নিউকাসল ইউনাইটেড এর মালিকানা বদলের ভবিতব্য
"আমেরিকায় যাদের কাজ চাই তারা অন্তত প্রোটেস্ট করতে পারছে। কিন্তু আনফরচুনেটলি ভারতে যাদের কাজ চাই তারা প্রোটেস্ট করার জায়গায় নেই। ভিক্ষা এবং অন্যের করুনাই সম্বল।"
এই প্রোটেস্টগুলির পেছনে রাইট উইং ফান্ডিং আছে। কাজের অধিকারের জন্যে প্রোটেস্ট করতে আসছে এরকম মোটেও নয়।
উত্তর মুশকিল জানি।কিন্তু একটু বুদ্ধি খরচ করে সহমর্মিতা নিয়ে কাজ করলে অনেক কিছুই এচিভ করা যায়।যেমন ধরুন পেপারে দেখেছেন, একটা হাসপাতালে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে হাসপাতাল কিছুদিনের জন্য বন্ধ করতে হচ্ছে।
এবার বলুন,ওই হাসপাতালে দিনে 500 লোকের চিকিৎসা হলেও,চারদিন বন্ধ থাকলে 2000 লোক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকলো।
ভাবুন একটা বড় দেশে এরকম কতো হাসপাতাল সাময়িক বন্ধ করা যাবে?
এজন্যই বলেছিলাম কিছু হাসপাতাল স্রেফ করোনা চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক।এটা কলকাতা বা নিউ ইয়র্ক দুটো শহরের জন্যই এপ্লিকেবল। প্রচুর প্রচুর টেস্টিং করে ইনফে কটেড জনতা কে আলাদা করা হোক।
গতকাল হু বললো রি ইনফেকশন হতে পারে।খুব সত্যি কথা হতেই পারে।কিন্তু এর ব্যাপকতা কতোটা? মানে রি ইনফেকশন কি নতুন স্ট্রেন এর জন্য হচ্ছে?টেস্ট ভুল করার জন্য হচ্ছে ? বা,যাদের হচ্ছে ,তাদের কতো শতাংশ সিভিয়ার কোভিড ডিজিজের শিকার হচ্ছেন?
একটু বিশদে বললে ভালো হতো। নয়তো স্বাস্থ্য কর্মীর মনোবল হারিয়ে ফেলবেন। যেসব স্বাস্থ্য কর্মী নিউ ইওরক এর মতো সিটিতে রাত্রিদিন পরিশ্রম করে , করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন,তারা কিভাবে সেরে ওঠার পর কাজে জয়েন করবেন?
মিডিয়া এসব জিনিস হুড়ুমতাল প্রচার করতে থাকলে,সাধারণ মানুষ এর জন্য আর লক ডাউন প্রেস্ক্রাইব করতে হবে না।নিজেরাই খিল এঁটে বসে থাকবে।
ক
@S
চক্রান্ত-টক্রান্ত কিছু বলিনি। লকডাউন হবে কি হবে না, কতদিন পর্যন্ত চলবে, কবে থেকে খুলে দেওয়া হবে, এইসব সিদ্ধান্ত প্রিভিলেজড ক্লাসের দিকে তাকিয়ে নেওয়া হবে। পৃথিবীর সব জায়গাতেই। এতে কোন ডাইলেমা নেই। গোটা অপ্টিমাইজেশন প্রক্রিয়াটায় নিম্নবিত্তের কোন ভূমিকা নেই। পলিসি ঠিক হয়ে যাবার পর তাঁরা বাঁচলে বাঁচবেন না বাঁচলে না বাঁচবেন। এখানে যদি বলি ডাইলেমা আছে, সেটা নিজের স্বার্থপরতা ঢাকতে খামোখা নিম্নবিত্তকে কনস্ট্রেন্ট খাড়া করা। এইটুকুই আপত্তি।
কুলদা রায়ের স্ত্রী, নিউ ইয়র্কের এক হাসপাতালে কজ করেন, করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেরে উঠছেন এখন।
ইকনমি বাঁচাব না মানুষ বাঁচাব, এটা কোন ডাইলেমাই নয়। অন্ততঃ ক্যাপিটালিজমের ইতিহাস এই ডাইলেমাকে কোনদিন স্বীকার করেনি। করোনার বদলে যদি ভয়ানক যুদ্ধে লোক মরত, তাইলে কি এত ওয়ার্ল্ড টুগেদার মার্কা নাটক হত? ঘন্টা হত। সারা পৃথিবীর উচ্চমধ্যবিত্ত ন্যাচারাল ডিজাস্টার খুব ভালবাসে। বেশ আহা আহা করা যায়।
একদম সঠিক কথা।করোনা এমন একটা অদ্ভুত জিনিষ,যেটা একটা অ্যাঙ্গেল থেকে দেখলে অন্য অ্যাঙ্গেল এর দিক থেকে অনেক প্রশ্ন জন্ম দেয়।
চীনে এখন সংক্রমণ এতো কম কেন?
প্রায় মাস খানেক এর ওপর হয়ে গেলো কিন্তু ভারতে সংক্রমণ বিরাট ভাবে বাড়ে নি।অন্তত হাসপাতাল গুলো ছাপিয়ে পড়ছে না সিভিয়ার করোনা আক্রান্ত কেসে।এ চিত্র কিন্তু নেপাল,পাকিস্তান,বাংলাদেশ,শ্রীলঙ্কা সর্বত্র।
শ্রীলঙ্কা তো লক ডাউন তুলে নেবার কথা ভাবছে।খুব ই ভালো জিনিস।।
আজকে 20 শে এপ্রিল।কেন্দ্রীয় সরকার কিছু কিছু অঞ্চলে আংশিক লকডাউন তোলার পরিকল্পনা জানাবে।এতেবকরে বসে থাকা শ্রমিক ও কৃষক কাজ করে, দুটো পয়সার মুখ দেখবে।
অন্য দিকে করোনার আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে।অন্তত একটা গ্রিন ক্লাস্টার ও একটা রেড ক্লাস্টার ধরে গণ হারে টেস্ট করে দেখতে পারে,ইনফেকশন এর রেট কতো?জাস্ট ফর একাডেমিক পারপাস।
A-Z,কুকুর পোষা বা কুকুরের মাংস খাবার সঙ্গে সম্ভবত বিশেষ কোন সম্পর্ক নেই
কারণ চীনে,বিস্তর কুকুর খাওয়া চলে।
ইওরোপের ছেয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে কুকুরের সঙ্গে মানুষে কনট্যাক্ট বেশি।কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে সংক্রমণ কম।