পিয়ার্স মরগ্যানকে প্রায় দেড় দু দশক ধরেই দেখছি। পুরোন পাপী কেন? পুরোন দিনে কী পাপ করেছিল তা অবশ্য জানি না, আমার তো বেশ ভালই তো লাগে। দেখতে শুনতেও স্মার্ট হ্যান্ডু।
সোমরাজবাবু কি আগে অন্য নামে লিখতেন এখানে কোভিড১৯ পূর্ববর্তী সময়ে?
পিয়ার্স মরগ্যানের প্রথম ভিডোটা দেখলাম, আপত্তির কিছু পেলাম না তো। সত্যি কথাই তো বলল।
কুকুর?
আছি স্যার
আটোজ , সে দি , অর্জুন আছো?
সেই অপশন ও রেডি, যেদিন বুঝবো পাড়ার মহিলাদের দিয়ে আর চলছে না সেদিন ই রান্নাঘর এর ঠিকানা হবে ওই গ্রামে যেখানে খাবার বন্টন করা হচ্ছে
কলকাতায় প্রায় অধিকাংশ অঞ্চলে অনেকে উদ্যোগ নিয়ে এ কাজ করছে। তাই পথে পড়ে থাকা মানুষ গুলো খেতে পারছে।
আজ এখানে একজন মুম্বইয়ের কথা বলছিলেন। মুম্বাইয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রতিদিন ১০০০ জনের অপর মানুষকে লাঞ্চ খাওয়াচ্ছিল। টিভিতে বেশ কয়েকবার দেখিয়েছে তাদের। তারাও জন সাধারণের কাছ থেকে সাহায্য চাইছিল। নামটা মনে করতে পারছিনা।
এখানে অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবঙ্ঘ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। তাদের সকলকে আমাদের গ্রুপ এবং আমার তরফ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ওয়াটসঅ্যাপ ও ইমেলে যারা যোগাযোগ করেছেন তাদের অনেককে উত্তর দিতে দেরী হয়েছে।
বাড়ি থেকে বারোটা, সোয়া বারোটার মধ্যে বেরোতে হচ্ছে। গড়িয়াহাট থেকে মিজানুর আমাকে বাইকে তুলে নেয়। তারপর খাবার দেওয়া শুরু হয়।
আজ দুটো ঘটনা ঘটল। বালিগঞ্জ নিউ মার্কেটের কাছে একজন অন্ধ পথবাসীর সন্ধান পেলাম যিনি মোদীর জয়গান করল,। মোদীকে নিয়ে সে গান রচনা করেছে। গেয়েও শোনাল।
ঠিক পিছন, পিছন পুলিশ এসে দাঁড়াল । তাদের জিজ্ঞাস্য আমরা এখানে কি করছি! তবে পুলিশ ঝামেলা কিছু করেনি। তা দের থেকে যে খবরটি পেলাম সেটা হল, এই পথবাসীদের শেলটর হোমএ থাকার ব্যবস্থা করলেও তারা সেখানে থাকতে চাইছেনা। বেরিয়ে যাচ্ছে বা পালিয়ে যাচ্ছে। আসলে পথে এদের এক প্রকার স্বাধীনতা আছে। রাস্তায় থাকলে অনেকে এসে খাবার দিয়ে যায়। সেটা তারা ছারতে নারাজ। আমাদের সামনেই এক মহিলা গোলপার্কে যাকে খাবার দিলাম তাকে ফল ও মুড়ির প্যাকেট দিয়ে গেল।
হাজরা রোডে একজন ক্যান্সার রুগী পড়ে ছিল অনেকদিন। তার ধারে কাছে কেউ জায় না। মিজানুর প্রশাসনকে জানিয়েছিল। আজকে পুলিশকেও জানানো হল। আজ ওই পথ দিয়ে যেতেই শুনলাম গতকাল সন্ধ্যাবেলা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
পথের অভিজ্ঞতাই অন্যরকম।
অবাক লাগছে পাড়ার মহিলারা রোজ নিজেরাই 3টের সময় এসে হাজির হচ্ছে, নিজেরাই ছুড়ি এনে নিজেরাই কাটাকুটি শুরু করে দিচ্ছে ।
আমি চিরদিন বিশ্বাস করি মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।
তবে খরচ 1500 তে আটকে নেই 2600 র বেশি হচ্ছে প্রতিদিন, কাল আবার গ্যাস সিলিন্ডার নিতে হবে সেটাও 900 টাকা , তবে রান্নাঘর আপাতত থামছে না।
শুধু আর একটা বড় 50 কিলোর গামলা চাই, একটা পেয়েছি পাড়ার শিব মন্দির থেকে ফ্রি তে, কিন্তু একটায় এত হয় না, আর আসেপাশে র সব বাড়ি মিলিয়ে 4 টে গামলা পেয়েছি সেই দিয়েই চালাচ্ছি।