চিত্রলেখাদি জানিয়েছেন এবং জানিয়ে দিতে বলেছেন, ডঃ সুবোধ সোমের বিষয় স্ট্যাটিস্টিক্স ছিল না, আপ্লায়েড ফিজিক্স ছিল। লেজার হলোগ্রাফি নিয়ে কাজ করেছিলেন।
চিত্রলেখা চৌধুরীকে বিয়ে করবার জন্য পাগল হয়ে গেছল বাবার বন্ধু ভক্তিপ্রসাদ মল্লিক। সে এক ঘটনা। চিত্রলেখা গীতবিতান থেকে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন। এগুলো ষাটের দশকের ঘটনা। সবই শোনা।
উনি প্রথম জীবনে নাচতেন এবং ভাল নাচতেন। কিন্তু শৈলজারঞ্জন বলেছিলেন 'নাচে অনেকে কিন্তু গানের গলা সবার হয়না। গানের গলাটা নষ্ট করিস না।' ওঁর নিজের মুখেই শোনা।
চিত্রলেখা চৌধুরীর ফিরিস্তি অন্য কারো কাছ থেকে শুনতে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নই।
শেষ একটা কথা বলে আরও একটা ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে যাই। আপনি যেহেতু আমার নিষেধ সত্ত্বেও 'এলেবেলেবাবু' বলেছেন এবং বিষয়টাকে গায়ে মাখেন নি, সেহেতু পরবর্তীকালে ল্যাজটা ছেঁটে দেবেন। বিনীত অনুরোধ। পাল্টা সৌজন্য দেখিয়ে আমিও আপনাকে 'পাই' সম্বোধন করে কথা বলব।
এলেবেলে কোনও কিছুর প্রত্যাশী নয়, কেবল সে অনর্থক খোঁচা মারার বিষয়টাকে একেবারেই হালকাভাবে নিতে পারে না। সে তো ঘোষণা করেই দিয়েছে সে এলেবেলে। সে এবড়োখেবড়ো। তারপরেও তাকে এত গুরুত্বই বা দেওয়া কেন? খোঁচাই বা মারা কেন? এটুকু প্রত্যাশা করা তার অপরাধ?
এদিকে কুকুরদের কান্ড শুনুন। আমি আর আমার স্ত্রী রোজ রাতে খেয়ে হাঁটতে বেরোই, পুরো ক্যাম্পাসটা একটা রাউন্ড দি। আমাদের বিল্ডিং এর নীচে তিনটে কুকুর থাকে, তো এখানে আসার পর ওদের জন্য রুটি নিতাম। এপ্রিল মাস থেকে আছি, মানে মাস ছয়েক হয়ে গেল। কদিন পর দেখলাম কুকুরগুলো নিজেরাই একটা খেলা আবিষ্কার করলো। আমরা রুটির টুকরো ছুঁড়ে দিলে ওরা লাফিয়ে লাফিয়ে সেগুলো খেতো। প্রথমে একটা কুকুর শুরু করলো, ওর থেকে অন্য দুটোও শিখে গেল। আর দুয়েকদিন পর থেকে দেখি পুরো ক্যাম্পাস আমাদের সাথে সাথে হাঁটতে শুরু করলো। আর এখন মাসখানেক আরেকটা খেলা শিখেছে। আমরা যদি দিনের বেলাও কোন দরকারে বেরোই তো ছুটে আসবে, তারপর পেছনের পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে একদম বুকের ওপর দাঁড়িয়ে পড়বে। এক মিনিট মাথায় আদর করে দিলে তবে নামবে। এরকম নেড়ি কুকুর আগে দেখিনি। মুশকিল হলো, এই মাসের শেষে শহরে ফিরে যাবো প্ল্যান করেছি। তখন বেচারারা কি করবে কে জানে।
আমি সমুদ্র হাঁটা লাগিয়েছিলেন আমি আর সমুদ্র হাঁটা লাগিয়েছিলাম।
এই প্রসঙ্গের ইতি হোক। এমনিতেই কাজে প্রচুর ব্যাঘাত ঘটল সক্কালবেলা।
চুকলি করার প্রসঙ্গটি ডকুমেন্টেড। যিনি আমার কথা ভার্বাটিম আপনাকে জানাবেন বলেছিলেন, তিনি যে তিনজনের সঙ্গে গুরুর স্টলে মিনিট দশেকের আড্ডা মেরে ফ্ল্যাটের দিকে আমি সমুদ্র হাঁটা লাগিয়েছিলেন, তাদের একজন। তাতে কেউ চুকলি না করতেই পারে। কিন্তু পরোক্ষভাবে হলেও তিনি 'সম্ভাব্য চুকলিকর্তার' ইমেজ আমার কাছে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। যদি এবারে বইমেলা হয়, তবে এ প্রসঙ্গটার জন্য আপনাদের স্টলে গিয়ে আমি নিজে আপনাকে সেই ব্যক্তিকে আমার সামনে কথা বলার জন্য নিয়ে আসার অনুরোধ জানাব। এতে দুটো কাজ হবে - ১) 'সম্ভাব্য চুকলিকর্তা' ও আপনার সঙ্গে আমার বেকার ভুল বোঝাবুঝির পালা সাঙ্গ হবে। ২ ) বক্তার প্যান্টুল হলুদ হবে।
নিকিরিপনা করব না বলে তার নাম নিলাম না, এমনকি ইঙ্গিতটুকুও দিলাম না। যা হবে মুখোমুখি হবে। দেখা যাবে সেই ব্যক্তির খাঁচায় কত দম আছে।
আজকে আরবিজি নিয়ে টিওয়াটিতে যেন্ক দারুন বলেছে। এক্সেলেন্ট অ্যানালিসিস। অনেকদিন পর এত ভালো এবং প্যাশনেট অ্যানালিসিস শুনলাম। দেখতে পারেন।
শান্তিনিকেতন, শোভন, সারামাগো, সিপিএম, লং ফর্ম পোবোন্দো।
ও এটা তো বোধিদার ছবি। চেনাচেনা মনে হচ্ছিল বটে।
মমুর ছবি কোথায়?
আপনি তাঁর সঙ্গে নিয়মিতই ভাটান ঃ-)
না না। গেস করবো না। তারপর ভুল হলে সে আরেক সমস্যা।
এলেবেলেবাবু, আমি জানিনা আপনি কাদের কথা বলছেন, কিন্তু কেউ আলাদা করে আপনার নামে আমার কাছে অন্তত চুকলি করেনি, কিছুই বলেনি। এটুকু জানিয়ে রাখলাম।
বড়েস, গেস করুন দিকি!
অভ্যু, আচ্ছা, এটাও জিগেশ করব।
হ্যাঁ পাই - পেলে খুব ভালো হয়।
আর ওনার গাওয়া নৃত্যের তালে তালে রেকর্ড আছে? ছোটোবেলায় দেশে পড়েছিলাম - উনি কোথাও গেয়েছিলেন - সমালোচক খুব প্রশংসা করেছিল।
খগেনকে তো চেনো?
শ্যাম বাগ্চি খগেনেরই মামাশ্বশুর জেনো।
শ্যামের জামাই কেষ্টমোহন, তার যে বাড়িওলা—
(কি যেন নাম ভুলে গেছি), তারই মামার শালা;
তারই পিসের খুড়তুতো ভাই আদ্যানাথের মেসো
মামুর সঙ্গে ছবিতে লোকটি কে?
//কে আপনাকে কৃতজ্ঞ থাকতে বলেছে, কে তেল মারতে বলেছে, কে আদেশ দিয়েছে, কে তা শিরোধার্য করতে বলেছে//
আপনি বলেননি। কৃতজ্ঞতাবোধটা আমার নিজের। বাকিগুলো বাদ্দিন।
//কে চুকলি করেছে//
জানি। সামনাসামনি দেখা হলে তার প্যান্টুল হলুদ হয়ে যাবে। গুণী মানুষ, ভালোবাসতাম। শ্রদ্ধাও করতাম। এটা জানার পরে সেটা বিলকুল উধাও হয়ে গেছে।
//গায়ে পড়ে পায়ে পা দিয়ে জগতের লোকের সংগে ঝগড়া করতে যান কেন//
সম্ভবত একটার বেশি দুটো উদাহরণ দেখা যাবে কি না সন্দেহ আছে। বরং এটা যারা নিয়মিতভাবে করে থাকেন এবং অকারণ ধারাবাহিক তিক্ততার সৃষ্টি করেন, তাদেরকে বললে ভালো হয়। হ্যাঁ, আমিও ছেড়ে কথা বলিনি এবং সেটা ভালো করিনি। নিজেই বুঝতে পেরে স্টান্স বদলে ফেলেছি। তারপরেও তার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে নিজেকে সামলানো সর্বদা সম্ভব হয় না। আমি মানুষ, যন্ত্র নই।
//আপনাকে ব্লগ আকসেস দিয়ে কোন দয়া কেউ করেনি, ভিক্ষাও কেউ দেয়নি, তার জন্য কেউ তেল দেওয়াও আশা করেনি খামোখা কেড়ে নেওয়ার কথাই বা আপনার কেন মনে হচ্ছে, তাও জানা নেই। আপনার এই অতিরিক্ত বিনয় বা অতিদুর্বিনীত রূপের দুই চরমে দোদুল্যমানতা অস্বস্তিতেই ফেলে//
দয়া, ভিক্ষা আপনি যেমন করেননি এটা যেমন ঠিক, তেমনই তেল মারাও চাননি। কারণ তার কোনও প্রশ্নও নেই। আমি আজীবন অতি বিনীত থাকতে চাই, গুণী মানুষদের শ্রদ্ধা করতে চাই। সেখানে কোনও চালবাজি নেই। গুরুর অসংখ্য ব্যক্তিকে সে চিরকাল অসম্ভব শ্রদ্ধা করে এসেছে এবং চিরকাল করে যাবে। কিন্তু বিনীত মানুষটাকে কারা দুর্বিনীত হতে বাধ্য করে, সেটা দয়া করে ভেবে দেখবেন।
//আপনি যা লিখবেন, সবাইকে তার সবটাই পছন্দ করে যেতে হবে, এমনটা তো হয়না। দাবি করলেও পাবেন না। //
এই প্রসঙ্গটা তোলার জন্য ধন্যবাদ। আমি জাস্ট পুরোহিত। পাঁচদিনের দুর্গাপুজো করার যাবতীয় আয়োজন - বেশ্যাদ্বারের মাটি থেকে কলাবৌ সংগ্রহ - আমি নিজে হাতে করেছি। যথাসম্ভব নিষ্ঠাবান থেকে ফুল থেকে ভোগের জিনিসপত্র, সমস্ত কিছু নিজে যোগাড় করে নিয়েছি। আমার মন্ত্রোচ্চারণে ত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু মন্ত্রের ত্রুটি খুঁজে বার করা দুঃসাধ্য।
এবারে মৃন্ময়ী মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে তাঁকে চিন্ময়ী করে তুলে যথাবিহিত পুজো সম্পন্ন করে ঘট বিসর্জনের পালা সাঙ্গ করে দক্ষিণা নিয়ে বাড়ি চলে গেছি। ফলে ওই মূর্তি আমার কাছে প্রাণহীন। তার পরে মাটির তালটিকে নিয়ে আপনারা নেত্য করতে করতে বিসর্জন দিলেন, নাকি সারা বছর মণ্ডপেই সাজিয়ে রাখলেন - সে সব নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই। তাকে অন্য পুজো করতে হবে। এ পুজোর কথা সে ভুলে যাবে চিরকালের মতো।
তবে দীর্ঘদিনের পুরোহিতগিরির অভিজ্ঞতা থেকে সে জানে, ভাসান দেওয়ার আগে বাড়ির গিন্নিরা 'আবার এসো মা' ন্যাকামি করার পালা সাঙ্গ হলে নিপুণ দক্ষতায় মায়ের অঙ্গের বহুমূল্য গয়নাগুলো খুলে নেবে। বাড়ির কর্তারা খুলে নেবে পেতলের অস্ত্রগুলো। দিয়ে মাকে সর্বসমক্ষে ন্যাংটো করে আন্দো করতে করতে বিসর্জনে যাবে। কিন্তু হায়! ঘট বিসর্জনের ঘটটিকে ডাবসহ গঙ্গায় না ভাসালে বিসর্জনের পালা শাস্ত্রবিহিত হবে না। কারণ মা আসলে ওই অকিঞ্চিৎকর ঘটটিতে রয়ে গেছেন, জাঁকদেখানো গয়নায় নয়।
'ওভিজাত ওজ্জুনের' আভিজাত্য নিয়ে আপনাদের ভাবনাটা একটু বেশী। কারণ ওটা নিজেদের কপালে জোটেনিতো। কি আর করবেন।
চিত্রলেখা চৌধুরীর বাবা নিরঞ্জন চৌধুরীর আমার দাদুর আপন পিসতুতো দাদা। চৌধুরী'রা পূর্ববঙ্গের একটি অন্যতম বিদগ্ধ পরিবার। সেই যুগে পিসতুতো, মামাতো ভাই, বোনেরা এক সঙ্গে বড় হয়েছিলেন নোয়াখালীতে। ঐ পরিবারের অলমোস্ট সব সদস্যই distinguished। লিস্টটা বিশাল।
চিত্রা পিসি বিয়ে করেছেন সেই সময়ের নিরিখে একটু বেশী বয়েসে। ওঁর হজবেন্ডকে দেখেছি কয়েকবার।
চিত্রা পিসির আপন জ্যাঠতুতো দিদি লীনা পিসি আমাদের পাশের বাড়িতে থাকেন। ডঃ অমিতা দত্ত। ৯৯ বছর বয়েস। ব্রেবোর্ণ, প্রেসিডেন্সিতে পড়িয়েছেন। অভিজিৎ বিনায়কের অধ্যাপিকা ছিলেন। ওঁরই দুই ভাই ডঃ সুবীর ও ডঃ মিহির চৌধুরীর বাড়ির সরস্বতী পুজোয় সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হত। শানু জ্যাঠু মানে সুবীর চৌধুরী ছিলেন আই আই এম, কলকাতার ডিরেক্টর। আর টুকু জ্যেঠু মিহির চৌধুরী তো ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী। এরা দক্ষিণে থাকে বলে যোগাযোগ অনেক বেশী।
আমার সমগ্র পরিবারের লিস্ট দিলে গিলতে অসুবিধে হবে। চিত্রলেখা চৌধুরী বাবার দিকে। ঋতু গুহ মায়ের দিকে। মায়ের সম্পর্কিত মামী।
পূর্বা দাম মারা গেলেন।
আরে ভুলে গেছিলাম। আজই জিগেশ করব। ওটার রেকর্ডিং চাই,, তাই তো?
এ বাবা, ওভিজাত ওজ্জুনের ঢপ ধরা পড়ে গেল। জগ্যিদাসের মামা কেস।
আচ্ছা পাই সেই অমল ধবল পালে লেগেছে গানটা pele?
* ডঃ
আর ডাঃ সুবোধ সোমের বিষয় স্ট্যাটিস্টিক্স ছিল শুনে চিত্রলেখাদি যারপরনাই বিস্মিত হয়েছেন, কোন পোস্টে কী লেখা পাঠিয়ে দিতে বলেছেন, নিজেই উত্তর পাঠিয়ে দেবেন বলেছেন।
'চিত্রলেখা চৌধুরী শেষ অব্দি বিয়ে করেছিলেন কিনা' বা যাদবপুরের অমুক তমুক ব্যক্তির কথা কী বলেন সে বিষয়ে যাবতীয় 'কৌতূহলে'র নিরসনও নিজেই করে দেবেন হয়তো। খোলা পাতা তো যেকেউ যখন হোক দেখতেই পারেন, দেখেই থাকেন।
আর আপনি কার সংংংগে কবে কোন ঘটিকায় কী কথা বলেছেন, সেটা জানার জন্য আপনার কললিস্ট ঘেঁটে বের করার মত অনুরোধ করলে, একে হাস্যকর বালখিল্যপনা বলতে পারি, এটা অত্যন্ত অযৌক্তিক বোকাবোকা কথা মনে হল, বলে ফেলতে পারি, তার জন্য রাগ হলে আবার কোন বিষয় নিয়ে অকারণ আক্রমণ করে বসবেন জানিনা, বলে রাখলাম।
আপনি কি লিখলেন তার মাথা মুণ্ডু এক বর্ণ বুঝলাম না। কে আপনাকে কৃতজ্ঞ থাকতে বলেছে, কে তেল মারতে বলেছে, কে আদেশ দিয়েছে, কে তা শিরোধার্য করতে বলেছে, কে চুকলি করেছে, আপনিই জানেন।
গায়ে পড়ে পায়ে পা দিয়ে জগতের লোকের সংগে ঝগড়া করতে যান কেন, ক'দিন বাদে বাদেই বিচিত্র সব ইস্যু নিয়ে সমস্যা, একে ওকে তাকে অনর্থক দোষারোপ করেন, তাও জানিনা।
গামোসা আর আসাম বলা নিয়ে আপনার একটা মন্তব্যেরও কোন অর্থ নেই। আপনার নির্মোহ ব প্রসংংংগে আপনার বেশ কিছু তর্কাতর্কি নিটপিকিং মনে হলে কী করা যাবে, তার মানে এও না যে সবটাই তাই, কিন্তু লেখা নিয়ে যে বিশাল বিতর্ক চলে তার অনেক সময়েই মূল কথা ছেড়ে একেবারে খুচরো বিষয়ে খুচরো ভুলভ্রান্তির পিছনে দৌড়ান মনে হয়। ওই কে কোন ছবিতে কার পাশে ছিল বা হেসেছিল বা হাততালি দেওয়া হয়েছিল না ক'মিনিট ক'সেকেণ্ড ধরে চল্বছিল এজাতীয় বিষয় নিয়ে পাতার পর পাতা চর্চা দেখলে, আর যা বলেছেন তার বিপরীতে লোকে নানা বক্তব্য রাখলে তার সদুত্তর না দিয়ে সেই নিজের পয়েন্টেই পড়ে থাকতে দেখলে, তর্কে যুক্তির অভাব কোথাও ঘটেছে মনে হলে, আর এসবের ফলে ভাল বিতর্ক, আলোচনার পরিসর পোটেনশিয়াল থাকা সত্ত্বেও তা অন্যত্র ঘুরপাক খাচ্ছে মনে হলে সেটা মনে করার আর বলার অধিকার একজন পাঠকের অবশ্যই আছে। কোনদিন কেউ বলছেনা মানে ভাবছেনা বা কোনদিন বলবে না, এটা নাও হতে পারব।
আবার তার মানে, যা কিছু লেখেন, তা খালি এইসবই, তাও নয়। তা বলিওনি। প্রবন্ধ তর্কের যে অংশ অসার অনর্থক লাগে, সে প্রসংগের উল্লেখ করেছি।
আপনি যা লিখবেন, সবাইকে তার সবটাই পছন্দ করে যেতে হবে, এমনটা তো হয়না। দাবি করলেও পাবেন না। আবার কেউ কিছু অপছন্দ করছে মানে সে সবকিছুকেই নস্যাত করছে, এটা আপনার ভাবনাচিন্তার ধরণ হতে পারে, সবার তা নাও হতে পারে।
আর এটাও দেখুন, কেউ আপনার কোন লেখা নিয়ে কোন মন্তব্য করলে তার পাল্টা আপনি সেই লেখা দিয়েই বলতে পারেন, কেন তা নয় সেসব ডিফেন্ডও আপনি একশোবার করতেই পারেন, কিন্তু তা না করে সম্পূর্ণ অন্য একটা বিষয়ে অকারণে অযৌক্তিকভাবে আক্রমণ করলেন। এটা আপনি নানাজনকেই করে থাকেন। এক বিষয় নিয়ে ঝাল অন্যভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করে ঝেড়ে দেন!
আবার অকারাণে বহুবার অমুক তমুক আডমিন আপনার এই পোস্ট এই ওই সেই করেছেন বলে অভিযোগ করে গেছেন, নাম নিয়ে না নিয়ে দুমদাম অনেক কথাই বলে গেছেন, যার কারণ অর্থ কিছুই স্পষ্টভাবে বোধগম্য হয়নি।
আপনাকে ব্লগ আকসেস দিয়ে কোন দয়া কেউ করেনি, ভিক্ষাও কেউ দেয়নি, তার জন্য কেউ তেল দেওয়াও আশা করেনি খামোখা কেড়ে নেওয়ার কথাই বা আপনার কেন মনে হচ্ছে, তাও জানা নেই। আপনার এই অতিরিক্ত বিনয় বা অতিদুর্বিনীত রূপের দুই চরমে দোদুল্যমানতা অস্বস্তিতেই ফেলে, যদি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন।
মিডিয়া টেক্নলজির বাড়বাড়ন্ত আর মাস হিপনোটিজম হাতে হাত ধরে এগচ্চে। আগেও পলিটিশিয়ান - বুদ্ধিবৃত্তির নেক্সাস এটা করত, কিন্তু সীমিত বলয়ে। অশিক্ষিতের রান্ডমনেস তাকে কিছুটা ব্যালান্স করে দিত বলে, আফটার আ সারটেইন ফেজ অন্ধকার সরে যেত।
ইনফরমেশন টেক এসে অশিক্ষিতের রান্ডমনেস জিনিস্টা পুরো কাচিয়ে গুটিয়ে নিয়েচে, বেড় জাল দিয়ে পুকুর ঘেরার মত।
রান্ডমনেস কমে যাওয়া, রাস্ট্রের হাত শক্ত করে, বড় বিটকেল সময়।