@O, বর্ধমান ও কোচবিহারের মত দুটো ডাকসাইটে প্রিন্সলি রাজ্যকে হাড়গিলে হয়ে যেতে হল। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে প্রিন্সলি রাজ্যগুলো পৃথিবীর সব টুরিস্টদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বাংলায় এই দুটোকে হেরিটেজ টাউন হিসেবে পর্যটন উপযোগী করে অন্য কিছু পরিকল্পনা করা যেতেই পারত।
'কইলকাতার লোকের থাকার উপযুক্ত ব্যবস্থা .......' বাস্তব অস্বীকার করে লাভ নেই।
আমি ব্যবস্থার ব্যাপারটাই জোর দিয়েছি, লোকজন নয়। ব্যবস্থা ভাল থাকলে অনেক কিছু বদলে যায় ।
দুবাই নয় জলভাত আমার কাছে (আপনার মতে) এখানে অধিকাংশের কাছে নিউইয়র্ক, বস্টন, এল এ তো পান্তাভাত!
@সে খোদ সুইটজারল্যান্ড বাসিনী। বলিউডের নায়ক, নায়িকারা হানিমুন করতে যেত/যায় আর হলিউডের স্টাররা বাগান বাড়ি বানায়!
আমি পশ্চিম বাংলার মধ্যে পাঁচবার দার্জিলিং, একবার দিঘা (ভাল মনে এই), দুবার ডায়মন্ড হারবার ও কয়েক ডজন বার শান্তিনিকেতন ছাড়া কোথাও যাইনি। এটা সত্যিই আমার ব্যর্থতা। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বাড়ি থেকেও এখনো সুন্দরবন যাওয়া হয়নি। :-(
পশ্চিমবঙ্গে কতগুলো বিষয়ে খুব ভারসাম্যের অভাব আছে। @এলেবেলে যেটা বললেন সেটা একেবারেই ঠিক। 'কলকাতা কেন্দ্রিকতা'। এই কেন্দ্রিকতা থেকে আরেকটি ব্যাপারও আছে তা হল একবার এই শহরে গেঁড়ে বসলে, সুযোগ, সুবিধের সঙ্গে অভ্যস্থ হয়ে গেলে অন্য জায়গায় যাওয়া খুব মুশকিলের।
কলকাতা বাদ দিলে বাংলায় একটা দ্বিতীয় শহর নেই! এই যে পরিপূরক ব্যবস্থা অন্য জায়গা গুলোয় তৈরি হতে পারেনি এটা একটা বিশাল ব্যর্থতা। এবং এটা একটা বাস্তব সমস্যা।
কলকাতায় যে সমস্ত সুযোগ, সুবিধে পাওয়া যায়, সেটা ছেড়ে অন্য জায়গায় অর্থাৎ মফস্বলে কেউ যাবে কেন? মুম্বাইয়ের লোক পুনেতে চলে আসে রিটায়ার করে, ব্যাঙ্গালুড়ুর লোক মহীশূরে। পুনে তো এখন মেট্রোপলিস। মুম্বাইয়ের সব সুবিধে রয়েছে প্লাস মুম্বাইয়ের চাইতে একটু খোলামেলা, নিরিবিলি।
মহারাষ্ট্রে পুনে, নাগপুর, নাসিক এমনকি ঔরঙ্গাবাদ পরস্পরের সাবস্টিটিউট।
কিন্তু কলকাতার মানুষের দুর্গাপুর, বর্ধমান, কোচবিহার, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরে সে ব্যবস্থা নেই।
এছাড়া গ্রাম আর শহরের সামাজিক ব্যবধানের জন্যে অসব জায়গার মানুষ ও স্থানীয় সব কিছুই খুব অপরিচিত কলকাতাবাসীর।
@এলেবেলে, যেগুলো বললেন সব কটাই খুব ভ্যালিড। গতকাল আপনি যে ভাবে বললেন তাতে আপনার বক্তব্য পরিষ্কার হচ্ছিল না। কলকাতা চূড়ান্ত পর্যায়ের আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর ও ইগো সর্বস্ব শহর। এখানকার অধিকাংশ মানুষ কিছু মেকি ভাবধারায় আক্রান্ত হয়ে সেসব নিয়ে আজীবন বাগাড়ম্বর বড়াই করে চলে। জয়াদি (জয়া মিত্র) আমাকে বলেছিলেন আমরা একবারও ভেবে দেখিনা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিস সবজি, মাছ, ফুল এসব ঘুম থেকে উঠে চোখের সামনে হাজির করে যারা তাদের সম্পর্কে কিসসু খোঁজ রাখিনা। চা বাগান তো অনেক দূর অস্ত। আমাদের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিক রাখে গ্রাম, গঞ্জ থেকে আসা মহিলারা। কাকভোরে ঘুম ভাঙতেই তারা বেল বাজায়। তারাও আমাদের কাছে এক ভিন গ্রহের বাসিন্দা মুখে যত কথাই বলিনা কেন!
তবে এই উচ্চ কোটির আবান মানসিকতা একমাত্রই কলকাতার নয়। দেশের সব কটা মেট্রোপলিসেই এই এক ব্যাপার। সুন্দরবন থেকে রোজ শিয়ালদহে আসা এক মানুষের যেরকম সংগ্রাম তেমনি মুম্বাইয়েও বিদর্ভ থেকে আসা এক মরাঠীর।
//জেলার লোক হয়ে এত ফুটানি কীসের, এটা আপনি 'সত্যিই' মনে করেন কেন! মানে শহরের পাত্তা না দেওয়া লোককে খোঁচা দিয়ে বললে তাও মানে বুঝি।//
ঠিক তা লিখিনি, লিখেছি জেলার পাতার লেখক। মানে আনন্দবাজার আলাদা আলাদা জেলার জন্য আলাদা আলাদা ছ'পাতার একটা কাগজ ছাপে মূল কাগজের সঙ্গে। কলকাতার ক্ষেত্রে সেটা 'কলকাতা'-র অন্তর্গত, জেলা সংস্করণে সেটা বাদ দেয়। সে হিসেবে জেলার পাতার লেখকের তত দাম নেই আর কি।
//গ্রাম মফস্বলের এলিটরা কলকেতার এলিট হতে চায়। কিন্তু কলকেতার এলিটরাই বা জায়গা ছাড়বে কেন ? না জায়গা হলে একদল বলবে অন্যদল ঝগরুটে ও ঠগবাজ, অন্যদল বলবে ওরা গেঁয়ো; রাগ- অনুরাগ মনে হয় এই নিয়ে।//
না না, সে তো এলিটদের ব্যাপার। আমি বলছি আমাদের মতো আম আদমিদের কথা। আমরা বিকেন্দ্রীকরণ চাইছি। অনেকদিন তো হল তোল্লাই দেওয়া, এবারে বদল হোক।
আর এলিট বোলে তো অর্জুন। যে কিনা চা বাগান বললেই কুন্নুর বলে, দুবাই জলভাত, পুণে কিংবা পঞ্চগনির রাস্তায় হাঁটে। আমরা বাপু ডুয়ার্সের মুজনাই চা বাগানে চাঁদের রাতে হাঁটা লোক, কোনও সিকিউরিটি-ফিকিউরিটি চোখেই পড়েনিকো। আর এখনও অবধি পাসপোর্ট কী জিনিস জানিই না। আমার দৌড় ওই সাইকেল অবধি।