@Pinaki: "সম্পাদক কনটেন্টে হাত দেবেন নাই বা কেন? আলবাৎ দেবেন। বিশেষত যখন একটা বিশেষ থীমে একটা বিশেষ সম্পাদকীয় অ্যাঙ্গেল থেকে লেখা চাওয়া হচ্ছে। "
এইটা হওয়াটাই স্বাভাবিক, বিশেষ করে যখন লেখক সম্পাদক উভয়ে যুগ্ম ভাবে একটি বিষয়ে লিখছেন বা লিখবেন বলে মেনে নিয়েছেন | এই একই ব্যাপার বই, বইয়ের চ্যাপ্টার, এমনকি জার্নাল আর্টিকেলে Acceptance এর পরেও আমার অভিজ্ঞতায় আমি হতে দেখেছি, লেখকরূপে, সম্পাদকের ভূমিকায়, বিশেষ করে যেখানে কন্টেন্ট নিয়ে এডিটোরিয়াল কমেন্টারির একটা নির্ণায়ক ভূমিকা থাকে | অনলাইন, মোটামুটি স্কলারলি , প্রকাশনায় আমি যতদূর দেখেছি (মূলত The conversation এ লেখার সূত্রে) সেটাই কনভেনশনাল।
সেক্ষেত্রে লাইভ হবার আগে লেখকের সম্মতি নেওয়া হয়।আনএডিটেড লেখা দিতে চাইলে লেখক নিজস্ব ব্লগে লিখে রাখতেই পারেন, Intellectual Property Rights এর শর্ত সাপেক্ষে |
গুরুচণ্ডালীর আমন্ত্রিত লেখাগুলোতে এই ব্যাপারটি কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে?
আমি কাউকেই উড়িয়ে দিচ্ছি না, দেওয়ার ঔদ্ধত্যও দেখাচ্ছি না। বাংলা বইয়ের প্রুফরিডার একটা এ৪ কাগজের প্রুফ দেখে পাতাপিছু ৭ টাকা (হ্যাঁ, টাইপো নয়) পান। পয়সা দেবেন একটি আর পালা শুনবেন অক্রুরহরণ? মানে চাওয়ারও তো একটা লিমিট থাকে!
বাকি রইল কপি এডিটর। ও জিনিস বাংলা বইতে নেই। ইংরেজি অক্সফোর্ডের বইতে একটি লেখায় জন শোরকে ভারতবর্ষের দ্বিতীয় গভর্নর জেনারেল হিসেবে মেনে নেওয়ার গাম্বাটপনার নিদর্শন আমার নিজের কাছেই আছে। সন্দেহ হলে বলবেন, নমুনা দিয়ে দেব। এবারে ধরুন আমার একটা লেখার কেবলমাত্র প্রথম পর্বের শব্দসংখ্যা ৪৮ হাজারের সামান্য বেশি। রেফারেন্স আছে সব মিলিয়ে ৩২৫ টা। তার অন্তত ৫% সেকেন্ডারি রেফারেন্স। মানে সব মিলিয়ে ৩৫০ রেফারেন্সের ধাক্কা। তার সঙ্গে প্রচুর সালতারিখ, দেশি-বিদেশি নাম, সংস্কৃত শ্লোক ও তার অর্থ, ইংরেজি চিঠি ও তার বাংলা অনুবাদ, পুরনো বাংলা ও ইংরেজি বানান। সেসব কে দেখবে? কে ঠিক করবে? মামদোবাজি! সেই এক্সপার্টাইজ একজন কপি এডিটরের থেকে প্রত্যাশা করা যায় নাকি প্রত্যাশা করা উচিত।
অনলাইনে প্রকাশিত লেখায়, মানে যে লেখা সম্পাদনা বিভাগের জন্য পাঠানো হচ্ছে, সেখানে লেখক-সম্পাদকের পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে লেখকের আপত্তি সমর্থন করি না। কিন্তু সেটা 'পারস্পরিক' হবে এবং তাতে দু'জনেই 'সহমত' হবেন। আর যে লেখা সে বিভাগে যাবে না, সেখানে লেখকের নিজস্ব পছন্দই শেষ কথা। তার ওপরে কারও সম্পাদনা করার অধিকারও নেই, সুযোগও নেই, দরকারও নেই।
স্মাইলির লেখা সম্পাদনা করতে আবার কে বলল?
আমি গোটা বিষয়টায় ঢুকতে চাইছিলাম না, কারণ গুরুর সম্পাদনার বিষয়ে আমার কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। আমি সম্পাদনার বিষয়ে কয়েকটা কথা এমন পার্সপেকটিভ থেকে বলতে চাইছি, যা কোনও ভাবেই এই ঘটনাটার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত নয়। এই ডিসক্লেমারটা না দিয়ে রাখলে অবধারিতভাবে অকারণ ভুল বোঝাবুঝিতে জড়িয়ে পড়তে পারি, যা আদপেই চাইছি না।
খ লিখেছেন --- লোকে লিখতে জানে না বলে গুরু তৈরী হয় নি, লোকে ছাপতে জানে না, মানুষের এক্সপ্রেসন কে সম্মান করতে জানে না, ডিস্ট্রিবিউট করতে জানে না, সব রকম লেখাকে এক জায়্গায় আনতে জানে না বলে তৈরী হয়েছে। প্রকাশনা জগতের বোগাস মস্তানি এবং তার বিপক্ষে আইডিওলোজিকাল ক্লোজার কে কমানোর জন্য তৈরী হয়েছে।
আমি এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। পাশাপাশি যাঁরা লিখছেন বা লিখবেন তাঁরা কেন লেখার কনটেন্ট সম্পর্কে যত্নবান হবেন না? কোথায় প্যারা ভাঙবে, কোথায় জুড়বে, প্যারার দৈর্ঘ্যের প্যারিটি - এটা তো মানে বেসিক বিষয় হওয়া উচিত প্রতিটি লেখকের, অন্তত যাঁরা সম্পাদনার জন্য লেখা দিচ্ছেন। আমায় বলতে পারেন, যিনি রবিশংকর বলকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখছেন তাঁর গোটা লেখাটায় তিনি লেখককে 'রবিশঙ্কর বল' লেখেন কেন? বা প্যারাগ্রাফ ভাঙার বা জোড়ার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র প্যারিটি থাকে না কেন? উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে বানানের বিষয়ে যত্নশীল হন না কেন? শেষ ক্ষেত্রটিতে একদম ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিখছি কিন্তু, যে লেখা গুরুতেই প্রকাশিত হয়েছিল।
সম্পাদক কনটেন্টে হাত দেবেন না। স্রেফ বানান, যতিচিহ্ন, সাজানো-গোজানো ইত্যাদি প্রভৃতিতে মনোনিবেশ করবেন। কিন্তু লেখকও লিখেই খালাস হতে পারেন না, লেখার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত বিষয়বস্তুগুলো সম্পর্কে যত্নশীল না হলে সম্পাদকদের অহেতুক খাটনি বাড়ে বই কমে না।
যাঁরা গুরুর সম্পাদনা বিভাগের সঙ্গে জড়িত তাঁরা কি দয়া করে জানাবেন এই যত্নশীল লেখকদের লেখা তাঁরা সব ক্ষেত্রেই পান কি না কিংবা যে সব লেখা তাঁরা নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে থাকেন তাতে অযত্নের ছাপ থাকে কি না? অবিশ্যি না জানালেও ক্ষতি নেই।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্তকে কিছু একটা সেকশন সম্পাদনার দায়িত্ব দেওয়া হোক। ধরা যাক অন্তত দুমাস। তারপর আবার ওপিনিয়ন নেওয়া যাবে। :)
ডিসি, ব্রতীনবাবুর কথা ধার নিয়ে বলি দিল পুরো গার্ডেন গার্ডেন হয়ে গেল!
আমার তরফ থেকে আপনাকে দুটো উপহার
এটায় শুধু আর ডি-র রিদম চেঞ্জটা খেয়াল করবেন। দুটোই মনোরঞ্জন সিনেমার।
পারলে শিবাংশুবাবুকে ডেকে নিন।