বাহ, বোধিসত্ত্ব আপনি পিটার কেরি পড়েন জেনে ভারি ভাল লাগল (ভদ্রলোক যদিও নিউ ইয়রকের বাসিন্দা)। আমি জন পিলগারের লেখা পড়িনি, জানি না/বলতে পারব না।
"আমরা দাবী করতেই পারি যে ইংল্যন্ডের সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক, কিন্তু ইংল্যন্ড এই নিয়ে আদৌ রেসিপ্রোকেট করবে কিনা সন্দেহ। আর আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক সম্পক্ক? আছে?"
সে কি?! :-)
aus তো চীনের সাথে মানবাধিকার নিয়ে ফাপর মারতো 2000স এ, এখন চীনের ইকোনোমিক স্লো-ডাউন আসতেছে কি না- চায়া থাকে।
ডকু দেখেছি - শুধু চীন না - এক্স ব্রিটিশ কলোনির লোকেরা অবৈধ আয় নিয়ে গিয়ে তোলে aus nz আর cn এর ঝকঝকে এলাকাগুলোতে ..
ওরাও এসব পছন্দ করে - ক্রাইমের টাকা তাদের কাছেই আসলে অরিজিনালি ব্রিটিশ যাদের পাঠিয়েছিলো তাদের সাথে মিলে গেলো ,
নতুন নন হোয়াইট রা নিজেদেরকে পবিত্রতর দাবী করতে পারবে না..
পিটার ক্যারি বলে একজন অসি ঔপন্যাসিক এর বই পড়েছিলাম, খারাপ লাগে নি। আর অসি থিয়োরেটিশিয়ান (পরে পাল্টি খাওয়া) জারমেইন গ্রীয়ার আর উইকিলিক্স এর আগের আমলের ভালো অ্যান্টি ক্যাপিটালিস্ট অ্যান্টি ওয়ার জার্নালিস্ট পিটার জন পিলগার এর কাজের সম্পর্কে আমার ধারণা কিছুটা আছে। গ্রীয়ার আবার আমার কলেজের ই প্রোফেসর ছিলেন, আর গার্ডিয়ানে বুড়ো বয়সে নানা মেন স্ট্রীম গোছের কথা লিখে আমাদের ঝাঁট জ্বালাতেন। :-))))))))))))) পিলগার অবশ্য আনকম্প্রোমাইজিং ছিলেন, কিন্তু এই উইকিলিক্স ওয়ালা রা রাশিয়ার হাতের টুল হতে বাধ্য হল, সেটা ওয়েস্টার্ন ডেমোক্রাসি র দু নম্বরির কারনে। এটা খুব ই দুঃখের। অথচ রাশিয়া তো এদের ছিবরে করে ফেলে দিয়েছে বা দেবে। কারন ওদের নিজেদের সারভেলেন্স আর কাউন্টার এসপায়োনেজ নেটওয়ার্ক এখন রেডি। আর ডেম্ক্রাসির স্বার্থে এক্সপোজার e ওদের আগ্রহ ও নেই, সেন্সিটিভ মেটেরিয়াল নিজেদের ওয়ার বা স্ট্র্যাটেজিক এফর্টে কাজে লাগাবে। এটা জন পিলগার ন বোঝার কারণ নেই, কিন্তু পোস্কার করে লেখেন নি। গ্লোবালাইজেশন এর অত ভালো ফ্রম বিলো ক্রিটিক, এবং সেটা প্রথম এশিয়ান ক্রাইসিস er সময় থেকে, এমনিতে আর আমি বেশি পড়ি নি।
এদের নাম কি অকল্যান্ডে পরিচিত? জিগ্যেস করছি এই কারণে , অজি আর কিউই দের মধ্যে বীভৎস কিত কিতে ঝগড়া। আমি একবার ফস্টার অর্ডার করছিলাম বলে মাইরি একটা বাচ্চা কিউই মেয়ে আমাকে কি কথা শোনালো, বোধি হু ইন্ট্রোডিউস্ড ইউ টু দিস অজি পিস , ইত্যাদি বলে। এত বাচ্চা ইন্টার্ন, আমি বললাম, ডাজ ইয়োর মাদার নো ইউ আর ড্রিন্কিং উইথ ওল্ডার মেন? তখন চেপে গেল। :-)))))))))))))))))
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
আসল স্বার্থ হল অর্থনীতি আর বিদেশনীতি। মানে আউটসোর্সিং-ইমিগ্রেশান-এক্সপোর্ট-ইনভেস্টমেন্ট। আর অন্যদিকে পাকিস্তান-চীন- অস্ত্র-ইউএন ইত্যাদি।
ওসব সংস্কৃতিটিতি অনেক দূরের ব্যাপার। আমরা দাবী করতেই পারি যে ইংল্যন্ডের সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক, কিন্তু ইংল্যন্ড এই নিয়ে আদৌ রেসিপ্রোকেট করবে কিনা সন্দেহ। আর আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক সম্পক্ক? আছে?
এখন পৃথিবীর বহু দেশেই প্রচুর ভারতীয় যান থাকেন- আগের তুলনায় - EU তে আফ্রিকায় মধ্যপ্রাচ্যে -
auz nz এর মত breaking news হীন দেশগুলোকে রাজনৈতিক আলোচনায় উপরে তোলার উপায় কি?
শান্তি নিয়ে আলাপে কি তারা উপরে থাকতে পারবে হয়তো..
worldpeace তাদের অবদান? বিশ্ব রাজনীতিতে এরা যেহেতু ইঙ্গ মার্কিন সিদ্ধান্তের সাথে lock-step এ থাকে..
শুধু ট্রাম্প দেখলেই হবে? তার আগে কলোনিয়ালিজম। বিশ্বযুদ্ধু। স্লেভারি। হিটলার। সিভিলাইজেশনের উপাদান তো কোনওকালেই কিছু কম ছিলনা।
স্বার্থ জড়িয়ে থাকাটা বড় কারণ হতে পারে, "একটাই" কারণ বলে মনে হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রেও " স্বার্থ" বলতে কোন বিষয়টা বলতে চাইছেন সবসময় পরিষ্কার হয় না।
বাণিজ্য?
সংস্কৃতি?
আমেরিকা ইংল্যাণ্ড বাদ দিয়ে বাকী দেশগুলো কেন আমাদের সংস্কৃতি গল্পে পাবলিক ডিসকোরসে অদৃশ্য সেই প্রশ্নটা তোলার পিছনে মান অভিমান নেই, এটা যে হয় না, সেইটেই বলতে চাইছি। আমার ধারণা ভুল ও হতে পারত। আপনার ডিফেনস দেখে মনে হচ্ছে আমার ধারণাটা ভুল নয় তাহলে।
আমেরিকা তো শুধু আমেরিকা নয়, আমেরিকা ওয়েস্টার্ণ সিভিলাইজেশনকে রিপ্রেজেন্ট করে।
কে জানে। সিভিলাইজড বলতে যা বুঝি ট্রাম্পের আমেরিকা কি তাই? বরং আমেরিকা পশ্চিমের হেজিমনিকে রিপ্রেজেন্ট করে বললে হয় তো ঠিক হত।
এখানে মানে গুরুতে আদৌ কোনদিন ল্যাট লং ধরে ধরে কোন দেশ নিয়ে আলচনা হয়েচে এমন ত দেখিনি। ঐতিহাসিকভাবে বা অরথনীতি বা বিদেশনীতি এসব জড়িয়ে যে দেশগুলো জনতাকে প্রভাবিত করে সেগুলো নিয়েই লোকে রাদ্দিন হাউচাউ করে :)) এটাই ত স্বাভাবিক।
এবার ধরুন কেও অস্ট্রেলিয়া তে আছেন, কেও নিউজিল্যান্ডে, কেও জাপানে , তিনি সেখানকার কথা লিখলে, পড়ার সুজোগ হয়, সে ত পাঠক হিসেবে উপরি পাওনা। নতুন দেশের গল্প শুনতে কার না ভাল্লাগে। এই যে আমি কোনোকালেই ওসব প্রথম বিশ্বে থাকিনি, চাট্টি নেপাল - ভুটান পাহাড় ফাহাড়ে থেকেচি, ত সেসব গপ্প করলে ত, এখানে জনতা বেশ এক্সোটিক জিংগা লা লা হু দেখার আনন্দে শোনে, কোন অনাগ্রহ বা স্নবারি দেখিনি। এখন তাইবলে " কনসার্ন" ফীল করবে এরকম আশা করিনা।
কন্সার্নফুল এনগেজমেন্ট জিনিসটা একেবারেই ইউটিলিটারিয়ান একটা ব্যাপার।
কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে ইমিগ্রেট করা কিন্তু আমেরিকার থেকে সহজতর। সে আমেরিকা কানাডাও বিশ্বকাপ ফুটবলে তেমন কিছু করেনা। সেখানে যাদের নিয়ে সবথেকে বেশি উৎসাহ, সেই ব্রাজিল আর্জেন্টিনার কিছুই জানিনা। অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড অন্তত ক্রিকেট খেলে।
সংখ্যা দিয়ে সব এক্সপ্লেইন করা যাচ্ছেনা সেটা আমিও লিখেছি।
আসল কারণটা আগেই লিখেছিলাম। জিডিপি। আজ থেকে দেড়শো বছর আগে লোকে বিলেতের কথাই বলত, আমেরিকা নিয়ে কোনও উৎসাহ ছিলনা। এখন উল্টে গেছে। একটাই কারণ। আমাদের স্বার্থ এই দেশগুলোর সঙ্গে জড়িত। আবার অস্ট্রেলিয়াতে যত ভারতীয় আছে তার থেকেও বেশি থাকে মায়নমারে, মালয়েশিয়াতে। কিন্তু সেসব দেশ নিয়ে কোনই আলোচনা হয়না ভারতীয় মিডিয়াতে। ভারতের গ্লোব ট্রটিং প্রধানমন্ত্রীও এইসব দেশে যেতে খুব বেশি উৎসাহী নন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াতে যান।
"পশ্চিম মানেই আমেরিকান সংস্কৃতি নয় কিন্তু। ইংরেজও নয়।"
পশ্চিম মানে ওয়েস্ট ইয়োরোপিয়ান সংস্কৃতি। আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আর নিউজিল্যান্ড তারই এক্সটেনশান মাত্র। এবারে কিছু রকমভেদ থাকবেই। হয়ত সেটা সময়ের সাথে সাথে বাড়ছেও। তবুও এই দেশগুলোর উপর আমেরিকার (আগে ইংল্যন্ড ছিল) প্রভাব মারাত্মক।
এই সব বোকা বোকা ঝগড়া। পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা এসেছে পুজোযর প্রতিমায় এটা অভিনন্দন যোগ্য। এবার গুরু দাসপার্কের পুজোয় একটা ভালো জিনিস করেছে। থীম পুজোর ইতিহাস নিয়ে থীম পুজো করছে। ইন্সিডেন্টালি শিল্পী অশোক গুপ্ত মহাশয় (নামটা ভুল হতে পারে) ঠিক ১৯৫৯ সালে, খাদ্য আন্দোলনে কলকাতা র রাস্তায় মারা যাওয়া কৃষক আন্দোলনের লোকের কথা বলে মন্ডপ সাজান , প্রতিমা সাজান। এটা নিয়ে এই সময় ছোট্ট কিন্তু ইনন্টারেস্টিং খবর করেছে। কোন একটা চ্যানেলে খবর ও করেছে , ঘটনাচক্রে চোখে পড়েছে।
"আমি তো সেই দেশ টাকে নিয়েই আগ্রহী হবো যে দেশে আমার মাইগ্রেট করার চান্স বেশি। "
তাতে তো অসুবিধে নেই।
কিন্তু প্রথম বিশ্বের দেশ বললেই যে দেশে মাইগ্রেট করার চান্স বেশী তাদের ছাড়া আর কারুর নাম করব না এটা কিরকম কথা?
লসাগু,
ঠিক কথা কয়েছ। যদি html to html format কর, তাহলে দুয়ের বেশি লাইনব্রেক থাকলে p ট্যাগ বা দুটো br ট্যাগ দিলে কীরকম লাগছে?
নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ ফুটবল খেলেনা কে বলল? কোয়ালিফাই করে তো, অস্ট্রেলিয়াও করে।
S: "আমেরিকা নিয়ে এত লেখালেখি তার কারণ অর্থনীতি থেকে বিদেশনীতি অনেককিছুতেই আমেরিকা এখনও এক নম্বরে।"
প্রশ্নটা আমেরিকা নিয়ে কেন লেখালেখি তা নিয়ে নয় তো!
প্রায় একই সময় থেকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যাণ্ড, কানাডায় ভারতীয় অভিবাসন, ভারতীয়দের যাতায়াত বসতি স্থাপন সত্ত্বেও এই দেশগুলোকে নিয়ে খুব কম লেখালেখি হয়।
কেন?
একটা সঙ্গত কারণ সংখ্যাধিক্য। কিন্তু তাতেও এই দেশগুলোকে নিয়ে পাবলিক স্পেসগুলোতে চর্চার দীনতা কেন, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবেনা।
খেয়াল করে দেখবেন, একটা সময় পর্যন্ত ভারত থেকে বহু লোকজন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসতি স্থাপন করেছেন, এমনকি ১৮১৪ সাল থেকে একাদিক্রমে বহু ভারতীয় নাগরিক অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড এ বসবাস করেছেন। শুধু তাই নয়, আমেরিকার মতন নিউজিল্যাণ্ডেও এক সময় সোনার খোঁজে মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যেত, সেই গোল্ড "রাশের" পথিকৃতদর মধ্যে অন্যতম এডওয়ার্ড পিটার্স নামে এক গোয়ান ভদ্রলোক। ক' জন ভারতীয় এনার নাম শুনেছেন? সে অবশ্য ক'জন ক্যালিফোরনিয়াবাসী নন্দ সিংহ জোহলের নাম শুনেছেন? যাই হোক, এই পাইওনিয়ার দের ইতিহাস সংরক্ষণের যেমন জায়গা আছে, তেমনি পশ্চিম বললেই দু একটা দেশকে দিয়ে গোটা পশ্চিমকে দেখানোর প্রবণতা সম্বন্ধে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। পশ্চিম মানেই আমেরিকান সংস্কৃতি নয় কিন্তু। ইংরেজও নয়।
আমি ম্যাঙ্গো পাবলিক, পশ্চিমী দুনিয়ার সুযোগ সুবিধা গুলি পেতে চাই। আমি তো সেই দেশ টাকে নিয়েই আগ্রহী হবো যে দেশে আমার মাইগ্রেট করার চান্স বেশি। নিউজিল্যান্ড তো ঠিক সেই ক্যাটেগোরি তে আসে না। তাছাড়া ভুরাজনৈতিক দিক থেকে দেশটির এমন কোনো গুরুত্ব নেই। এদের কাছে বোম টোম নেই, বিশ্বকাপ ফুটবল খেলেনা, কোনো ধর্মীয় গুরুত্ব নেই। আরেকটা বড়ো ব্যাপার আমাদের সাথে বিরাট কিছু ব্যব্সায়িক লেনদেন নেই। এমন দেশ কে নিয়ে আগ্রহ না থাকাই স্বাভাবিক। এতে অভিমান করার তো কিছু নেই।
অজ্ঞতা, হুম। তা তো আছেই।
তবে, ব্যক্তিগত ব্যাপার যেমন, আমেরিকায় কী হচ্ছে, কে প্রেসিডেন্ট, কেমন পরিবেশ তার ওপর নির্ভর করে ব্যাবসা কেমন চলছে, প্রোজেক্টের ভবিষ্যত কী, কেমন ভিজিবিলিটি, চাকরী থাকবে কিনা। বড় বাজার, পরিবেশ পলিসি সব কিছুর অল্পবিস্তর খবর রাখতে হয় পেটের দায়েই।
যেসব দেশে বাজার নেই তেমন সেসব দেশের খবর রাখাটা অবলিগেশন নয়, এই তো।
সংখ্যাটা একটা কারণ। বিলেতের থেকে বেশি ভারতীয় মধ্যপ্রাচ্যে এবং দক্ষীন পূর্ব এশিয়াতে থাকে।
সংখ্যাটাই আসল কারণ।
আর সীমাহীন অজ্ঞতা।
আমার এক বন্ধুর লেখা কলাম -
https://m.economictimes.com/news/international/world-news/us-elections-2020-the-polls-are-stabilising-towards-a-big-splash-of-blue/articleshow/78677850.cms?utm_source=whatsapp_pwa&utm_medium=social&utm_campaign=socialsharebuttons
অরিন,
প্রধান কারণ তো মনে হয় সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যারা অন্য দেশের গেছেন, তাদের কত শতাংশ বিলেত বা আমেরিকায় আর কত নিউজিল্যান্ডে? স্বভাবতই বিলেত আমেরিকা নিয়ে চর্চা বেশি হয়। আর একটা কারণ মনে হয় এই দুটো দেশ এখনো পাওয়ার সেন্টার।
আমেরিকা নিয়ে এত লেখালেখি তার কারণ অর্থনীতি থেকে বিদেশনীতি অনেককিছুতেই আমেরিকা এখনও এক নম্বরে। আর আমেরিকা তো শুধু আমেরিকা নয়, আমেরিকা ওয়েস্টার্ণ সিভিলাইজেশনকে রিপ্রেজেন্ট করে। পশ্চিমী সভ্যতার শীর্ষে ইত্যাদি। তাই আমেরিকা নিয়ে বলা মানেই সব ওয়েস্টার্ণ দেশ নিয়ে বলা ধরে নেওয়া হয়। ভৌগলিক দিক থেকে যাই হোক, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড সেই ওয়েস্টার্ণ সিভিলাইজেশনেরই অঙ্গ।
লিকে গেছে
চেপেগেছে
এই নিয়ে এখন কমপ্লেক্সে ভুগে আর কি হবে।
সে ত যারা ওসব দেশে গেছে য়ারাই বলতে পারবে তারা কেন লেখেনি। বিলেত আমেরিকায় যারা গেছে সাতখানা করে লিকগেছে। তাই পড়ে আরো লোকে গেছে আরো লিখেছে। অন্যদিকে যারা গেছে তারা চেপে গেভহে। কেন চেপেছে সে তারাই ভাল জানে।
সাধারণ মানুষের কাছে সেটা নানা দেশের আপেক্ষিক গুরুত্ব পাওয়ার এটা একটা ব্যাপার তো অবশ্যই। কিন্তু যেখানে ধরুন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপচারিতা হয়, সেখানে ইংরেজি ভাষী দেশ বলতে শুধুই বিলেত আমেরিকার বাইরে আর কোন দেশ নিয়ে কিছু লেখা না হয়, তাহলে ব্যাপারটা অদ্ভুত লাগে। এখন ব্যাপারটা এরকম নয় যে, এইসব ফোরামে আমেরিকা ইংল্যাণ্ড বাদ দিয়ে অন্য দেশে কেউ থাকে না।
তবে এটা আজকাল এইরকম একটা মিডিয়ামে দেখছেন তো, বাংলা ভাষায় যত বই ভারতের পশ্চিম দিকের দেশগুলো নিয়ে লেখা হয়েছে, তার কত শতাংশ পূর্ব, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া নিয়ে লেখা? সে সব দেশে কি বাঙালী বসবাস করেনি? এই ধরণের অবহেলার কারণ কি হতে পারে?
অরণ্য,
সেটা ঠিক - ল্যান্ড অফ অপরচুনিটি। মুশকিল হল, সেটা যদি আস্তে আস্তে ল্যান্ড অফ অপরচুনিস্টস হয়ে যায় তাহলেই গেল।
সম্বিৎ,
কিন্তু ধরো, একটা লেখায় একটা বাক্যের পরে ১৭ টা ব্ল্যাংক লাইন, তার পরে আর একটা বাক্য - রিডেবেলিটি তো ছেড়ে দাও, লোকে তো ভাববে যে লেখা শেষ হয়ে গেছে বোধহয়, স্ক্রোল করলে যে আরও আছে সেটাই তো বুঝতে পারবে না। কমেন্টের ক্ষেত্রেও এটা তো কনফিউশন তৈরি করবে।