তবে রিসার্চ যা হচ্চে সব ওই কনফাইন্ড এন্ড ট্রেইনড কুকুর কে মাথায় হেল্মেট পরিয়ে ব্রেন ওয়েভ ম্যাপিং। আমাদের দেশের নেড়ি কুকুরদের গ্রুপ বিহেভিয়ার নিয়ে সেরকম লেভেলের কাজ শুনিনি। আমার ধারনা এদের মাথায় হেলমেট পরিয়ে চিন্তাভাবনা ট্র্যাক করতে পারলে, সিকিওরিটির কাজে লাগান যাবে। মানুষ - কুকুর সহাবস্থান অনেক বেটার হবে।
আরে না, ঐ সাতকর ধরে হাঁটা আর কুকুর তোর বাপের নাম কি খুব কাজ করে।
আমাদের পাড়ার আবদুলের ওপরেও কাজ করেছে। এক অ্যাংরি কুকুরের কামড় খেয়েছিলাম তো। তখন এই টেকনিক জানতাম না তাই।
পাই ম্যাডাম, ওদের তিনজনেরই স্বভাব আলাদা। যে কুকুরটা খেলাগুলো আবিষ্কার করে, লাফানো বা গায়ের ওপর উঠে দাঁড়ানো, সে আদর খেতে সবচেয়ে ভালোবাসে। দ্বিতীয়জন প্রথমজনকে ফলো করে। আর তৃতীয়জন একদম কাছে ঘেঁষে না, বড়োজোর একটু গায়ের কাছে এসে দাঁড়ায়। তাই আমরাও ওকে নিজে থেকে আদর করতে যাইনা, কাছে এলে হয়তো পিঠে বা মাথায় একটু হাত রাখি। আপনি ব্যাগে এক প্যাকেট টাইগার বিস্কিট কিনে রেখে দিতে পারেন। তবে একক যা বললো, কুকুররা বেশীর ভাগ সময়ে সামনে সামনে গিয়ে বাড়ি অবধি পৌঁছে দিতে ভালোবাসে। আর প্যানিক একদম করবেন না, প্যানিক করলে ওরা পেয়ে বসে। দরকার হলে দাঁড়িয়ে পড়বেন, আর ফার্মলি কিন্তু শান্তভাবে বলবেন যা-ও-ও। অ্যাভয়েড করবেন না। একবার ওদের কন্ট্রোল করতে পারলেই দেখবেন আর কোনদিন বিরক্ত করবে না।
স্বাধীনচেতা বেড়ালদের পছন্দ করি।
হ্যাঁ তারপর কুকুর বলবে যাও জাকে উসকো পুছকে আও ইত্যাদি। অ্যাংরি ইয়ং কুকুর তো আর দেখনি।
আর হ্যাঁ কুকুরের চোখের দিকে তাকিয়ে জিগ্যেস করতে হবে - কুকুর তোর বাপের নাম কি?
আমাদের পাড়ায় একজন আধপাগল ছিল। সে সারাক্ষণ বলে বেড়াত যে বাঘা যতীন সিনেমায় সে বাঘা চরিত্রে অভিনয় করেছে। একজন, ততটা পড়াশোনা না করা লোক সেটা বিশ্বাসও করেছিল।
রঞ্জনবাবু, আমার উত্তর ১৮.৪৮-এ পেয়ে যাবেন। আমিও ব্যক্তিগত বিষয়ে আগ্রহী হই না। আতোজ বিদ্যাসাগরের বংশ-কুমোরটুলি ইত্যাদি নিয়ে আমাকে নির্দিষ্টভাবে জিজ্ঞাসা করায় সেটাই বলেছিলাম। যেহেতু আজ সকালে আমি কীভাবে নাকি এ বিষয়টাকে দুই আর দুইয়ে চার করে মিলিয়ে দিতে পারব - এহেন অকারণ ও অনর্থক খোঁচা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসানের জন্য খোলাখুলি লিখতে বাধ্য হয়েছি মাত্র। নতুবা কৌতূহলটা নিছক আমার ও অর্জুনের মধ্যে সীমাবব্ধ ছিল।
সাত কর ধরে যাতায়াত করবে।
বি দা, এসব সিরিয়াস রিসার্চ এর বিষয়, লোকজন করছেও। আমি জাস্ট নিজের পারসেপশনের বশে আড্ডা দিচ্চি ঃঃ) বুলবুলে লেখাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
বাঘা যতীনকে ওনার মা কি শিখিয়েছিলেন ভুলে গেলেন? কুকুরে তাড়া করলে রুখে দাঁড়াতে হয়, তাহলেই হল।
আল্ট্রাসনিক ডগ রিপেলান্ট বাজারে পাওয়া যায়। কিরম কাজ করে জানি না।
একটু বিখ্যাত মানুষের ব্যক্তিজীবনের দুটি কথা জানা হয়ে গেলে সেগুলি পাবলিক ফোরামে নিয়ে এসে ফেলার জন্য কিছু মানুষের মনে যে কী কমপ্লেক্স প্লেজারের আকুলিবিকুলি কাজ করে ...
ভিনিগার , এমোনিয়া এসব ইয়ুজ করতেই পারেন | তবে কদিন বাদে ব্যাটারা অভ্যস্ত হয়ে যায় দেকেচি :))
কুকুর রিপেলেন্ট কোনো ফ্রাগর্যান্স ক্যারি করা যায়? ধরো ভিনিগার বা আরেকটু কনসেন্ট্রেটেড অ্যাসেটিক অ্যাসিড বা ওইরকম কিছু?
একক একটা টই হয়ে যাক। বা বুলভুলভাজা বা ব্লগ। গুরু থেকে চটি বইও হতে পারে।
করে দেখো , এই অনলি ইমোশন বেসড ল্যাঙ্গুয়েজ টা অসম্ভৱ প্লীজিং | আমার তো নতুন কারো সঙ্গে আলাপ হলে ম্যাক্স তিন মাসে সব কথা ফুরিয়ে যায় আর অস্বস্তি লাগতে শুরু করে | সেখানে আমি আমাদের এরিয়াতে স্ক্যানার , প্রিন্টার , ঘঁটু এদের সঙ্গে কত বছর কথা বলে চলেছি , উইদাউট এনি প্রব্লেম |
:)
সে তো পারেই | আমি নিজেই দুবার ইনজেকশন নিয়েছি | বাট দ্যাট ইজ ওয়র্থ দ্য রিলেশনশিপ গ্রো | মানুষ কামড়ালে নেহাত জ্বলাতঙ্ক হয়না তাই , কিছু কম কামরায় এমন তো নয় :)
একক,
এইসব হতে হতে তো বেশ কবার কামড় খেতে হতে পারে, নয়?
আমি এখানে বসে বলে দেব , কুকুররা কেন দল বেঁধে পিছু পিছু আসে , সেটা তো হয়না | নানারকম কুকুর , নানারকম কারণ , পরিস্থিতি | তবে আমাদের যেটা ইন জেনেরাল ধারণা যে ওরা শুধু খাবার চায় , তা ঠিক নয় | পাড়ায় ঢোকার সময় দলবেঁধে পেছন পেছন আসাটা মূলত গার্ডিং ইনস্টিংক্ট | দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে আর কী | এই রিচুয়াল গুলো ওরা করবেই , এট লিস্ট ওদের মধ্যে অন্তত একটা কুকুর করবে , কারণ এভাবেই , ওরা ওই রাস্তায় হেঁটে , কাওকে পৌঁছে দিয়ে তার বাড়ির কাছেপিঠে ফেরোমোন ছড়িয়ে , ওদের টোটাল নেটওয়ার্ক এর স্প্যাশিয়াল ম্যাপিং রেগুলার মেন্টেন করে | যদি দলবেঁধে ডিস্টার্ব না করে তাহলে প্রব্লেম নেই |
এবার মুশকিল হলো , জাস্ট লাইক হিউম্যান সোসাইটি , ওদের গার্ডিং ইন্সটিঙ্কট মাঝে মাঝে মাত্রা ছাড়িয়ে , পাড়ার দাদার দাদাগিরি তে পরিণত হয় | সর্বদাই সেগুলো এন্টারটেইন না করলে করা সম্ভূব ও নয় বাস্তবে ,গার্ড করতে এসে ডমিন্যান্স দেখাতে শুরু করে |
সেইজন্যেই বোঝানো জরূরী পাওয়ার রিলেশন এস্ট্যাব্লিশ করার জন্যে | কীকরে বোঝাবো ? কুকুর মানুষের ল্যাঙ্গুয়েজ লেক্সিকোলজিক্যালি বোঝে বলে আমার অন্তত জানা নেই , যেটুকু বুঝি ওরা ইমোশন ম্যাপিং করে | কিন্তু আমরা তো ভাষাহীন ইমোশন দিয়ে আউ -আউ শব্দ করে কথা বলতে অভ্যস্ত নই :)) তার দরকার ও নেই ; আমার যদি সামনের কুকুরের ব্যবহারে বিরক্ত লাগে , তাহলে বাংলাতেই কথা বলবো , জাস্ট একটু ইমোট করে বলবো আর পিচ কন্ট্রোলে রাখবো | ফার্ম পিচ , ফার্ম মেন্টালিটি শো করে | বেস এ থাকলে ওরা আচমকা একসাইটেড হয়না | এই কারণেই , কাঁপা কাঁপা পিচে, কুকুরকে যত বকেই নির্দেশ দেওয়া হোক , ওরা আরো একসাইটেড হয়ে লাফায় , গায়ে উঠে ডোমিন্যান্স শো করে |
অর্থাৎ কিনা ইমোশোন কমিউনিকেট করা অভ্যেস করতে হবে | একদিনে হয়না , তবে করতে করতে হয়ে যায় | এবং কুকুর রা ( ভোঁদা মার্কা কুকুর ও আছে ভোঁদা মানুষের মতোই , তাদের বাদ্দিলে ) ইন জেনেরাল ইমোশন বোঝার ব্যাপরে ভয়ানক নিখুঁত , মনের ভেতর ভয় রেখে , বাইরে গাম্ভীর্য দেখালেও ধরে ফ্যালে , এবং আরো বুলি করে |
আরেকটা ব্যাপার , কুকুর যা গোলমাল করে বেশিটাই , একসাইটেড থাকার কারণে বা মিসকমিউনিকেশনের ফলে একসাইটেড হয়ে | ওদের কান টান একটু র্যাব করে দিলে , কিন্তু বেশি আহ্লাদ না দেখিয়ে ফার্ম গলায় কথা বললে . একী সঙ্গে এক্সাইটমেন্ট ও কমে যায় ঝপ করে , এবং পাওয়ার রিলেশন ও এস্ট্যাব্লিশ হয়ে যায় | শান্ত hoye এলে তখন আহ্লাদ দেখানো যেতে পারে |
গানওয়ালাদের জন্যে একটা প্রশ্নঃ অতুলপ্রসাদের 'আমি বাঁধিনু তোমার তীরে ' গানটি কোন রাগে নিবদ্ধ?
@ এলেবেলে,
আমি একেবারেই কারও পারিবারিক বা ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাই না। কিন্তু ইসাডোরা ডানকান নামটি শুনে চমকে উঠলাম।
একজন ইসাডোরা ডানকান তো বিখ্যাত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যশিল্পী, যিনি রাশিয়ায় শিল্পী-সাহিত্যিকদের আসরে ধূম মচিয়েছিলেন গত শতাব্দীতে। যাকে স্তানিস্লাভস্কি ক্রিয়েটিভ বলেছেন, গোর্কির আবার তাঁর নাচ ভাল লাগেনি। গ্রাম থেকে শহরে আসা কবি সের্গেই এসেনিনের আত্মহত্যার কারণ বলে যাঁকে গোর্কি বলেছেন ।
যদিও সেই কমেন্টে আমি গোর্কির মিসোজিনি দেখেছি।
তিনি নিশ্চয়ই নন বার্নার্ড শ 'র সঙ্গে সময়টা মেলে তাই জানতে চাইলাম আরকি!
একক, বোঝাতে হয় তো বুঝলাম। কিন্তু কীভাবে বোঝাব এবং কী বোঝাব ? বোঝাতে হলে আগে তো বুঝতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে আসছে কেন দল বেঁধে ? খাবারের প্রত্যাশায় হলে সেইমত বোঝাতে হবে, ওদের পছন্দের খাবার আমার কাছে নেই, দুপুরের কৌটোতে যা ভুক্তাবশেষ আছে, সেগুলো দিয়ে পিঁপড়েদের ভোজ হতে পারে আর সেই হেতুই তা বরাদ্দ। আমিই বরং প্রচুর খিদে পাওয়াতে অবশেষে বাড়ির পথ ধরেছি। এছাড়াও ওরা কি রাত বারোটা অব্দি না খেয়েদেয়ে থাকছে ? সেক্ষেত্রে বোঝাতে হবে যে এরকম করা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না। যদি উদ্দেশ্য হয় ঘেউঘেউইয়ের নানা ভেরিয়েশন শোনানো, তাহলে বোঝাতে হবে, আমার কান এখনো এই সংগীত আপ্রিশিয়েট করার জন্য তৈরি হয়নি। যদি পাহারা দেওয়ার জন্য আসে তো বোঝাতে হবে , ধন্যবাদ, কিন্তু আমি এই মুহূর্তে কোনভাবে অ-কুকুর কারুর কাছ থেকে ভীত সন্ত্রস্ত বোধ করছিনা, এরকম কিছু।
পাই, চিত্রলেখা চৌধুরীকে জানাবেন -
এলেবেলে প্রথমে জানিয়েছে --- ধীরেন মিশ্র বার্নার্ড শ হওয়ার খ্যামতা দেখাতে পারেননি। অবশেষে ইসাডোরা (মতান্তরে ইসিডোরা) ডানকানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ডানকান আমার আপন ছোটমাসি। সেই সূত্রে ধীরেন মিশ্র আমার মেসোমশাই। তাঁদের প্রথম সন্তানের ডাকনাম পুরু, ভালো নাম দেবব্রত, আমার থেকে মাত্র এগারো দিনের ছোট। ১৯৬৬-র সেপ্টেম্বরে জন্ম।
এলেবেলে আরও বলেছে --- এই গোটা ঘটনাটিতে চিত্রলেখা চৌধুরী শুধু নিজে বেঁচে যাননি, আপামর বাঙালিকে বাঁচিয়ে তাদের চিরঋণী করেছেন।
এই কথাটা শোনার পরে তিনি কী বলেছেন, সেটা জানানো বা না জানানো আপনার ইচ্ছে।
আর " চোপ চোপ ", " হেই ", " হুশ " এসব কত্তে নেই কুকুরের সঙ্গে. ওতে ওদের অপমান হয়. তখন, বাকি প্যাকের কাচে স্টাটাস bojay বজায় রাখতে আর ও এগ্রেশন শো করে। করে.
ভদ্র ভাবে ডেকে, গলার আওয়াজ বেসে রেখে সোজা তাকিয়ে, বোঝাতে হয়. ইনিশিয়ালি ঘেউ ঘেউ কোরবে তারপর গলা নাবতে থাকবে, চোখের দৃষ্টি নীচের দিকে হবে, লেজের সিগন্যাল বদলাবে, তখন ঘাড়ে, কানে র্যাব করে, শেষে মাথায় র্যাব . ব্যাস.
আর, কুকুরদের সংগে সহাবস্থানের বাঁধা ফরমুলা হয় না। ওদের মধ্যেও মব মেন্টালিটিি আচে, বুুুলিি করার প্রবনতা আচে, নেতা হওয়ার এস্পিরেশন আচে । গোটা প্যাক এর সঙ্গে আলাপ করে, কাওকে একটু আস্কারা, কাওকে অন্য রাগী কুকুরের থেকে প্রোটেকশন এইসবকরে প্যাক পলিটিক্স কন্ট্রোল এ রাখতে হয়। যে আলফা থাকে তাকে অন্যদের সামনে ডমিনেট করতে নেই . আড়ালে বুঝিয়ে দিতে হয়, লাইন পেরোলে কপালে দুঃখ আছে.
তারপরেও পিছু নেবে, ওটা ওদের গার্ডিং ইনস্টিংক্ট. কিন্তু বদাম করবে না. আমার পেছনেও আসে, দরজা খোলারসময় ফিরে তাকাই, শান্ত ভাবে চোলে যায়.
আমার পাড়ার কুকুরেরা আবার খেতে চায়না। মানে, ওদের খাওয়ার ফিক্সড বাড়ি ও দোকান আচে। মূল দাবি হল আদর। মাথায় হাত, কান মলা, পেটে কিলিবিলি এই পুরো রিচুয়াল আদায় না করে ছাড়বে না।
ডিসি, পেছনের পায়ে দাঁড়িয়ে পড়ে আদর খাওয়া, সেও কি সব কুকুর মিলেই করে?
আমাকে একটু বলে দিন তো, সঙ্গে দেওয়ার মত কিছু খাবার দাবার না থাকলে আর একসঙ্গে অনেকে মিলে ঘিরে ধরলে, বিশেষ করে মাঝরাত্রিবেলা অফিস থেকে ফেরার সময়, ব্যাগে কেক চানাচুর টিফিনবাক্স কি বাজার করা কিছু থাকলে বিশেষ করে, কী উপায় করা যায়? আমি ছোটছানাদের সঙ্গে খেলাধূলা করা পছন্দ করলেও মাঝরাতে এমনটা হলে একটু ভয়ই পাই। বিশেষ করে ছোটবেলায় আমার নাচানাচির চোটে মাসির বাড়ির কুকুর আমার কামড়ে দেওয়ার পর থেকে।
চোখ পাকিয়ে বকলে অবশ্য একটু কাজে দেয়। কিন্তু অফিস থেকে আমার কোয়ার্টার অব্দি এই পিছু নেওয়া কীকরে ছাড়াই আর কেনই বা নেয়?