাম বাঙ্গলায় ডেটা সায়েন্স কোর্স তৈরীর কথা। কিছু কিছু আছে কিন্তু খুব উল্লেক্ঝ যোগ্য না। তো মার্কেট থাকলে খেটেখুটে বানাবো আর কি
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2405:201:8008:c01e:d3d:e1ea:673d:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:৪১467984গুরু বারের আবেদন দেখেছি। এল সি এম, পিনাকি, এক কালীন কন্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থা কিছু আছে জানাবে বা একটা উপায় করবে? বদলে কিছু র দরকার নেই।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2405:201:8008:c01e:d3d:e1ea:673d:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:৩৬467983এলে , এটা আপনার বা কেসি র তুলনামূলক বিশ্বাস যোগ্যতার বিষয় না। এটা জাস্ট মানা যায়না একটা লোক মারা যাবার খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে এরকম কথা ঠিক না। কেসি তো ননকমিটাল কিসু ভাসা ভাসা এক লাইন দিয়েছে, তাই নিয়ে আপনি এত উত্তেজিত ই বা কেন:---))))))))।
হয়তো অনেক কিছুই বেরোবে। অনিরুদ্ধ লাহিড়ি র মত এসব ও কেউ লিখবেন , তবে সেটা আপনি বা কেসি করলে দুঃখ ই পাবো।
মধ্যে খান আমি উচ্চশিক্ষা র এক্সপ্যানসন আর আর এস এস এর গৈরিকিকরন নিয়ে মহা মূল্যবান কটি কথা বলেছিলাম সেটি নিয়ে কারো আগ্রহ নেই খালি সোপ অপেরাতে ই লোকের আগ্রহ:----))))))
নিননিছা | 2405:8100:8000:5ca1::5dc:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:২৯467982সুধীরবাবুর নামে খাতা ঝাড়ার গুলবাজিটাও খুব একটা উচ্চরুচির হয়নি। অবশ্য ইয়েতে কি না বলে ডিসকাউন্ট চাইলে আলাদা কথা।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2405:201:8008:c01e:d3d:e1ea:673d:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:২৭467981তিতাস:-))))
T | 103.211.20.106 | ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:৫১467913আকাদা, উদ্বিগ্ন হয়ো না, শনিবার যাবে।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2405:201:8008:c01e:d3d:e1ea:673d:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:২৩467980বিজেপি এবার শহরে শহরে জি বাংলা সংগীত প্রতিযোগিতার মত অডিশন ভেনু খুললে পারে , যোগ দেওয়ায় ইচ্ছুক তৃণমূল নেতারা লাইন দিতে পারবেন:---))))))))))
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2405:201:8008:c01e:d3d:e1ea:673d:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:০৯467979নদীয়াজেলার লোকজন বেসিকালি কুচুটে ঝগরুটে টাইপের। কারু একটু নামটাম হলে এরা আরো হিংস্র হয়ে ওঠে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে ।
উদ্ধৃত মন্তব্য টি খুব বাজে। এটা যদি এলে আর পিটি র উদ্দেশ্যে বলা হয়ে থাকে আরো বাজে। নিননিছা কেস।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2405:201:8008:c01e:d3d:e1ea:673d:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:০৫467978অরিন , খুব ভালো লাগল দাদা। অরিন | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:১৭
Abhyu | 47.39.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:০৯467977
lcm | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২১467968অরিন,
বাংলায় পাইথন নিয়ে আপনার পেজ দেখলাম - দারুণ ব্যাপার।
যা বুঝলাম | 2405:8100:8000:5ca1::7b0:faae | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৪৪467969নদীয়াজেলার লোকজন বেসিকালি কুচুটে ঝগরুটে টাইপের। কারু একটু নামটাম হলে এরা আরো হিংস্র হয়ে ওঠে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে।
syandi | 2a01:c22:d4cc:eb00:5cc5:8e86:9aaa:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৪৩467976নিননিছা = নিত্য নতুন নাম ছাগু
এটি বোধিদার কয়েনেজ এবং একেবারে সদ্যোজাত টার্ম। নতুন নতুন নিকে এসে যারা ভাটে কমেন্ট করে যান তাদেরকে এটা বোধিদার দেওয়া উপাধিবিশেষ।
:|: | 174.255.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৩৭467975১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৪৪ -- ঠিক! সেই রকমই একটি ছবি উঠে আসছে বটে!
:|: | 174.255.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৩৫467974১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:৩১- এর প্রথম বাক্যটি অতীব কনফুসিং। আমি প্রথমে ভাবলুম যিনি মরে গেছেন তিনিই গালি দিচ্ছেন। তিনি দিতে পারেন কিন্তু লোকে শুনলো কি করে! তারপর পিছিয়ে পিছিয়ে গিয়ে বুঝলুম অ! যিনি মরেছেন তিনি গালি দেননি। আর কেউ দিচ্ছে।
নিন্নিছা মানে কী?
aka | 143.59.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:২৩467973যারা আর্কটিকের কাছাকাছি থাকে ইনুইটদের অবস্থা বেশ খারাপ এই গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য।
S | 2405:8100:8000:5ca1::10:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:০৯467972@অরিন, এইযে পরিবেশ ধ্বংস করে উন্নয়ন করা, সেটা আমেরিকার মতন একটা ধনী দেশে কি প্রয়োজন সেটা এখনও বুঝিনি। হাইড্রোকার্বনসের প্রতি এই একদলের যে কি এমন আকর্ষণ। অথচ তেলের ডিমান্ড কমছে, দাম মাটিতে মিশে গেছে, তবুও ওয়েল ইকনমি বানিয়েই ছাড়বে। অনেকে তো এখনও কোল জবস সব ফেরত দেবো বলেও ভোট চায়। যেখানে ভারত চীনের মতন দেশ অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
একটু খোঁজ করে দেখুন তো এই অঞ্চলে আলাস্কার ইন্ডিজেনাস লোকেদের বাস কিনা। নর্থ ডাকোটাতে এইরকম ঘটনা একবার ঘটেছে। কানাডা থেকে আসা অয়েল পাইপলাইন।
S | 2405:8100:8000:5ca1::97d:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৬467971এখানে কাউকেই ডিফেন্ড করার প্রয়োজন দেখিনা। তবে ফর রেকর্ড এই সাইটে পিটিদাকে অশ্রাব্য গালাগালি শুনতে হয়েছে। একাধিকবার।
আর | 2405:8100:8000:5ca1::d49:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৪৭467970পিটি লোকটা যে নদীয়ার লোক সেটা পার্ফেক্টলি মেকস সেন্স। জেলাওয়াড়ি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সব আছে।
যা বুঝলাম | 2405:8100:8000:5ca1::7b0:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৪৪467969নদীয়াজেলার লোকজন বেসিকালি কুচুটে ঝগরুটে টাইপের। কারু একটু নামটাম হলে এরা আরো হিংস্র হয়ে ওঠে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে।
lcm | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২১467968অরিন,
বাংলায় পাইথন নিয়ে আপনার পেজ দেখলাম - দারুণ ব্যাপার।
পরিস্থিতি সুবিধের নয়,
"Climate researchers say average winter temperatures along the Northern Sea Route, the waters located along the Russian Arctic coast, have increased by about 5 degrees since the 1990s.
The high temperatures are leading to a rapid melting of permafrost across the Arctic. Similarly, vast areas of coastal lands are troubled by accelerating erosion."
lcm | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:১৩467966রোজ পৌঁছতেন কাঠিবনে
পত্রিকায় লেখা বেরিয়েছে ‘কাঠিবন’-এর এক সদস্যের। খবরটি শোনার পর এক গাল হেসে মানুষটি বলে ওঠেন, “স্বদেশ, খোঁজ নিয়ে দেখো তো! আজ কৃষ্ণনগরে জেলুসিল অনেক বেশি বিক্রি হয়েছে।”
এক জনের লেখা কোথাও প্রকাশিত হলে অন্য জন সেটা ‘হজম’ করতে পারেন না এবং এর জন্য তাঁদের বদহজম হয়। সেই কারণে ওই বিশেষ দিনগুলিতে জেলুসিল ওষুধের বিক্রি বেড়ে যায় বলে মজা করতেন সুধীর চক্রবর্তী। মজার ছলে বলতেন— “খোঁজ নাও। খোঁজ নাও!”
কৃষ্ণনগরের অন্যতম আড্ডার এই কেন্দ্রের আচার্য ছিলেন সুধীর চক্রবর্তী। এখানে সকলে পরস্পরকে নিয়ে নির্মল মজা করতেন বলে সুধীর চক্রবর্তীকে ঘিরে সেই আড্ডার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘কাঠিবন’।
কৃষ্ণনগর শহরে তাঁর বাড়ি জজকোর্ট পাড়ায়। কাছেই সুবীর সিংহরায়ের বাড়ি। বাড়ির একটি ঘরে প্রতিদিন বৈঠকি আড্ডায় বসতেন শহরের বিশিষ্ট প্রবীণেরা। স্বদেশ রায়, শঙ্কর সান্যাল, রামকৃষ্ণ দে, সম্পদ নারায়ণ ধর, দেবাশিস মণ্ডল, তপন ভট্টাচার্য, তুহিন দে— এঁরা নিয়মিত সদস্য। সুধীরবাবু ছিলেন আড্ডাস্থলের মধ্যমণি। দীর্ঘ দিন ধরে সুধীরবাবু আড্ডাস্থল ফোয়ারার মোড়ের আলেখ্য স্টুডিয়ো। সেখানেই তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে আসতেন। তাঁকে ঘিরে সেখানে একটা পরিমণ্ডল গড়ে ওঠে। কিন্তু নানা কারণে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ সেখানে আড্ডা বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে সেই বৈঠকি আড্ডা শুরু হয় সুবীরবাবুর বাড়িতে। ঘরের ঠিক মাঝখানে রাখা থাকত হাতলওয়ালা কাঠের চেয়ার। সে চেয়ারে তিনি ছাড়া কেউ বসতেন না।
বৈঠকের ‘উপাচার্য’ সুবীরবাবু বলছেন, “ওই চেয়ারে বসে তিনি তার বাহ্যিক গাম্ভীর্য ঝেড়ে ফেলতেন। মানুষটা তখন পুরোপুরি বৈঠকি মেজাজে। কখনও কখনও শিশুর মতো অকপট হয়ে উঠতেন।”
স্বদেশ রায় বলছেন, “মাঝে মধ্যে আমাদের মধ্যে একটুআধটু চটুল গল্প হত। স্যর বলতেন ওটা সেকেন্ড পিরিয়ড। বলতেন— ‘আমি না যাওয়া পর্যন্ত যেন সেকেন্ড পিরিয়ড শুরু না হয়।” তাঁর মতে, এই কাঠিবন ছিল সুধীরবাবুর মনের জানালা। সেখানে চটুল গল্প থেকে দেশ-বিদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, সাহিত্য, গান সবই ছিল আলোচনার বিষয়।
করোনা আবহে শেষের ক’টা দিন বাদ দিয়ে বাড়িতে থাকলে সুধীর চক্রবর্তী প্রতিটা দিন আসতেন এখানে। ছাতা হাতে হেঁটে আসতেন মানুষটা। বেলা একটা নাগাদ আসর শেষ হয়ে গেলে সুধীরবাবুকে মোটরবাইকে চাপিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিতেন কবি রামকৃষ্ণ দে।
তিনি নেই। সেই নির্জন কাঠিবনে তাঁর জন্য অপেক্ষা করে আছে নিঃসঙ্গ কাঠের চেয়ার।
( আনন্দবাজার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ )
https://www.anandabazar.com/state/memories-related-to-sudhir-chakraborty-1.1244386
lcm | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৯467965সুধীর চক্রবর্তীর সামগ্রিক রচনাকে মোটামুটি পাঁচটি পর্যায়ে ফেলা যেতে পারে। এর মধ্যে প্রথম ভাগে থাকবে বাউল-ফকির, গৌণধর্ম এবং লোকায়ত ধারার সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর নিবিষ্ট পর্যবেক্ষণ। দ্বিতীয় ভাগে রাখা যায় রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে তাঁর অনুভব ও ভাবনার বিস্তার। এরপরই থাকবে বাংলা গানের কালপর্ব ও নানা ধারা নিয়ে রচিত রচনাগুলো। চতুর্থ ভাগে কবিতা-গল্প-উপন্যাস বিষয়ে তাঁর লেখাগুলোকে ঠাঁই দেওয়া যায়। শেষ ভাগে, অর্থাৎ পঞ্চম পর্যায়ে তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থ ও পত্রিকাকে রাখা যায়।
‘লোকায়তের অন্য বাঁকে’ ঘুরতে গিয়ে সুধীর চক্রবর্তী যে সহজিয়া পথ ও দিশার হদিস পেয়েছেন, তা যেমন রহস্যসংকুল, তেমনই ‘দেখা না-দেখায় মেশা’ অন্য আরেক ভুবন।
সে ভুবনের পথিক হয়ে ‘একাকী পায়ে হেঁটে, দু-দশক নদিয়া-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম-বর্ধমান-কুষ্টিয়া-মেহেরপুরের গ্রামীণ পরিমণ্ডল ঢুঁড়ে, নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে নতুন ধারার লেখনীতে ধরেছেন সেই বিচিত্র ভুবনের অন্তর্গহন বাণী।’ সে ‘অন্তর্গহন বাণী’ময় লেখাগুলোর সমন্বয়ে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘গভীর নির্জন পথে’ (১৯৮৯) নামের আলোচিত গ্রন্থটি। এ বই ‘বাংলার সমাজ–সংস্কৃতিচর্চার এক নতুন পথ, বাংলা গদ্যশৈলীরও এক নবনিরীক্ষা।’
‘গভীর নির্জন পথে’ বইয়ে ছয়টি লেখা ঠাঁই পেয়েছে। এসব লেখায় বাউল-ফকিরি মতবাদ, লৌকিক গৌণধর্ম, দেহসাধকদের গুহ্য ও নিগূঢ় সাধনপদ্ধতি আর জীবনযাপনের আখ্যান ‘জাদু-বাস্তবের ঢঙে’ জীবন্ত হয়ে উঠেছে। বাংলার নানা উপাসক সম্প্রদায় এ বইয়ে বিস্তৃত পরিসরে উপস্থাপিত হয়েছে, যা এর আগে অন্য কোনো লেখকের দ্বারা হয়নি। এ বই ছাড়াও ‘ব্রাত্য লোকায়ত লালন’ (১৯৯২) নামে তাঁর একটি অতিবিখ্যাত বই রয়েছে। এ বইয়ের বিষয়বস্তু লালন সাঁই এবং তাঁর দর্শন। দুই বাংলার লালনবিষয়ক সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আকরগ্রন্থ হিসেবে এটিকেই বিবেচনা করে থাকেন বোদ্ধা মহল। এ ছাড়া তাঁর প্রকাশিত ‘কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প ও মৃৎশিল্পী সমাজ’ (১৯৮৫), ‘বাউল-ফকির কথা’ (২০০১), ‘বাংলার গৌণধর্ম: সাহেবধনী ও বলাহাড়ি’ (২০০৩), ‘উৎসবে মেলায় ইতিহাসে’ (২০০৪), ‘ঘরানা বাহিরানা’ (২০০৬), ‘আলালদোস্ত সেবাকমলিনী লালন’ (২০১১), ‘মানিনী রূপমতী কুবির গোঁসাই’সহ (২০১২) বেশ কিছু বই বাংলার লোকায়ত দর্শন ও সংস্কৃতি জানা-বোঝা-চর্চার জন্য অবশ্য পাঠ্য, অনন্য।
বহুতর বিষয়ে সুধীর চক্রবর্তীর মনোরম ও স্বাদু গদ্যের দুটি সুবৃহৎ সংকলন হচ্ছে ‘দেখা না-দেখায় মেশা’ (২০১২) এবং ‘অনেক দিনের অনেক কথা’ (২০১৩)। বাংলার নানা প্রান্তে চষে বেড়ানো সরেজমিন অভিজ্ঞতা আর উপলব্ধি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাপন, সমাজ, সংস্কৃতি, দেশকাল ধরা পড়েছে তাঁর এ দুই বইয়ে। বাংলা গানের নানা ধারাকে পরিচিত করার পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীতের অনেক অনুক্ত ঐশ্বর্যও ঠাঁই পেয়েছে তাঁর অনবদ্য সব রচনায়। লিখেছেন ‘নির্জন এককের গান রবীন্দ্রসঙ্গীত’ (১৯৯২), ‘রবীন্দ্রনাথ অনেকান্ত’ (২০১০), ‘রবিকররেখা’ (২০১৪) এবং ‘এলেম নতুন দেশে’ (২০১৯)-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সব বই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বিষয়ে এসব বই বাংলা সাহিত্যের এক অপরিহার্য সংযোজন।
আধুনিক গান থেকে শুরু করে ভারতীয় বাংলা গানের বিচিত্র সব বিষয়েই সুধীর চক্রবর্তীর কাজ রয়েছে। তাঁর সম্পাদিত ‘আধুনিক বাংলা গান’ (১৯৮৭), ‘বাংলা দেহতত্ত্বের গান’ (১৯৯০), ‘বাংলার বাউল ফকির’ (১৯৯৯), ‘জনপদাবলি: ইহবাদী লোকায়ত মানবমুখী বাংলা গানের সংকলন’ (২০০১) এবং ‘দ্বিজেন্দ্রগীতি সমগ্র’ (২০০৮) বাংলার নানামুখী গানের পরম্পরাগত ঐতিহ্যকেই প্রকাশ করেছে। একই পরম্পরা বহন করে চলেছে তাঁর ‘বাংলা গানের আলোকপর্ব’ (২০০১), ‘দ্বিজেন্দ্রলাল রায়: স্মরণ বিস্মরণ’ (২০০৮) এবং ‘আকুল প্রাণের উৎসবে’ (২০১৪) বইগুলোও। তাঁর ‘শতগানের গানমেলা’ (২০১৭) এবং ‘একশো গানের মর্মকথা’ (২০১৯) বই দুটিতে ২০০টি বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি গানের সৃষ্টি ও নির্মাণ-সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে তাৎপর্যপূর্ণ ও নিখুঁত পর্যবেক্ষণ উদ্ঘাটিত হয়েছে।
নানা ধরনের সংগীতের বিশ্লেষণ ছাড়াও সাহিত্যবিষয়ক বইও তাঁর রয়েছে। ‘কবিতার খোঁজে’, ‘কবিতার বিচিত্র পথে’ এবং ‘সাহিত্যের লোকায়ত পাঠ’ (২০১৩) নামে তাঁর আছে তিনটি বই। এখানেও সুধীরের লেখা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল ও বিশিষ্ট। তাঁর ‘পঞ্চগ্রামের কড়চা’ (১৯৯৫) এবং ‘কৃষ্ণনাগরিকের কত কথা’ (২০১৭) বই দুটোতেও তাঁর অভিনব গদ্যের ঝলক রয়েছে। এ দুটো বইয়ে সুধীর চক্রবর্তী গ্রাম ও জনজীবন অপূর্ব ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন। তাঁর ‘একান্ত আপন’ (২০১২) এবং ‘দ্বিরালাপ: নির্বাচিত সাক্ষাৎকার’ (২০১৫) বই দুটো থেকে ব্যক্তি সুধীর চক্রবর্তীর মুখচ্ছদ আর স্মৃতিকথার বয়ান জানা যায়। এ দুটো বইয়ে সুধীরের চিন্তন-ভাবন-সৃজন আর ব্যক্তিজীবনের অনেকটাই ধরা আছে।
মৌলিক রচনার পাশাপাশি সম্পাদক হিসেবেও সুধীর চক্রবর্তী ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। তাঁর স্বতন্ত্র বীক্ষণে সুসম্পাদিত বার্ষিক সংকলন ‘ধ্রুপপদ’ সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতির নানামুখী বিষয়কে আলোকিত করেছে। পত্রিকার ‘বাংলার বাউল ফকির’, ‘বুদ্ধিজীবীর নোটবই’, ‘যৌনতা ও সংস্কৃতি’, ‘গবেষণার অন্তরমহল’ সংখ্যাগুলো উৎসাহীদের কাছে ব্যাপক চাহিদা ছিল। মূলত অনুদ্ঘাটিত ভুবনের রূপ উদ্ঘাটনই ছিল সুধীর চক্রবর্তীর মূল লক্ষ্য এবং সেটা করেছেন একান্তই স্বতন্ত্ররীতির গদ্য রচনার মধ্য দিয়ে।
( বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০ , প্রথম আলো )
"Ten thousand years of natural beauty and balance – America’s last great wilderness – will soon be “open” to the highest bidder, beginning at $25 an acre. The winner could initiate seismic testing: shaking the earth with massive vibration trucks, awakening polar bears in their dens. If the testing shows a strong promise of oil (which is presently unknown), they may build an industrial complex of roads, well pads, desalinization plants, airstrips and pipelines, all tied into Prudhoe Bay, some 80 miles to the west. If not, the seismic testing alone will produce many scars visible for decades."
সর্বনাশের মাথায় বাড়ি
পুরোটা পড়ুন,
lcm | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৪৪467963প্রতিদিন - ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

lcm | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৩৮467962আনন্দবাজার - ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

সম্বিৎ | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৪৪467961আগে ভাল করে তেজেন মজুমদার শুনিনি। এনার তো বেশ মিঠে হাত! আর ইম্যাজিনেশনও ভাল। আমি অবশ্য বাহাদুর খানও যা শুনেছি, খুবই ভাল লাগত। তেজেনকে আমি আমজাদ আলীর ওপরে রাখছি আপাততঃ প্রেফারেন্সের দিক দিয়ে।
সিএস | 49.37.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৫৩467960যাক বাবা, আনসারউদ্দিনের খাতা আর কুবির গোসাইয়ের খাতার হিল্লে করলাম, রাত জেগে।
যারা সঙ্গে থাকলেন, তাদের ধন্যবাদ। :-)
বইটা পড়ে নিতে পারেন, সুধীরবাবুর প্রথম মেজর বই।
সিএস | 49.37.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৪৭467959হ্যা, সেও পেলাম । কুবির গোসাইকে নিয়ে ক'বছর আগের লেখায়, সেই খাতা পাওয়ার বিশদে বর্ণনা আছে। ১২০৯ টা গান নিয়ে খাতা, খাতা দেওয়া হবে না, টুকতে পারেন, এই বলা হয়েছিল। এইভাবে তিন বছর কাটে, তারপর হঠাৎই একদিন ডেকে দেওয়া হয় খাতাগুলো, পনেরো দিন পরে ফেরোত দিতে বলা হয়। যারা দিয়েছিলেন তাদের নামই সাহেবধনীদের নিয়ে বইয়ের শুরুতে আছে। তাঁরা এও বলেছিল যে এতদিন সুধীরবাবুর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, সেই পরীক্ষায় পাশ করাতে খাতাগুলো শহরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেলেন।
অন্য কোন লেখায় হয়ত একেই অলৌকিক বলেছেন, কারণ যেভাবে হঠাত করে একদিন দেওয়া হয় খাতাগুলো সেটা আস্চর্যের।
কিন্তু এসবই তো নিজেই বিশদে লিখেছিলেন।
এর মধ্যে খাতা চুরি করার তো কিছুই পেলাম না।
কোথা থেকে বেরোয় এইসব মত ?
এলেবেলে | 202.142.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৩৬467958আমি কি বলেছি যে উনি সেটা এই বইতেই লিখেছেন? খুঁজুন, পেয়ে যাবেন। আপনার কার্তিক লাহিড়ীটা কাল খুঁজব।
ছোঁক ছোঁক করেছেন | 2600:1002:b10b:f3b2:957d:4b80:ee2:***:*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:২৮467957কিন্তু রিসার্চারদের কাজই তো ছোঁক ছোঁক করা। মানে, শুধু তাই নয়, কিন্তু গোলগেটার হতে হলে সেটা কি জরুরী নয়?