থেরন ম্যান্ড্রেকের পালিত পিতা। ম্যানড্রেকের ভাইয়ের নাম কি?
চক্র দিয়ে মেরেছিলো না? তারপর দ্রৌপদী এসে আঙ্গুল কেটে যাওয়া জায়্গায় কাপড় পড়িয়ে দিল। সেই কারণেই তো বস্ত্রহরণের সময় হেল্প করেছিল কাপড় সাপ্লাই দিয়ে।
@আতোz
যাদুকর ম্যানড্রেকঃ প্রথম প্রকাশ তো ১৯৩৪ সালে। জাহাঙ্গীরের (১৫৬৯-১৬২৭) লেখাতেই তো বাঙ্গালার যাদুকরদের কথা অছে। (তাদের বাজীগর নামে ডাকতো!!!)
তাহলে কৃষ্ঞ আসলে গুড গাই না ব্যাড গাই?
ম্যানড্রেকের বাবা থেরনেরও একটা জাদু কলেজ ছিল না? আমার ওইখানে যাবার ইচ্ছে ছিল। আমার আবার ম্যানড্রেকের চেয়েও থেরনকে বেশি ইন্টারেস্টিং লোক বলে মনে হত। ঃ-)
হ্যাঁ, ইন্দ্র র্যাংক। আমাদের এই ঘরের পাশের বিহারীদের কেসটাও তো তাই, মিথিলার জনক। সেও র্যাংক।
ইন্টারেস্টিং। ঐ জাদু প্লেনটার নামও তো সৌভ ছিলো। ম্যাজিক সব দেশেই সব যুগেই একটা বড় পার্ট। আমি তো ছোটবেলায় পাকাপাকি ঠিক করে রেখেছিলাম যে বড় হয়ে ম্যানড্রেকের জাদু কলেজেই ভর্তি হবো!
এঁরা তাহলে অরণ্যদেবের মত। সবাই শাল্ব, ধারা চলতেই থাকে। অবশ্য অনেক কিছুই সেযুগে র্যাংক হিসেবে ধরা হত, না? ইন্দ্রও তো একটা র্যাংক ছিলো।
কংসকে মারার জায়্গাটা একেবারেই বুঝলাম না, কোনো লড়াইই নকি হয় নি, কৃষ্ণ এসে কী একটা করলেন, আর কংস ধড়াম করে পড়ে মরে গেলেন। ভাল্কান স্পকের থেকে শেখা কোনো কায়দা মনে হয় প্রয়োগ করেছিলেন কৃষ্ণ। ঃ-)
শিশুপালের কেসটা আরো আশ্চর্য। লোকটা কৃষ্ণের পিসতুতো ভাই! অথচ উল্টোপক্ষে চলে গেল! রাজনীতি অবশ্য ওরকমই। কে ভাই কে বন্ধু!
জায়গাটার নামটা খেয়াল করো কেকে, সৌভপুরী। অর্থাৎ জাদুকরদের পুরী। সৌভিক মানে জাদুকর। (ম্যানড্রেক হ্যারিদের অনেক আগেই আমাদের এইসব ছিল ঃ-) )
থ্যাংকু কেকে। সেদিন নৃসিংহবাবুর এক বইতে পড়লাম শাল্ব আসলে নাকি এক জাতির নাম। সৌভপুরী বলে এক জায়্গায় শাল্বরা থাকতেন। তাদের রাজাকেই শাল্বরাজ বলা হত। সংক্ষেপে শাল্ব। পদাধিকারী। ওটা র্যাংক। তাই অম্বার কেসের শাল্ব, আর অনেক পরবর্তী সেই দ্বারকা আক্রমণকারী শাল্ব, আলাদা। কিন্তু র্যাংক একই। শাল্বরা জরাসন্ধদের সঙ্গে মিত্রতা করেছিল, শিশুপালেরাও ওই পক্ষে। এমনকি রুক্মিনীর দাদা রুক্মীও জরাসন্ধপক্ষের মিত্র ছিল। এরা যাদবদের রাইভাল পক্ষ (তবে কংস সম্ভবতঃ কোনো একটা সন্ধি করতে পেরেছিল, বিবাহসূত্রে, পরে সব আবার ফ্যাতড়াফাই হয়ে যায়, কংস নিজের লোকেদের উপরে অত্যাচার করতে থাকায় গন্ডগোল বেড়ে যায়)। সেইজন্যেই মনে হয় খটাখটি লেগেই ছিল। পরবর্তীকালে কৃষ্ণ তুখোর রাজনৈতিক চাল চেলে চেলে সবকটাকেই ঘচাং ফু করে দেন। কংস, শিশুপাল, জরাসন্ধ, শাল্ব ---সবকটাকেই। তারপরে কুরুপান্ডবে লড়িয়ে দিয়ে দুইদলকেই নিকেশ করে দেন। একদম শেষে যাদবদের মুষলপর্ব, নিজেরাই নিজেদের পটল তুলিয়ে দিল। কী অবস্থা!!!!! ঃ-)
এতজকে কদিন ধরে একটা কথা বলবো বলবো করে হয়ে উঠছে না। তুমি শাল্বকে নিয়ে জানতে চেয়েছিলে একদিন। আমি মেজদাকে খুঁচিয়ে কিছুটা শুনলাম। শাল্ব শিশুপালের পেয়ারের বন্ধু ছিলেন। তাঁর এক্সমেনদের মত (অথবা নিক ফিউরির মত) একটা বিশাল ইনভিজিবল হাইটেক প্লেন ছিলো। তিনি মিস্টিরিওর মত ইলিউশন ক্রিয়েট করে লোককে ভয় পাওয়াতেন। শেষে বেফাঁস একটা ভুল কথা বলে ফেলে ধরা পড়ে কৃষ্ণের হাতে অক্কা পেলেন। এইসব। তুমি হয়তো অলরেডি এগুলো জানোই। তবু আর কী।
শুভেচ্ছা
তুলে দিলাম Tai
আপনাদের মনের ভিতরে যত বদিচ্ছা আছে সব পূর্ণ হোক।
নাম
মহাপঞ্চমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই সকলকে ।
বিভিন্ন দেশের বা সংস্কৃতি র দুর্গা র মতো যেসব দেবী, মাতা আছেন তাদেের নিিয়ে আলোচনা হলে কেমন হয়
জলের মত বুঝেছি ।
সৈকত , অরিন, এলসিএম সবাইকে ধন্যযোগ!
সকলকে জানাই শারদ শুভেচ্ছা ।
একটা ছিল না টই? এইত্তো কদিন আগেই .
আমেরিকার ইলেকশান নিয়ে একটা টই খোলা হোক। একটু অ্যানালিসিস করার আছে।
Amit, এই বিষয়টি নিয়ে কোরি ডকটরভের একটা লম্বা লেখা আছে, পড়ে দেখতে পারেন,
https://onezero.medium.com/how-to-destroy-surveillance-capitalism-8135e6744d59
আপেল, গুগল, আমাজন, টুইটার, আর ়ফেসবুকের মধ্যে ডকটরভের মতে সবচেয়ে বাজে ফেসবুক, কারণ এরা একই সঙ্গে আপনাকে মিডিয়ামটাতে আটকে রাখে এবং ডাটা নিয়ে ম্যানিপুলেট করতে থাকে। আমার মনে হয় ফেসবুক টাইপের সোস্যাল মিডিয়ার জায়গায় ম্যাসটোডন (https://mastodon.social/about) বা ফেডারেটেড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দেখুন, দেখবেন অনেক ক্লিন |
টিভি চ্যানেলের ব্যাপারটা অবশ্য অন্যরকম | সে আরেক ব্যাপার।
সেটা ঠিক অরিন । নিউস ভেরিফাই করতে গিয়ে যেন উল্টো সেন্সরের সাঁড়াশি না চেপে বসে সেটাও খুবই দরকারি। কি ভাবে শুরুটা হবে বা ১০০-% ঠিক কোনো রাস্তা আদৌ কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা কেউই জানিনা। কিন্তু ফেক নিউস বা প্রোপাগান্ডা টা সত্যিই একটা বড়ো বিপদ গ্লোবালি , তার ওপর শাকের আঁটি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার সিলেক্টিভ ডাটা ম্যানিপুলেশন বাই AI বটস । আমি হয়তো কোনো বন্ধুর ফীডে একটা প্রো -ট্রাম্প পোস্টে লাইক মেরেছি কোনোদিন ওতো না ভেবে , এবার ফেবু বা গুগল বেছে বেছে প্রো-ট্রাম্প ফেবু বা নিউস ফিড আমাকে পাঠিয়ে যাবে দিনের পর দিন আর আন্টি ফিড গুলো চেপে দেবে , যত দেখবো -তত বেশি আসতে থাকবে -পুরো ভিসিয়াস সাইকেল ।
কয়েক মাস পরে আমার মনে হবে বেশির ভাগ মিডিয়াই প্রো-ট্রাম্প বা প্রো মোদী . তার যে একটা আন্টি-মিডিয়া জগৎ আছে আমি জানতেই পারবোনা সচেতন ভাবে না খুঁজলে ।
শুধু সোশ্যাল মিডিয়া তো নয় টিভি চ্যানেল বা নিউস মিডিয়া - এভেরিয়ানে ইজ আপ ফর সেল এন্ড ম্যানিপুলেশন।
আর প্রোপাগান্ডা চ্যানেল বেছে বেছে না দেখাটা সত্যি সল্যুশন নয় এই ডগ ইটস ডগ এনভায়রনমেন্ট এ। যে পার্টির কাছে কর্প স্পনসরদের প্রচুর টাকা থাকবে , সে একগাদা চ্যানেল কিনে নিতে পারে আর সেগুলো সস্তায় বা ফ্রি তে সাপ্লাই দিতে পারে কেবল অপেরাটরদের ম্যানিপুলেট করে বা টিআরপি ম্যানিপুলেট করতে পারে পয়সা ছড়িয়ে (উদা :রিপাবলিক ). যদি নিউট্রাল বলে কিছু থাকেও আম আদমি হয়তো তার একসেস ই পাবেনা বা এফোর্ড করতে পারবেনা।
Amit: "এস এ স্টারটিং পয়েন্ট, প্রতিটা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে আইন করে বাধ্য করা উচিত যেকোনো নিউস ফিড এ দুটো অপসন রাখা -ভেরিফাইড ওর আনভেরিফায়েড।"
কোথা থেকে ভেরিফায়েড সেটাও তাহলে জানানো উচিৎ | কেউ যদি ফক্স নিউজ বা রিপাবলিক নিউজ ভেরিফায়েড বলে লিখে দেয়, তাহলে ভেরিফায়েড হলেও বোনা ফাইড নাও হতে পারে। এর কোন শেষ নেই | একটা সমাধান হতে পারে যে ইনফরমেশন যে যার নিজ দায়িত্বে জানবেন গোছের ডিসক্লেমার দেওয়া। তা সে তো অনেকেই দিয়ে রাখেন। টুইটারে একটা ভেরিফায়েড সাইনেজও দেওয়া থাকে, সেটার একটা ভূমিকা থাকতে পারে অবিশ্যি |
আমি টুইটার, ফেসবুকে নেই। অতেব এগুলোর ইকোচেম্বারে কি করে থাকবো জানি না।
বড়েসের কাছে আরেকটু আ্যনালিটিকাল লেখা আশা করি। আপাততঃ যা আসছে তা টুইটার ফিডের ইকোচেম্বার।
ঈশানদা সেদিন একটা প্রবন্ধ পর্যন্ত লিখে ফেললেন যে ফেসবুক কেমন সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে, একটা প্রাইভেট কোম্পানি বই আর তো কিছু নয়। অথচ টুইটার, ফেসবুক দুটো প্রাইভেট কোম্পানি তাদের সার্ভারে কি কি খবর রাখতে দেবে, আর কাকে কখন ব্যান করবে সেটা কিকরে ফ্রী স্পীচ, ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্টের বিরুদ্ধে হয় জানতে ইচ্ছা রইলো।
ভারতীয়দের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি ভালোবাসার দুটো কারণ রয়েছে। এক, মোদিজী বলে দিয়েছে। দুই, বহু লোকজন যারা এদেশে অনেকদিন আগে থেকে এসে রয়েছে, গ্রীনকার্ড, সিটিজেনশীপ ইত্যাদি হয়ে গেছে, তারা চায়না যে আর কোনও ভারতীয় আম্রিগায় আসুক। অতেব ট্রাম্পের অ্যান্টাই ইমিগ্রেশান স্টান্সটা খুবই পছন্দের।
ঈশানদা, বাইডেণের ছেলের খবরটা এগজ্যাক্টলি কি? ঐ ল্যাপটপে ঠিক কি লেখা আছে? আর বাইডেণকে জেতানোর জন্য কি কি করা হচ্ছে? ট্রাম্পকেই বা জেতানোর জন্য কি কি করা হচ্ছে?
ই রাম, অভ্যু একেবারেই নাদান জিঞ্জার মার্চেন্ট। আমার লেখা ফলো করতে হলে আবার অনলাইন রবীন্দ্ররচনাবলীতে ক্লিক করতে হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া বা নিউস মিডিয়ার বাক স্বাধীনতা আর ফলস ন্যারেটিভ বানিয়ে বানিয়ে হেট্ স্পিচ মঙ্গেরিং এর মধ্যে একটা সীমা অন্তত টানা দরকার। কেউ আদৌ টানতে পারবে কিনা বা কোথায় সেই বাউন্ডারি থাকা উচিত সেগুলো অনেক পরের কথা। সেদিকে দেখলে ফেবু বা টুইটার ট্রাম্পের বিডেন এর ছেলেকে নিয়ে টুইট সাপ্রেস করে ঠিকই করেছে যদিও এসব ফেক নিউস ছড়ানো সব পক্ষই করছে আজকাল। আর আইটি সেল গুলো ইচ্ছেমতো ফেক নিউস ভাইরাল করে করে কি কি ড্যামেজ করতে পারে গত ৮-১০ বছর ধরে ইন্ডিয়াতেই দেখা যাচ্ছে।
এস এ স্টারটিং পয়েন্ট, প্রতিটা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে আইন করে বাধ্য করা উচিত যেকোনো নিউস ফিড এ দুটো অপসন রাখা -ভেরিফাইড ওর আনভেরিফায়েড। কোনো নিউস ফিড কেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টালে যদি সেসব ভেরিফাইড হয় , তার ভেরিফিকেশন সোর্স লিংকগুলো নিচে তুলে দেওয়া। আর ভেরিফাইড নিউস ফিড যদি নাহয় তা হলে বড়ো করে ওয়াটার মার্ক বা স্টিকার থাকা উচিত যে এগুলো আনভেরিফায়েড ফিড।
আর উনভেরিফাইড ফিডস ফরওয়ার্ড করার আগে প্রতিবার পপ-আপ ডিসক্লেইমার থাকা দরকার যে কেও সেগুলো দুমদাম ফরওয়ার্ড করলে পরে কোনো সেসব যদি প্রমান হয় ফেক বলে এবং কোথাও কোনো লিগাল কমপ্লিকেশনস হলে তারা নিজেরাও ফেক নিউস ছড়ানোর জন্যে ইকোয়ালি দায়ী হবেন। একই পপ আপ ওয়ার্নিং যেকোনো পাওয়ার পয়েন্ট ভিডিও বা অন্য নন-নিউস ফিড ফাইল শেয়ারিং এর জন্যেও প্রতিবার থাকা উচিত।