শুনেছেন হয়তো, পণ্ডিত যশরাজ আজ মারা গেছেন। খবর পেয়ে খুব মন খারাপ লাগছে ।
ভৈরব রাগের এই "চিজ" (?) টি শুনুন:
https://www.youtube.com/watch?time_continue=5&v=f2kKicGHpIg&feature=emb_logo
"যাগ্গে, সবই মায়া! ধুস্তোরি মায়া!"
এ কথাটার কি মানে?
"আমার মূল প্রশ্ন ছিল বৈদিক ধ্যান টেকনিকের থেকে বুদ্ধ নতুন কি করলেন যাতে করে উনি মোক্ষের অভিমুখটাই পাল্টে দিলেন"
আমি যতটুকু বুঝেছি বা পড়েছি, বুদ্ধদেব "insight meditation" প্রবর্তন করেন - যার আরেক নাম বিপস্যনা (?বিপাসনা) বলা যেতে পারে। সেখানে শরীর শুধুমাত্র গোড়ার কথা। তারপর অনুভূতি, মন, চেতনা, সব কিছুকে নিয়ে বুদ্ধদেবের ধ্যান। শুধুমাত্র শরীরকেন্দ্রিক নয়।
"এই প্রশ্নোত্তরটুকুই পাওনা।"
সেটাই । ওইটাই পাওনা!
ফেসবুকের কথায় মনে পড়ল, জুকারবার্গের হিয়ারিং
এর মুখের অবস্থাটা দেখবার মতন। ভিজে বেড়াল!
"মনের ফোকাস কোন বাহ্যিক দৃশ্য বা মূর্তিতে না রেখে নিজের শরীরে রেখে ধ্যান করা। কিন্তু নিশ্চিত নৈ ব্যপার এমোন সরল কি না!"
ব্যাপারটা কি জানি সরল/জটিলের নয় মনে হয়।
তবে বুদ্ধদেবের নিজের শরীরে মনোনিবেশ করে ধ্যান করার বিষয়টি অনস্বীকার্য | এবং শুধু শরীরে (বিশেষ করে নি:শ্বাসপ্রশ্বাসে মনোনিবেশ করেই নয়; এর সঙ্গে, "বেদনা" (মানে সূক্ষ্ম অনুভূতি, ভালো লাগছে, ভালো লাগছে না, না ভালো লাগা, না অন্য কিছু, neutral) | পর পর "চেতনা"র ধ্যান (মন মনকে দেখছে, মনের গভীরে লোভ, ঘৃণা, ভুল বোঝা - greed/hatred/delusion - কে "দেখতে পাওয়া" ), ও ধর্মের (Phenomenon) -এর ধ্যান, সতীপথ্থন (সতী + উপাথ্থন = স্মৃতি উপাসনা) এর এইটাই বক্তব্য ।
কালক্রমে, দ্বাদশ "আয়তন" (চেোখ + দেখা, কান + শোনা, নাক + ঘ্রাণ, জিভ + স্বাদ, ত্বক + স্পর্শ, বোধ + ধারণা), পঞ্চ স্কন্ধ (নাম-রূপ, বেদনা, সংজ্ঞা, সংস্কার, "বিজ্ঞান") এবং দ্বাদশ নির্দান চক্র সম্বন্ধে একটা বোধ জন্মায়।
:-)
ব্যবসা নয়, একক আসলে গল্পের আইডিয়া পেয়েচে। :) লিখে দিয়ে গ্যালো।