খ, গাদা গাদা নতুন মুখদের গান শোনানোর জন্য অজস্র ধন্যবাদ। বাই এনি চান্স, আপনি কি রবীন্দ্র-সুহৃদ প্রিয়নাথ সেনের পুত্র মিহির সেনকে চিনতেন? জাস্ট কৌতূহল বলতে পারেন আর কি।
আমি আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নিজের পোবোন্দের জন্য অন্তত তিন হাজার শব্দ না লিখে এ পাড়ায় আসব না!
বড়েস, আগে 'বাঙাল (উদ্বাস্তু)'টাকে সোশিও-পলিটিক্যালি ক্যাটেগোরাইজ করতে শিখুন। নতুবা আলোচনাটি উটের পাকস্থলী না হয়ে যাবে না। মানে পূর্ববঙ্গের সবাইকে একধারসে 'বাঙাল' কমিউনিটির ঝোলায় পুরে নিয়ে সংখ্যাগুরু ভেবে নেওয়ার অভ্যাসটাকে বিষবৎ ত্যাগ করুন। মতুয়ারা মোটামুটি পূর্ববঙ্গের ছ'টা জেলায় ছড়িয়ে ছিলেন। ১৮৮১-৮২র সেন্সাসের আগে তাঁদের সম্পর্কে সেখানকার মানুষদের আতাপাতা অবধি জানা ছিল না। ওই কারণে বাংলার লোকসংখ্যা এক লাফে দেড় কোটি বেড়ে যায়। ফলে যাঁরাই পূর্ববঙ্গ থেকে আগত তাঁরাই 'বাঙাল' - মানে এ কথাটা চরম মিথ্যেই নয়, নিজেদের পাপাচারকে আপাত-উদারতার কার্পেটের তলায় চাপা দেওয়ার প্রাণান্তকর অপচেষ্টা।
হ্যাঁ, কারা যেন অ্যানেকডোটের বদলে তথ্যসূত্র-ফুত্র চাইছিলেন? তো তাঁদের সন্তুষ্ট করতে এটা দেওয়া গেল - ১৯২৬। পরে যিনি 'বরিশালের যোগেন মণ্ডল' বলে বিখ্যাত হবেন, তিনি তখন বরিশালের ব্রজমোহন কলেজের ছাত্র। তাঁর এক নমঃশূদ্র সহপাঠী সেখানকার কালীবাড়িতে প্রবেশ করার 'অপরাধ' করে ফেলায় তাঁকে হিন্দুরা চরম অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। যোগেন মণ্ডল এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে জোরালো আন্দোলন শুরু করেন।
মানিকের 'ছিনিয়ে খায়নি কেন' আপনি গল্প হিসেবে পড়েছেন, ওঁরা সেটাকে নিজেদের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছেন। মাত্র ২১ বছরের মধ্যে ভোজবাজি ঘটে গেল আর তাঁরা কেবলমাত্র পূর্ববঙ্গ থেকে এ বঙ্গে আসার জন্য ওই হিন্দু 'বাঙাল'দের ভাই-বেরাদর হয়ে গেলেন? এবং ভবিষ্যতেও যাবেন বলে মুচলেকা দিয়ে দিলেন? হে হে ঘুড়ায় হাসব কত্তা!
টি, আপনি যেটাকে শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথের 'পুঁথি' সম্পর্কে বলা বাক্য হিসেবে ভেবে নিচ্ছেন, সেটা অত্যন্ত ভুল। রবীন্দ্রনাথ এ বিষয়টিতে এত খুঁতখুঁতে ছিলেন যে তিনি এ ব্যাপারে শুধু পোবোন্দোই লেখেননি, একই কথা সুধীন দত্তকেও পরিচয় পত্রিকায় ছাপার অনুমতি দিয়েছিলেন।
"আরে না না, আমি মিঠুনের কবিতার আপডেট খুঁজছিলাম। আর ঐ সব ডাটা দেখে কি হবে? প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরও তো জানা।"
তাই বলুন। :-)