এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ধন তরাসের কাউন্টডাউন 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৭৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ধন তরাসের কাউন্টডাউন

    গতবছর ধনতরাসের মাতামাতি নিয়ে একটা রম্যরচনা প্রকাশিত হয়েছিল গুরুর পাতায়। আজকের লেখাটি তার‌ই অনুষঙ্গে লেখা। পাঠকেরা এই আখ্যান পড়ে রমিত হলে জানবো আমার কলম ধরা সার্থক হয়েছে। লেখাটি পড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেবার অনুরোধ রইলো।

    অনেকদিন পর রাধাকান্ত একটু খোস মেজাজেই আছেন। চারজনের সংসারে তিনজন‌ই উপস্থিত আউট অফ স্টেশন, মানে একটু এদিক ওদিক চড়ে বেড়াতে গেছে। বাড়িতে তাই এখন অখণ্ড শান্তি। ছেলে কালাচাঁদ আর বৌমা ললিতা গেছে ছুটি কাটাতে ডুয়ার্সের কোন্ এক নিভৃতাবাসে। সারা বছর কাজ করে করে একেবারে হেদিয়ে গেছে। তাই ছুটি পড়তেই বাক্স প্যাটরা বেঁধে সোজা ধা । ললিতাই দেখেশুনে সব ঠিকঠাক করেছে–কোথায় যাবে, কোথায় গিয়ে উঠবে, সাইট সিয়িঙ করতে কোথায় যাওয়া হবে থেকে শুরু করে মায় ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনারের মেনু পর্যন্ত ঠিক করে ফেলেছে। কালাচাঁদের বৌটি হয়েছে বেশ। সবদিকেই একেবারে চৌখশ। মাস ছয়েক বিয়ে হয়েছে , তবে দেখে বোঝার জো নেই। হাটবাজার থেকে হেঁসেল সবদিকেই সমান নজর। কালাচাঁদের মতো আঠারো মাসে বছর হ‌ওয়া ঢিমেতালে চলা ছেলের কপালে এখন বন্দে ভারতের ইঞ্জিন জুড়ে গেছে। প্রথম দিকের জড়তা ভেঙে এখন ছেলেও ছুটছে ললিতার তালে তালে। রাধাকান্ত এসব দেখে মুচকি হেসে বলে, ম্যাড ফর ইচ আদার।

    অন্যদিকে গোপিকা গিয়েছেন তেনার স‌ইয়ের সাথে তীর্থ ভ্রমণে। রাধাকান্তকেও বলেছিল অনেকবার করে। এক দঙ্গল তীর্থালু প্রমীলা বাহিনীর সঙ্গে যেতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে এখন একাই থাকতে হচ্ছে। এতে তেমন অসুবিধে নেই। কাজের মেয়ে সুলতা দুবেলা এসে ঘরদোর ঝেড়ে পুছে সাফসুতরো করে রান্না করে দিয়ে যায়। একজনের জন্য আর কত কি দরকার! তাও সুলতা রোজ এসে বলবে – “আজ ইস্পেশাল কি হবে গো দাদাবাবু ? একটু বিউলির ডাল করবো? সঙ্গে বেশ ঝাল দিয়ে আলুপোস্ত?” বিউলির ডালের কথা শুনে গোপিকার কথা মনে পড়ে। রাধাকান্তরা পাড় বাঙাল। সেই পরিবারের ব‌উ হয়ে এলো বর্ধমানের কুসুমগ্রামের মেয়ে গোপিকা। প্রথম প্রথম বাঙাল বাড়ির রান্না খেয়ে রীতিমতো লবেজান অবস্থা – যেমন ঝাল তেমন‌ই দাপট তেল মশলার। রাধাকান্তর মনে পড়ে রাতের বেলায় ঘরে এসে গোপিকা রোজ অনুযোগ করে বলতো – সবাই ঠিক‌ই বলতো, বাঙাল বাড়ির বৌ হয়ে যাচ্ছ, সম্বৎসর একেবারে ঝালে ঝোলে অম্বলে ট‌ইটম্বুর হয়ে থাকবে। সেই গোপিকা এখন ওপারের রান্নার রঙঢঙ রপ্ত করে পাকা গিন্নি হয়ে গেছে। শুক্তো, ঘন্ট, ছেচকি, লাবড়া – সব রান্নাতেই একদম পটিয়সী। অবশ্য এর পেছনে তাঁর শাশুড়ি মায়ের একটা বড়ো ভূমিকা ছিল। তেনার নিজের কোনো মেয়ে ছিলনা, তাই গোপিকাকে যত্ন করে নিজের হাতে সব শিখিয়েছেন। গোপিকাও ভালো ছাত্রী হয়ে সব একটু একটু করে রপ্ত করেছে নিজের আগ্রহে।

    রাধাকান্তর মনে পড়ে, বিয়ের কিছুদিন পর কুসুমগ্রাম গিয়েছিল রক্ষাকালী মায়ের পুজো উপলক্ষে। খুব ধুমধাম করে পুজো হয়। আশপাশের এলাকার লোকজন এই উপলক্ষে সবাই এসে হাজির। সাথেসাথে নিজেদের বাড়ির আত্মীয়স্বজন,জ্ঞাতি গুষ্টিরা তো আছেই। সারারাত ধরে চলে বলির পর্ব। বোষ্টম বাড়ির ছেলে রাধাকান্ত। বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত শ্যামরাইয়ের নিত্য সেবা চালু রয়েছে এখনও। সেই বাড়ির ছেলে হয়ে শাক্ত রীতির আচার অনুষ্ঠানগুলোকে মেনে নিতে বেশ অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল বটে, তবে মায়ের কথাগুলো মনে পড়তেই – “দেইখো বাপু অহেতুক মাথা গরম ক‌ইরো না” – নিজেকে সামলে নিয়েছেন একাধিক বার। সেবার বাড়ি ফেরার সময় নানান উপঢৌকনের সঙ্গে গোপিকা নিয়ে এসেছিল অনেকটা পোস্ত। বর্ধমানের লোকজনের পাতে নিত্য পোস্ত না হলে নাকি খাওয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। অবরেসবরে রাধাকান্তদের বাড়িতে এই দানাদার উপকরণটি এলেও পাকাপোক্ত ঠাঁই করে নিতে পারেনি। গোপিকার হাত ধরে এ বাড়িতে পোস্তর অনুপ্রবেশ ও অধিষ্ঠান। গোপিকার কথায় বর্ধমানের মেয়ের বাঙাল বাড়ি জয়।

    এ ব্যাপারে ললিতাও কম যায়না। কৃষ্ণনগরের মেয়ে। মাসকাবারির ফর্দ করতে বসলেই পুজোর ফর্দ যেমন সিদ্ধি দিয়ে শুরু হয় তেমন‌ই এ বাড়িতে সবার আগে লেখা হবে পোস্তর নাম। আগে বাজারের যদু সাহার দোকান থেকে সব মুদীখানার সদাই আসতো। যদু সাহার বাবা মধু সাহার হাতে তৈরি দোকান। গেলেই আদর যত্নের কিছু কমতি ছিল না। এখন অবশ্য ললিতাই এদিকটা সামলে নেয়। শাশুড়ি মায়ের কথা মতো সব‌ই এখন আসে অনলাইন কেনাকাটার সূত্রে। এই ব্যাপারটা অবশ্য রাধাকান্তের বিলকুল না পসন্দ্।‌ একটু প্রাচীনপন্থী মানুষদের এই হলো সমস্যা, না ঘরকা, না ঘাটকা। এই বিষয়ে গোপিকা অনেকটাই মুক্তমনা। বৌমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনিও এখন নেচে উঠেছেন। রাধাকান্ত মাঝে মাঝেই এই বদলের ব্যাপারে অবাক হয়ে ভাবতে থাকে। গোপিকাকে একথা বললেই ঝাঁঝিয়ে বলে উঠবে – “থাকো তুমি তোমার সংস্কার নিয়ে, মনে রেখো যেমন কলি, তেমন চলি। এই নীতি মানতে না পারলে হারিয়ে যাবে।”

    হারিয়েই গিয়েছিল গোপিকা। পুজোর দিনগুলো বাড়ি ছেড়ে থাকতে মন না চাইলেও অনেকটা বাধ্য হয়েই এখন ঘর ছাড়া। তার ওপর সবাই মিলে মেলায় এসে ভিড়ে হারিয়ে গিয়ে নিজেকে বেশ অসহায় লাগে গোপিকার। গতবছর ধনতরাসের দিনের কথা মনে পড়ে যায় তাঁর। শচীনন্দন জুয়েলার্সের ভিড় ঠেলে এগোতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হবার ঘটনার কথা মনে পড়তেই কান্না পায় গোপিকার। এবার‌ও কি তেমনি হতে চললো? ভিড় ঠেলে যতবারই এগোবার চেষ্টা করে, ততবারই বেসামাল মানুষের ঠেলা খেয়ে এদিক ওদিক ছিটকে পড়ে সে। হঠাৎ মাইকে ভেসে আসে ঘোষকের কন্ঠস্বর – মেলা কমিটির তরফে জানানো হচ্ছে শ্রীমতি গোপিকা …….। কমিটির অফিসে এসে সবাইকে দেখে তবে স্বস্তি ফেরে। হারিয়ে যাবার হ্যাপা কি কম?

    লাটপাঞ্চারের অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে এসে নিজেকে হারিয়ে ফেলে ললিতা। কালাচাঁদ একটু বিষয়ী স্বভাবের। সেও ললিতার পাল্লায় পড়ে এ কদিনেই একজন রোমান্টিক প্রকৃতি প্রেমী হয়ে উঠছে একটু একটু করে। সঙ্গ দোষ আর কি! সারা সকাল এদিক ওদিক দুটিতে মিলে ঘুরে বেড়ায় আর সন্ধের পর থেকেই কম্পিউটার নিয়ে বসতে হয় কাজে। একালে এই হয়েছে সুবিধা। নিয়মিত অফিস যাবার পর্ব একালের ব্যস্ত দুনিয়ায় ক্রমশই ছোট হয়ে আসছে। এ বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ওদের খুব ভাবনা নেই। ওদের বেঁচে থাকা শুধুমাত্র বর্তমান নিয়ে। আজ‌ও নিয়মমতো বেরিয়েছে ওঁরা। বনপথে হেঁটে হেঁটে দূরে চলে যাবার মজাই আলাদা। ললিতা অবশ্য ঠিক হাঁটছে না, দৌড়চ্ছে। কালাচাঁদ চলেছে গজেন্দ্র গমনে,সাবধানী পায়ে। বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়ে ললিতা কালাচাঁদকে ডাকে,

    – এই একবার এদিকে এসো। হৈচৈ করোনা। সাবধানে…
    একটা পাথরের ওপর বসে বিশ্রাম করছিল কালাচাঁদ। একরকম দৌড়ে ললিতার কাছে পৌঁছে যায় সে।
    – কী হলো?
    – দেখো কি সুন্দর দুটো পাখি ! অনেকটা ময়ূরের মত। কী নাম ওদের? ললিতার গলায় একরাশ জিজ্ঞাসা।
    কালাচাঁদ ক্যামেরা বাগিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করে, তবে ঠিকঠাক ফোকাস করে উঠতে পারেনা। জীবনের সুখের মুহূর্তগুলোকি এভাবেই চকিতে ছুঁয়ে যায় আমাদের? তাকে ধরে রাখবো কী করে? ছুটির মেয়াদ‌ও যে এবার ফুরিয়ে এলো।

    বেশ কয়েকটা দিন একা থাকতে থাকতে এবার একটু যেন হাঁপিয়ে ওঠে রাধাকান্ত। মা বলতেন গৃহস্থের বাড়িতে মানুষ‌ই হলো লক্ষ্মী। একা থাকা মানেই বোকা হয়ে থাকা। দেখতে দেখতে দীপাবলীর সময় এগিয়ে আসছে। গোপিকার এরমধ্যেই ফিরে আসার কথা। যে বয়সের যেমন। এখন ধম্মকম্মে মতি হ‌ওয়ার সময়। গতবার শচীনন্দনের দোকান থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল বলে এবার নিজে এসে আমন্ত্রণ জানিয়ে গেছে বন্ধু রাধাকান্তকে। সেদিন সকাল সকাল গাড়ি হাঁকিয়ে এসে হাজির। সুলতাই আপ্যায়ন করে ঘরে বসিয়ে চা জলখাবার খাওয়ায় । অনেক দিনের বন্ধুত্ব দুজনের। তাই শচীনন্দনের তরফে কোনো আপত্তি আসেনি।

    – হ্যাঁরে রাধু! বৌঠানকে দেখছি না কেন? ঠাকুর ঘরে নাকি? তাঁকে ডাক একবার, বলে যাই ভালো করে। এবারে আর ভিড়ে ঠেলাঠেলি করতে হবে না। এই কার্ডটা দেখালেই লোকজন একেবারে শো রুমের ভেতরে নিয়ে যাবে। আমি থাকবো। আর তাছাড়া এবারতো তোর বৌমাও এসে গেছে। তুই না যাস্ ওদের অবশ্যই পাঠিয়ে দিবি।” – শচীনন্দন ব্যবসা বোঝে।
    বাড়িতে দুজনের কেউই নেই শুনে একটু হতাশ হয় শচী। তবে সেই ভাবটা মুখে না ফুটিয়ে একগাল হাসি হেসে বিদায় নেয় সে।

    শচীনন্দনের আগমন ও প্রস্থান রাধাকান্তকে নতুন এক বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে আনে। হঠাৎ করেই যেন গোপিকার জন্য মায়া হয়। তীর্থে তীর্থে ঘুরতে গিয়ে এ বছর বুঝি ধনলক্ষ্মীর কৃপা থেকে বঞ্চিত‌ই থাকতে হবে। রাধাকান্ত জানেন তাঁর মতো এক বেরসিক মাস্টারমশাইয়ের হাতে পড়ে অনেক শখ আহ্লাদকে বিসর্জন দিতে হয়েছে তাঁকে। তবে এখন এসব নিয়ে আলাদা করে তাঁর কোনো ক্ষোভ নেই। গোপিকা জানে সংসারে কিছু পেতে গেলে নিজের একান্ত চাওয়া পাওয়াকে কিছুটা ছেঁটে কেটে নিতে হয়। ললিতাও কি এভাবে চলতে চাইবে? কে জানে? তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।

    গতকাল রাতে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিনের তুলনায় একটু তাড়াতাড়িই রাতের খাবার খাওয়া হয়ে গিয়েছিল রাধাকান্তর। একটা লেখা পড়তে পড়তে কখন যে চোখে ঘুম এলিয়ে পড়েছে তা টেরই পায়নি রাধাকান্ত। ভোরের নরম আলো জানালা গলে চোখে পড়তেই টের পায় উঠে পড়ার সময় সমাগত। হঠাৎ কলিং বেলটা বেজে ওঠে। একটু অবাক হয় রাধাকান্ত। কে এতো সকালে বেল বাজালো? সুলতা? কিন্তু এখন তো তার আসার সময় নয়। তাহলে? বেল বেজে উঠলো আবারও। ঘন ঘন বেলের আওয়াজ বুঝিয়ে দেয় বাইরে অপেক্ষমাণ অতিথিটি দেরি দেখে অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে।
    – যাইইইই। রাধাকান্ত উত্তর দেয়।
    চাবি দিয়ে দরজা খুলে বাইরে তাকিয়েই রীতিমতো অবাক হয়ে যায়। একরাশ বিস্ময় প্রকাশ করে রাধাকান্ত বলে ওঠে –
    এ কি তু তু তুমি ?
    – তুতু করছো কি ? একি মিনি বা পুষিকে ডাকছো নাকি?
    – তোমার তো কালীপুজো, ভাইফোঁটা সেরে আসার কথা। দরজা খুলতে খুলতে আমতা আমতা করে রাধাকান্ত জবাব দেয়।
    – “নিজের বাড়িতে ফেরার জন্য আবার দিন ক্ষণ, তিথি নক্ষত্র লাগে নাকি? ভেবেছিলাম আর কয়েকটা দিন কাটিয়েই ফিরবো, কিন্তু ধন ত্রয়োদশীর কথা মাথায় আসতেই আমি স‌ইকে বললাম আমাকে ফিরতে হবে। মনোবাঞ্ছা পূরণের এমন সুযোগ কেউ ছাড়ে নাকি ? আর এবার তো আমি একা নই, ললিতাও তো এসে গেছে। এবার শাশুড়ি আর বৌমা দুজনে মিলে ঐ শচী ঠাকুরপোর ওখানে যাব। ধনতেরাসের দিনে পুণ্য অর্জনের এমন সুযোগ কেউ হাতছাড়া করে?” গোপিকার দীর্ঘ ভাষণ শুনে রাধাকান্ত রীতিমতো ত্রস্ত হয়ে যায়।
    বাইরে একটা গাড়ি এসে থামার শব্দ হয়। ঐ বুঝি কালাচাঁদ আর ললিতাও ফিরে এলো। সত্যিই তাই। ছেলে বৌমাও ফিরে এসেছে। এবার রাধাকান্তর তড়িঘড়ি হুঁশে ফেরার পালা। এবার যে কেনাকাটার মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য সকলের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল। জয়গুরু।
     
    গতবছরের লেখার লিংক দিলাম।
    https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=28632

    ** আগ্রহী পাঠকেরা গতবছরের লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন। তাহলে একে একে দুই হয়ে দ্বিগুণ রসে মজিয়ে রাখবে আপনাকে। ধন্যবাদ।
    ছড়িয়ে পড়ুক পরিচিত পাঠকদের মধ্যে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পৌলমী | 2405:201:8000:b1a1:4133:dce4:4662:***:*** | ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:১৬538953
  • কাউন্টডাউন‌ই বটে‌। ধন ত্রয়োদশীর দিন কেনাকাটায় মেতে ওঠা এখন হুজুগে  বাঙালির নতুন কাল্ট। ভেসে থাকাটাই একালের হলমার্ক। ভালো লাগলো লেখাটি।
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:106d:b8ea:8000::***:*** | ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৫১538954
  • গেরস্থালির মিষ্টি গল্প।মন উদাস করে দেয়।এমন ছেলে বৌমা নিয়ে ঘর তো ক্রমশ বিলুপ্ত হচ্ছে।ভালো লেগেছে।
     
    এই উৎসবটির কথা ছোটবেলায় শুনিনি।গ্লোবালাইজেশনের ফল মনে হয়।
  • রাজীব দাশ | 202.142.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১২:২৬538958
  • দারুন লাগলো লেখা পড়ে। দাদা আর অপেক্ষায রইলাম এরকম রাম্ম্য রচনা পাবো বলে। 
  • #:+ | 2409:4060:2dc8:41fa:32f3:abf:e105:***:*** | ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৪৬538962
  • পরিপূর্ণ পারিবারিক আবহকে মাথায় রেখে গল্পকার প্রধান চারটি চরিত্রের নির্মাণ করেছেন। টানটান গদ্যের হাত ধরে আমরা এই সময়ের উন্মন চরিত্রদের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাই। এও কি এক রাতদখল নয় ?
  • বহ্নি ভট্টাচার্য | 2401:4900:3d39:6b87:9728:4677:1ca0:***:*** | ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১১538963
  • এককথায় অসাধারণ, চরিত্রের নামগুলো দেখে মনে হচ্ছিল বর্তমান সময় থেকে খানিকটা পিছিয়ে গেছি, আবার গল্পের বুনন একদম আধুনিক... দারুণ
  • সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। | 2409:40e0:1044:bb8c:8000::***:*** | ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৫৯538974
  • ঘটি বাঙালের সংমিশ্রনে গঠিত বাঙ্গালী পরিবারে সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাসের সাথে সাথে সেকাল- একালের জীবনচর্যার যৌথ যাপনের রম্য ও সাবলীল পরিবেশনায় রোমিত হলাম। ধন ত্রয়োদশী পালন বাঙ্গালীর আজ নতুন উন্মাদনা।  গিন্নির  তীর্থভ্রমন অসমাপ্ত রেখে ধন ত্রয়োদশীর সকালে আকস্মিক ভাবে  ঘরে ফিরে আসার উদ্দেশ্য যে শচীনন্দন জুয়েলার্সে গিয়ে মনোবাঞ্ছা পূরণ করা, অবসরপ্রাপ্ত (?) মাস্টারমশাই তা জানতে পেরে ত্রস্ত হলেন। এটাই মধ্যবিত্ত বাঙ্গালীর কাছে ধনতরাস উৎসবের নামকরণের সার্থকতা।
  • Mira Bijuli | ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০৬538975
  • সত্যি অসাধারণ।
  • প্রসূন মজুমদার | 103.***.*** | ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ০০:২০538976
  • বাঙালি খুব দ্রুত অ্যাডাপ্ট করতে পারে! এইটেই বোধ হয় তার একমাত্র সহায় ও সম্বল! জীবন থেকে হাজার একটা ব্রতকথা উবে গেল, প্রজন্মের ব্যবধানে। উবে গেল অনাড়ম্বর 'ধর্মীয়' আচার-আচরণের মুহুর্তগুলি, পড়ে রইল কেবল চোখ ধাঁধানো ষোড়শপচারের আড়ম্বর!
  • sarmistha lahiri | ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ০০:২৩538977
  • বারো মাসে তেরো পার্বনের    ঝুলিতে নব সংযোজন এই ধনত্রয়োদশীর প্রভাব বোঝাতে লেখক যে পারিবারিক চিত্র তুলে ধরেছেন কৌতুক ছলে তাতে সমাজের এক প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেছে। লেখকের জীবনের কতখানি প্রভাব এখানে পড়েছে তার জানার কৌতূহল রইলো।
  • Ritabrata Gupta | 103.68.***.*** | ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:৩৮538978
  • গত বারের লেখাটি  পড়লাম .  তারপরে  এবারের  লেখাটি  !  অনবদ্য  বললেও  কম  বলা  হবে !  ছোটবেলার  দিনগুলি  আবার  যেন  মনের  আয়নায়  ভেসে  উঠল !  স্বপ্ন  দেখানোর  এই  ক্ষমতা  তো  সবার  মধ্যে  থাকেনা .  সোমনাথদার  আছে .  তাই  গতবারই  বলেছিলাম  উপন্যাস  লেখা  শুরু  করতে !  এবারেও  বলছি .  আরো  অনেক  লেখার  অপেক্ষায়  থাকবো .  সকাল  বেলা  মনটা  ভরে গেল . ধন্যবাদ  সোমনাথদা !
  • রঞ্জন | 2402:e280:3d02:20a:3638:2ab9:ac59:***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ০৬:৩৪538999
  • জিও সোমনাথ! ধনতেরসে সোনার কলম হোক!
    এবং অবশ্যই শচীনন্দনের দোকান থেকে। 
  • সৌম্যদীপ সাহা রায় | 2405:201:8012:30e7:2975:f130:c509:***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:০০539001
  • দারুন লাগলো লেখাটি। অসাধারণ। পড়া শুরু করে শেষ না করে ছাড়া যায়না। 
  • Prabhas Sen | ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৩১539006
  • ধনতেরাস তো নয়, রীতিমত  "ধন ত্রাস"!  গ্যালো! গ্যালো! সব গয়না বেরিয়ে গ্যালো!  আসলে অবশ্য  পকেটই ফাঁকা হয়। এ জিনিস বাংলায় কিছুদিন হল এসে গেঁড়ে বসেছে। এবার কড়বা চৌথ এর পালা!  এসবই নাকি পতি দেবতার কল্যাণের জন্য। অবশ্য পতিদের হৃৎকম্প হয় কি না তার ডেটা পাওয়া গেলে হত।ষ
  • Somnath mukhopadhyay | ২০ অক্টোবর ২০২৫ ১২:১২735079
  • ধনতরাসের রেশ এতো সহজে যায় ?
  • Prabhas Sen | ২১ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:১০735107
  • ধনতেরাস না ধন ত্রাস? বাংলা মুল্লুকে এসব আগে কি ছিল? এর পরে যোগ হবে কড়ওয়া চওথ। বলা বাহুল্য সব নাকি পতি দেবতার কল্যাণের জন্য। 
  • Somnath mukhopadhyay | ২২ অক্টোবর ২০২৫ ২২:০১735191
  • ইয়ে সব বেওসায়িদের কারবার দাদা! আমাদের হুজুগের অন্ত  নেই। বেনো জলের প্লাবন রুখবে কে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন