এ বইতে তো দেখলাম না।
কুবীর গোঁসাই-য়ের খাতা যে উনি নেওয়ার জন্য পাঁচ বছর ছোঁক ছোঁক করেছেন কিন্তু কপি অবধি করতে পারেননি, সেটা কোথাও লেখেননি? তারপরে সেটা 'অলৌকিক' উপায়ে পাওয়ার কথা?
অধীর বিশ্বাসই পান। সেটা এলেবেলে না জানলেও নিননিছারা জানবেন এবং বুক ফুলিয়ে বলবেনও। কত যে ব্যথা কাকা!
নিমসাহিত্য, শ্রুতি, শাস্ত্রবিরোধী আন্দোলনের সকলেই যা দেখা যাচ্ছে পাতলা পাতলা পত্রিকাকে মাত্র তিরিশ চল্লিশ বছরের মধ্যে গাঙচিল থেকে মোটা মোটা বইতে পরিণত করে টাকা লুটে নিচ্ছে। বাপরে!
@a, বাংলায় ডাটা সায়েনসের ব্যাপারটা খুব ভাল লিখেছেন।
করা যায় নিশ্চয়ই, করলে তো খুবই ভাল হয়।
পাইথনের বাংলা পেজটা দেখছিলাম, https://wiki.python.org/moin/BengaliLanguage, দেখতে পারেন।
একটা golang ব্যবহার করে ইউটিএফ-১৬ দিয়ে এনকোডিং করেছেন একজন, https://engineering.saltside.se/golang-unicode-utf16-string-encoding-68d632def8d0
তারপর ধরুন NLTK `RegexpTokenizer()` ব্যবহার করে বাংলায় ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং করা যায় নিশ্চয়ই | তার জন্য বাংলায় এক সেট লেকসিকন তৈরী করলে বেশ হয়। কেউ করেছে/করছে কি না জানেন? বা জানলে একটু তাঁদের ওয়েব অ্যাড্রেস শেয়ার করবেন?
R statistical language টা বাংলা ভারচুয়ালাইজেশন দেখিনি, Rstudio তে বাংলায় কোড লেখার চেষ্টা করে দেখেছি হয়নি।
বাংলায় মারকডাউন লেখা যেতে পারে, তাতে করে git ইত্যাদি ভারসান কন্ট্রোল করা ও শেখানো যেতে পারে নিশ্চয়ই (গুরুতে বাংলায় মারকডাউন ব্যবহার করে লিখতে পারলে ভাল হত, সে অবিশ্যি অন্য ব্যাপার, :-) ) |
বাংলায় ডাটা মডেলিং, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং এর প্রয়োজন আছে।
অধীর বিশ্বাস আজকাল এলেবেলেকে সাক্ষী রেখে চেক কাটে - এইটা নতুন জানা গেল। পত্রিকার রয়ালটি হয়, যা বই হলে প্রকাশকের থেকে পত্রিকার লেখকেরা না পেয়ে সম্পাদক পায় এও জানা গেল। এক্ষণের জন্য সৌমিত্র ও নির্মাল্য আচার্য কত চেক পেয়েছেন তাও জানা যাবে। শুধু অধীর বিশ্বাস কেন, সারাজীবন যাঁরা লিটিল ম্যাগাজিনে বিনি পয়সায় লিখে জীবন কাটালেন তাদের বই সমগ্র করতে চেয়ে মসীহা বনে যাওয়া, আজকালকার প্রকাশকেরা যখন ৭০০/৮০০/১০০০ টাকায় এক একটা খন্ড বেচে তখন সেই লেখকরা কেমন বাণিজ্য করে গাড়ি বাড়ি সাম্রাজ্য হাঁকায় তাও জানা যাবে নিশ্চয়।
পাঁচ বছরে কায়ক্লেশে তিন হাজার গান সংগ্রহর কথা আছে। গ্রামে, মেলায় গান শোনার কথা আছে, সেগুলো পুরো ধরতে না পারার কথা আছে, অখণ্ড নদীয়ায় ঘোরার কথা আছে, কোথা থেকে গ্রান্ট পেয়েছেন সেও লেখা আছে । খাতা ঝাড়ার কথা কোথায় ?
শুধুমাত্র কৌতূহল নিবারণার্থে .....
সুধীরবাবু প্রসঙ্গে যে অর্জুন এর কথা উঠলো তিনি কি প্রেসিডেন্সি বাংলা ডিপার্টমেন্ট এর ১৯৯১ - ১৯৯৪ সময়কালে ছাত্র ছিলেন?
http://www.amarboi.com/2019/07/sahebdhani-sampradayer-gaan.html?m=1
a র জন্য। অন্যরাও দেখতে পারেন।
দেখে নিন কেন খুড়ো অন্য জাতের পলিটিশিয়ান। এখনও লড়ে যাচ্ছে ১২০০ ডলারের জন্য।
https://www.facebook.com/senatorsanders/videos/209031490713373/
এক্ষণে কার্তিক লাহিড়ীর লেখা ছিল, অন্তর্জলী যাত্রা উপন্যাস নিয়ে। ১৯৮০ নাগাদ। ওটা চাই।
সাহেবধনীদের নিয়ে বইয়ের শুরুতে লেখা আছে যাদের কাছ থেকে পুরোন পুঁথি পেয়েছিলেন, তাদের নাম, ঠিকানা সহ। একটা চিঠি আছে ঐ সম্প্রদায়ের সেবাইতের, যে সুধীরবাবুকে গান ও তথ্য প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হোল, স্বেচ্ছায়। গবেষনারও। ১৯৭৩ সালের চিঠি। কুবির গোসাইয়ের গানের খাতা কার কাছ থেকে পেয়েছেন, তার নামও। যাদের সাথে ঘুরে গান জোগাড় করেছেন, বিভিন্ন মেলা বা গ্রামে, তাদের নাম দেওয়া আছে। লোক ঠকানোটা কোথায় ?
'সনৎ' নামে মনে পড়ল। বেলডাঙা কলেজের প্রো: সনৎ কর। কি অসম্ভব লেভেলের লোক, কলকাতাকে দুচ্ছাই করে কাটিয়ে দিলেন গোটা জীবন।
খ, আপনার তালিকায় সনৎ মিত্র বাদ গেছেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষক। আমি যখন কাক নিয়ে গুরুতে লিখেছিলাম, তখন উনি আমাকে প্রচণ্ড উৎসাহ দিয়েছিলেন। বাদ গেছেন অক্ষয় দত্ত এবং ক্ষিতিমোহন সেনও।
গসিপ বলেছি তো । পরে জানলাম গালাগালিও চলছে।
নিজের নিকে লেখার দম রাখুন আগে। ঢপবাজি ফুস বলার আগে নিজেই ফুস হয়ে যাবেন।
'নিজের কাছে জমানোকে আর্কাইভিং বলে না' - হে হে আবারও ধরে নেওয়া। আপনি নেবেন? আপনারা নেবেন? এক্ষণ? পরিচয়? বারোমাস?
চেপে ধরতেই ঢপবাজি ফুস।
অ! তা আড্ডাখানা ক্যামনে জমে? যেই আড্ডায় কেবল একজনকে ব্যাড টেস্ট, গসিপ, চোখে আঙুল দাদা, র্যাবেল রাউজার ইত্যাদি প্রভৃতি বলা যায়? এর থেকেও মারাত্মক অভিযোগ আপনি করেছেন। আপনাকে কেউ এসব বিশেষণে ভূষিত করেননি তো। তা আপনারা আড্ডায় তামুক খাবেন আর আমি আপনাদের তামাক সেজে দেওয়ার লোক? এ তো বড় রঙ্গ যাদু!
এলে আদৌ রেগে থাকে না সাহেব! এলে হেজিমনিকে প্রশ্ন করে, হ্যাটাকে পাল্টা হ্যাটা করার ধক ধরে আর রন্টিপাগলা-ঘোতনাদের সময়মতো হাপিশ করার খ্যামতা ধরে। হেজিমনির প্রভুদের তাই এলের ওপর হেব্বি খার!
আমি কোট করতে যাব কেন? আপনারা সুধীরবাবুর এত বড় পাখা! নিজেরাই খাটুন না।
সাহেবধনীদের খাতা ঝাড়া নিয়ে সুধীরবাবু ঠিক কি লিখেছেন কোট করুন তো।
এলে, আপনি এত রেগে থাকেন কেন? নাকি এটা একটা স্টাইল স্টেটমেন্ট? সে যাই হোক এটা কিন্তু আড্ডাখানায় জমেনা।
না না, নিজের কাছে জমানোকে আর্কাইভিং বলে না। বিশেষ কারোর উপায় নেই সেসব দেখার। এখানে তবু উপায় আছে, হ্যা, অর্থমূল্য দিয়েই।
কোনটা কখন কেন হয়নি আমার ধারণা নেই। নানা কারণ থাকতে পারে, বাংলা বাজারের ভেতরের কারণ থাকতে পারে। প্রকাশক না থাকতে পারে।
কিন্তু কথা উঠেছিল সুধীরবাবুর ব্যবসাবৃত্তি নিয়ে। সে বললে তো সুবিমল মিশ্রও বয়সকালে ব্যবসা করছেন বা ধরুন কমল চক্রবর্তী মনে হয় অভিযানকে সব বই দিয়ে দিয়েছিলেন, সেটার মধ্যে ব্যবসা আর কতটুকু। বাংলা বাজারে।
সৌমিত্র মারা যাওয়ার পরে এলেবেলে গদগদচিত্ত হতে পারেনি। তখন ব্যাড টেস্ট, গসিপ, চোখে আঙুল দাদা, র্যাবেল রাউজার -এর কিছুই আসেনি! কারণ?
এমনকি রন্টিপাগলাও আসেনি! সো ফানি।
রন্টিপাগলার নাচ হতে পারে। বসি গুছিয়ে।
নির্বাচিত এক্ষণ প্রতিভাসের নয়, সপ্তর্ষির। আমার কাছে এক্ষণের প্রায় ফুল সেট আছে। যেমন আছে পরিচয়-এরও। ওটাকে আর্কাইভিং বলে।
আর্কাইভিং? তো ধ্রুবপদের প্রথম খণ্ডটা দীর্ঘদিন ছাপা হয় না কেন? নির্বাচিত এক্ষণ ১২৩, বারোমাস১ ছাপা হওয়ার কতদিন পরে বই হল? আর ধ্রুবপদ বন্ধ হওয়ার কতদিন পরে?
তা কেন, সুবিমল মিশ্রর বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বইগুলোও তো বইসংগ্রহ হয়েছে। এখানেও আর্কাইভিং হয়েছে বলে মনে করি, ভবিষ্যতের জন্য রাখা থাকল, যে পড়ার পড়বে। প্রতিভাসের তো নির্বাচিত এক্ষণ আছে, কবিতা পত্রিকা আছে। অরো অন্য খুঁজলে বেরোবে।
ধ্রুবপদের বই দেখিনি বলেছি, পত্রিকা দেখিনি বলিনি। ধারনা নেই, না মনে করাই ভালো।
আর পত্রিকা কেমন ছিল সে তর্কে গিয়ে লাভ নেই, সেটা যারা একসাথে বই করছে তারা বুঝবে। কোনদিন তো নির্বাচিত বারোমাস - ও হতে পারে।
হ্যাঁ , স্বীকার করতে পারি যে অন্য অনেক পত্রিকাকেই রাখা যায়নি , তার জন্য সোমনাথ দাসগুপ্ত রয়েছে।
তার থেকে গোদা বাংলায় বললেই তো পারেন এখানে 'চোখে আঙুল দাদা'-র ভূমিকাটা কেবল আমরা পালন করব কারণ এটা আমাদের নিজস্ব টাট। একান্তই নিজেদের চারণভূমি যেখানে পাতার পর পাতা আমেরিকা নিয়ে থুতু উগড়ে গেলেও কেউ আলাদা টই খুলে সেগুলোকে চ্যানেলাইজ করবেনাকো।কিংবা আমরাই একমাত্র জনগণকে ছাগল বলার হকদার। ল্যাঠা চোকে! অত ভদ্রতার কী দরকার?
কেসি সাহেব, হ্যাঁ হয়। অর্জুনদেবও আমার বন্ধু। আপনি যতটা চেনেন ওঁকে, আমি তাঁর চেয়ে কিঞ্চিৎ বেশি চিনি। একজন পাতি মাস্টেরকে উনি কোনও দিন হ্যাটা করেননি - এটা বলতে পারি।
হ্যাঁ, কথা উঠেছে সুধীরবাবুর কাজ বাংলার লোকজীবন নিয়ে মানুষকে উৎসাহী করেছে কি না। আমি বলব কচু করেছে। তাই শান্তিনিকেতনে হয় সোনাঝুরির হাট, কেঁদুলিতে গাঁজার ঠেক আর পূর্ণদাস আমেরিকা যান। বাউল একটা 'এথনিক' বিষয় এখন, একটা শহুরে ফ্যাশন।
আচ্ছা, তার মানে আপনারা মানে গুরুর অর্জুনদেবের থেকেও এক কাঠি সরেস উন্নাসিকরা সাহেবধনীদের খাতা ঝাড়ার প্রসঙ্গটা জানতেন না! ব্রাঃ ব্রেশ!!
আর বাংলা বাজারের উন্নতি? বটেই তো! দুনিয়াই তো একমাত্র ধ্রুবপদই বিলুপ্ত হওয়া লিটল ম্যাগ! তাই তাকে বইয়ের আকার দিতে হয়। অবিশ্যি তাঁরা খণ্ডগুলো না নেড়েচেড়েই বুঝে গেছেন কী বিশাল সব লেখাপত্তর ছিল সেখানে!!
র্যাবেল রাউজারের ব্যঙ্গ কি আর এমনি আসে! আরশোলারূপ পাখির ওই খোঁচা খাওয়ার পরেও!!
এলে, এত ছোট ছেলেও বন্ধু হয়? :-)