এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:১৭431970
  • ডালরিম্পল দ্য অ্যানার্কিতে বেশ কিছু এস্টিমেট দিয়েছেন বিভিন্ন বছরে EIC কত মিলিয়ন টাকা পাঠিয়েছে আর এখনকার বাজারমূল্যে তার মূল্য কত?
  • দ্রি | 172.68.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৩১431969
  • উৎসা পটনায়েক একটা স্টাডিতে দেখিয়েছেন ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ এর মধ্যে বৃটিশরা ৪৫ ট্রিলিয়ান ডলার চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল ভারত থেকে।

    কত সোনা চুরি করেছিল তার কোন এস্টিমেট কি আছে?
  • অপু | 172.68.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:০২431968
  • সে দি ছুটির দিনে কি জমিয়ে রান্না
    করছো ? নাকি মায়া করে দিলে? ;))
  • সে | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৫৯431967
  • মাতৃভাষায় কথা বলতে না পারার কষ্টে নিজভূমেও অনেকে ভোগে। পশ্চিম পঞ্জাবের মানুষরা এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের উর্দু বলতে হয়।
    তারেক ফতে বলেছেন।
  • সে | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৫৬431966
  • আতোজ,
    দেখো।

  • সে | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৫৪431965
  • সে | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৫৩431964
  • সে | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৫২431963
  • এইটে শেয়ার করছি।
  • একলহমা | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:২০431962
  • কিভাবে যে একজন দরজাটা অতিক্রম করে!
  • Du | 172.69.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:২৪431961
  • কবিতা, সুইসিডাল এইসব আলোচনায় খুব রোহিত ভেমুলার সুইসাইড নোটের কথা মনে পড়ে গেল। কবিতাই একটা, মর্মান্তিক শুধু।
  • অপু | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:৫১431960
  • মাস্টার্সে এমন একজন শিক্ষক পেয়েছি যার অসাধারণ (?) নলেজ। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক,
    যে কোন জিনিস তা যত সামান্য হোক তিনি বোঝাতে পারতেন না । :)))

    ওনার ক্লাশে আমরা প্রথম মাস অবাক হ য়ে চেয়ে থাকতাম আর ওনার পান্ডিত্যের গভীরতা(?) দেখে কেমন যেন উদাস হয়ে যেতাম।

    এক মাস পরে "দিমাক কি বাত্তি" জ্বলল। আমরা চার "বুদ্ধিমান" ক্লাশ কেটে ক্যান্টিনে তাস খেলতে শুরু করলাম। সারা বছর আর ওমুখো হই নি । :)))

    হঠাৎ মনে এলো । কেন কে জানে? :)))
  • | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৪৮431959
  • *শিশির রায়

    ও এর ইতিহাস সম্পর্কিত বক্তব্য বেশ ঠিকঠাক লাগল
  • | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৪৫431958
  • 'যে ভাষায় আমের নাম হিমসাগর' শিশুর রায় নামে একজনের লেখা
  • | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৪২431957
  • বোধি,
    গুন্ডা দরকার ৪৬ এর জন্য ☺

    এমনিতেও সুরঞ্জনবাবুর অন্য বইটা কম্যুনাল রায়ট বেশ ঠিকঠাক লেগেছে।
  • pi | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৪০431956
  • এটা ছিল সৈকতদার লেখাটা,
    "যে ভাষায় আহ্লাদের ডাক 'মরণ' আর জীবনের নাম পদ্মপাতায় জল, কুঁড়ের নাম বাদশা আর রাজার নাম ভাত-খাওয়া...

    যে ভাষায় কাব্যের নাম মেঘনাদবধ, গদ্যের নাম ঢোঁড়াই চরিত,
    শত্রুর নাম বিভীষণ আর নায়কের নাম ইন্দ্রজিৎ...

    যেখানে মোড়ের নাম করুণাময়ী, চৈত্রের নাম মধুমাস
    অফিসের নাম নবান্ন আর গাছের নাম অমলতাস...

    যেখানে পাখি 'বৌ কথা কও' ডাকে, যেখানে মেঘ গাভীর মতো চরে,প্রেমিকের চোখ অতল দীঘির জল, আর মেয়েটির কাছে সন্ধ্যাতারা আছে...

    যেখানে শুধু নিজের নাম লেখার জন্যই আছে আস্ত একটি অক্ষর...."
  • একলহমা | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৩৯431955
  • "সত্যপীরের লেখা অত্যন্ত সুখপাঠ্য গল্প। ইতিহাস আশ্রিত গল্প। ইতিহাস নয়।"
    সত্যপীরের ইতিহাস-মিশ্রিত গল্প নয়, তার ইতিহাসের বিশ্লেষণগুলোর কথা বলেছি। সেখানে ষষ্ঠ পাণ্ডব এবং অন্যান্যরা ইতিহাসের যে কাটছেঁড়াগুলো উপস্থিত করেছেন মন্তব্যে-আলোচনায় সেগুলো আমার কাছে গ্রহণযোগ্য লেগেছে। কিন্তু সেগুলোর সত্যতা যাচাই করেছি কি না এই প্রশ্ন যদি আসে, আমার উত্তর - 'না, করিনি, ঐ কাজটা আমার সাধ্য-সামর্থ্যের বাইরে'।
  • | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৩৪431954
  • দমু , আর এস এস বিতর্কে হঠাত গুন্ডা তলব হাইলি সাসপিশাস:-))))
  • | 172.69.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:২৮431953
  • সত্যপীরের লেখা অত্যন্ত সুখপাঠ্য গল্প। ইতিহাস আশ্রিত গল্প। ইতিহাস নয়।
  • একলহমা | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:২১431952
  • গ,
    "তর্ক টা‌ ছিল ক্লিয়ার লি সিরিয়াসলি উচ্চশিক্ষিত লোকেরা ঠিক কেন নিজের দেশের ইতিহাস পড়ার সময়ে তার কিউরিওসিটি কমিয়ে দেন কেন।" - আপনার সাথে এই মূল প্রশ্নটায় আমার কখনোই দ্বিমত ছিলনা। তর্কের প্রশ্নই নেই। অন্য কারো থাকতে পারে, আমার নেই।

    ঠিক কি ভাবে আমি সোর্স নিয়ে কথায় জড়িয়ে গেছি সেটা আমিও এখন মনে করতে বা বুঝতে পারছি না। সোর্স নিয়ে আমার মূল বক্তব্য একটাই - ছোটবেলা থেকে যে কথাগুলো ধ্রুব বা ডিফল্ট হিসেবে জেনে বড় হয়েছি, একদল পরিশ্রমী, চ্যালেঞ্জ করতে পিছপা না হওয়া মানুষের কাজের ফলে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আর নির্ভেজাল, ধ্রুব বলে মনে হয় না। আবার আজ যেটা অকাট্য বলে মনে হচ্ছে কালও সেটা অতটাই অকাট্য বলে মনে হবে এই নিশ্চিতিটাও নেই।
  • Atoz | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:০৮431951
  • যদু ও মধু। দুই ভাই। ;-)
  • | 14.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:০৫431950
  • *যদুপূরের
  • | 14.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:৫৩431949
  • লহমা, আপনার ৫;৪৭ এর কথা বূঝতে পারিনি। গত একশো বছরের হিস্টোরিওগ্রাফির এরকম ক্যাটিগোরাইজেশন হতে পারে আমার জানা নেই। তবে অবাক হচ্ছি না কারণ আপনি জেনেরালি অবজেক্টিভ সেনসিবল কথা বলছেন, এটা হয়তো বুঝতে পারছি না। রাজা গজাদের কোর্ট হিস্টোরি য়ান দের কথা বলছেন একটা ক্যাটিগোরি তে ভেগলি মনে হল, হ্যাঁ তাতে হাজিওগ্রাফি থাকে পরে আবার তার থেকে নির্যাস নিয়ে কাজ হয়। জেনেরালি যেটা হয় জ্ঞান চর্চা তো খুব বেশি দিন সেকূলারাইজ, ডেমোক্র্যাটাইজ করেনি, তাই নানা সময়ের সোর্স থেকে ছেঁকে নিতে হয়। মুরিশ , মুঘল , রয়ালটির সুবিধা হল , বূরোক্রাটিক বা জুডিশিয়াল স্ট্রাকচার মোটামুটি খুবই কমপ্লেক্স আর আডভান্সড হওয়ায়, প্রচুর অর্ডার আর রিপোর্ট আর রেভিনিউ রেকর্ড নিয়ে কাজ হয় , অর্থাৎ আর্কাইভ জিনিসটা শুধু কলোনিয়াল না তার আগেও আছে, শুধু এটা প্রমাণ করতেই একদল টপ গ্রেড ঐতিহাসিক কে ন্যাশনালিস্ট দের সামনে সারাজীবন কাজ করতে হয়েছে। তবে আগে যেটা বলছিলাম, হিস্টোরি অফ আর্ট আর ইউজ অফ আর্ট আ্যজ সোর্স এ দুটো জিনিস আলাদা হলেও, হ্যাঁ জেনেরালি জাতি নিরূ বা রাষ্ট্র নির্মাণ প্রোজেক্ট এর বাইরে আর্ট সহ মানব জীবনের সাংস্কৃতিক উপাদান নিয়ে কাজ এর সংখ্যা অপেক্ষা কৃত কম। আর একটা ইউনিফায়িং ট্রেট হল, কালচারাল এক্সপ্রেসন কে হিস্টরি অভ আইডি য়াজ এর সঙ্গে জুড়ে পোলিটিকাল আইডিওলোজি র কনটেম্পোরারিটি এস্টাবলিশ করা হয়। স্পোর্টস কেও কালচারাল এক্সপ্রেসন হিসেবেই ধরা হয়। লুকাচ যেরকম উপন্যাস কে ইতিহাস এর সোর্স হিসেবে ব্যবহার করছে না ঠিক ঘটনা বা ইনসিডেন্ট নিরুপন এ না, যেটা ন্যাশনালিস্ট যা করেন, উনি সয়য়ের আইডি ওলোজির প্রেস পাচ্ছেন উপন্যাস এ। সি এল আর জেমস বা রাম গুহ বা রুদ্রাংশু রা যেমন ক্রিকেট নিয়ে করেছেন , যেকোন সয়য়েই উপন্যাস বা ছবিকে সোর্স হিসেবে ধরলে এলিট এক্সপ্রেস না এর একটা সীমা এসে যায় তাই খেলাকে সোর্স ধরলে একটা সময়ে র পপুলার টেস্ট এর একটা হদিস পাবা যায় তাই প্রায় গন আন্দোলন এর মত গুরুত্ব দিয়ু খেলা বা শরীর চর্চার ইতিহাস কে জেনেরাল হিস্টরি র সোর্স হিসেবে ইউজ করা হয় বা স্টেট পলিসি র রিফ্লেকশন হিসেবে দেখা হয় ধরুন ক্রিকেট বা ফুটবলের ইতিহাস তো আর কমসোমল এর ইতিহাস হতে পারে না, কিন্তু একটা সময়কে ধরার জন্য সব সোর্স ই ঠিক। কিন্তু ঐ যে বললাম জিওনিস্ট আর এস এস বা জামাতি সহ ন্যাশনালিস্ট দের বা ট্রাডিশনালিস্ট বা আন্টিকোয়ারিয়ান দের সমস্যা হল কনজারভেটিভ বা রিগ্রেসিভ কালচারাল প্রাকটিস কেই সরাসরি আইডেন্টিটি ফরমেশনে কাজে লাগানো অথবা একটা এপিক কে সিভিলাইজেশন এর ফাউন্ডেশন মিথ হিসেবে স্বীকার না করে ফাউন্ডেশনাল হিস্টরি হিসেবে চালিয়ে দেওয়া। এটাকে চিহ্নিত না করতে পারলে আর যাই হোক অবজেক্টিভিটির কোন উপকার হবে না। ধরুন কোন মধুপুরের অতি উৎসাহী লাটিন আমেরিকার সাহিত্য কে সেখানকার ইতিহাস এর রিফ্লেকশন হিসেবে না দেখা একটা সময়ের স্পেসিফিসিটি হীন সাংস্কৃতিক ইতিহাস হিসেবে দেখে , তাকে তাইলে ছাগল হিসেবে দেখাই শ্রেয়।:-))))) এনি ওয়ে এটা সোর্স সংক্রান্ত তর্ক ছিল না , তর্ক টা‌ ছিল ক্লিয়ার লি সিরিয়াসলি উচ্চশিক্ষিত লোকেরা ঠিক কেন নিজের দেশের ইতিহাস পড়ার সময়ে তার কিউরিওসিটি কমিয়ে দেন কেন। সোর্স প্রসঙ্গ ঠিক কেন এনেছে না না বুঝলে ও এনে ভালো ই করেছে না, তবু আপনার পোস্ট পু্রোটা বুঝিনি।
  • একলহমা | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:৫১431948
  • @দ
    "ঐতিহাসিকরা শোনা কথার উপর নির্ভর করে লেখেন?? "
    "ঐতিহাসিকরা শোনা কথা নিয়ে আর্কিওলজিকাল প্রমাণ, লিখিত রেকর্ডেড ইতিহাস এগুলো যাচাই করেন না?"
    করেন বৈকি! পেলে করেন। কিন্তু না পেলে তখন কি খেলব না বলে দান ছেড়ে দেবেন?
    দমুদি, সহসচল সত্যপীরের সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন! :-)
  • একলহমা | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:৪৫431947
  • @ আতোজ
    বাঃ! পাঠ-প্রতিক্রিয়া ভাল হইচ্চে। :-)
  • aka | 108.162.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:৩০431946
  • পিটি যেটা দিলেন সেটা পড়ে মনে হল চন্দ্রবিন্দুর চ, বেড়ালের শ, আর রুমালের মা সব মিলিয়ে চশমা।

    এই কঠিন যুক্তির বেড়াজাল আমার পক্ষে ছাড়ানো অসম্ভব। প্রক্সি ভ্যারিয়েবল ব্যবহার একটু কঠিন হতে পারে।

    https://www.globalpolicyjournal.com/blog/03/12/2013/bad-proxy-variables-and-institutional-ethnocentric-oversimplification
  • | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:২০431945
  • "নামকরা ঐতিহাসিকরা অন্তত দুটো সমঝোতার মধ্য দিয়ে গেছেন - (১) যে বিবরণ লিখছেন তার একটা বিরাট অংশ অতীতের কাহিনী, শোনা কথার উপর নির্ভর করে লিখতে হয়েছে,"

    ঐতিহাসিকরা শোনা কথার উপর নির্ভর করে লেখেন?? ঐতিহাসিকরা? নাকি ঐতিহাসিক গল্প/উপন্যাস লেখকদের কথা বলছেন?
    ঐতিহাসিকরা শোনা কথা নিয়ে আর্কিওলজিকাল প্রমাণ, লিখিত রেকর্ডেড ইতিহাস এগুলো যাচাই করেন না?
  • Atoz | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:০৮431944
  • @একলহমা, ওটা পাঠ-প্রতিক্রিয়া। ঃ-)
  • PT | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:০৩431943
  • তথ্যের দিকে

    ‘হিন্দুরা সংখ্যালঘু হচ্ছেন না’ (১৭-২) শীর্ষক নিবন্ধের প্রেক্ষিতে কয়েকটি তথ্য জানাতে চাই।

    রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০১৭ অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আগত অভিবাসীর সংখ্যা ২০০০ এবং ২০১৭ সালে যথাক্রমে ৩১ লক্ষ এবং ৩৭ লক্ষ। আবার জনগণনা অনুযায়ী, জন্মস্থানের নিরিখে ভারতে (মোট) বাংলাদেশির সংখ্যা ২০০১ সালে ৩৭ লক্ষ এবং ২০১১ সালে ২৭ লক্ষ (মোট জনসংখ্যার ০.২২%)। গত দুই দশক ১৯৯২-২০০১ এবং ২০০২-২০১১’য়, বাংলাদেশি অভিবাসী বৃদ্ধির সংখ্যা যথাক্রমে ২,৮০,০০০ জন এবং ১,৭২,০০০ জন। অতএব, জনগণনার হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা কমছে এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে অভিবাসী ফেরত যাচ্ছেন।

    এই পর্যবেক্ষণ সঠিক কি না, তা বুঝতে আমাদের দেশের কর্মসংস্থানের হারের গতির দিকে তাকাতে হবে। জনগণনা অনুযায়ী, ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে ভারতে কর্মসংস্থানের হার ছিল যথাক্রমে ৩৫.৬৪%, ৩৭.১১%, ৩৯.১৩% এবং ৩৯.৮০%।

    অর্থাৎ, গত তিন দশক ১৯৮১-১৯৯১, ১৯৯১-২০০১ এবং ২০০১-২০১১’য় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ১.৪৭%, ২.০২% এবং ০.৬৭%। ওই তিন দশকে জনসংখ্যার বার্ষিক বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ২.৩৫%, ২.১৫% এবং ১.৭৬%। অতএব, এটা পরিষ্কার যে ২০০১-২০১১ দশকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের তুলনায় অনেক কমেছে।

    ২০১৮-১৯ সালে ভারত এবং বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৬.১০% এবং ৭.৩০%।

    অতএব, সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা যায়, এখন ভারতে বাংলাদেশির সংখ্যা ২৭ লক্ষেরও কম এবং ১৯৯২-২০১১ (দুই দশকে) বাংলাদেশিরা ফেরত গিয়েছেন। সুতরাং, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা খুবই নগণ্য এবং নতুন ভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশের যুক্তিযুক্ত কারণ দেখা যাচ্ছে না।

    রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সব দেশ থেকে প্রবসন হয়েছে তাদের মধ্যে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের স্থান প্রথমে। ভারত থেকে ওই সাল পর্যন্ত মোট প্রবসন হয়েছে (অর্থাৎ ভারত থেকে অন্য দেশে চলে গিয়েছেন) ১ কোটি ৬৬ লক্ষ। চতুর্থ স্থানে চিন: ১ কোটি। পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ: ৭৫ লক্ষ। তাই অবৈধ অনুপ্রবেশের অযৌক্তিক জিগির তুলে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে বিপুল অর্থব্যয় করে এনআরসি এবং এনপিআর করার কোনও অজুহাতই ধোপে টেকে না। আর মনে রাখতে হবে, অভিবাসনের বিরুদ্ধে প্রাচীর তুললে, প্রবসনের বিরুদ্ধেও প্রাচীর উঠতে পারে।

    পঙ্কজ কুমার চট্টোপাধ্যায়
    খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
    https://www.anandabazar.com/editorial/letters-to-the-editor/people-always-blames-muslim-for-population-increase-1.1112410
  • একলহমা | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৫৮431942
  • @আতোজ
    থেঙ্ক্যু। :)
    "কৃষ্ণা কাজলরেখা মিশে যায় জলে
    গানটুকু রেখে যায় ঢেউ-ছলছলে।" আহা! - কার লেখা? তোমার?
  • Atoz | 162.158.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৪২431941
  • @একলহমা, কবিতাটা খুব সুন্দর। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
    "কৃষ্ণা কাজলরেখা মিশে যায় জলে
    গানটুকু রেখে যায় ঢেউ-ছলছলে। "
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত