করোনা রোধে ঈদের জন্য লকডাউন শিথিল যেন না হয়, এ বার্তা দিয়েছেন ইমামরা। আর সেই ‘প্রচেষ্টার’ প্রশংসা করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা। ওই একই পথে হেঁটে ইমামদের ভূমিকার প্রশংসা করছেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতারা।
বিজেপির প্রবীণ নেতা, আরএসএস ঘনিষ্ঠ মোর্চার রাজ্য সভাপতি আলি হোসেন জানান, ইমামরা যেভাবে মাদ্রাসাকে কোয়ারেন্টাইন করার কথা বলছেন, যেভাবে ঈদের বাজার এড়িয়ে যাবার পরামর্শ দিচ্ছেন তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। শুনলাম ইমাম সাহেব মসজিদকে কোয়ারেন্টাইন করার পরামর্শ দিয়েছেন। আজকের দিনে করোনা রোধে ইমামদের এই উদ্যোগ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য
ওই বিজেপি নেতা আরও বলেন, ইমাম মৌলানারা দেশের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামে বড় ভূমিকা রেখেছে। আজকের দিনেও বড় পদক্ষেপ নিচ্ছেন। দেশপ্রেমী এইসব ইমামদের ধন্যবাদ জানাই।
বিজেপির মাইনোরিটি মোর্চার আরেক নেতা শামসুর রহমান জানান, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের ব্যতিক্রম নয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে এর মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে। ইমাম সংগঠন যে মাদ্রাসাগুলোকে কোয়ারান্টাইন সেন্টার করার প্রস্তাব দিয়েছেন তাদের প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানাই। ইসলাম সমস্তরকম কুসংস্কারের উর্দ্ধে।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার করোনা সঙ্কট থেকে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। বুধবার অর্থমন্ত্রী প্রথম দিনের প্যাকেজ ঘোষণা করলেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৪১৭ কোটি টাকা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, এই টাকা যেন করোনা মোকাবিলায় খরচ করা হয়। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ আমরা চাইব করোনা যুদ্ধে যেন এই টাকা খরচ করা হয়। এই টাকা পেয়েও দিদিমণির আনন্দ নেই। কারণ টাকাটা উনি হাতে পাচ্ছেন না।
দিদিমণির ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ চেয়েছিলেন। মোদিজি ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা ও করেছেন। তাও দিদির আনন্দ নেই। ও কারণ টাকাটা ওঁর হাতে আসছে না। কাটমানি পাবেন না, তাই দিদির কষ্ট হচ্ছে।’ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা ও অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন নতুন ভারতের যাত্রা শুরু হল, স্বনির্ভরতার পথে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জিডিপির হিসাবে দু ধরণের পরিসংখ্যান দেওয়ায় সমালোচনা করেন।
দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ‘ বিভিন্ন রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফেরার পর তাঁদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। অসম সরকার, ওড়িশা সরকার ২ হাজার টাকা করে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। আমাদের রাজ্য এখনও কোনো ঘোষণা করেনি। আমার প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী কোন প্যাকেজ ঘোষণা করবেন না। শুধু ভাষণ দেবেন? উনি বলছেন, শ্রমিকদের কোথাও যেতে হবে না। এখানে কাজ না পেলে বাইরে না গিয়ে কি করবেন? খাবেন কি? কোন পরিকল্পনা নেই, খালি রাজনীতি।’ এদিন দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ‘ সারা বিশ্বের নিরিখে আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণায় ভারতের ৪নম্বরে। প্রথমে জাপান, তাদের জিডিপির ২১,১ শতাংশ, আমেরিকা ১৩, জার্মানি ১০.৭, ভারত ১০ শতাংশ।’
বিজেপি-র এনএফআইটিউ-র পক্ষ থেকে বুধবার এনজেপি-র রাম নগর কলনিতে প্রায় ৫০০ লোককে রেশন দেওয়া হয়।
এদিন বিকালে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রবীন আগরওয়ালা, সাদারণ সম্পাদক রাজু সাহা প্রমুখ। প্রবীনবাবু বলেন, ‘লক ডাউনে বহু মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। কেননা রাজ্য সরকার ঠিকমতো রেশন দিচ্ছে না। গরীব মানুষের জন্য কেন্দ্র সরকারের বরাদ্দ করা রেশন তৃণমূল লুট করছে। তাই আমরা এবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে গরীব মানুষকে খাদ্যর সামগ্রী দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’
এর মধ্যে আবার শুনলাম একজন আরেক জনকে সুধাচ্ছে
এই যে উচ্চমেধা আর্টিকুলেট সেজে গুরুচন্ডালি তে ভ্যারভ্যাড় করে জ্ঞান উগরে দিয়ে দেশোদ্ধার করার ঢেকুর তুলে ঘুমোতে যাও
বলি , বাড়িতে জানে ?
অর্জুন | 162.158.165.55 | ১৪ মে ২০২০ ০১:০৪
কঠিন সত্য