এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ইয়ে, মানে, সন্ত্রাসের ধর্ম...?

    প্যালারাম লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১০৭০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ডিসক্লেমার: নীচের লেখাটা সৎ হলেও, এতে ধর্ম আর ধর্মের অজুহাতে সন্ত্রাসকে গোলানো হয়েছে। ভুল আর তার সংশোধন — দুইই থাক। তবে লেখার নীচে সুতীর্থর দ্বিতীয় মন্তব্যটি পড়ে দেখবেন।
     
    ************--***********
     
    নরপশু শব্দটা ভুল। এই শতকে এ তথ্য আর কিছু নৃতত্ত্ববিদের কুক্ষিগত নয়, যে, মানুষই সবচেয়ে হিংস্র, সর্বশ্রেষ্ঠ খুনে। জেনোসাইডের সময় সে অন্য প্রজাতি তো ছার, নিজের বেরাদরদেরই ছাড় দেয় না। নিজের অধম প্রবৃত্তিগুলিকে সে এই সুপারপাওয়ারে পরিণত করেছে শুধুই নাকি তার গালগল্পে বিশ্বাস করার অসীম ক্ষমতাবলে। তা, এ ব্যাখ্যা ভুল মনে হয় না।

    আজ থেকে বছর পনেরো আগের বাংলাদেশে একদল বিভিন্ন বয়সের মানুষ সোৎসাহে, নিজেদের ধর্মে অবিশ্বাস, আরেকটু এগিয়ে ঈশ্বরে অবিশ্বাস, যুক্তিতর্কে নিষ্ঠা, আর ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা অনলাইনে প্রকাশ করতে শুরু করেছিল। অধিকাংশই ভেবেচিন্তে, লেখাপড়া করে নাস্তিক/অজ্ঞেয়বাদী বলে নিজেদের চিহ্নিত করেছিল। ধর্মের নিরঙ্কুশ 'বিশেষ অধিকার' তাদের যতটা বিরক্ত করতো, ধর্মের অছিলায় রক্তপিপাসা চরিতার্থ করা ততটাই রাগাতো। সে রাগ বেরতো বিদ্রূপের চেহারা নিয়ে। নিজেদের নিয়ে তারা মশকরা করতো 'জঙ্গি নাস্তিক' বলে। এতই ক্ষুরধার সেই 'জঙ্গ', যে, অস্ত্র বলতে পানীয়ের পেয়ালা আর পেন/কি-বোর্ড। এদের আমি চিনতাম। এদের সঙ্গে ইথার-জগতে আমার সামান্য ওঠাবসা ছিল।

    বিশ্বপ্রেম দিয়ে কেউ জীবন শুরু করে না, করে পাশের বাড়ির সমবয়সীকে প্রেম নিবেদন করে। তেমনই, অন্যায়ের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, বিদ্রূপ – ঘরের দত্যির উদ্দেশেই ছোটে। দুনিয়ার সব দানোর দিকে যায় না। স্বভাবতই, এদের চাবুক-লেখনীর, তীক্ষ্ণ সমালোচনার ডগায়  থাকতো এদেরই ঘরের দাঁত-নখ বাগানো ধর্মটি, যার 'শান্তির ধর্ম' মুখোশের আড়ালে মধ্যযুগের পচন-ধরা বলিরেখা। দিনে বার দুই-তিন 'ধর্মকারী' (বুৎপত্তি : ধর্ম+mockery) সাইটে ঘুরে আসার কারণে ইসলাম নিয়ে উৎসাহ বাড়লো, লেখাপড়া বাড়লো। এরই কাছাকাছি সময়ে পশ্চিম গোলার্ধে শুরু হওয়া নব্য-নাস্তিকতার হাওয়ায় অন্য বৃহৎ আব্রাহামিক ধর্মটির সম্পর্কেও ধারণা পরিষ্কার হতে শুরু করে। ধর্ম নিয়ে ভাবগম্ভীর কথা শুনলে আজও যে মুখ টিপে খ্যাক খ্যাক করা হাসি থামাতে হয়, এ-ই তার কারণ।

    এই আড্ডায় আমি পাশের পাড়ার ছেলে। যতই পাশে বসি না কেন, আমার দেশের প্রধান ধর্মটির অগণন কুসংস্কার, নির্বুদ্ধিতা, বিজ্ঞান-অ্যালার্জি নিয়ে যে আস্ত কমেডি শো করে ফেলা যায় – এ কথা বুঝিয়েও তাদের বিশেষ উৎসাহ দিতে পারিনি। কী করি? ধর্মকারীতে টিমটিম করে শুরু হল নতুন কলাম, 'গরুপূজারী গাধাগুলো'।

    বানরের হুপহাপ, ছাগুদের এক ঘা। এইসব নাস্তিকের কলম-তোপের মুখে যে সব অর্বাচীন ধর্মান্ধ ফৌত হত, তাদের আদরের ডাকনাম 'ছাগু'। ছাগল থেকে ছাগু। তাদের গল্পে গল্পে, তর্কে জেতানোর আশা দেখিয়ে টেনে এনে তারপর নাস্তানাবুদ করা হত। সে ছিল ছাগুদের কাঁঠালপাতা খাওয়ানো। সে ধর্মের বক্তিমেবাজরা তখনও মাইকের সামনে একদিকে শান্তির ধর্ম, একটি পূর্ণ জীবনশৈলী – এইসব আওড়াচ্ছেন, অন্যদিকে জেনানাকে শান্ত রাখতে কীভাবে 'সহিহ্‌' তরিকায় প্রহার করা উচিত, তার বিধান দিচ্ছেন। গোটা বিশ্বজুড়ে সেই একই ধর্মকে ঢাল করে তখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে একদিকে আইসিস, অন্যদিকে তালিবানদের সঙ্গে প্রবল যুদ্ধ করছে ট্রিগার-হ্যাপি আম্রিগা। মহান নবীর কার্টুন ছেপে একদিকে মরছে ফ্রেঞ্চ কার্টুনিস্ট, অন্যদিকে তেনার প্রচারিত ধর্মকে আওয়াজ দেওয়ার কারণে বিল মার-এর ওপর তুমুল খচে যাচ্ছেন ইস্লামোফোবিয়া-বিরোধী ডেয়ারডেভিল বেন অ্যাফ্লেক। 

    সব শুনেও, আমি মন দিয়েছিলাম 'ইন্ডিয়া আনটাচড'-ডকুমেন্টারির সেই বেনারসি, কালো চশমা সাধুর দিকে (সত্যি বলছি, তেনার নাম: বটুপ্রসাদ শর্মা শাস্ত্রী – যেন বাস্তব নয়, রাজশেখর বসুর গল্পের চরিত্র!) , যার বক্তব্য ছিল, "শোনো, সেই দিব্যপুরুষের মুখ থেকে ব্রাহ্মণের জন্ম, বাহু থেকে রাজপুরুষদের আর উরু থেকে বণিক সম্প্রদায়ের। শূদ্র? পা থেকে। ইয়ে ম্যায় নহি কহতা, বেদমে লিখখা হ্যায়। শাস্ত্র বলেছে, হুঁহুঁ বাবা। আমি বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ, জাতপাত, ছোঁয়াছুঁয়ি অতএব গভীরভাবে মানি।" নিজের ঘরে এই পরিমাণ ট্র‍্যাজিক খিল্লি জমে থাকতে কী দরকার পাশের বাড়ি যাওয়ার?

    সেই আগুনখেকোরা সব গেল কোথায়? একদল মরেছে ছাগুস্য ছাগুদের চাপাতির ঘায়ে, একদল গেছে বিদেশে পালিয়ে (কী করবে? নিজের ঘরে বসে মরবে? আপনি পারবেন পঙ্গপালের উৎপাতের মধ্যে রজনীকান্ত সেজে হেঁটে বেড়াতে?), আর বাদবাকি – এই ক্রমশ পাগল হতে থাকা পৃথিবীতে সেয়ানা হয়েছে। এখন শুধুই বেছে বেছে রসিকতা করে। পেটে হাসির গোলা পাকালেও, মুখে, 'ঠিকই বলেছেন, জয় জগন্নাথই বটে' বলে খাজায় কামড় বসায়। জগন্নাথ ঠুঁটো হতে পারেন, খাজাটা তো দিব্যি খেতে!

    বেন অ্যাফ্লেকরা চিরকালই ছিল। অ্যাপলজিস্ট বলে তাদের। কিছু করার নেই। সৌজন্য থেকে আসে সেসব। বন্ধুর খুব অবাধ্য সন্তানটি গোটা বাড়ি তছনছ করলেও আপনি কান এঁটো করে 'আরে কিছু হয়নি তেমন' যেভাবে বলেন, আর নিজেরটি তার অর্ধেক করলেও কেমন তার কানটি মুলে লাল করতেন — সেই দিবাস্বপ্ন দেখেন – এ তারই সম্প্রদায়গত অনুশীলন মাত্র। তার থেকেও বড় কথা, আগে যেমন বললাম – চ্যারিটি, প্রেম, বিদ্রোহের মতো, বিদ্রূপও নিজের ঘর থেকেই শুরু হয়। তাই বাংলাদেশের নাস্তিকের ইসলাম-তুলোধোনা আর বর্ডারের এপারে যুক্তির রোদে চাড্ডি শুকোতে দেওয়া – নিতান্ত স্বাভাবিক।

    গোলমাল একটাই, পাবলিক বড়ো জল ঘোলা করে। হাফসেদ্ধ 'সেক্যুলার' তার পোস্টে লেখে — "আজ আমায় কেউ সেক্যুলার বোলো না পিলিজ! আজ আমি খুব দেশপ্রেমী, দেশের দুঃখে আমার পরাণ ফাটিয়া যায়!" যার কাছার গেরুয়া রঙটা আগে থেকেই হালকা বোঝা যেত, সে ফুঁপিয়ে ওঠে, "পারবো না আমি অত সূক্ষ্মতায় যেতে, যাও! এখুনি আমায় অস্ত্র দাও।"
    আর এ সবের মধ্যে, একদল, সান্তা ক্লজের সারল্যে জিকির দেয়, "সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম হয় না।"

    লে হালুয়া! সন্ত্রাসের আদর্শ থাকতে পারে (মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কালো হাত স্মর্তব্য), ভৌগোলিকতা হতে পারে ("ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার এই সন্ত্রাস মানছি না, মানবো না"), রাজনীতি থাকতে পারে ("ভোটের আগের তৃণমূলের এই সন্ত্রাস নিয়ে ঘণ্টাখানেক, সঙ্গে সুমন"), আর ধর্ম পারে না? 

    অ্যাপোলজিস্টবাবু, আপনাকে মেনে নিতেই হবে, এটা ইসলামী সন্ত্রাস। আমি-আপনিও এই সেদিনের ছোকরা না, এই সন্ত্রাসও আজকে নতুন না। লোকগুলি নানা কারণে নরাধম, কিন্তু সন্ত্রাসটি নির্ঘাত ইসলামী। ক'দিন আগেই একটা পুরোনো লেখা শেয়ার করেছিলাম, ফেবু-মেমোরিতে ভেসে ওঠায়। তাতে এইরকম একখান লাইন ছিল, যে, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় ২১ বছরের বিলকিস বানোর পরিবারের ১৪ জনকে তাঁর চোখের সামনে খুন করে, তারপর তাঁকে দলধর্ষণ করে হিন্দু ইতরেরা। তাতে এক চালিয়াত হিন্দুবীর কমেন্ট করেছিলেন, "উল্টোদিকে যখন কাশ্মীরে ইমিগ্র্যান্ট লেবার দের খুন করা হয় বা পাশেই বাংলাদেশে মাইনরিটিদের ওপর মেজরিটি দাঙ্গাবাজদের হামলা হয় -তখন ব্যালান্স রেখে তাদেরকেও একই  ভাষায় 'মুসলিম ইতর' বলা হয়  কি? নাকি তখন আবার দাবি ওঠে 'সন্ত্রাসবাদীদের কোনো ধর্ম হয় না'?"

    বুঝছেন তো, জলটা কী করে ঘোলা হয়েছে? এই হিন্দু বীরকে না হয় আমি থামালাম, "যদি ইতরামোর অজুহাতে সে তার আইডেনটিটি ব্যবহার করে, তবে তাকে বিশেষণ হিসেবে ব্যবহার করবো। যেমন, ক্লাসের লম্বা ছেলে, বেঁটের ওপর বুলিয়িং চালালে, তাকে 'লম্বা ইতর', নূপুর শর্মার পোস্ট শেয়ার করায় উদয়পুরের ব্যবসায়ীকে যারা মেরেছিল, তারা মুসলিম ইতর, অভিজিৎ রায়কে যারা কোপায় তারা ধার্মিক ইতর — এইরকম..." বলে, কিন্তু এরপর পান থেকে চুন খসলে হোয়াট-অ্যাবাউটারির বন্যা লাগাবে না হনু-চরেরা? বাঁধ দেবেন কোদ্দিয়ে?

    সেইজন্যেই, অ্যাপোলজিস্ট সায়েব, মেনে নিন — এটা ইসলামী সন্ত্রাস। তাতে হনুর দাপাদাপি কমবে না। ওর ভগোয়া লেজে আইটি সেলের স্প্রিং লাগানো আছে। কিন্তু আপনি কগনিটিভ ডিসোন্যান্সের শিকার হয়ে মাঝরাতে "সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই" হাঁকড়ে জেগে অন্তত উঠবেন না। সেই বা কম কী?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:৩৮542578
  • সন্ত্রাসের ধর্ম হয় না কেননা সন্ত্রাস জিওপলিটিক্সের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশী ব্লগারদের হত্যাকান্ড অতি নির্মম ঘটনা। কিন্তু তাত্ত্বিকভাবে ওনাদের মূল দূর্বলতা সন্ত্রাসের কর্পোরেটাইজেশনকে এড্রেস করতে না পারা। কর্পোরেট স্টেটের কাছে সন্ত্রাসের মত ব্যবসাসফল উপহার আর দুটি নেই। লিটেরালি প্রতিটি টেরোরিজমের ঘটনাকে স্টেটের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়। নয়-এগারো থেকে পুলওয়ামা উদাহরনের কমতি হবে না। স্মৃতিশক্তি দুর্বল না হলে পেগাসাস কান্ড বা নব্য খালিস্তানি অভিযান ভুলে যাওয়া সম্ভব না। এসবই স্টেটের পাঁচপা দেখা। জঙ্গিসংগঠন গুলোও মনে রাখবেন পাক্কা কর্পোরেট। ফলে যেকোন সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলে স্টেটের ওপর চাপ দিন, বিচারের দাবিতে মিছিল করুন বা নিদেনপক্ষে জন লে ক্যারে পড়ুন। কিন্তু লেফট লিবারেলদের গাল দিয়ে গাল ফুলিয়ে 'সন্ত্রাসের ধর্ম হয় -- উহা ইসলাম' থেকে শুরু করবেন না। ওটা লিটেরালি গরুর রচনা হয়ে গেছে।
  • π | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৫১542580
  • এদিকে পড়লাম, '  এই রিপোর্টে আহতরা বলছে আড়াল থেকে চার পাঁচজন র‍্যান্ডাম গুলি ছুড়েছে, কয়েক হাজার লোক ছিল ওখানে। zee র রিপোর্টার অনেক বার, নাম জিজ্ঞেস করে , ধর্ম জিজ্ঞেস করে মেরেছে কিনা জিজ্ঞেস করছিল। সবাই বলছে অনর্গল ফায়ার হচ্ছিল ২০-৩০ মিনিট। পালিয়ে বেঁচেছি। ধাক্কাধাক্কি হচ্ছিল প্রাণ বাঁচাতে। ওখানে কোন আর্মি ছিলনা।' https://fb.watch/z7QlbHB6JL/?mibextid=wwXIfr
  • π | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৫৭542581
  • এও পড়লাম,  ৮টা পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী সেখানে হিন্দুর সাথে মুসলমানও খুন হয়েছে। 
    তালিকা দেখলামও। আপনারাও পেয়ে যাবেন।  
     
    অথচ মিডিয়া,  সোসাল মিডিয়া ভর্তি, বেছে বেছে ধর্ম দেখে দেখে খুন করা হয়েছে।
  • প্যালারাম | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৩০542587
  • @পাইদি, আর জি কর-এর পরে, মিডিয়া যে পুরো ঘটনাও বানিয়ে দিতে পারে — এতে আমার বিশ্বাস জন্মে গেছে। কিন্তু সারাদিন ধরে যা পড়লাম, তার পুরোটা ভুল ধরে নিতে এখনো অস্বস্তি হচ্ছে। যদি দেখা যায় এগুলোও গালগল্প, তাহলে অবশ্যই তার প্রতিক্রিয়া—মানে এই লেখাও—তুলে নিতে হবে। তবে কিনা, শেয়ার করা ছবিতে একজন মুসলিমের যে গোল পাকানো নাম দেখলাম, তাতে মনে হল ওটা কোল্যাটারাল ড্যামেজ।
    এ যদি মিডিয়াপ্রসূত খবর হয়, তবে অনেক বেশি ড্যামেজ ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে।
  • প্যালারাম | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১০:২৩542589
  • @সুতীর্থ, 
     ঠিকই। রাষ্ট্র ও পুঁজি যে নিজের উৎসাহ ও ধান্দা চরিতার্থ করতে সন্ত্রাসে মদত দেয় ও তা নিয়ন্ত্রণ করে, সেটা সত্যিই এই কোভিড-পরবর্তী পৃথিবীতে পরিষ্কার। প্রতিটি সেরকম ঘটনার পরে স্টেটকে চাপ দিতে হবে, ইহাও সত্যি (যদিও, মিছিলে কী উদ্ধার হয়, আমার জানা নেই)।
     
    যা সত্যি নয়:
    ১) 'সন্ত্রাসের ধর্ম হয় — উহা ইসলাম' আমি বলিনি। বলেছি, (এই ঘটনা যদি সত্যি হয়; মিডিয়ার মিথ্যে হলে—পাইদিকেও যেমন বললাম—খুশি হয়ে প্রতিক্রিয়া সরিয়ে নেবো)
    'এই সন্ত্রাসটি ইসলামী সন্ত্রাস', আর তাকে ইসলামী দাগাতে ভয় পাবেন না। লিবারালদের উদ্দেশেই বলেছি, তবে তাঁরা লেফট কিনা – তা অন্য ক্ষেত্র থেকে বিচার্য। লিবারাল হওয়ার সঙ্গে বিধর্মী হওয়ার কোনো বিরোধ নেই বলেই বলেছি।
    ২) এবারে, সন্ত্রাসের ওপর এই ধর্মের ট্যাগটা লাগাতে আপনার খুব অস্বস্তি হতেই পারে। আমি সহমর্মী। প্যালেস্তাইনে জেনোসাইডের দায় ইজ্রায়েলের, ইহুদি ধর্মের নয় — এ কথা বললে আপনি ঠিক, কিন্তু মুশকিল হল, ইজ্রায়েল সেটা করে জায়নবাদের নামে। আইসিসের কার্যকলাপে নানা স্টেটের মদত থাকলেও (কারণ ধান্দা অ্যালাইনড), তাদের প্রতিটি সৈনিক যে মনেপ্রাণে কোরান-হাদিশের হিংসার বাণীগুলি বিশ্বাস করেই ওই নারকীয় কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা জানতে জিও-পলিটিক্স গুলে খাওয়ার দরকার হয় না, তাদের তৈরি ভিডিও দেখলেই হয়। কাস্ট সিস্টেম আর তার প্রতিকারের কায়দা নিয়ে রাজনীতি হলেও, তার জন্যে যে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম দায়ী — এ দাবি ভুল নয়। যাহা সনাতন, তাহা হিন্দু নহে আর যা ধম্মো, তা রিলিজিয়ন নহে — এ গল্প আপনি জানলেও, স্বাধীনতা-উত্তর ভারতবাসী জানে না। তাই রামনবমী তে উত্তর ভারতের সন্ত্রাস, হিন্দু সন্ত্রাস। বাংলাদেশের দুর্গাপুজোয় হওয়া সন্ত্রাস, ইসলামী সন্ত্রাস। সব কটিকে একত্রে ধর্মীয় সন্ত্রাস বলে দাগাতেই পারি, আসলে তা চাইও। কিন্তু তাহলে বক্তব্য লঘু হয়ে যাবে। তাই ইসলামের নামে হওয়া সন্ত্রাসকে ইসলামী সন্ত্রাসই বলবো, আর এদেশের বলীবর্দদের হিন্দুবীর। আপনার সেন্সিটিভিটিতে এই গরু রচনা আঘাত হানলেও।
    ৩) সন্ত্রাসকে ইসলামী বলবো না, কারণ জঙ্গিরা কর্পোরেট? তাহলে বাইবেল বেল্টকেও আর একই যুক্তিতে আর বাইবেল বেল্ট বলা যাবে না। আরএসএসও কর্পোরেট, তাদের 'হিন্দুত্ববাদী' বলা যাবে না? এই যে হিন্দু-হিন্দুত্বের বিভাজন (একটি পালনীয়, অন্যটি বিশ্ববীক্ষা), ইহা ইসলামে নাই। ওটি একাধারে ধর্ম এবং রাজনৈতিক গাইড। তাই যে যা, তাকে/তাদের সেই বলেই ডাকা ভালো। তা সে কর্পোরেটই হোক, বা কুটিরশিল্প। 
  • স্বাতী রায় | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৪২542590
  • মানুষ দুই প্রকার হয়। সুস্থ আর অসুস্থ। যারা সন্ত্রাসবাদী তারা মানসিকভাবে অসুস্থ। সন্ত্রাসবাদীর ধর্ম হয়,  অবশ্যই তাকে কোন না কোন ফ্যানাটিজম এর বুলি আওড়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়,  চাঙ্গা করা হয়, কিন্তু সন্ত্রাসবাদের ধর্ম হয় না। 
    আসলে আক্রমণকারীর আইডেন্টিটি দিয়ে সন্ত্রাসবাদ কে চিহ্নিত করতে চাইলে মুশকিল এই যে অগণিত শান্তিকামী মানুষকেও সেই একই সঙ্গে দাগিয়ে দিতে হয়। যত বার এই ইসলামী সন্ত্রাস কথাটা ব্যবহার হবে, ততবার ঘটনাস্থল থেকে বহুদূরে বসে পাশের বাড়ির মুসলমানটিকে বিঁধিয়ে বিঁধিয়ে শোনানো হবে যে ইসলাম মানেই সন্ত্রাসবাদ। কাল থেকে এই ঘটনাই স্রেফ চলছে। সেই সঙ্গে দাঙ্গা  আর সন্ত্রাসবাদ দুটো ভিন্ন গোত্রের হলেও দুটোকে এক করে দেওয়া হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। যে মানুষজন মুর্শিদাবাদ দাঙ্গার জন্য এমনিতেই মানসিক চাপে ছিলেন, তাকে আরও চাপে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এই জিনিসটা আরও সর্বনাশের ইন্ধন মাত্র। 
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫২542594
  • এই ঘটনা সত্যি না হলে লেখা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা বুঝিনি। এরা ধর্ম জেনে খুন করেছে না করেনি তাতে কি এসে যায়? ইসলামী সন্ত্রাসবাদী যখন, নিশ্চয় অমুসলিম লোকদেরই টার্গেট করেছিল। মুসলিম মারা গেলে সেটা কল্যাটারাল ধরলেই হল।

    ইসলামিক সন্ত্রাস বা ইসলামিক সন্ত্রাসী খুবই কমন এবং পশ্চিমি লিবারাল মিডিয়া স্বীকৃত শব্দবন্ধ। তুলনায় ক্রিশ্চান সন্ত্রাস বা হিন্দু সন্ত্রাস বা ইহুদি সন্ত্রাস সংবাদপত্রে খুব একটা দেখিনি। অর্থাৎ এই লেখার প্রেমিসটা নড়বড়ে। যাদের উদ্দেশ্যে লেখা সেই লিবারালদের একাংশও নিশ্চিতভাবে এখন রাষ্ট্রের সুরে সুর মেলাবে। যেমন ধরুন বরখা দত্ত বা ধ্রুব রাঠী এই ইসলামিক সন্ত্রাসের নিন্দে করে ভিডিও না বানালে অবাক হব। তো অংকের হিসেবে যা বুঝছি ইসলামিক সন্ত্রাসকে বুক ঠুকে ইসলামিক সন্ত্রাস বলার লোক প্রচুর। এর বাইরে যে ক্ষীণ লেফট ভয়েসটা পড়ে থাকে তাকে টার্গেট করার বিশেষ মানে নাই।
     
    সেকন্দ পয়েন্টে দেখুন ধর্মের ট্যাগ লাগানো আদৌ অস্বস্তির নয়। ট্যাগ লাগালে সেটা সন্ত্রাসের বহুমুখী জটিলতাকে ঢেকে দেয় এবং ইস্যুটার সরলীকরণ করে রাষ্ট্রের সুবিধে করে দেয়। ইন ফ্যাক্ট, এইটে পশ্চিমি মিডিয়ার তৈরী করা ট্রোপ। এবং লেফট বুদ্ধিজীবীদের কোনঠাসা করার চেষ্টা। ইজরায়েলের কথা তুললেন। আপনি বলুননা কোনো লেফট ইন্টেলেকচুয়াল সমালোচনা করতে গিয়ে ইজরায়েলের কর্মকান্ডকে ইহুদি সন্ত্রাস বলে কি? ইজরায়েল স্টেট্ নিজে কিন্তু বারবার নিজেদের ইহুদি জনগণের প্রতিনিধি বলে দাবি করে আসছে। কারণ ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন ইহুদি বনাম মুসলিম ক্রুসেড প্রচার করতে পারলে ইজরায়েলের লাভ সবচে বেশি। তো একইকথা ইসলামিক সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে বললে তক্ষুনি বলবেন ইসলামকে ডিফেন্ড করা হচ্ছে। কেসটা তা নয়। হিন্দু ধর্মে জাতপাত খারাপ, মুসলমানদের পর্দাপ্রথা খারাপ এগুলি বুঝি। কিন্তু সন্ত্রাস ব্যাপারটা অনেক বেশি অর্গানাইজড এবং মোটেই ইম্পালসিভ নয়। 
     
    হিন্দু আর হিন্দুত্ব এক নয় কনফিডেন্টলি বলে দিলেন। মোহন ভাগবত কিন্তু অন্য কথা বলে। কোনটা ধরব? ব্যাপারটা বুঝুন জঙ্গি ভিডিওতে কোরান আওড়ালেই সেইটে কারণ হয়ে যায়না। তেমনি  শশী থারুর যতই হিন্দুধর্মের বিশ্ববীক্ষা নিয়ে বই লিখুন, হিন্দুত্বের তাতে কিছুই এসে যায় না। কারণ হিন্দুত্ব একটা প্রজেক্ট যার পিছনে ইসরায়েলি ইন্টেলিজেন্স থেকে অনেককিছুই হাওয়া দিচ্ছে। তাই জিনিসটা বাড়ছে। ঠিক সেরকমই মুসলিম জঙ্গিদের পিছনে অস্ত্রব্যবসায়ী থেকে বহু ঘুঘু লাইন দিয়েছে। কোরান ফোরান দিয়ে হয়না। জিওপলিটিক্স দিয়েই হয়। পুতুল নাচের ইতিকথা।

    সন্ত্রাস জিনিসটায় অনেকের অনেকরকম স্বার্থ জড়িয়ে থাকে এইটা বলতে চাইছি। তাই টেরোরিজমের এগেনস্টে লড়তে গেলে প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত জিনিসটাকে আইনের আওতায় আনা। অন্ধকার থেকে আলোয় আনা। এইখানে রাষ্ট্র যেটা করে কাউন্টার টেরোরিজমের নাম ইস্যুটাকে ব্যবহার করে। আমি শিওর এবারেও সেটা হবে। এতে করে টেরোরিস্ট সংগঠন ও রাষ্ট্র উভয়েই লাভবান হয়। লাদেনকে মারার জন্য আমেরিকা কটা ইন্টারন্যাশনাল ল ভেঙেছিল মনে রাখুন। লাদেন কোরান পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল কিনা সেটা পরের কথা। আগে দরকার ফেয়ার ট্রায়াল যাতে করে সন্ত্রাস জিনিসটা আইনের আওতায় আসে। এবং এইটা নেশন স্টেট্ গুলোকেই করতে হবে। নাগরিকদের চাপেই করতে হবে। ধর্ম সংক্রান্ত ডিবেটটা এক্ষেত্রে একটা বড়সড় ডাইভারশন ট্যাকটিক।
  • MP | 115.187.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৪৫542596
  • @সুতীর্থ , ঠিকই বলেছেন | আমি আসলে এই জিয়োপলিটিক্স ব্যাপারেই জানতে চাইছি | কোন ধরণের জিয়োপলিটিক্সের জন্যে এধরণের ব্যাপার ঘটে ? বালুচিস্তানে গত মাসেই খুব বড় একটা টেররিস্ট হামলা হয়েছিলো | তখন গোদি মিডিয়া এই নিয়ে খুব লাফাচ্ছিলো | কালকের ব্যাপারটার সঙ্গে কি বালুচিস্তানের সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্বন্ধ আছে ? তাছাড়া মিডিয়াতে দেখছি IB এর একজন অফিসার নিহত হয়েছেন এই সন্ত্রাসী হামলাতে | সেজন্যই মনে হচ্ছে বালুচিস্তানের সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এব্যাপারে কোনো সম্পর্ক আছে |
  • প্যালারাম | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৫৫542599
  • @সুতীর্থ, 
    বুঝলাম। আপনার কথা সত্য। ধর্মের বিরোধিতা আর ধর্ম-অজুহাতে করা সন্ত্রাসের বিরোধিতা এক জিনিস নয়। তাদের একই স্বরে, একই সময়ে করাটা বোকামো। ডাইভারশন। প্যাঁচ কষে তোলা হুক্কার পরে 'হুয়া' বলা।
     
    আমার লেখার পুরো বক্তব্য ভুল না হলেও, এ মূলত নি-জার্ক রিয়্যাকশন। নিজেকে ভুল বলতে অস্বস্তি হয়, কিন্তু আপনার যুক্তি অকাট্য। এই লাইনে আগে ভাবিনি (ধর্ম বিরোধিতার ইনার্শিয়ায় পড়ে গিয়েছিলাম)। ধন্যবাদ। 
     
    লেখায় ডিসক্লেমার জুড়ে দেবো। smiley
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:১১542600
  • ঠিক আছে। ধন্যবাদ।
  • প্যালারাম | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২১542601
  • @স্বাতীদি, 
    সন্ত্রাস-এর প্রশ্নে আমার চিন্তা এখনো পরিচ্ছন্ন নয়, কারণ জিও-পলিটিক্স-এ আমার ব্যুৎপত্তি নেই, তাই সেই লাইনে কথা বলা উচিত হয়নি, ভবিষ্যতেও কিছু বলার আগে দশবার ভাববো। সন্ত্রাসবাদের ধর্ম হয় না — এইরকম বাম্পার স্টিকারে যাওয়ার সময় আমার এখনো আসেনি, তবে 'ধর্মীয় সন্ত্রাস' ঘোষণা করার আগে ভেবে দেখবো — শিওর।
    কিন্তু হিংসা, দাঙ্গা, সহনীয়তার অভাব — এগুলি সরাসরি ধর্মের কারণেই হওয়া সম্ভব, হয়ও। এর ভিত্তিতে মবকে একত্রিত করা, উসকানোও যায়। 
    তোমার কমেন্টের "সেই সঙ্গে দাঙ্গা  আর সন্ত্রাসবাদ দুটো ভিন্ন গোত্রের হলেও দুটোকে এক করে দেওয়া হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।" মেনে নিলাম।  এ দুটি কে আলাদা ভাবে ট্রিট করবো।
  • আ খোঁ | 2402:3a80:1cd1:c147:278:5634:1232:***:*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪৪542603
  • প্যালারামের আগের লেখাটা সকালেই পড়েছিলাম। সুতীর্থ ঠিক জায়গায় ধরিয়ে দিয়েছেন। ওনাকে ধন্যবাদ। কিন্তু একটি বিষয়ে সুতীর্থর সাথে একটু আলাদা মত পোষণ করি। সেটা হলো এই নেশন স্টেটের জিম্মায় সন্ত্রাসকে আইনের আওতায় আনা। সুতীর্থই উল্লেখ করলেন সন্ত্রাসের বহুমাত্রিকতার কথা। সেটার  স্টেট আইন উত্তর হতে পারে বলে আমার মনে হয় না। আধুনিক পৃথিবীর যাবতীয় সন্ত্রাসী কার্যক্রম-এর মূলের একটি বড়সড় অনুঘটক হলো স্টেট পলিসি (মূলত পুঁজিবাদী পলিসি) যা আইনের (সে অপ্রেসিভ/রিগ্রেসিভ/প্রগ্রেসিভ যাই হোক না কেন) আওতায় বৃহত্তর হেজেমোনিক শক্তি হিসেবে কার্যকরী হয়ে থাকে। সুতরাং....
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:০৯542604
  • আ খোঁকে বলার শক্তিশালী দেশ ক্রমাগত ইন্টারন্যাশন্যাল ল লঙ্ঘন করে এইটেই মূলত সমস্যা। যেমন ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রিমিন্যাল কোর্টে জর্জ বুশের বিচার হতে পারত। মিলেসোভিচের হয়েছিল। কিন্তু আম্রিগা ইরাক যুদ্ধের আগে হেগ এক্ট পাশ করে। যার মূল বক্তব্য কোন আমেরিকান অফিশিয়ালের বিচার হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে হলে আমেরিকান আর্মির পূর্ণ অধিকার থাকবে নেদারল্যান্ডে গিয়ে সেই অফিশিয়ালকে উদ্ধার করে আনার। এটাই প্রব্লেম। তবে আইসিসির দ্বারস্থ হবার কথা কপিল সিব্বল আজকেই বলেছেন দেখলাম। আইনকানুন তো খুব সলিড জিনিস নয়। বাবরি তো আমাদের দেশের আইনের অন্তর্গত বিষয়। সেখানে এক উদ্ভট রায় পাওয়া গেল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ফাঁকফোকর আরও প্রশস্ত। কিন্তু সন্ত্রাসের আইনি মোকাবিলা নিয়ে কথাবার্তা হওয়া দরকার। সেটা ঘুসকে মারার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটুকুই।
  • MP | 2409:4060:206:196c:409f:9d53:f7f2:***:*** | ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:২০542609
  • @ সুতীর্থ , ভারত আইসিসির সদস্য নয় বলেই জানি l এক্ষেত্রে ভারত কিভাবে এই ইস্যু নিয়ে আইসিসির কাছে যেতে পারে ? তাছাড়া এই ইস্যুতে গেলে কাশ্মীরের আন্তর্জাতিকরণ হয়ে যেতে পারে l যেটি বহুদিন ধরেই ভারত চায়না l আরেকটি বিষয় এখানে স্পষ্ট করা দরকার সেটি হচ্ছে ইন্ডাস জলচুক্তি l এটি থেকে ভারত চাইলে ইউনিল্যাটেরালি বেরিয়ে যেতে পারে l হয়তো এটাই হবে শেষ পর্যন্ত l 
  • জনৈক | 47.32.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:৩২542618
  • একটা কথা মনে হল, বলেই ফেলি। প্রথমতঃ, সন্ত্রাস জিওপলিটিক্সের অপরিহার্য অংশ বলে তার কোনো ধর্ম হয় না, এটা কেন? ধর্ম আর জিওপলিটিক্স তো সবসময় অস্ম্পৃক্ত থাকে না, তাই না? কোনো আইডিওলোজিক্যাল কারণে নিরস্ত্র মানুষের উপরে হামলা করা হলে সেই আইডিওলোজির নাম ঐ সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িয়ে যাবে, এটা তো স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। যেমন নিউজিল্যন্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হানাকে হোয়াইট সুপ্রেমেসিস্ট টেরর না বলার কিছু নেই, তেমনই শ্রীলঙ্কার ঈস্টার বম্বিং কে ইসলামী সন্ত্রাস বলা যায়। গাজায় যা হচ্ছে সেটা তো নিশ্চিতভাবে জায়নবাদী সন্ত্রাস। কিন্তু ইহুদী সন্ত্রাস তাকে কেন বলব, যেখানে ব্যাপারটা আসলে একটা কলোনাইজেশনের অংশ।

    এটা ঠিক যে ইসলামোফোবিয়া বাড়ছে প্রবলভাবে, তার সঙ্গে এটাও ঠিক যে ধর্মের নামে সন্ত্রাসী হামলা বা ধর্মের ব্যাপারে ক্রিটিক্যাল যে কোনো স্বরকে মুছে দেওয়ার উদাহরণগুলো এই পরিস্থিতিকে আরো খারাপই করে তোলে।
  • প্যালারাম | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:২৫542619
  • @জনৈক 
    এইটাই আমিও ভাবছিলাম বলেই এই লেখা। "ধর্ম আর জিওপলিটিক্স তো সবসময় অস্ম্পৃক্ত থাকে না, তাই না?"
    এই যে আমরা আলোচনা করছি, কোনটা কী — যতক্ষণ তা অ্যাকাডেমিক, কোনো অসুবিধে নেই। যেমন পোকামাকড়ের প্রজাতি ভাগ হয়, বা অর্গানিক কম্পাউন্ডের IUPAC নাম। সেরকমটি হলে, যা লিখেছি, বেশ করেছি বলে বেরিয়ে যেতাম। ধর্ম অতি খাজা জিনিস — দশটা গাল পেড়ে শান্তিই হত। 'সন্ত্রাসের ধর্ম হয় না' – এ এক বাম্পার স্টিকার। অধিকাংশ বাম্পার স্টিকারের মতোই, ফিল গুড, কিন্তু ভুল। 
     
    কিন্তু, এই লেখার ক্ষেত্রে মনে হয় একটা ভুল হয়েছে। 'এই যে এই ঘটনাটি ঘটেছে, ইহা ইসলামী সন্ত্রাস' — এই কথাটুকু। 
    ঘটনার রিয়্যাকশনে—যখন এমনকি এও জানা যায়নি যে ধৃত একজন বিজেপির আইটি সেল কর্মী—এই অঙ্গুলিনির্দেশ, ঠিক হোক বা ভুল, আসলে ধান্দাবাজ হিন্দুত্ববাদীদের স্বরকে পোক্ত করতে সাহায্য করে।
     
    কী হবে আমাদের অ্যাকাডেমিক এই ডিসকাশনে, যদি একে ঘৃণা বাড়ানোর অজুহাত বানায় কিছু লোক? যাতে তা না হয়, তাই মূল লেখায় জিও-পলিটিক্স কীভাবে এর পেছনে কাজ করে — সে কথাও লেখা উচিত ছিল। যেহেতু বেশি ফান্ডা নেই, লিখিনি। ওইটেই ভুল। 
    (তা না হলে, সুতীর্থ এই দিব্যি লেখাটাকে গরু রচনা বলে পার পেতেন না wink)
  • জনৈক | 47.32.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:২৫542620
  • সেই, এরকম ঘটনাগুলি অব্যর্থভাবে শাসকের তথা রাষ্ট্রের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নিজেরা কথা বলার সময় যা দেখছি, যা ঘটছে তার সব টুকুই তো আলোচনার আওতায় থাকা উচিত। একটা জটিল পরিস্থিতিকে বোঝা বা তার মোকাবিলা করার জন্য সেটা দরকার বলে মনে করি। যেসব ক্ষেত্রে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষ মারার মরাল স্যাংশন পেতে, সেসব ক্ষেত্রে আলোচনায় সে কথা আসবে। তার মানে ধর্মের ট্যাগ লাগিয়ে অন্য বাস্তবতাগুলিকে অস্বীকার করা নয়। সমস্যাটা বহুমাত্রিক, ধর্ম তার অন্যতম হতে কোনো বাধা নেই। পাছে শাসকের সুবিধে হয়, তাই ও কথা থাক, এই ভাবনাটা ঠিক মনে করি না।
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৪৯542621
  • শাসকের সুবিধে হওয়ার জন্যে বা পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকার জন্যে ধর্মকে উহ্য রাখতে বলছি না কিন্তু। মনে করি সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে ধর্মকে প্রিন্সিপাল কম্পোনেন্ট ধরে নিলে অনেক বড় মেশিনারি আর তার ডায়নামিক্স আড়ালে চলে যায়। ধরুন জর্জ বুশ যখন ইরাক যুদ্ধের আগে প্রেস কনফারেন্সে বলতেন ঈশ্বরের এটাই ইচ্ছা বা ঈশ্বর আমাকে এরকমই নির্দেশ দিয়েছেন, ফ্রান্সে গিয়ে শিরাককে গগ-ম্যাগগের গল্প ওল্ড টেস্টামেন্ট থেকে কোট করে বুঝিয়েছিলেন কেন ইরাক যুদ্ধ একটি পবিত্র ধর্মযুদ্ধ, তখন আমরা কিন্তু ভেবে নিইনি বুশ সাহেব ব্রেনওয়াশড হয়ে ধর্মযুদ্ধ করতে ইরাকে যাচ্ছেন। আমরা লেলিরা পরিষ্কার জানতাম বুশ হারামিগিরি করছে যাতে ক্রিশ্চান অর্থোডক্সদের সমর্থন আদায় করতে পারে। মোদীজিকে হিন্দু ধর্মগুরু বানানোর জন্যে বিজেপি কতই গল্প রচনা করে। উনি কেদারনাথে গিয়ে গেরুয়া পরে ধ্যানট্যান করে আসেন। আমরা লেলিরা একবারও ভাবিনা বিজেপির নেতারা হিন্দুধর্মের আফিমে ডুবে গেছে। আমরা জানি ওরা হারামিগিরি করছে। তাহলে জঙ্গিদেরকে সরল গোলগাল ভিলেন ভাবব কেন? বরং তারাও বিশুদ্ধ ধর্মীয় জেহাদ আওড়াচ্ছে থিয়েট্রিক্সের পার্ট হিসেবে এইটা ভাবাই তো স্বাভাবিক। অডিয়েন্স তাদেরও আছে আর ঠিকঠাক পিআর ক্যাম্পেন চালাতে না পারলে তারাও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। সুতরাং পুরো জিনিসটা এইভাবে ভাবলে ধর্ম স্রেফ সন্ত্রাস নামক থিয়েটারটির জনরা বলে মনে হয়। ভুলে যাবেন না রেগানের আমলে এই একই থিয়েটারের জনরা ছিল ড্রাগ আর রঙ্গমঞ্চটি ছিল লাতিন আমেরিকা।

    ধর্মকে সমালোচনা করুন। একশবার করুন। কিন্তু শেষমেশ খুব রেগে গিয়ে একটা নিয়তাকার বাস্তব আছে এইটে ধরে নেবেন্না। :) আমরা সব্বাই থিয়েটারের ভেতরে দাঁড়িয়ে থিয়েটার উইদিন এ থিয়েটার দেখছি। বদ্রিলার্ডের সিমুল্যাক্রা তত্ত্ব পড়ে দেখতে পারেন। উনি গার্ডিয়ানে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন The Gulf War Did Not Take Place. খুবই পুঁদিচ্চেরি ব্যাপার।
     
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১২:২০542623
  • একটা ছোট পয়েন্ট ব্যক্তির সন্ত্রাস নিয়ে যোগ করা দরকার। একজন সন্ত্রাসবাদীর ব্যক্তিগত মোটিভেশন তো বাপু বলতে পারোনা কর্পোরেট হ্যানো ত্যানো? ওইখানে একমাত্র ব্যাখ্যা কি তবে বিশুদ্ধ ধর্মীয় অনুপ্রেরণা? এটাও ডেটা দেখলে নিশ্চিত করে বলা যায়না। কুড়ি বছর আগে ইসলামিক সন্ত্রাস বিশেষত সুইসাইড বম্বিং যখন হট টপিক ছিল, তখন শিকাগো ইউনিভারসিটির একটা রিসার্চ প্রজেক্ট ছিল শিকাগো প্রজেক্ট অন সুইসাইড টেররিজম। ওই প্রজেক্টের ডিরেক্টর রবার্ট পেপের সাক্ষাতকার থেকে খানিকটা অংশ তুলে দিলাম।

    The conventional wisdom is that suicide terrorism is motivated by religious fanaticism – religious hatred combined with the promise of a martyr’s paradise in the hereafter. What does your own research suggest?
     
    The conventional wisdom is mostly wrong. Suicide terrorism is not mainly the product of Islamic fundamentalism or any other evil ideology independent of circumstance. I have studied 462 suicide terrorists; over half are secular. The world leader in suicide terrorism is the Tamil Tigers in Sri Lanka – they’re a Marxist group, a secular group, a Hindu group. The Tamil Tigers have committed more suicide terrorist attacks than Hamas or Islamic Jihad. Instead, what more than 95 percent of all suicide terrorist attacks since 1980 have in common is not religion, but a specific secular goal: to compel modern democracies to withdraw military forces from the territory the terrorists view as their homeland. From Lebanon to Chechnya to Kashmir to Sri Lanka to the West Bank, every suicide terrorist campaign since 1980 has had as its main objective to compel a democratic state to withdraw combat forces from territory that the terrorists prize.
     
    But it remains true that Islamic terrorist groups like Al Qaeda, Hamas and Hezbollah all together have committed the majority of such attacks, and virtually all the attacks committed against the US and its allies. Does this suggest any special link between Islamic radicalism and suicide terrorism?

    No, for two reasons. First, the data show that Islamic fundamentalism is not associated with about half of all suicide attacks. Second, because the data show that suicide terrorism, even among Islamic fundamentalist groups, does not occur very often outside the circumstance of the presence of foreign combat forces on the territory that the terrorists prize. The military presence of foreign combat forces accounts for about 95 percent of all suicide terrorist attacks – even among Muslim groups, even among Islamic fundamentalist groups. It also accounts for the timing of the attacks, such as in the case of Lebanon, for example, in the 1980s. Israel invaded Lebanon in June of 1982 with 78,000 combat troops and 1,000 tanks, and one month later Hezbollah was born – it had not existed before that. A few months after that, Hezbollah began experimenting with suicide terrorist attacks and the fourth attack, a year later, was the famous Marine barracks attack that caused the Americans to withdraw their forces from Lebanon, the French to withdraw their forces from Lebanon, and then Israel eventually withdrew its forces from Lebanon. What you see is that after the foreign combat forces left, the suicide terrorist attacks stopped; they did not follow the Americans to New York, the French to Paris, or the Israelis to Tel Aviv.

    সাক্ষারকারের লিঙ্কঃ https://www.pewresearch.org/religion/2005/10/21/in-gods-name-evaluating-the-links-between-religious-extremism-and-terrorism/

    যেটুকু মনে হয় মানুষের নিজেকে হ্যালু খাওয়ানোর ক্ষমতা অপরিসীম। যখন সে নিজে ভাবছে আমি একটা মহান উদ্দেশ্যে আত্মত্যাগ করতে চলেছি, সেই ভাবনাটাও সত্যি বলে ধরে নেওয়ার কোন কারণ নেই। মোট কথা এটুকু বলা যায়, এরপরে ধর্মই সন্ত্রাসের মূলে এরকম কনক্লুশন টানলে ভুল হয়।
  • স্বাতী রায় | ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২৯542626
  • সন্ত্রাসের ধর্ম হয় না এটা ঠিক আমার কাছে ফিল গুড স্টিকার নয়। কেন সেটা ব্যাখ্যা করতে গেলে বলব আমার দেখা মতে , সন্ত্রাসবাদ একটা হাতিয়ার। সেটা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন আইডিওলজিই  ব্যবহার করে। কখনো ধর্ম, কখনো রাজনৈতিক বোধ, কখনো দেশাত্মবোধ ইত্যাদি বিভিন্ন রকম। সূক্ষ্ম বিচার করলে যে আইডিওলজি যখন জিতে যায় , তখন সেই মতের সমর্থনে যারা সন্ত্রাস চালিয়েছেন তাঁরা "বীর" হন। আর সেই এইডিওলজি  হেরে গেলে তখন  তাঁরা "সন্ত্রাসী"। ঠিক যে যুক্তিতে ভারতের বিপ্লবীরা বীর, কিন্তু ভিন্দ্রানোয়ালের সমর্থক রা দুষ্কৃতী। কিন্তু ক্ষুদিরামের  বোমায় যে দুই সিভিলিয়ান ইংরেজ মহিলা মারা গেছেন, তাঁদের পরিবারের দৃষ্টিকোণ থেকে কি ক্ষুদিরাম কখনো বীরের  সম্মান পেয়েছেন, যতই আমরা তাঁকে মাথায় তুলে রাখি না কেন?  কিছুদিন আগেও ভারতে মাওবাদী সন্ত্রাস বেশ হাড় হিম করা ছিল। সেও কিন্তু ধর্ম সম্পৃক্ত নয়। তাই বলে কম বীভৎস তো নয়। 
     
    তবে এও সত্যি যে যাকে মিডিয়া বলে "ইসলামিস্ট টেররিজম" সেটা প্রায় ৮০% ।  পহেলগাঁও কান্ড অবশ্যই ধর্মকে ফোরফ্রন্টে রেখে, যা এখনো বোঝা যাচ্ছে ধর্ম জেনে তারপর খুন করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনা ক্লেইম করে যে স্টেটমেন্ট তারা দিয়েছে, ফোর্সড ডেমোগ্রাফিক চেঞ্জ এর ব্যাপারটা সামনে আনছে। যাবতীয় কনস্পিরেসি তত্ত্ব যা বাতাসে ভাসছে সেটাতে যদি কান নাও দিই, তাহলেও ওই ক্লেইম স্টেটমেন্ট টা একটা স্থানীয় anxiety তুলে ধরছে। কাশ্মিরী বিভিন্ন কাগজপত্র কিন্তু বার বার উন্নয়নের বুলডোজার চালানোর কথা তুলছে। এবং সেটা বহুলাংশে বাইরের বিনিয়োগে, স্থানীয় স্থিতি নষ্ট করে।  এবার এটাকে ধর্মীয় সন্ত্রাস বলে দাগিয়ে দিলে এইসব নিয়ে আর মাথা ঘামাতে হয় না, বেশ একটা ধর্মীয় বাইনারী তে আটকে যাওয়া যায়। স্থানীয় অসন্তোষ কে ঢেকে দেওয়া যায়। এমনকি স্থানীয় দাবির প্রতি বিন্দুমাত্র sympathetic যদি নাও হই, তাহলেও এটা ভেবে দেখা যায় কি ইস্যু টা আসলে রিসোর্স দখলের, সন্ত্রাসবাদ তার হাতিয়ার মাত্র? এমনকি হতে পারে না ধর্ম এখানে স্রেফ ব্যবহার করা হয়েছে indoctrination এর মাধ্যম হিসাবে? এবং সেই সঙ্গে একটা আই ওয়াশ ও, যাতে লোকে অন্য গলিতে ঘুরে মরে,  আর তলায় তলায় ক্ষমতার টানাটানি চলতে পারে।  
    মধ্যযুগে ধর্ম ব্যবসায়ী রা ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিল। তখন সরাসরি ধর্মের নামে ক্রুসেড হত। এখন কিন্তু তারা পাওয়ারফুল হলেও ক্ষমতার কেন্দ্রে নেই। সেখান টা নিয়ে আছে রাজনীতিবিদ আর পুঁজিপতি রা। তাঁরা অতটাই সরল না যে ক্ষমতার রাশ স্রেফ আবার ধর্মের হাতে ছেড়ে দেবেন, যদি তার থেকে কোন ডিভিডেন্ড না আদায় করতে পারেন। 
     
    এই ধারণাটা মাথায় রেখেই আমি কোন সন্ত্রাস কে কিছুতেই ধর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলতে পারি না। At best ধর্ম সেখানে টুল হিসেবে ব্যবহৃত। 
  • | 2406:7400:63:d58c:d849:aeba:14e7:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০০:৫৪542640
  • আজকেই প্রথম বাদ্রিলার্ড এর নাম শুনলাম | এই লালুরা কত কিছু জানে |
    আচ্ছা চোঙেরবং ডোডোন্ডিং বলে কেউ নেই ?
  • | 2406:7400:63:d58c:d849:aeba:14e7:***:*** | ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০০:৫৬542642
  • তবে পাবলিক কিন্তু লালু আর লালুবাচ্চা দের ধরছে | বোধহয় লার্ড বানানোর জন্য | 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন