একজন সম্পূর্ণ অচেনা পাঠক তাঁর হাজার ব্যস্ততার মধ্যে যখন আমার মত অখ্যাতজনের লেখা পড়েন , এবং তাঁর মত করে জানান সেকথা, আমার ভাল লাগে। তাঁর তো কোনই বাধ্যবাধকতা ছিল না ।
সত্যিই ভাল লাগে।
এরাই কি সেই পিটিদার ধাবুজী?
প্রোগ্রেসিভরা আগেরবার হিলারীকে ভোট দেয়নি কারণ হিলারী নাকি যথেষ্ট লেফট নয়। হিলারীকে ভোট দিতে তাদের নাকি আইডিওলজিতে আটকাচ্ছিলো। তার ফলে ট্রাম্প জিতলো। ট্রাম্পের জেতার পিছনে এইসব প্রোগ্রেসিভদের ভূমিকা অনেকটা। এর ফলে প্রোগ্রেসিভ মুভমেন্ট ইন আমেরিকা ইজ ডেড ফর অ্যানাদার ২৫ বছর। এদের একমাত্র অবদান হল ডেমদের মধ্যে বিভেদ তৈরী করা যার ফলে জিওপি মানরিটি সাপোর্ট নিয়েও গভর্ণমেন্টের সমস্ত ব্রান্চগুলো কন্ট্রোল করে।
প্রোগ্রেসিভরা বেসিকালি লাথখোর। এদের জন্মই হয়েছে হারার জন্য। এনিওয়ে, প্রোগ্রেসিভদের পলিটিক্স মোটামুটি শেষ। কোনদিনই আর কিছু পাস করাতে পারবে না। সেফ ব্লু সিটে ইনকামবেন্টদের বিরুদ্ধে নাচাকোঁদা করবে কিছু আর রিপাবলিকানদের হাত শক্ত করবে জেনারেল ইলেকশনে।
বার্ণির উত্থান ডেমোক্র্যাটদের যে জায়গায় এনে দাঁড় করালো সেখানে দাঁড়িয়ে দেখতে গেলে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ ছাড়া আর কোন উপমা মাথায় আসছে না।
সুসান সারাণ্ডনকে একবার জিজ্ঞেস করলে হয়, নিউইয়র্কের ৮ মিলিয়নের লফট থেকে রেভোলিউশন দেখতে কেমন লাগছে?
যা বুঝতে পারছি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুপ্রীম কোর্টে এক্জন খুবই কনজারভেটিভ জাজ বসতে চলেছে। ক্যাম্পেইন ফাইনান্সিং থেকে উইমেনস রাইটস, পোলিসিং, ভোটার সাপ্রেশান, গান লজ কোনও কিছুতেই কোনও পরিবর্তন হবেনা। ওবামাকেয়ার তুলে দিতেও পারে।
এই ইস্যুতে রিপাব্লিকানরা সব একজোট। যে দুয়েকজন সেনেটার এদিক সেদিক বলছে তারা নিজেদের সেনেট সীট বাঁচাতে বলছে। আর তাদের ভোটের প্রয়োজনও নেই কনফার্মেশনের জন্য। এইটা ট্রাম্প দারুন বোনান্জা পেয়ে গেল। লিন্কন রিপাব্লিকানরা চুপ করে গেছে। যেসব রিপাব্লিকানরা বিভিন্ন কারণে ট্রাম্পকে ভোট দিতে লজ্জা পাচ্ছিল, তারা এবারে নিশ্চিন্তে সেটা করতে পারবে। ফলে ট্রাম্পের ইলেকশান জেতা এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। সেটা সবপক্ষই বুঝেছে।
সেনেটের ডেমরা সব চুপ করে গেছে। কি আর করা যাবে মোডে চলে গেছে। এমনিতেই কর্পোরেট ডেমোক্র্যাটদের কয়েকজন তো এবারে রিপাব্লিকান পার্টিতে জয়েন করলেই পারে।
তবে প্রোগ্রেসিভদেরও প্রচুর দোষ আছে। এরাই গত ইলেকশানে হিলারীকে ভোট দিতে পারবোনা বলে ঠোঁট উল্টে নেকামো করেছিল। এবারে বোঝো। দেশের প্রত্যেকটা প্রোগ্রেসিভ আইডিয়াকে ড্রেণে ফ্লাশ করে ছাড়বে। তখন নিজেদের পিওরিস্ট আইডিওলজি নিয়ে বাড়িতে যেন বসে থাকে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া নিয়ে সবচে মজার পয়েন্ট পাই আমার বাবার কাছ থেকে। বাবা, ওই টিপিক্যাল ডিটেকটিভ নবেল,থ্রিলার, ভ্রমনকাহিনি বাদে কিচু পড়েন না কোনকালেই। ত, এক আধুনিক গল্পের বই পড়ে বল্লেন, এ বই ত আলাদা চশ্মা অরডার দিয়ে পড়তে হবে, ডাবল ভিশনেও কুলুবে না ঃঃ(
মাংগা পড়তে দিলুম তেজুকার। "পড়ে " ফেরত দিলেন। জিগিয়ে দেখি, টেক্সট কিছুই পড়েন নি। বলেন " অত ছবি, আবার লেখাও পড়ব? "
সবচে লোচা কেস, কোন লেখাই ওঁর কাছে ঠিক লেখা নয়, একটা সমস্যা। ইহুদি নিধনের সচিত্র ইতিহাস পড়ে এত বিচলিত যে মুড খারাপ করে রইলেন কদিন, এক্টা ভ্রমণকাহিনি পড়ে খোঁজ নিতে লাগলেন কীভাবে লেখকের সংগে যোগাযোগ করা যায়।
মুন মিশনের ওপর একটা দামড়া বই আচে, সজত্নে লুকিয়ে রেখেচি ঃঃ(
এই 'আ-আ-আ' নিয়ে আমার জীবনে করুণ কাহিনী আছে। বলবই। কিশোরভারতী। সম্ভবতঃ ক্লাস ফোর কী ফাইভ। খ্যাল নেই। ইশকুলে রাজার অসুখ নাটক হবে। আমি রাজার পার্ট পেয়েশিলাম। এবং অচিরেই প্রমাণ করে দিই যে কারে দিয়েছ রাজার পার্ট একথার গভীর তাৎপর্য আছে।
তো, সিনটা ছিল যে রাজার অসুখ, সুতরাং রাজা খুবই মুষড়ে গম্ভীর হয়ে সিংহাসনে বসে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। একটা বেঞ্চ মতন দেওয়া হয়েছে সিংহাসন হিসেবে কল্পনা করে নেওয়ার জন্য। এইবার চরিত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা আরো ফুটিয়ে তুলতে আমি সেই বেঞ্চে শুয়ে পড়ে নানান স্বরে আ-আ-আ করেই যাচ্ছি। করে যাচ্ছি মানে করেই যাচ্ছি। আর এই আ টা হচ্ছে আ এবং খানিক র ফলা পাঞ্চ করলে যেরম হয়, সেইরম। আমাদের ফ্রেঞ্চকাট ক্লাস টিচার, কী য্যানো নাম, তরুণদা বোধহয়, সে অত আর্তনাদ সইতে না পেরে মহাখাপ্পা হয়ে ছুটে এসে প্রায় মারতে লেগেছে আর কী! বলে এরম ক্রো দের মতন কচ্চিশ ক্যানো। পষ্ট করে বল দেখি আআআ,
-- আআআ (উইথ র ফলা পাঞ্চ)
-- বটে !
এই বলে রাজার পার্ট কেড়ে নিল। কী দুঃখের কতা। বিনোদ।
অনুভূতির ব্যাপারটা খুবই জরুরী। কবি বলে গেছেন, মানুষের ভাষা তার অনুভূতিদেশ থেকে আলো না পেলে কি সব যেন হয়।
টি এর লিস্টিতে একটা বাদ গ্যালো। মানে খারাপ লেখা সম্পর্কে বলছি।
---- বাল
---- বা-আ-ল
--বা-আ-আ-ল
ইত্যাদি।
অনুভূতি যত তীব্র হবে তত আ-এর সংখ্যা বাড়বে।
ওইজ্জা।
দুদ্দান্ত বানান ভুল। ওটা ঘ্যাঁচ করে ইমোজি হয়ে গ্যালো।
বিনোদ -_-
আহা অরিন সেসব তো আলেদা।
দেখুন পাঠকের ভালবাসাকে হেয় করবেন না। আমার 'দারুণ', 'দুদ্দান্ত', 'ফাটাফাটি', 'মামা তো'... এরকম সব রিয়্যাকশন আছে। সব অথেনটি। তা বলে খিল্লি করবেন? অন্তরে ব্যথা লাগে না বুঝি?
এরকম আরো আছে। যথাক্রমে,
-- তুমিই পারো
-- আদরবাসা নিও দিদিয়া
-- কী করে যে অ্যামন লেখেন
-- বহুকাল আগেকার এক সন্ধ্যার কথা মনে পড়ে গ্যালো। উষ্ণ অভিনন্দন নিও বন্ধু।
-- বিনোদ
*পারিনি
আপ্নার লেখা পড়তে পড়তে জল সামলাতে পাড়িনি -- এরকম চলবে না? ঃঃ)))
এই তো স্ট্রাকচার:
আপনার লেখা পড়তে পড়তে হাসি / চোখের জল সামলাতে পারিনি।
এবার কেউ লিখবে, "আপনার লেখা পড়তে পড়তে হাসি / চোখের জল সামলাতে পারিনি" আবার কেউ লিখবে "আপনার লেখা পড়তে পড়তে হাসি / চোখের জল সামলাতে পারিনি।"
সিম্পুল।
জোক্স এপারট, লোকে সত্যি বলার কিছু পায়না বলেই এসব লেখে। হাসাহাসি করছি ঠিকইঃঃ) কিন্তু মাধ্যমের একটা দায়িত্ব বর্তায় কাঠামো ধরে পাঠ প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সুযোগ তইরির।
এইজে এক্টা টেক্সট বক্স ধরিয়ে মনে করা হয়, আমরা পাঠক কে চরম লিবার্টি দিলুম যা খুশি করুন, ওটা এইরকম লিবার্টি যে ঃ পারলামেন্ট জুডিশিয়ারি সব হাটিয়ে বলে দেওয়া, নাও স্বাধীন মত জানাও। ওতে বড় মত ছোট মত কে গিলে খায়, এখানেও সেই হাল।
পাঠ প্রতিক্রিয়ার একটা স্ট্রাকচার থাকা জরুরি যা পাঠক কে ইনিশিএট করে। তারপর সে চাইলে ডিটেলে যাবে বা যাবে না। সেটা যদ্দিন না হবে, আমরা গুরুতে লিখব ঠিক ই, প্রতিক্রিয়া পাব, ওই ফেবু টেবুর ধাঁচেই ঃঃ))
ওগুলো এনকারেজমেন্ট। বাহ বাহ এর মতন।
"আরে ওরকম গল্প রোজ রোজ কেউ লিখতে পারে নাকি? কি আজব দাবীদাওয়া রে বাবা! "
দাবি বলে দাবি!
সেই সহস্র এক আরব্য রজনীর কেস । রোজ রাতে সুলতানকে একটা করে নতুন গপ্পো শোনাতে হবে । না হলেই ঘচাং ফু ।
বা আমার মেয়ের কেস, সে যখন ছোট ছিল ।
রোজ রাতে একটা করে নতুন বাজে গল্প না শোনালে তার ঘুম আসতো না, আর সব কটা গল্প মনে রেখে দিতো (আমি যথারীতি বেমালুম ভুলে গেছি), কেস খেতাম যখন হাবিজাবি গল্প বলতে শুরু করতাম, আর অমনি সে বলতো "এ মা, এটাতো পরশুই বললে, এবার বাকিটা বলো!"
হ্যাঁ মানে কি আজব! ছোটাইয়ের গল্পটার নীচে একজন লিখেছেন দেখলাম। আরে ওরকম গল্প রোজ রোজ কেউ লিখতে পারে নাকি? কি আজব দাবীদাওয়া রে বাবা!
" অর বাতাও "
আরও লিখুন টা মনে হয় রাত্রদিন হিন্দিতে " অত বাতাও" এর প্রভাব :)
শুনতে একটু কেমন লাগে ঠিক ই , তবে " হাত ধরে চুপ করে বসে রইলাম " এর চে কম ভৌতিক :))
"লিখুন' 'রোজ লিখুন' এরকম দাবী কেন? লেখা কি প্রাতঃকৃত্য নাকি যে প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে হওয়া ভাল!? "
আহা, লোকে ভালবেসে অনুরোধ করছে।
রোজ রোজ লিখতে বলছে। ভালই তো।
নাহলে আমার মত অবস্থা হবে। এক দিন লিখি, দু সপ্তাহ লেখা হয় না। অমন কি ভাল?
তীর্থদা আর প্রলয়ের মাঝে মাঝে খুব ইন্টারেস্টিং কথাবার্তা হত। জর্জিয়াটেকের এক প্রফেসরকে তীর্থদা (ধরা যাক) কাকু বলে রেফার করত। কদিন আগে কলা খাওয়া নিয়ে সেই কাকু খুব জ্ঞান দিয়েছেন। তার দুদিন পরে, জীবনে প্রথমবার, তীর্থদাকে নিয়ে প্রলয় বুফোর্ড হাইওয়ে ফার্মার্স মার্কেটে গেছে।
কোয়েলীদি অত্ত বড় বাজার দেখে খুব খুশি। কত রকমের ফল আর সব্জী।
প্রলয় - দেখেছ কি ভালো, কি পুরুষ্টু কলা। কাকুর চেয়েও বড়।
তীর্থদা - মানে, কাকু যে কলা খান তার চেয়ে বড় কলা।
ওহ! এই ওজন - মানে কত গ্রাম - এ নিয়ে আমার একটা কনজেকচার ছিল - ... Under normal temperature and "pressure" (NTP), a normal human being in one lot can ... ... ....
এই আমরা তখন জর্জিয়া টেকের ছাত্র। আমি, আমার দুই রুমমেট আর তীর্থদা কোয়েলীদি, একসাথে গাড়ি চালিয়ে ডিজনী ওয়ার্ড গেছি। সারা রাত গাড়ি চালিয়ে সক্কালবেলা পৌঁছেছি। তারপর মুখটুখ ধুয়ে ইতিকর্তব্য সমাপনান্তে ব্রেকফাস্টের কথা ভাবা হচ্ছে। এমন সময় প্রলয় তীর্থদাকে জিগ্গেশ করল
- হল?
তীর্থদা - একদম, ফার্স্ট ক্লাস। পুরো আড়াইশো গ্রাম।
নীচে দমুদির ৯ঃ১৭ পোস্ট পড়ে মনে হল।
আচ্ছা এই বিভিন্ন গল্প প্রবন্ধের নীচে যে লোকে লেখে 'আরো লিখুন' 'রোজ লিখুন' এরকম দাবী কেন? লেখা কি প্রাতঃকৃত্য নাকি যে প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে হওয়া ভাল!?
ভাবি জিগ্যেস করব,কিন্তু আবার লোকে খামোখা অকমানিত হয়ে যাবে আমার জ্ঞানপিপাসায়, এইসব ভেবে পিছিয়ে আসি।
ঠিকই, ভাট তো ভাটই। কিন্তু ইউজারকে যখন কারও গ্রাহক হওয়ার মতন অপশন দেওয়া হচ্ছে, তখন উল্টোটা থাকাও ইদানীং দরকারী মনে হচ্চে। ভাট ভাটই রইল, ইউজার নিজের স্ফিয়ারে স্ক্রিনিং করে নিল। এইরম।
ধুস, ভাটে আবার চেঞ্জ কিসের। যে যা লেখে তাই। ভাট তো ভাট। নো চেঞ্জ নিডেড।