আজ দিদির বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলে দিচ্ছিল উনি ২০২১এর পরিণতির খানিকটা আঁচ পেয়েই গিয়েছেন। ভেতরে ভেতরে বেশ বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল দিদিকে। সেই অনমনীয় ঋজুতা, সেই সপ্রতিভতা সব হারিয়ে কেমন একটা ম্রিয়মান রূপ। মোদীকে রিসিভ করার সময়, পাছে সৌজন্যবশত নমস্কার করতে হয়, তাই হাতে একতাড়া কাগজ রেখে নিলেন কাজের অছিলায়। দিদি মাটির রাজনীতি করে উঠে আসা পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। গ্রাউণ্ড রিয়্যালিটি সম্পর্কে সম্যক অবহিত। গৌতম দেবের মতো ২০২১ ইলেকশনের পরে উনি লোক হাসাবেন না। কালিঘাটের ঘরটিতে দরজা বন্ধ করে ঠায় বসে থাকবেন টানা তিনদিন। আজ তার পূর্বাভাস পেলাম।
পাওনা র টাকা টা খুব দরকার
কেলাব গুলোকে মাথা পিছু দুদশ লাখ দিতে হবে আর ইমাম দের ভাতা ও বাকি
ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি | স্বাধীনোত্তর ভারতের বাংলার ইতিহাসে প্রথমবার কোনো বিপর্যয়ের 40 ঘন্টার মধ্যে নিজে এসে, সশরীরে পুরো ঘটনা ঘুরে দেখে, immediate 1000 কোটি টাকার অনুদান এবং মৃতদের পরিবার পিছু 2 লক্ষ টাকা ও আহতদের 50 হাজার টাকার প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে সাহায্যের ঐতিহাসিক ঘোষণার মাধ্যমে, আপনি প্রমান করলেন সত্যিই মোদি হ্যা তো মুমকিন হ্যা | আপনার শ্রীচরণে শতকোটি প্রণাম বাংলার সকল পীড়িত মানুষের পক্ষ থেকে | বাংলার মানুষের পাশে আপনি সর্বদাই আছেন আজ তা বাংলার মানুষ আবারও বুঝে গেছে এবং তারা আপনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই এর শপথ নিয়ে নিয়েছে | এই বিরাট কর্মযজ্ঞে আপনার দেখানো পথেই আমরা চলবো এই প্রতিজ্ঞা করছি | ভারত মাতার জয় হোক | বাংলা মায়ের জয় হোক |
ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-
প্রিয় ইন্দিরা, তুমি বিমানের জনলায় বসে,
গুজরাটের বন্যা দেখতে যেও না
এ বড় ভয়ঙ্কর খেলা
ক্রুদ্ধ জলের প্রবল তোলপাড়ের উপড়ে গেছে রেললাইন
চৌচির হয়েছে ব্রীজ, মৃত পশুর পেটের কাছে ছন্নছাড়া বালক
তরঙ্গে ভেসে যায় বৃদ্ধের চশমা, বৃক্ষের শিখরে মানুষের
আপৎকালীন বন্ধুত্ব
এইসব টুকরো দৃশ্য- এক ধরনের সত্য, আংশিক, কিন্তু বড় তীব্র
বিপর্যয়ের সময় এই সব আংশিক সত্যই প্রধান হয়ে ওঠে
ইন্দিরা, লক্ষ্মীমেয়ে, তোমার এ-কথা ভোলা উচিত নয়
মেঘের প্রাসাদে বসে তোমার করুণ কন্ঠস্বরেও
কোনো সার্বজনীন দু:খ ধ্বনিত হবে না
তোমার শুকনো ঠোঁট, কতদিন সেখানে চুম্বনের দাগ পড়েনি,
চোখের নিচে গভীর কালো ক্লান্তি, ব্যর্থ প্রেমিকার মতো চিবুকের রেখা
কিন্তু তুমি নিজেই বেছে নিয়েছো এই পথ
তোমার আর ফেরার পথ নেই
প্রিয়দর্শিনী, তুমি এখন বিমানের জনলায় বসে
উড়ে এসো না জলপাইগুড়ি, আসামের আকাশে
এ বড় ভয়ঙ্কর খেলা
আমি তোমাকে আবার সাবধান করে দিচ্ছি-
উঁচু থেকে তুমি দেখতে পাও মাইল মাইল শূন্যতা
প্রকৃতির নিয়ম ও নিয়মহীনতার সর্বনাশা মহিমা
নতুন জলের প্রবাহ, তেজে স্রোত-যেন মেঘলা আকাশ উল্টো
হয়ে শুয়ে আছে পৃথিবীতে
মাঝে মাঝে দ্বীপের মতন বাড়িও কান্ডহীন গাছের পল্লবিত মাথা
ইন্দিরা, তখন সেই বন্যার দৃশ্য দেখেও একদিন তোমার মুখ ফস্কে
বেরিয়ে যেতে পারে, বাঃ, কী সুন্দর
শুক্রবার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চল আকাশ পথে পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে আমফানের তান্ডবে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি এলাকা আকাশ পথে তারা হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করেন। ৩ টি হেলিকপ্টার ক্যানিং মহকুমা ক্যানিং-১ ও ২,বাসন্তী, গোসাবা ব্লক গুলিতে পরিদর্শন করে আকাশ পথে। পাশাপাশি কুলতলি ব্লক সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে তারা।
গত ২০ মে দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হয় ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডব। যত বেলা বইছে ঝড়ের গতিবেগ বাড়তে শুরু করে।রাত ১০ টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় আমফানের একটু গতি কমতে থাকে। আমফানের তান্ডবে সুন্দরবনের বেশ কিছু নদী বাঁধের ভাঙন ধরে। বাড়ে নদীর জলের উচ্চতা। কয়েক লক্ষ গাছপালা পড়ে যায়। পড়ে যায় বহু ইলেকট্রিক পোল,তার। ভেঙে পড়ে বহু ঘরবাড়ি। এদিকে হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে প্রথমে আকাশ পথে ক্যানিং পরিদর্শন করে বাসন্তী, গোসাবার দিকে রওনা দেয়।
ভোডাফোনের কানেকশন চলে এসেছে।আমাদের এদিকে মানে উত্তর কলকাতায় বেশ কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ এর যোগাযোগ ছিন্ন।মূলত বেশ কিছু বড় বড় গাছ শিকড় উপড়ে পরে গেছে। পড়বি তো পড় লাইটপোষ্টের ওপরে গিয়ে পড়েছে।
কলকাতা পুরসভা ও স্থানীয় মিউনিসিপ্যালিটি গুলো দারুন কাজ করেছে।এই লক ডাউন এর বাজারে,মোটামুটি গাছ পালা,ভাঙ্গা ডাল সরিয়ে,রাস্তা পরিষ্কার করে দিয়েছে।জল সাপ্লাই ঠিক আছে।বিদ্যুৎ এর কানেকশন আজকের মধ্যেই চলে আসা উচিত। লোকজন ভয় পায় নি।
আর পকেট কাটা কেন্দ্রীয় সরকার বা জাতীয় মিডিয়া কিছু রা কাটবে না।স্বাভাবিক।ওগুলো গা সওয়া হয়ে গেছে।