ছোটাইদি, ঠিক কী কারণে আমার সম্পর্কে আপনার ভীতি? আমি তো নিজেই রামভীতু মানুষ!
হ্যাঁ, রণকপুর একটা জায়গা বটে। লোকে দিলওয়াড়া নিয়ে খুব উলুতপুলুত হয় ঠিকই কিন্তু রণকপুর দেখলে সে ধারণা পাল্টাতে বাধ্য।
আহা, ছোটাইদি (এই নামে ডাকলে আশা করি আপত্তি করবেন না) বড় চমৎকার লিখছেন রাজস্থানের গল্প। বিশেষ করে বাগোর কি হাভেলির গল্প শুনতে চাইলাম। ওখানকার অভিজ্ঞতা সত্যিই দুর্দান্ত। আপনার লেখাটা পড়ছি আর আমার নিজের চোখে রাজস্থানের দেখে আসা জায়গাগুলো মূর্ত হয়ে উঠছে আবারও। হোক, আরও গল্পগাছা হোক।
আরে অর্জুন, এমন ভাবলে চলে? এখানে যদি কেউ বসতে না দেয় তবে ঠেলেঠুলে বসে পড়লেই হল। শ্রেণিসংঘর্ষ নাম দিয়ে দেবেন নাহয়!
পাহাড়ে কদিন বেড়াতে গেলে এই অসুবিধেটা হয়। কিন্তু থাকলে এবং রোজ আসা যাওয়া করলে সেটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। আমারও হয়েছিল। পাহাড়ে বুড়ো লোকজন কি সুন্দর দিব্যি ওঠা নামা করে।
তবে এখানে বলে রাখি আমার কথা বলা নিয়ে এখানে অনেকের খুব সমস্যা হচ্ছে।
তারা তাঁদের আত্মকাহিনী বলার জায়গা পাচ্ছেন না। তাঁদের আত্মকথা, স্মৃতিকথন হল ইতিহাসের একটা অঙ্গ। আকারে ইঙ্গিতে অনেক কিছু বলা হচ্ছে। তাছাড়া অনেকে সারাক্ষণ এলিটিজমের বোটকা গন্ধ পাচ্ছেন !
এছাড়াও ফ্রম মিউজিক টু ম্যাথামেটিকস, উপনিষদ টু ইনফর্মেশন টেকনোলজি সবকিছুতে এঁদের কথা হল শেষ কথা। তার উপরে আর কিছু আসতেই পারেনা। এঁরাই সব জেনেছেন, সব দেখেছেন। এঁদের কলমের এক আঁচড় ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষর।
সাউথ পয়েন্টে জুনিয়র সেকশনে ক্লাসরুমে বেশী হই হই হলেই আমাদের শিক্ষিকারা 'Finger on your lips' করে দিত। তারপরেও murmuring sound এলে 'I said, finger on your lips.' এটা হত চরম সতর্কবার্তা। এর পরে আর কেউ কিছু বলার সাহস পেত না।
সেই জন্যে আমি এখানে খুব কম কথা বলব বলে সিধান্ত নিয়েছি কাল ঘুমতে যাওয়ার আছে।