এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ফলেন পরিচীয়তে বৃক্ষ

    Sandipan Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ মে ২০২৫ | ২৩৩ বার পঠিত
  • প্রাচীনকালে অর্থাৎ আমাদের বালকবেলায় গরমের ছুটি একটা বড় ব্যাপার ছিল। আমাদের অনেকের বাড়িতে গরমের ছুটিতে আত্মীয় স্বজন আসতেন। বিশেষত অনেক সময় মহিলারা ছেলে মেয়ে নিয়ে পিতৃগৃহে গরমকালে একবার আসতেন। আমি যে পাড়ায় থাকতাম সেখানে কারো কারো বাড়িতে দেশের বাড়ি থেকে গাছপাকা আম আসত এই সময়। সেটাও বড় আকর্ষণ ছিল ছোটোদের কাছে।

    প্রতি বছর পাড়ায় নিমুদের বাড়িতে শ্যামল আসত। শ্যামল সেবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। আমি তখন এইটে পড়তাম। শ্যামল সেই যুগের তুলনায় অনেকটাই স্মার্ট ছিল।তার ওপর কবিতা লিখত এবং সেটা ছেপে বেরোত। আমাদের দেখিয়েছিল উত্তরবঙ্গ থেকে প্রকাশিত একটা পত্রিকায় শ্যামল গোস্বামীর লেখা ‘দেশের মাটির পরে হাঁটি‘ নামে একটা কবিতা। চোখের সামনে একজন ছেলে, যার লেখা ছাপা অক্ষরে বেরিয়েছে দেখে আমরা বিস্মিত। শ্যামল উত্তরবঙ্গেই জলপাইগুড়ি বা কোচবিহারের কাছাকাছি কোথাও থাকত। আমাদের মধ্যে গোঁয়ার স্বপন শুধু বলেছিল, আমরা তো সবাই দেশের মাটির পরেই হাঁটি। তাতে কী হয়েছে?

    শ্যামল তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলেছিল, এখানে মাটি মানে কী আর মাটি রে হাঁদা?
    স্বপন অবাক হয়ে বলেছিল, মাটি মানে মাটি নয়?
    নারে হাঁদা। বুঝলে তো তুই কবিতা লিখতি। এখানে মাটি একটা প্রতীক। মাটি মানে এখানে দেশীয় সংস্কৃতি।
    আমরা হাঁ করে চেয়ে রইলুম। শ্যামলকে রীতিমতো অন্য গ্রহের জীব মনে হল।

    শুধু ছেলেরা কেন আসবে। গরমের ছুটিতে মরশুমি মেয়েরাও আসত। আমাদের পাশের বুবুদের বাড়িতেই নাসুদি আসতেন তার মেয়েকে নিয়ে কলকাতা থেকে। নাসুদি ছিলেন আমার দিদিদের ভাষায় ক্যাটকেটে সুন্দরী। এর মানে হচ্ছে নাক চোখ মুখ সবই কাটা কাটা, কিন্তু লালিত্যের অভাব। এই ক্যাটকেটে সুন্দরীর ধ্রুপদী উদাহরণ ছিলেন পাকিস্তানের বেনজির ভূট্টো। তিনি যখন বাবার সঙ্গে সিমলা চুক্তির সময় ভারতে এসেছিলেন তখন তাঁর অনেক ছবি বাংলা কাগজে বেরিয়েছিল। কিন্তু নাসুদির মেয়ে মধুমিতা ছিল ভীষণ মিষ্টি দেখতে।নাইনে উঠে গিয়ে শাড়ি পড়তে আরম্ভ করেছিল। ঐ যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটা লেখায় পরে পড়েছিলাম যে মেয়েটার মুখটা এত মিষ্টি যে পিঁপড়ে লেগে যাবে তখন আমার মধুমিতার কথাই মনে পড়েছিল। তা, শুনেছিলাম শ্যামলদা নাকি মধুমিতার উদ্দেশে কবিতা লিখে ফেলেছে আর তা যথাস্থানে পৌঁছেও গেছে। কিন্তু শ্যামল গণ্ডগোল করে ফেলল মধুমিতাকে ফল উপহার দিতে গিয়ে। ঠিক কী ঘটেছিল সে ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান বলে আমরা যা শুনেছিলাম তাই আপনাদের জানাচ্ছি।

    তখন মানুষের হাতে এত পয়সা ছিল না। এখন যেমন বাজারে ফলের দোকান থেকে লোকে ড্রাগন ফল, কিউয়ি, অ্যাভোকাডো, মালটা --- এরকম সব কিনে ফেলছে আগে তা ছিল না। মরসুমি ফল যেমন আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তালশাঁস, দেশি কলা, তাল --- এসবই খেত। অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফল আরেক অঞ্চলে যেত না কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা অত উন্নত ছিল না। যাই হোক, শুনলাম সোমদের বাড়ির সিঁড়ির তলায় শ্যামল মধুমিতাকে পাকড়ে একটা ফল হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেছিল, এটা তোমার জন্য। আমাদের দেশের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছি।

    মধুমিতা ফিরিয়ে দেয়নি। ফলটা হাতে ধরেছিল। তখন শ্যামল বলেছিল, এটা কী ফল বল তো?
    মধুমিতা ঘাড় নাড়িয়ে ছিল। অর্থাৎ জানে না।
    শ্যামল বলেছিল, কামরাঙা।
    মধুমিতার মুখ হঠাৎ লাল হয়ে গেল।
    শ্যামল ওভারস্মার্ট হয়ে গিয়ে বলে ফেলল, আরে, কামরাঙায় না কামড়েই তো তুমি রাঙা হয়ে গেলে!
    মধুমিতার চোখে জল চলে এসেছিল। ফলটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সে চলে গেল।

    দুই

    বিকেলবেলা নাসুদিদিদের বাড়ির একতলার বৈঠকখানায় বিচারসভা বসল। পাড়ার দাদারা যেমন বাবলুদা, গোপালদা, ব্যোমদা –এরা তো আছেনই, বয়স্ক মানুষদের মধ্যে সন্তোষ জ্যাঠা আর হারান কাকাও আছেন। একদিকে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল শ্যামলদা। হাতে একটা ঝোলা। সন্তোষ জ্যাঠা আর হারান কাকার জন্য দুটো চেয়ার রয়েছে। বাকিদের জন্য সতরঞ্চি। যদিও উত্তেজনায় অনেকে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা ছোটোরা বড় বড় শিক দেওয়া জানলার বাইরে দাঁড়িয়ে দেখছি।

    সন্তোষ জ্যাঠাই প্রথম বাজখাঁই গলায় নীরবতা ভাঙ্গলেন, কিরে শ্যামল, পাড়ার মান সম্মান ডুবিয়ে দিলি একবারে?
    শ্যামল ভেতরে ভেতরে যতই ভয় পাক, বাইরে স্মার্ট থাকার চেষ্টা করছিল। খুব সরলভাবে বলল, আমি তো কিছু করিনি জ্যাঠু।
    ব্যোমদা সব সময় বোমকেই থাকত। বলল, ন্যাকামি হচ্ছে? তুই নাসুদির মেয়েকে কী করেছিস?
    শ্যামল বলল, কিছু করিনি তো। একটা ফল খেতে দিয়েছিলাম। আমাদের দেশের বাড়িতে হয়।
    বিকাশ কাকু গম্ভীর গলায় বললেন, কী ফল দিয়েছিলে নামটি বল তো বাছা।
    শ্যামল বলল, কেন, কামরাঙা।
    খ্যাঁক খ্যাঁক করে হেসে বিকাশ কাকা এবার বললেন, আর কোনো ফল পেলে না?
    শ্যামল সানুনয়ে বলল, ওটা যে এখানে পাওয়া যায় না। দারুণ খেতে। খাবার পর জল খেলে মিষ্টি লাগে।
    বাবলুদা এবার নাক গলাল, ফলটা দিলি বটে। কিন্তু তারপর অশ্লীল কথা বললি কেন?
    শ্যামল তখনও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বলল, আমি কোনো অশ্লীল কথা বলি নি।
    -- বলিস নি?
    -- না, আমি শুধু একটু পান করেছিলাম।

    মনে হল ঘরের মধ্যে যেন বাজ পড়ল। সবাই একটু সময় চুপ। সন্তোষ জ্যাঠার বজ্রকন্ঠ নীরবতা ভঙ্গ করল -- কী বললি তুই ড্রিংক করেছিলি? তুই এখানে দাঁড়িয়ে বলছিস? অ্যাই, বেত নিয়ে আয় বাবলু।

    শ্যামল প্রাণপণে বলে উঠল, ও জ্যাঠু, এই পান মানে ইংরেজি শব্দ পি ইউ এন। শব্দের উচ্চারণ নিয়ে জোক। শিবরাম চক্রবর্তীর গল্পে থাকে না। আমি তো শিবরাম চক্রবর্তীর ফ্যান। তোমরাও তো ফ্যান নাকি বাবলুদা?
    এই বলে শ্যামল বাবলুদাদের কলেজ পড়ুয়া দলটার দিকে সমর্থনের আশায় তাকায়।

    সন্তোষজ্যাঠা রাগী হলেও বিবেচক লোক। বাবলুদার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কিরে বাবলু, ঠিক বলছে?
    বাবলুদা বাংলা অনার্স পড়ত। বলল, ও মধুকে কী বলেছে আমি শুনেছি। তবে শ্যামলের এই লজিকটা মোটামুটি বিশ্বাসযোগ্য। যারা খুব পানিং করে কথা বলতে ভালোবাসে তাদের পক্ষে এরকম কথা বলাটা অস্বাভাবিক নয়।

    বিকাশ কাকু এত সহজে ছাড়ার পাত্র নন। গলায় বাড়তি একটা জোর এনে বললেন, তুই হঠাৎ নাসুর মেয়েকেই ফল দিতে গেলি কেন? আর কাউকে তো দিস নি। তোর বন্ধু বান্ধব, দাদা দিদি, কাকা জ্যাঠা--- কাউকে দিয়েছিস?

    শ্যামল যেন এই প্রশ্নটারই অপেক্ষায় ছিল, দেব তো। সবার জন্যই এনেছি আমাদের দেশের ফল। কিন্তু কামরাঙা আর ছিল না। তাই এটা সামনে পেয়ে ওকে দিয়ে দিয়েছি। আপনাদের সবাইকে দেব অন্য একটা ফল।
    এই বলেই শ্যামল হাত বাড়িয়ে ঝোলা থেকে একটা ফল বের করে প্রথমে সন্তোষজ্যেঠুকে দিল। উনি ফলটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে বললেন, এটা কি রে? আঁশফল নাকি?

    শ্যামল বলল, আপনি মুখে দিয়েই দেখুন না। ছোটো ছোটো বীজ আছে, ফেলে দেবেন সেগুলো।

    সন্তোষজ্যাঠু ফলটা মুখে দিয়ে কামড় দিতেই তার মুখটা হাসিতে ভরে উঠল। হাসিটা যেন থামাতে পারছেন না এমন ভাবে বললেন, কী মিষ্টি রে ফলটা।
    তারপর শ্যামল বিকাশ কাকুর হাতে ফলটা দিল। ওঁরও একই দশা। ফলটা মুখে দিতেই হাসিমুখ হয়ে গেল যেন নিজের থেকেই।
    এরপর বাবলুদাদের দলের প্রত্যেকে। এমনকি ব্যোমেরও দেখলাম হাসিমুখ।
    সন্তোষজ্যেঠু বললেন, কী নাম বললি না তো ফলটার।

    শ্যামলের তখন ধড়ে প্রাণ এসেছে। বলল, লটকন ফল বলি আমরা।
    -- আর আছে রে? প্রায় সমস্বরে সবাই জিজ্ঞেস করল।
    -- আছে তো। অনেক আছে। আমি এখনই গিয়ে আরো নিয়ে আসছি।
    সন্তোষজ্যেঠু বললেন, দাঁড়া, তোর বিচার এখনও শেষ হয় নি। বুঝলে বিকাশ, বাবলু যা বলল তাতে দেখা যাচ্ছে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ছেলেটার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। তবে তোমাকে বলে রাখি বাপু, যখন তখন আর ঐ যে কী বললে, পান করতে যেও না।আর একটা কাজ কর ওপরে গিয়ে নাসুকে এই ফল খাইয়ে এস।

    সিঁড়ি দিয়ে গুটি গুটি উঠতে উঠতে না উঠতে নাসুদিকে পেয়ে গেল শ্যামল।নাসুদি ওকে দেখেই দিল এক মুখ ঝামটা, কী চাই রে তোর পাকা ছেলে? চোরের মত পা টিপে টিপে আসছিস কেন?
    শ্যামল বিব্রত মুখে একটা লটকন ফল নাসুদির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, নীচে সন্তোষ জ্যেঠু এটা আপনাকে দিতে বললেন। খেতে খুব ভালো।সবাই বলছে।
    দেখি কী এটা, বলেই নাসুদি একটা ফল মুখে দিতেই হাসিমুখ হয়ে গেল ওর। নরম গলায় বলল, আর আনিস নি? মধুর জন্য?

    শ্যামল যদি ফর্সা হত তাহলে ওর মুখ লাল হয়ে যেত। কোনোরকমে আর একটা ফল নাসুদির হাতে ধরিয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি সিঁড়ি দিয়ে নেমে এল। নিচে দুই একটা কথা বলে একটু পরে যখন ঐ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে তখন একটা আওয়াজ পেয়ে দোতলার দিকে তাকাল শ্যামল। জানলায় একটা পিঁপড়ে লেগে যাওয়ার মত মিষ্টিমুখে হাসি লেগে আছে। মুখে একটা ফল ছিল নিশ্চয়ই।

    তিন

    গত ১৬ ই মে, ২০২৫ তারিখে সলমন রুশদিকে ছুরি দিয়ে যে কুপিয়েছিল সেই হাদি মাতারকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হাদির বয়স এখন ২৭। যখন জেল থেকে বেরোবে তখন ওর বয়স হবে ৫২। আমেরিকায় ২৫ বছরের জেল মানে সেটা ২৫, কমবে না কিছুই। ও স্বীকার করেছে যে স্যাটানিক ভার্সেস তো দূরের কথা, ও রুশদির কোনো লেখাই পড়ে নি।

    আমার মনে হয় মধুমিতার যে শ্লীলতার অনুভূতিতে আঘাত লাগার গল্পটা এখানে বললাম,তার কারণের সঙ্গে যে কোনো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার কারণের মিল খুঁজে পাওয়া যাবে। সেই কারণগুলি হল (১) অজ্ঞানতা,(২) ভুল বোঝা, (৩) অগ্রাহ্য করার মত বিষয়কে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া। কলকাতায় বড় হওয়ার সুবাদে মধুমিতা জানতই না যে কামরাঙা বলে কোনো ফল হয় (এটা সেই যুগে অস্বাভাবিক ছিল না), ফলে সে শ্যামলের মুখে নামটি শুনেই সন্দেহ করে। এরপর শ্যামল যে বাক্যটি বলে তার মধ্যে কৌতুক ছাড়া অন্য উদ্দেশ্য ছিল না এটা না বুঝে সে ভুল অর্থ করল (৩) যদি ধরেই নিই যে শ্যামলের কথার মধ্যে আদিরসাত্নক কোনো ঈঙ্গিত ছিল সেটা সে অগ্রাহ্য করতে পারত, অন্তত বিচারসভা বসিয়ে দেবার মত প্রতিক্রিয়া দেওয়ার দরকার ছিল না।

    দেখবেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার ক্ষেত্রে উপরোক্ত তিনটি কারণই প্রধান হয়ে ওঠে। রুশদির ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে--- অজ্ঞানতা, ভুল বোঝা এবং মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া। আমার তখন মনে হয় যদি এমন একটা অ্যান্টিডোট থাকত, ঐ লটকন ফলের মত, যাতে ক্রোধোন্মত্ত মানুষগুলো বেশি খেপে ওঠার সুযোগ পেত না, ওদের রাগে বেঁকে থাকা ভুরু টান টান হয়ে গিয়ে মুখ হাসিতে ভরে উঠত, ওরা ক্ষমা করতে শিখত, বিবেচক হতে শিখত।

    এমন প্রেমানন্দে ভরপুর অমৃতফলের সন্ধানে সাধক, কবি, প্রেমিকরা পথ হেঁটে চলেছেন হাজার হাজার বছর ধরে। আমি সাধারণ মানুষ—চটজলদি সমাধানের অপেক্ষায় থাকি। উত্তরবঙ্গে গেলেই গাড়ি থামিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জিজ্ঞেস করি – আচ্ছা, লটকন ফল কোথায় পাওয়া যায়? কেউ বলতে পারেন না। তবে সবাই বলেন পাওয়া যায়। আমি সন্ধানে আছি। আপনারাও সন্ধান পেলে জানাবেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কৌতূহলী | 103.249.***.*** | ২১ মে ২০২৫ ১৪:১১731542
  • উরিব্বাস, কাহিনীর বাঁধুনি আর মোরাল অব দ্য স্টোরি দুটোই অনবদ্য, আর গদ্যের প্রসাদগুণ। এরজন্যই আপনার লেখা পেলেই গোগ্রাসে গিলে ফেলি। শুধু ''তখন মানুষের হাতে এত টাকা ছিল না'' এতে কিঞ্চিৎ সংশয় আছে। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থায় সংখ্যাগরিস্ট মানুষের হাতে তখনও টাকা ছিল না, এখনও নেই। তখন যা ছিল না সেটা হল কেনার অপশন বা এভেলিবিলিটি, যেটা ওপেন আপ এঁর পর বাড়ে।
  • Sandipan Majumder | ২১ মে ২০২৫ ১৭:২২731543
  • @কৌতূহলী এত প্রশংসা পেলে প্রত্যাশার চাপ বেড়ে যায়। তবে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ আপনাকে।
  • লটকন ফল | 2600:1002:b1ad:d0e9:c4d1:d872:f772:***:*** | ২২ মে ২০২৫ ০২:১৩731549
  • আচ্ছা, এই লটকন ফলই কি পানিফল? 
  • লটকন | 134.238.***.*** | ২২ মে ২০২৫ ০৩:১৪731550
  • পানিফল | 134.238.***.*** | ২২ মে ২০২৫ ০৩:১৬731551
  • r2h | 134.238.***.*** | ২২ মে ২০২৫ ০৩:২৫731552
  • কৌতূহলীর সঙ্গে একমত, লেখাটা দারুন লাগলো। একটা কঠিন ও অন্ধকার বিষয়কে খুব নির্মল গল্প দিয়ে বোঝানো - খুবই ভালো লাগলো।

    প্রসঙ্গান্তরে, পানিফল জলে হয়, লটকন ডাঙার গাছে, ডুমুর ধরনের গাছ বোধয়। লটকন টেকরই লুকলুকি অড়বড়ই কতরকম ফল গাঁয়ে গঞ্জে পাওয়া যায়। লটকনে গোটা তিন কোয়া মত থাকে, খোসাটা মোটা। টেকরই প্লামের মত, আর লুকলুকি ফলটাকে দুই হাতের তেলোর মাঝে নিয়ে বেশ কিছুক্ষন ঘুরিয়ে নরম করে খেতে হয়!
    পানিফলকে সিংড়া, সিঙাড়া ফল - এইসবও বলে, ভেতরে সাদা শাঁস থাকে, খোসাটা বিপজ্জনক রকম তিনটে শক্ত কাঁটাওয়ালা।

    যাকগে সেসব অন্য কথা, লেখাটা খুব ভালো লাগলো, আবারও বলে গেলাম।
  • Sandipan Majumder | ২২ মে ২০২৫ ১২:৩৬731557
  • @*r2h অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন