এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Somraj Sur | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২৩:০৭442676
  • বয়স 10 এর কম ছোট ছোট খান 40 ছেলেমেয়েদের একটা দল আজ আমায় ঘিরে ধরেছিল পাশে তাদের শুকনো শুকনো মা গুলো, বাবা গুলো হয়তো লজ্জ্যায় হয়তো ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে ছিল, মা দের তো ভয় লজ্জায় থাকতে নেই এদেশে যখন ওই ছোট ছোট মুখগুলোর জন্য খাবার খোঁজার দরকার হয়।

    আসলে একটা লিষ্ট পেয়েছিলাম দিল্লির সুবীর দার থেকে যে 16 টা বাঙালি পরিবার মূলত মেদিনীপুর এর মানুষ আটকে আছেন আমার বাড়ির পিছনের গ্রাম টায়, তাদের যদি আমি শুকনো খাবারের প্যাকেট বানিয়ে পৌঁছে দিতে পারি, রাজি হয়েছিলাম কিন্তু আজকের পরিস্থিতি যা দেখলাম আগে জানলে রাজি হতাম না।

    একটা বাচ্চা মেয়ে জানেন আমার কাছে এসে নিজের ওড়না পেতে বললো " আমাকেও একটু কিছু দাও, আমার নাম লিষ্টে তো নেই তাই অত কিছু চাই না একমুঠো চাল দিলেই হবে ".

    পারলাম না দিতে জানেন, মাত্র 16 টা পরিবার যাদের একেকটি পরিবারে ৩ বা ৪ বা ৬ জন করে আছেন, কেউ ড্রাইভার কেউ জুতো সেলাই করেন কেউ লোকাল ফ্যাক্টরি তে দিন মজুর আবার কেউ ভ্যান চালান। এদের প্যাকেট থেকে খুলে কি করে দেব আর দিলে এদের চলবে কি করে জানিনা তাই না করে দিলাম জানেন ওই বাচ্চাটাকে।

    অমৃতা কেঁদে ফেলেছিল আমায় বারবার বলছিল দাও না গো একটু দাও, কিন্তু যাদের দিতে গেছিলাম তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখলাম ওরকম ই ছোট ছোট ছেলেমেয়ে সবার বাড়িতে আছে, খুব খুশি আজ গরম ভাত খাবে রাতে, দুপুরের শুকনো ঠান্ডা ভাত আর ডাল এর জন্য ওদের মা রাও লাইনে দাঁড়াচ্ছে সকাল 9 টা থেকে।

    জানিনা কি হতে চলেছে, এদিকে সরকার রেশন কম দিয়ে রোজ খাবার দিচ্ছে, ডাল আর ভাত, লাইন পড়ছে 400 বা 600 জনের, হাতে কৌটো বা বাটি, কোলে বাচ্চা, রাস্তায় বসে আছে, শুধু খাওয়ার জন্য, শয়ে শয়ে, আসলে আমার বাড়ির পিছনের অঞ্চল টা ফ্যাক্টরি এরিয়া, বাচ্চাগুলো রুগ্ণ, মা গুলো রোগা শুকনো, অন্তত 40 টার বেশি কোলের বাচ্চা আন্দাজ করলাম, জানিনা মা এর বুকের দুধ কতটা পাচ্ছে, বেবি ফুড কেনার সামর্থ নেই আর এখন কলকাতা জানিনা কেন দিল্লি তে সব কিছুর বেশি দাম নিচ্ছে।

    শুরুটা এভাবে হয়নি, লকডাউন এর প্রথম কয়েকদিন এলাকার লোকেরা আলু চাল আটা বিলি করছিল, কিন্তু 10 বা 12 দিন পর আর সেটা চললো না, মানুষ হুজুগে মেতে উঠে কিন্তু অল্পেই ক্লান্ত হয়ে যায়, খোঁজে নতুন হুজুগ।

    রেশন দোকান সপ্তাহে তিন দিন খুলছে, শয়ে শয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকছে, তাও কিছু সাহারা হচ্ছে অস্বীকার করব না, কিন্তু কতটুকুই বা, আর দিল্লির 80% বাসিন্দা ভিন রাজ্যের, তার 90% এর রেশন কার্ড নেই, টেম্পোরারি কুপন দিল্লি সরকার অনলাইনে দেবার দাবী করেছে কিন্তু সাইট টা যে কোন সময় অফ হয়ে থাকে, কানেকশন নেই।

    শুরুতে মাত্র দুদিন জনা 50 এক কে দুধ দেওয়া গেছিল, এখন ও রাস্তায় দেখতে পেলে মিষ্টি করে হাসে , বুঝতে পারি ওদের কষ্ট টা, সকাল 9 টা থেকে দুপুরের খাবারের লাইন পরে, আবার বিকেল থেকে রাতের।

    তবু খেতে পাচ্ছে, কথা বললে বলছে রাজস্থানের বা ঝাড়খণ্ড বা যে যেই রাজ্যের, গ্রামে থাকলে তো খেতেও পেতাম না।

    এরা কিন্তু কেউ ভিখিরি নন বিশ্বাস করুন, বাচ্চাগুলো কিন্তু একবার ও হাত পাতেনি শুধু করুণ চোখে তাকিয়ে থাকে আর বাবা মা গুলো অল্প করে হাসে।

    আসলে দিল্লি র গ্রাম গুলো আমাদের পরিচিত গ্রামের মতন নয়, দিল্লি রাজ্যে মোট 165 টার মতন গ্রাম আছে, সেখানেই থাকে মূলত ভিন রাজ্যের খেটে খাওয়া গরিব মানুষ, বস্তি ও আছে, তবে সেগুলো মূলত 3 বা 4 তালা বিল্ডিং, এক একটা ফ্লোরে 4 বা 5 টা করে ঘর, একেকটা ঘরে একেকটা পরিবার, ঘরেই রান্না, ফ্লোরে একটা করে কমন বাথরুম পায়খানা, আর যেহেতু শহরে ফ্যাক্টরি বানানো নিষেধ তাই গ্রাম গুলোর জোট বাড়ি আছে তার 70% ই ফ্যাক্টরি, ছোট ছোট ইউনিট, ফ্যানের কয়েল, পাম্পের কয়েল, ফুড প্রসেস মেশিন, আলমারি বা ফার্নিচার বনছে, প্লাস্টিকের জিনিস এসব ই মূলত।

    লোকগুলো র মাইনা রোজের হিসেবে, আর এখন ফ্যাক্টরি বন্ধ। ভ্যানে করে যারা সবজি বেচত তারাও চেষ্টা করছে পুলিশের লাঠি উপেক্ষা করে ব্যবসা চালানোর।

    যাও বা যেন তেন করে খাবার যোগার হচ্ছে মূল সমস্যা টা হল মহিলাদের, হাইজিনিক পরিস্থিতি নেই, স্যানিটারি ন্যাপকিন নেই, কোলের বাচ্চাগুলো র খাবারের কোন ঠিক ঠিকানা নেই।

    লাইন প্রতিদিন বাড়ছে জানেন আর প্রতিদিন বাড়ছে খাবার শেষ হয়ে যাবার পরে খালি বাটি হাতে করে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা।

    তাই একটা পরিকল্পনা করেছি, নিচে দিলাম।

    দিনে 1500 টাকায় 150 থেকে 180 জন কে একবেলা খাওয়ানো সম্ভব।

    মূলত যারা লাইনে দাঁড়িয়ে ও খেতে পাচ্ছেন না তাদের জন্য।

    কয়েকজন বলেছেন দেবেন কিন্তু যদি 3 তারিখ মানে 17 বা 18দিন রোজ চালাতে পারলেই শুরু করবো নয়তো নয়।

    প্রথম দিন দিয়েছি 25কিলো চালের ভাত, 8কিলো ছোলে 3কিলো টমেটো আর 3কিলো পেঁয়াজ এর সবজি।

    দ্বিতীয় দিন দিয়েছিলাম 25কিলো চাল 8কিলো ডাল 6কিলো আলু 3কিলো টমেটো আর 3কিলো লৌকি দিয়ে খিচুড়ি

    তৃতীয় দিন মানে আজ ছিল 25 কিলো চালের ভাত 17 কিলো আলু 7কিলো টমেটো দিয়ে সবজি,
    প্রতিদিন পরিমান মতন নুন হলুদ লঙ্কা গুঁড়ো শুকনো লঙ্কা কাঁচা লঙ্কা জিরে ধোনে গুঁড়ো গরম মসলা, আজ তো আলু টমেটোর সবজি তে কস্তুরী মেথি ও দিয়েছিলাম,

    রোজ প্রায় 250 থেকে 300 লোক খাচ্ছে

    ও হ্যাঁ আজ 2ট্রে ডিম সিদ্ধ ও করে নিয়ে গেছিলাম শুধু বাচ্চাদের জন্য

    কে কে পাশে থাকতে চান জানাবেন, খরচের রিসিট না হোক একনলেজ করে দেব যতটা পারবো
  • Somraj Sur | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২২:৫৮442674
  • মিলাপ 25650 দেখাচ্ছে কিন্তু মিলাপ অনেক টাকা কেটে নেয়, আমি মাত্র 23800 ব্যবহার করতে পারবো। 

    টাকা গুগল পে নাম্বার 7584078270 অমৃতা বিশ্বাস এর নামে, আমার স্ত্রী। 

    নয়তো এইচডিএফসি র ডিটেল দিয়ে দেব

  • S | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২২:৪৯442673
  • আপনাদের কাজের ব্যাপারটা কাইন্ডলি একটু বিশদে লিখুন।
  • S | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২২:৪৮442672
  • আপনাদের টাকা পাঠাতে গেলে কি করতে হবে?
  • Somraj Sur | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২২:৪২442671
  • ফেসবুকের বন্ধুদের থেকে উঠেছে আর ও প্রায় 16800 টাকার মতন, সেই সব মিলিয়ে ই চলছে।

    আজ বানিয়েছিলাম 25কিলো চালের ভাত, 18 কিলো আলু, 7কিলো টমেটো দিয়ে সবজি। 

    আর 2 ট্রে ডিম সিদ্ধ করে নিয়ে গেছিলাম শুধু বাচ্চাদের জন্য। 

    আলু টমেটোর ঝোল এ একটু কস্তুরী মেথি ও দিয়েছিলাম। সাথে নুন হলুদ শুকনো লংকা কাঁচা লঙ্কা ধোনে জিরে গরম মসলা আর তেল তো ছিলই। 

    লোকে খুব খুশি হয়ে খেয়েছে। 

  • অপু | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২২:২৬442670
  • বোধি দা, শ্রাবণী দির নাম্বার তোমাকে WA করলাম।

  • quark | 14.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২২:২৩442669
  • শোনা যাচ্ছে

    ১) হেল্পলাইনে ফোন করলে কেউ ধরছে না

    ২) আইডি ও বাঙুরে চরম অব্যবস্থা। রোগীদের ঘন্টার পর ঘন্টা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীরা (বলতে খুব খারাপ লাগছে) বেশ অসহযোগিতাই করছেন।

    ৩) রাজারহাটের নিভৃতবাসেও নাকি লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে।

    এগুলো ফেসবুকে পাওয়া/প্রতিবেশীর কাছে শোনা (তাঁর পরিচিতের কাছ থেকে সরাসরি পাওয়া অভিজ্ঞতা)
  • হখগ | 108.162.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২২:০৩442667
  • সর্বাণী , গুরু কার কাছে তোমার ফোন নং বা ইমেল পাবো? কোন সম্ভাব্য কমন ফ্রেন্ডস?
  • হখগ | 108.162.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২০:৪৯442666
  • হয়তো খুব কষ্ট করে চালাচ্ছেন
  • হখগ | 108.162.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২০:৪৮442665
  • একবার ফোন করে দেখতে পারেন।
  • quark | 14.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২০:০৯442664
  • আচ্ছা এই সোমরাজ/অমৃতা ও মিলাপের কথাটা যখন উঠলো, একটা অস্বস্তির কথা বলেই ফেলি। ওদের সাইটটাতে দেখাচ্ছে এ পর্যন্ত (মাত্র) ২৫,৬৫০/- (৯ জন) উঠেছে। একটু কম নয়?
  • Sarbani | 108.162.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৯:২১442663
  • দে, বেশ। হ্যাঁ, আমরা ভালো আছি। এমনি ছত্তিশগড়ের নাম্বার কম কিন্ত এখান থেকে এক ঘন্টার দুরত্বে হটস্পট। লকডাউন ভালোই পালন হচ্ছে।

    তোমরাও সাবধানে থেকো। মুনিয়া তোমার কাছে, এটা খুবই ভালো হয়েছে।

    আমি আজকাল ফেবু খুব বেশী দেখিনা, মাঝে একেবারেই দেখতাম না। এখানেও দেখলে ভাটের প্রথম পাতাই হয়ত দেখি। তোমার পোস্টটা চোখে পড়েছিল। একজনের সঙ্গে কাল কথা হচ্ছিল দিল্লি নিয়ে, তখন বম্বের কথাও উঠল, তাই আজ লিখলাম। কথা তবে বন্ধ হবে না, কথারা নিজেই ঠিকঠাক কথা বলার লোক খুঁজে নেবে। :) 

  • অপু | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৮:২০442661
  • 11:40 মিস করে গিয়েছিলাম । অর্জুন মনের কথা বলে দিয়েছো ভাই।

  • S | 108.162.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৮:১২442660
  • আপনারা কেউ হু আর গ্লোবাল সিটিজেনের ওয়ান ওয়ার্ল্ড টুগেদার অ্যাট হোম দেখলেন?
  • de | 172.69.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৮:০৬442659
  • শ্রাবণী,

    বম্বেতে আমি কিছু গ্রুপকে অলরেডী চিনি - তাদের সাথেই যোগাযোগ করেছি -

    তোমরা ভালো আছো তো? আমি ফেবুতে যাবার সময় পাইনা - তাই আজকাল আর কথা হয়না -
  • lcm | 172.69.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৫:২৯442656
  • এ এক কনফিউশন, কঠিন ডিসিশন, কঠিন সময় - -
    ... ...
    Facing rising unemployment and with many of their citizens struggling to make ends meet, governments around the world are wrestling with when and how to ease the restrictions designed to control the coronavirus pandemic.
    .... ....
    Easing lockdowns could increase infections and quickly overwhelm hospitals with limited beds and breathing machines. Continuing lockdowns risks social upheaval, economic survival concern and more economic losses.লম
  • অনির্বাণ | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৪:০৫442655
  • অনির্বাণ | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৪:০৪442654
  • এন ডি টি ভি-তে পি সাইনাথের ইন্টারভিউ
  • ত্রাণের জন্য রেশনকার্ড | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৩:২৯442653
  • রেশন কার্ড ছাড়াও কাদের পাওয়ার কথা, কারা পাচ্ছেন,  কারা না, কেন না, এখানে বিস্তারিত লেখা আছে।

    https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=17424

  • Sarbani | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৩:২১442651
  • দে, মুম্বাইয়ে মাইগ্রান্টদের জন্যে কাজ করছে কিছু লোক, তুমি কি যোগাযোগ করতে চাও? 

  • de | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৩:০৬442650
  • অর্জুন,

    আমি মেল পাইনি এখনো - আপনার নাম্বারে একটা মেসেজ করে রাখলাম - আমার ফোন থেকে - আমার হোয়াটসাপ নেই -
  • Sarbani | 108.162.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৩:০৪442649
  • আচ্ছা বেশীরভাগ জায়গায় সরকারী সাহায্য যা দেওয়া হচ্ছে তা মূলত রেশন বা পিডিএস সিস্টেমের মাধ্যমে। মাইগ্রান্ট যারা তাদের বেশীরভাগেরই তো রেশন কার্ড সঙ্গে থাকার কথা নয়!

    আমার জানা কেরালায় একমাত্র কার্ড থাকুক আর না থাকুক সবাইকে রেশন দেওয়া হচ্ছে, আমাদের বাড়িতে রেশন কার্ড নেই, তাও দিয়ে গেছে।

    বাংলাতেও মমতা যা অ্যাড দিচ্ছেন তাতে কার্ড হোল্ডারদের কথা বলছেন। আমার এখানে ছত্তিশগড়েও তাই। আমার যে কুক সে উড়িষ্যার, ওদের এখানে রেশন কার্ড নেই, কিছুই পায়নি। কম্পানি থেকে সপ্তাহে একটা চাল ডাল আলুর প্যাকেট দিচ্ছে অবশ্য,  কিন্ত সরকারী কিছু পাচ্ছেনা।   অন্য মেয়েটি এখানকার লোক্যাল, একমাসের রেশন পেয়েছে। 

    নয়ডার দুটি কাজের লোক বিহারের, ওদের জনধন একাউন্ট আছে, কিন্ত রেশন কার্ড গ্রামে। আরেকজন পুরনো কুক, বাংলার, ওও বলল রেশন কার্ড নয়ডায় নেই,। এরা সরকার থেকে না পাচ্ছে টাকা না পাচ্ছে রেশন। আজই কথা হল।

    নয়ডায় আমরা ব্যক্তিগত ভাবে যা করছি তা ছাড়াও হাউসিং সোসাইটি থেকে ফান্ড তুলে কাজের লোকেদের স্টাফেদের মাইনে ছাড়াও সাহায্য করা হচ্ছে।

    এদিকে কলকাতার সোসাইটি এবং নয়ডায় কোনো কোনো বাঙালী মহিলাদের বক্তব্য শুনলাম যে মেড দের পয়সা কেন দেব, কাজ সব আমাদের করতে হচ্ছে, তাছাড়া সরকার থেকে ওরা অনেক পাচ্ছে! 

    এই সরকারের বিলিব্যবস্থায় সত্যিকারের কত লোক বিশেষ করে মাইগ্রান্ট রা উপকৃত হচ্ছে জানিনা। মুশকিল হচ্ছে  অবস্থা এক মাস দু মাসে  শোধরাবে না বিশেষ। লোকে ইতিমধ্যেই কাজের লোকেদের মাইনে দিতে চাইছেনা, বাড়তি সাহায্য যারা করছে তারাও এক আধবারই করবে। পাকাপোক্ত সরকারী একটা সিস্টেম আগামী বেশ কিছু মাসের সাহায্যের জন্যে শুরু হওয়া খুব দরকার!

  • অর্জুন | 108.162.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১২:৫৬442648
  • @অমিত বাবু, এখুনি আপনাকেও রিপ্লাই করলাম। 

     আমি অফলাইন হলাম। 

  • Amit | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১২:৫৪442647
  • অর্জুন, একটা মেইল করেছি আপনাকে ওই ইমেইল এ. দেখে জানাবেন একটু .
  • অর্জুন | 172.69.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১২:৫৪442646
  • @de

    ইমেল দেখে নিন। আমি এবার অফ্লাইন হব। আমাকে বেরতে হবে। 

    আমি আবার বিকেলে চেষ্ট াকরব অনলাইনে আসতে। 

    আমার মবাইল নং টা রেখে দিন। ওটাতেই ওয়াটসঅ্যাপ  আছে। 

    9748190677 

  • সে | 162.158.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১২:৫১442645
  • অর্জুন | 172.69.34.105 | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১১:৪০

    একমত

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত