একটা ছবি যদি দেন! খিল্লি না,কেমন করে ঐ কম্বি বহন করেন দেখতে ইচ্ছে করছে:-)
@পাই , হ্যাঁ - পৰিৱেশটা ও ফ্যাক্টর , ব্যাঙ্গালোরের ধুলোতে স্কার্ফ না জড়ালে মাথার চুল পুরো ধুলোর বস্তা হয়ে যায় , অটো চড়ে কোয়েক কিলোমিটার যেতে না যেতে |
আরে এইত্তো !! ডায়রেক্ট ছবি দেওয়া যাচ্ছে ! ডিডিদার আইমাগুর :)
পাঞ্জাবিটা কাটিয়ে দি , খুব ফর্মাল জায়গা না হলে। লুঙ্গি -ফুলশার্ট আর ওড়না :)
শর্বরী দত্ত থেকে আমরা গামছায় এসে পড়েছি:-)
এরপর কোনও তোয়ালেপ্রেমী এসে পড়লেই হবে।
পাহাড়িদের কাছে এসব অনেক পুরোনো ট্রাডিশন। ভুটানে বলে খাতগ বা চলতি কোথায় খাদা। সমস্ত সিভিল সারভ্যান্ট কে খতগ পরতে হয়। আমরা সরকারী উচ্চ্ পদের কাওকে মিট করার সময় পর্তুম। কোম্পানির সিইওর অভিষেক অনুষ্টানের আগে আমাদের ট্রেনিং হয়েছিল আদব কায়েদার। সেখানে , কীভাবে খাদা বাতাসে উড়িয়ে সামনে ছড়িয়ে নতুন সিইওর সামনে পেশ করতে হবে নিজেকে সেটাও একটা পার্ট ছিল। তখনি জেনেছিলুম , তিব্বতি কালচারে খতগ আসলে যুদ্ধাস্ত্র , হাতে ওই কিছু না থাকলে যোদ্ধা ওই কাপড়ের টুকরো দিয়েই ধারালো অস্ত্রকে আটকায়। তাই সেনাপতির কাছে , কারো সামনে খাদা খুলে পেশ করার অর্থ , আই এড এট ইওর সার্ভিস।
পুবের গামছা আর পশ্চিমের পাগড়ি মাঠে ঘাটে, রাস্তা হাটে একই কাজ করে, আলিসাহেব দেশে বিদেশে লেখার সময় বলে গেছেন।
একক আপনি ওড়না পরেন? মানে পাঞ্জাবীও?
বাঃ। জেনে সবিশেষ প্রীত হলাম:-))
আমি মাফলার গামোসা স্কার্ফ ওড়না চাদর , সব পরি। ইনফ্যাক্ট এসব ছাড়া এই এসিময় অফিস, জোলোহাওয়াময় বাহিরে সারভাইভ করতে পারবনা।
হুতো,এ কোন ফ্যাশান জানি না। আমার মামাতো বোনের বৌভাতে দেখলাম লম্বা এক সুদর্শন ভদ্রলোক হালকা নীল পাঞ্জাবী, ঘিয়ে ধুতি, আর জরির কারুকার্য করা একটা বাদামি ওড়নায় চলেফিরে বেড়াচ্ছেন।অস্বস্তিতে থাকতে না পেরে বলেই ফেললাম খুব বাজে লাগছে, গলা থেকে গামছাটা খোলো।কনের বাবা যেন আমার ছিছিক্কারের অপেক্ষাতেই ছিলেন:-))
গলায় গামোসা দেওয়া আসামের অতি পুরানো ট্রাডিশন।
এখানে সম্মান জানাতে পরিয়ে দেওয়া হয়।
কৃষকরাও পরেন, সমাজের সবচে উঁচুতে থাকা ব্যক্তিও।
এদিকে এত জমেছে এসব, সব আলাদা আলাদা ফুলের ডিজাইনে, ভাবছি এদিয়ে এবার অন্য জামাকাপড় বানাব।
তবে গলায় গামছা বাইরে রোদে বৃষ্টিতে মাঠেঘাটে বেরতে হলে খুবই কাজের জিনিস।
ব্যাপারটা কি খাড়াইল তা'লে? একক ওড়না পরে আর পাই মাফলার??
ওড়না দেখে টান মারেন ঃঃ( সামনে যাওয়া যাবেনা দেখচি ঃঃ/
ঐটা বোধয় বোম্বাই ফ্যাশন (গলকম্বল)
অভ্যু মইটা কে দেবে?
পাঞ্জাবী
মিঠুদির জন্যে https://chelsweets.com/wp-content/uploads/2019/03/Just-the-cake-1040x1560.jpg
গামছা মানে পাঞ্জাবি র ওপরে চাপানো ওড়না। যা দেখলেই ধরে টান মারতে ইচ্ছে করে( আমার)
এবার গামছা পরা আদুড় গা ইত্যাদির কোন উপকার হয় না তাও নয়। বোম্বের (আর আরো টাকা থাকলে প্যারিসের) ডিজাইনারদের তৈরী জিনিসপত্রের পাশাপাশি বাহারী পাড় বসানো ধুতি বা কাঁথা সেলাই করা পাঞ্জাবী একাসনে বসতে পারে - সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখালে সেসব যাঁরা বানান তাঁদের উপকার হয় বৈকি।
শর্বরীদত্ত ধুতি-পাঞ্জাবি নামক পোশাকটিকে নতুন করে বাঙালি সমাজে আবার করে ফিরিয়ে এনেছেন।দোকানে দোকানে এবং কম বয়েসি ছেলেপিলেদের মধ্যে ঐ পোশাকটি নিয়ে যে উৎসাহ তা অনেকটাই ওর জন্যে।বিশেষ করে নানা নকশা/কাঁথার কাজ এবং সেটাও যে একটা ফ্যাশান স্টেটমেন্ট হতে পারে এটা সত্যিই (ভেবে দেখলে)ওর একটা বড় কাজ।
ওর কাজের দাম বেশি। ক্রেতাও আলাদা কিন্তু ঐ একই ধরণের জিনিস অনেক কম দামে সর্বত্র পাওয়া যায় ( খাদিতেও)।
* রঙিনধুতি জিনিসটা দুচক্ষে দেখতে পারি না সেটাও ওর অবদান- কিন্তু এইযে একঘেয়েমিকে ভেঙে নতুন কিছু ভাবা এটার জন্যেও ভদ্রমহিলাকে মনে থাকবে।
তবে গলায় গামছা দেওয়াটা কে জনপ্রিয় করলো জানতে পারলে দুঘা দিয়ে আসতাম:-(
একটা জিনিস আমার মজার লাগে - বিবি রাসেল উপমহাদেশের অনেক গোষ্ঠীর হ্যানডলুম নিয়েই কাজ করেছেন, এবং অন্যান্য সংস্কৃতির মানুষ নিজেদের ঐতিহ্য আলোয় এলে গর্বিতই হন। কিন্তু কলকাতার সংখ্যাগুরু বাঙালীদের মধ্যে গামছা দিয়ে ফ্যাশন এইটা খুব হাসির কথা। তার ওপর বাংলাদেশি জানতে পারলে তো আরোই।
কলকাতার মত এমন প্রবল কলোনিয়াল হ্যাংওভার খুঁজে পাওয়া ভার, কলকাতা আমার সবচে' প্রিয় শহর যদিও।
শর্বরী দত্ত প্রসঙ্গেও ঐরকমই মনে হলো - ধুতি পাঞ্জাবীর ফ্যাশন নিয়ে ওঁর চিন্তা ভাবনা ব্যতিক্রমী তো ছিলই, নব্বইয়ের দশকে সেলিব্রিটি ফ্যাশন ডিজাইনার মহিলাও তেমন কেউ ছিলেন কী? ঐসবেরও তো দাম থাকে। শর্বরী দত্তের নামে কোন উইকি পেজও নেই। এও আশ্চর্য। রাম রে মারা যাওয়ার পর খুঁজছিলাম, এত বড় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, কোন উইকি পেজ নেই (এখন আছে, পরে হয়েছে বোধয়)।
নে সালা লকখিকান্তপুর লাইন বনগাঁ লাইনের ছোটলোকগুলো আর ট্রেনে চাপতে পারবে না।
কৃষি র যেটা ক্রাইসিস সেটা তৈরি করা, তার সমাধান হিসেবে যেটা বলা হচ্ছে সেটাও ক্লিয়ারলি ঢ্যামনামি।
বিদ্যাসাগর বিবেকানন্দ নিয়ে পাতার পর পাতা নিটপিকিং পরনে গামছা, আদুর গা-ওয়ালা ভারতবাসীর কোন কাজে লাগে ?
আমরা যা কিছু করি, পরি, তারই বা কতটা কি পরনে গামছা, আদুর গা-ওয়ালা ভারতবাসীদের কাজে লাগে !
π, হ্য়াঁ পরিস্থিতিতো পাল্টাচ্ছে আর সেই সাথে নিয়মকানুনগুলোও পাল্টাচ্ছে। সেটা জানি বলেই একটা অথেন্টিক সাইট চেয়েছি যাতে একেবারে আপডেটেড নিয়মগুলো উল্লেখ করা থাকবে। ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইট থেকে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে একেবারে ঘেঁটে ঘুগনি হয়ে গেছি।
অর্জুন
ড্যানিয়েল থর্নার সম্ভবতঃ ৬০ এর দশকের শেষের দিকে স্টেটসম্যানে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন যাতে ইশারা ছিল যে ভারতের কৃষিতে ক্যাপিটালিস্ট মোড অফ প্রোডাকশন শুরু হয়েছে। এটা কোয়ান্টিটিতে নগণ্য হলেও কোয়ালিটির প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ। এবং শীগ্রিই এর সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট বোঝা যাবে। উদাহরণ ছিল (যদ্দূর মনে পড়ছে অন্ধ্রে রিটায়ার্ড আর্মি অফিসার বা অন্য উচ্চবর্গের শহরে থেকে গ্রামে ফার্ম হাউস করে ওয়েজ লেবার লাগিয়ে ক্যাশ ক্রপের ব্যাপারটা।
কিছু বামপন্থী দুঃখ পেলেন। নয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব ছাড়া কি করে কৃষিতে পুঁজিবাদ আসে?
শুরু হল ইপিডব্লুতে বিখ্যাত মোড অফ প্রোডাকশন ডিবেট। প্রভাত ও উৎসা পট্টনায়েক, প্রসাদ পরেশ চট্টো আরও অনেকে।
জমিয়ে রেখেছিলাম কোথায় হারিয়ে গেছে। আজকে তিনটে কৃষি বিলের সন্দর্ভে ওগুলোর কথা খুব মনে হচ্ছে। জানতে চাইছি থর্নার দম্পতি বা ড্যানিয়েল কি পরে এটা কোন বই লিখে আরও দেভেলপ করিয়েছিলেন?