এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বঙ্গে বিজেপির চাষ

    PRABIRJIT SARKAR লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ জুলাই ২০২৪ | ৮৫৯ বার পঠিত
  • বঙ্গে বিজেপি আনার ভগীরথ হল মমতা। মুসলিম তোয়াজ করে বিজেপির পালে বাতাস লাগাচ্ছে। এতে বামপন্থীরা শূন্য আর উনি এক কাট্টা মুসলিম ভোট আর ভান্ডার প্রকল্পে উপকৃত কিছু হিন্দু ভোট নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকছেন। ওদিকে বিজেপি দেখ আমি বাড়ছি মামি করে বাড়ছে।
     
    আসমানি কিতাবে পড়েছি: যে আল্লা মানে না সে পাপী নরকে পচবে। সাচ্চা মুসলিমের কাজ হল ওদের নরমে গরমে পথে আনা। নইলে মেরে নরকে পাঠানো আর নয়ত (মেয়ে হলে) যৌন দাসী করে রাখা। আসমানী কিতাবের নির্দেশ।  কলকাতার মেয়র ফিরহাদ স্পষ্ট বলেছেন:

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • upal mukhopadhyay | ০৯ জুলাই ২০২৪ ০২:০৪534408
  • আচ্ছা তাহলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বঙ্গে বিজেপির ভগীরথ নন? আর ববি কি ননবিলিভার যে ইসলামী প্রচার মঞ্চে যেতে পারবে না? আমাদের সংবিধানে নেতা নেত্রীদের যথেচ্ছ ধর্মীয় মঞ্চ আলো করায় বাধা কোথায়? যে যেখানে পারছে যাচ্ছে এমনকি হেট স্পিচ দিচ্ছে আর ববি দাওয়াত দিয়ে (খাতির করে) মুসলিম করার আহ্বান জানালেই দোষের?
  • upal mukhopadhyay | ০৯ জুলাই ২০২৪ ০২:১২534409
  • কেরালায় চাষের দায়িত্ব কংগ্রেস নিয়েছে।
    বাংলায় আইএসএফের সঙ্গে একুশ আর তেইশে জোট করে কেরালায় কংগ্রেসের খুঁত ধরছে সিপিএম! কেরালায় আরএসপি র এমপি জিতেছে ইউডিএফ থেকে, ফরওয়ার্ড ব্লকও এলডিএফ এ নেই।
  • pi | 2a01:cb20:8862:1c00:833:df52:d4d6:***:*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ০৩:৪২534410
  • যে যেখানে পারছে যাচ্ছে এমনকি হেট স্পিচ দিচ্ছে,  সেটাকে তো আমরা খুব খারাপই বলি, তাই না? 
  • choti | 2a0b:f4c2:3::***:*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ০৮:০৩534412
  • ববি তো নতুন কিছু বলেননি। দার উল ইসলামের ভগীরথ উনি নন। এ অনেক শতাব্দীর প্রজেক্ট। জয়চাঁদরাও নতুন না।
  • PRABIRJIT SARKAR | ০৯ জুলাই ২০২৪ ০৯:২৪534414
  • শ্যামাপ্রসাদ স্রষ্টা। সেই সৃষ্টি এই বঙ্গে বহুদিন ঘুমন্ত ছিল। বাম জমানায় ওদের জামানত থাকত না।যদিও বামরাও তোয়াজ করত। বাজপায়ী সরকারের শরিক হয়ে তিনি ওদের জাগিয়ে তোলেন।
    ধর্মীয় সভায় যাওয়া আর হিন্দুদের মুস্লিম করে ওদের উদ্ধার করার বক্তব্য এক নয়।
  • দীপ | 2402:3a80:196c:4aae:778:5634:1232:***:*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ১১:২১534419
  • যারা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ায়, তারা তো হেট স্পীচ পছন্দ করবেই। 
    মেয়েদের যৌনদাসী ভাবতে অনেকেই অভ্যস্ত। সেই চিন্তাই লেখায় বেরিয়ে আসে!
  • দীপ | 2402:3a80:196c:4aae:778:5634:1232:***:*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ১২:২৫534420
  • র২হ | 96.230.209.161 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:১৪509885
    মেনস্ট্রীম কাহারে কয়?
     
    আর গল্পটা পছন্দ হয়নি ভালো কথা, হোক্স কেন হবে? হোক্স তো বাস্তবকে গুপী করে হয়। এখানে বাস্তব কী? ইতিহাস তো নেই, পুরাণ টুরান অর্থাৎ গল্প।
     
    আর অনেক আদিবাসী গোষ্ঠী... এই গল্পটা কোন একটি গোষ্ঠী নিয়ে না? কি জানি।
    তবে বিজয়া দশমীকে ভারতের কিছু জনজাতি গোষ্ঠী শোক বা পরাজয়ের দিন হিসেবে পালন করেন সেটা অনেক বছর আগে পড়েছিলাম, ২০০৭এ যখন নয়ডা গেলাম তখন ওদিকে একটা গ্রাম নিয়েও পড়েছিলাম, খুঁজে দেখবো।
     
    এই নযারেটিভটা এমনিতে অনেক পুরনো, ছোটবেলাতেও পড়েছি। আজকাল আপত্তি শুনি, আগে শুনতাম না। হুদুড় দুর্গা নামটা গত বছর দশেকের আগে পড়েছি বলে অবশ্য মনে পড়ে না।
  • দীপ | 2402:3a80:196c:4aae:778:5634:1232:***:*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ১২:২৭534421
    • র২হ | 96.230.209.161 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:৪৪509896
    • পুজো ব্যাপারটার প্রতি পদে বিভাজন আছে। ব্রাহ্মণ অব্রাহ্মণ ইত্যাদি ইত্যাদি। অত বিভাজন নিয়ে যখন চলছে তাতে এতে আর কী হবে।
       
      আর তাছাড়া হুদুড়দুর্গা নামটা নতুন শুনলেও দাসাই পরব পুরনো জিনিস।
       
      কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যে ওই নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। তবে আমি গল্প ভালোবাসি। নতুন গল্প পুরনো গল্পের সংগে মিলছে না বলে তাকে সিলেবাসের বাইরে রাখতে হবে, এ বহোত না-ইনসাফি হ্যায়।
  • দীপ | 2402:3a80:196c:4aae:778:5634:1232:***:*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ১২:২৭534422
  • মিথ্যাবাদী ইতর কম পড়ে নাই!
  • দীপ | 2402:3a80:196c:4aae:778:5634:1232:***:*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ১২:৩৪534423
  • চাড্ডিবাহিনী কেন উঠছে, বুঝতে কোনো কষ্ট হয়না!
  • :-X | 2605:6400:10:984:41e7:4ad6:a11e:***:*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ১৬:০৬534428
  • স্লা চুতিয়া  চাড্ডি হারামিপনা শুরু করেছে।  দলবলকে ওশকাচ্ছে র২হকে লিঞ্চ করানোর জন্য। শুধু দুরগাপুজো কেন সমস্ত পুজোই বামনাই প্রাধান্যের অশ্লিল প্রদরশন। সেকথা বললে চাড্ডিদের বান্টু ফাটে। চক্কোত্তির গুশটি এসেছে লিঞ্চিঙে ওশকাতে।
  • PRABIRJIT SARKAR | ০৯ জুলাই ২০২৪ ১৬:২১534429
  • আজ যদি কোন নেতা বলে মুসলিমরা ভুল জায়গায় জন্মেছে তাদের হিন্দু বানাতে হবে(কিছু চাড্ডি বলেও থাকে) তখন সব খাকশাল হুক্কা হুয়া শুরু করবে।তিনুদের আর মাকুদের এই তোয়াজ নীতি নিন্দনীয়।
  • Y | 2a0b:f4c2::***:*** | ০৯ জুলাই ২০২৪ ২০:৪১534438
  • হুদুড়ের বেলুন ফুটো করা মানছি না মানব না।
  • দীপ | 2402:3a80:196b:de0f:678:5634:1232:***:*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০০:১১534445
    • বিপ্লব রহমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০৪498282
    • এই নিয়ে ওপারে বন্ধুজন, গবেষক শরদিন্দু উদ্দীপন দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করছেন। বিবিসি বাংলার এক বিশেষ প্রতিবদনে বলা হয়, 
       
      "(অনার্য রাজা অসুর) তিনি ছিলেন অত্যন্ত বলশালী এবং প্রজাবৎসল এক রাজা। আদিবাসীদের (প্রধানত সাঁওতাল) প্রচলিত লোকগাথা অনুযায়ী এক গৌরবর্ণা নারীকে দিয়ে তাদের রাজাকে হত্যা করা হয়েছিল।"
       
      "এক গৌরবর্ণা নারীই যে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন, তা হিন্দু পুরাণেও আছে। দেবী দুর্গার যে প্রতিমা গড়া হয়, সেখানে দুর্গা গৌরবর্ণা, টিকলো নাক, যেগুলি আর্যদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য। দুর্গার আরেক নাম সেজন্যই গৌরী। অন্যদিকে মহিষাসুরের যে মূর্তি গড়া হয় দুর্গাপূজায়, সেখান তার গায়ের রঙ কালো, কোঁকড়ানো চুল, পুরু ঠোঁট। এগুলো সবই অনার্যদের বৈশিষ্ট্য," ব্যাখ্যা তথ্যচিত্র নির্মাতা সুমিত চৌধুরীর।
       
      মি. (শরদিন্দু) উদ্দীপন আরও বলছিলেন যে আর্যরা ভারতে আসার পরে তারা কোনোভাবেই মহিষাসুরকে পরাজিত করতে পারছিল না। তাই তারা একটা কৌশল নেন, যাতে এক নারীকে তারা ব্যবহার করেন মহিষাসুরকে বধ করার জন্য।"
       
      দেখুন : https://www.bbc.com/bengali/news-54690291
       
      বছর তিনেক আগে শান্তি নিকেতন ঘেঁষে গড়ে ওঠা প্রাচীন সাঁওতাল গ্রামে সরেজমিনে অসুর পূজা সম্পর্কে জেনেছি। এপারে উত্তরবঙ্গে কিছু সাঁওতাল গ্রামে সীমিত আকারে অসুর পূজার চল ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। 
       
      জয় হোক আদিবাসীর সংগ্রাম! রক্ষা হোক আদিবাসীর ভূমি, সংস্কৃতি ও ভাষার অধিকার!
  • দীপ | 2402:3a80:196b:de0f:678:5634:1232:***:*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০০:১৩534446
  • বিপ্লব ও কুদ্দীপনের যৌথ নৃত্য!
    দিনের পর দিন তথ্যসূত্র ছাড়া এইসব থিয়োরি ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে! এরাই আবার অন্যকে ধর্মনিরপেক্ষতা শেখাতে আসছে! 
    দুকানকাটা ধান্দাবাজ!
  • দীপ | 2402:3a80:1968:4e72:578:5634:1232:***:*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০০:৩২534448
  • মাতব্বর মহোদয় আবার কিছুদিন আগে কুমারী পূজা নিয়ে জ্ঞান দিতে এসেছিলো!
    দিনের পর দিন বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তি ও এখানকার মহাবিপ্লবীদের একাংশ এই ধরনের গপ্পিবাজি করছে! ভাবছে এইভাবে রাজনৈতিক সাফল্য পাবে! লাভ হচ্ছে অবশ্য বিজেপির!
  • দীপ | 2402:3a80:196c:1aae:778:5634:1232:***:*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০০:৩৫534449
  • পলাশীর যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল। সিরাজ হেরে গেলেন, জিতল ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। বাংলার ধনসম্পদ নিজেদের মধ‍্যে ভাগ করে নিল লুটেরারা। এদের অন‍্যতম নবকৃষ্ণ দেব। 
    The Corporation That Changed the World: How the East India Company Shaped the Modern Multinational’ শীর্ষক বইয়ে লেখক নিক রবিনস লিখেছেন সিরাজের রাজত্বের পতনের পর বাংলার তোষাখানা লুট করতে ব্রিটিশদের সাহায্য করেন নবকৃষ্ণ। রাতারাতি “৮০০ কোটি টাকা মূল্যের সোনা, রুপো, এবং গয়নাগাঁটি” ভাগ করে নেন তাঁরা নিজেদের মধ‍্যে। 
    ইংরেজদের পক্ষ নেওয়ার জন্য পেলেন নবকৃষ্ণ পেলেন ‘রাজা বাহাদুর’ খেতাব; অতঃপর ১৭৬৬ সালে ‘মহারাজা বাহাদুর’। সবথেকে বড়ো কথা, গোটা সুতানুটি অঞ্চলের তালুকদার হয়ে গেলেন তিনি। সামান্য মুনশী থেকে বিশাল সাম্রাজ্য ও ধন-দৌলতের মালিক— এমনই চমকপ্রদ উত্থান রাজা নবকৃষ্ণ দেবের।
     
    ১৯৯৭-এর ৫ই অক্টোবর কলকাতার
    আনন্দবাজার’ পত্রিকার রবিবাসরীয়তে ‘ক্লাইভের দুর্গোৎসব’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক নির্মল কর উল্লেখ করেছেন :
    "নবকৃষ্ণ দেব ছিল ইংরেজদের চাকর। কোনো সময় ছিল ওয়ারেন হেস্টিংসের প্রাইভেট টিউটর। উন্নতি করে হয়েছিল তালুকদার, চার হাজারি মনসবদার। পলাশীতে সিরাজের পতনে যারা সবচেয়ে বেশি উল্লসিত হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিল নদীয়ার কৃষ্ণচন্দ্র আর কলকাতার নবকৃষ্ণ দেব।"
    অঢেল টাকা এসেছে , এবার চাই খানিকটা সম্মানও। 
     
     ক্লাইভ নবকৃষ্ণকে বোঝালেন কলকাতায় একটি বিজয় উৎসব করার জন্য। ‘হিন্দু ভাবাবেগ’ রক্ষা পেয়েছে বলে কথা! নবকৃষ্ণ তখনই বাংলার বাসন্তীপূজোকে এগিয়ে এনে লাগিয়ে দিলেন "দুর্গাপূজা"। এর আগে শরৎকালে নবপত্রিকার পূজো প্রচলিত ছিল। 
     
    রাজা শশাঙ্কের রাজত্বকালে বাংলায় শিব পুজোর প্রচলন ছিল, দুর্গা পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায় না। পাল যুগে বাংলায় বৌদ্ধ প্রভাব বিস্তৃত হলে এখানে মূর্তি পুজো কমে যায়। পরে সেনযুগে আবার এর বাড়বাড়ন্ত হলে রণরঙ্গিনী নানা দেবী পূজিতা হন দস‍্যু তস্কর ও নিষ্ঠুর জমিদারদের দ্বারা। 
     
     দেখতে দেখতে গড়ে উঠলো একচালা প্রতিমা। প্রতিমার গা ভর্তি সোনার গয়না ঝলমল করে উঠলো। দুর্গার কেশদামে গুঁজে দেয়া হলো ২৬টি স্বর্ণনির্মিত স্বর্ণচাঁপা। নাকে ৩০টি নথ। মাথায় সোনার মুকুট। তারপর তোপধ্বনির পর সন্ধিপূজোর শুরু। দৈনিক নৈবেদ্য দেওয়া হল ২৩ মণ চালের।সাহেব মেমরা ত বটেই, ওয়ারেন হেস্টিংস পর্যন্ত হাতীতে চড়ে এসেছিলেন সেই পূজায়। ক্লাইভ দক্ষিণা দিয়েছিলেন ১০১ টাকা। সাহেবসুবোরা মৌজ করে দেখলেন বাঈজী নাচ, এছাড়াও পানভোজন ও মনোরঞ্জনের নানা উপচার তো ছিলই। 
     
    এই পুজোর বিপুল সাফল্য অনুপ্রেরণা জোগায় অন্যান্য ধনী ব্যবসায়ীদের, যাঁরা স্ব স্ব গৃহে ধুমধাম সহকারে চালু করে দেন দুর্গাপূজা। বাড়ির পুজোয় কোনও ইউরোপীয়ের, বিশেষ করে ব্রিটিশের উপস্থিতি, হয়ে ওঠে অর্থ, সামাজিক প্রতিষ্ঠা, এবং কোম্পানির সঙ্গে সান্নিধ্যের প্রতীক।
     
    উইকিপিডিয়ার শেষ আপডেট অনুযায়ী, বিশ্বে বাঙালী মুসলমান হল ১৮৫ মিলিয়ন এবং বাঙালী হিন্দুর সংখ্যা হল ৮০ মিলিয়ন। তাহলে দুর্গা পূজা সর্বজনীন হয় কি ভাবে ? আর বাঙালীর সেরা উৎসবই বা হয় কিভাবে? 
     
    এছাড়া বাংলার মুলনিবাসী ও আদিবাসীরা দুর্গা পুজাকে তাদের পরাজয়ের প্রতীক বলে মনে করে। যে দুর্গাকে অসুর হত্যার কারণে হিন্দু সম্প্রদায় পূজা করে সেই অসুরকেই নিজেদের রাজা বলে বাংলার মূলনিবাসী ও আদিবাসীরা পূজা করে এবং দুর্গাপুজাকে তারা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করে। দুর্গাপুজোর দিনগুলোতে তারা বুক চাপড়ে কাঁদে। 
     
    এই হল দুর্গাপূজার ইতিহাস।
     
     
    এই প্রোপাগান্ডা গত কয়েক বছর ধরে ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে!
  • দীপ | 2402:3a80:196c:1aae:778:5634:1232:***:*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০০:৪১534450
  • দুর্গাপূজা দেশে‌ দেশে কালে কালে 

    ইমানুল হক

    হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বঙ্গীয় শব্দকোষ' অনুসারে 'দুর্গ' শব্দের একটা অর্থ অসুর। আর 'দুর্গা'রও একাধিক অর্থ-- দুঃখে প্রাপ্যা, দেবীবিশেষ, মতান্তরে, দুর্গ নামক দৈত্যনাশ হেতু দুর্গা। দুর্গা মানে নববর্ষা কুমারী, নীলী, অপরাজিতা। আদি-বাসিন্দা আদিবাসী বা সাঁওতালরা মনে করেন, দুর্গা তাঁদের ঘরের মেয়ে। আর্যদের ছলনায় ভুলে সুরপক্ষে যান। 
    বাংলায় দুর্গা যেমন পূজিত হন—তেমনি দক্ষিণভারতে পূজিত হন মহিষাসুর। এই ‘মহিষ’ মানে মোষ নয়, শ্রেষ্ঠ। এই মহিষাসুর পুরাণ অনুযায়ী বঙ্গের রাজা। 'আনন্দবাজারে' পড়েছেন ঝাড়খন্ডের অসুর জাতি দুর্গাপূজার কদিন অশৌচ পালন করেন--কারণ তাঁদের পূর্বপুরুষ এই দুর্গার হাতে নিহত হয়েছিলেন।এখন তো কলকাতা শহরে গড়িয়া বানতলাসহ ১০-১২ টি জায়গায় অসুর পূজা বা মহিষাসুরের পূজা হচ্ছে। 
    কেউ কেউ অবাক হতে পারেন, তবু শুনুন—মূল ‘রামায়ণে’ রামের অকালবোধনে দুর্গাপূজার প্রসঙ্গ নেই।এটি আছে কৃত্তিবাসী 'রামায়ণে'। তিনি এ-বিষয়ে কালিকা পুরাণ ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ অবলম্বন করে লেখেন, রাম ও রাবণের যুদ্ধের সময় শরৎকালে দুর্গাকে পূজা করা হয়েছিল। এটি অকাল বোধন। কেউ কেউ বলেন, রাবণও নাকি দুর্গার আরাধনা করেছিলেন। তবে শিবের পত্নী হিসেবে আরাধনা। কারণ রাবণ ছিলেন শিব ভক্ত। 
    বাংলায় দুর্গাপুজা কবে চালু হলো, সে নিয়ে নানা মত। কারো কারো মতে, দিল্লির সম্রাট আকবর বাদশাহের সময় বাংলার রাজশাহি জেলার তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণ বাংলায় প্রথম দুর্গা পুজোর প্রচলন করেন। । কেউ কেউ বলেছেন  রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় থেকে দুর্গাপূজা চালু। কৃষ্ণচন্দ্র যা প্রবর্তন করেন তার নাম জগদ্ধাত্রী পূজা এবং সেটি কলকাতার রাজা নবকৃষ্ণ দেবের দুর্গাপূজাকে টেক্কা দেওয়ার ইচ্ছে থেকে। একই কারণে ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর তথা ফরাসডাঙ্গায় দুর্গা নয় প্রধান পূজা ছিল জগদ্ধাত্রী পূজা। ১৬৯৮ খ্রিস্টাব্দে সুতানটি-কলকাতা- গোবিন্দপুর-- এই তিনটে গ্রাম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে   আসার পর খুব ধুমধাম করে দুর্গাপুজা হচ্ছে-- এমন ইতিহাস নেই। কলকাতার ইতিহাসকার রাধারমণ মিত্রদের বক্তব্য, ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিরাজের পরাজয়ের পর উল্লাস প্রকাশে এবং বাড়িতে ইংরেজ সাহেবদের এনে কেউকেটা বনতে শোভাবাজারে দুর্গাপূজা চালু করেন নবকৃষ্ণ দেব। তখনও তিনি ৮০ টাকা মাইনের চাকুরে। কিন্তু কয়েক লাখ টাকা খরচ করেন। কারণ সিরাজউদ্দৌলার ব্যক্তিগত কোষাগারের আট কোটি টাকা ভাগ করে নেন, ক্লাইভকে না জানিয়ে নবকৃষ্ণ দেব, মিরজাফররা।  ৮০ টাকা মাইনের চাকুরে নবকৃষ্ণ দেব মায়ের শ্রাদ্ধে নয় লাখ টাকা খরচ করেন। এবং পরে  'রাজা' হলেন। (দ্র. সুশীল চৌধুরী, নবাবি আমলে মুর্শিদাবাদ)। ১৭৫৭-তে দুটি বড় উৎসবের হদিস আমরা পাচ্ছি সুশীল চৌধুরীর বইয়ে। ইংরেজদের সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে আলিনগরের সন্ধিস্থাপন করে মুর্শিদাবাদ ফিরে সিরাজ মহাধুমধাম করে হোলি উৎসব পালন করেন। তিনি  ও অন্য নবাবরা দেওয়ালি উৎসব পালনও করতেন মহাসমারোহে। আর মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত বেড়া ভাসা  উৎসব ছিল হিন্দুদের গঙ্গাপুজার শিয়া সংস্করণ। 
    নবকৃষ্ণদেবের দুর্গার মুখ হয় রানি ভিক্টোরিয়ার মুখের আদলে। আর সিরাজের মুখ স্থাপিত হয় মহিষাসুরের মুখে। 
    বাংলায় থিম পূজার শুরু কেউ ১৯৭৩ বা ১৯৮৫ বললেও নবকৃষ্ণ দেবের পূজাও আসলে থিম পূজা।  বিখ্যাত নর্তকী নিকির নাচ-ও ছিল অন্যতম আকর্ষণ। সে-কালের চার হাজার টাকা, আজকের কমপক্ষে চার কোটি টাকা, ছিল তাঁর সম্মানী। সাহেবসুবো তো বটেই স্বয়ং ক্লাইভ এই পূজায় যোগ দেন। 
    'কলকাতা কালচার'-এ 'এই সময়ের কথা'-য় বিনয় ঘোষ লিখেছেন, ' ব্রিটিশ আমলের নতুন জমিদার, তালুকদার ও পত্তনিদাররা এবং হঠাৎ গজিয়ে ওঠা বিত্তবান 'জেন্টু'রা কলকাতা শহরে বা আশেপাশে গ্রামাঞ্চলে নতুন যে জোয়ার আনার চেষ্টা করেছিলেন, সেটা আসলে স্বাভাবিক জোয়ার নয়, অস্বাভাবিক একটা বন্যা, একটা তরঙ্গোচ্ছ্বাস--পাঁক ও আবর্জনাই ছিল তার মধ্যে বেশি। উচ্ছ্বাসের বুদবুদ মিলিয়ে যাবার পর সেই আবর্জনার তলানি জমতে বেশি সময় লাগেনি। ক্লাইভ হেস্টিংস হলওয়েল সাহেবের যু্গে, শোভাবাজারের রাজা মুন্সী নবকৃষ্ণ, আন্দুলের রাজা দেওয়ান রামচাঁদ রায়, ভূকৈলাসের রাজা দেওয়ান গোকুলচন্দ্র ঘোষাল, দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ প্রভৃতির আমলেই দেখা যায় বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ জাতীয় উৎসব 'গ্র্যান্ড ফিস্ট অফ দি জেন্টুস'-এ পরিণত হয়েছে।' বারো ইয়ার বা ১২ জন বন্ধু মিলে আঠার শতকেই গুপ্তিপাড়ায় চালু করেন বারোয়ারি পূজা।

    তবে দুর্গাপূজার আরেকটি ঐতিহাসিক বিবরণ আছে।  পর্তুগিজ পর্যটক সেবাস্টিন মানেরিকের বিবরণে। 
    পর্তুগিজ পর্যটক সেবাস্টিন  মানেরিক সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ভারতবর্ষ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ভ্রমণ করেন। তিনি তিনবার বঙ্গদেশ ভ্রমণ করেন। ১৬২৮-২৯ খ্রিস্টাব্দে একটি বিবরণ লেখা শুরু  করেন মানেরিক। ১৬৪০ খ্রিস্টাব্দে তিনি শেষবার বাংলা আসেন।
    দুর্গা সম্পর্কে তাঁর বিবরণ অভিনব। মানেরিক জানাচ্ছেন,  দুর্গা ছিলেন সপ্তদশ শতকে বঙ্গে অলক্ষ্মীর দেবী। 
    মানেরিক লিখছেন—‘জুন মাসের অমাবস্যার দিন বড় বড় গাঁইয়ে দুর্গা বলে এক মূর্তির নামে বড় একটা শোভাযাত্রা বার করে। দুর্গা এদের অনুসারে একজন দুষ্টা দেবী। এই দেবীকে এরা সুন্দর করে্ সাজানো বিজয় রথে করে নিয়ে যায়। এদের সঙ্গে নাচোয়ালি মেয়েদের একটা বড় দল থাকে। এই মেয়েরা বেশ্যাবৃত্তি করে রোজগার করে। নাচওয়ালিরা আগে আগে যায় আর নানা রকম বাজনা বাজিয়ে উৎসবের গান গায়। এই ভাবে কিছু দূর চলার পর হঠাৎ মূর্তিকে সম্মান দেখানো বন্ধ করে অসম্মান করা আরম্ভ হয়ে যায়। এই সম্মান আর জাঁকজমকের সঙ্গে যে মূর্তিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাকে নদীর ধারে, বা নদী না থাকলে পুকুরের ধারে এনে বিষ্ঠার মধ্যে ছুঁড়ে ফেলা হয়, আর সেই সময় তাকে দুষ্টা বলে নানা রকম গালাগাল, ঠাট্টা , চিৎকার ইত্যাদি করা হয় আর ঢিল মারা হয়। এইভাবে উৎসব শেষ করে তারা বেশ খুশি হয়ে বাড়ি ফিরে আসে’।
    (সূত্র—সেবাস্টিন মানরিকের বঙ্গদেশে ভ্রমণ,  পৃ-২৯, মূল গ্রন্থ -- ‘বঙ্গবৃত্তান্ত’ বিদেশি পর্যটকদের লেখায় বাঙ্গালার কথা, অনুবাদক-অসীম রায়, প্রকাশক—ঋদ্ধি ইন্ডিয়া, ২৮ বেনিয়াটোলা লেন, কলকাতা-৯, প্রথম প্রকাশ—১৯৮৮)

    মুকুন্দ চক্রবর্তীর 'চণ্ডীমঙ্গল'-এ দুর্গার উল্লেখ শিবের পত্নীরূপেই। 'দুর্গা পরা দৈন্যহরা দীনদয়াবতী'। ১৭৫৭-তে যে দুর্গা সাম্রাজ্যবাদী ভিক্টোরিয়ার মুখ নিয়ে আবির্ভূতা হলেন ১৯০৩-এর পর থেকে তিনিই হয়ে দাঁড়ালেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শক্তির শক্তি। ১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গ ঘিরে উত্তাল হলো পশ্চিমবঙ্গ। দুর্গা হলেন দুর্গতিনাশিনী। আর বেশ কয়েকবছর পরেই দুর্গাকে নিয়েও কবিতা লিখে কাজী নজরুল ইসলাম গেলেন জেলে। কবিতার শিরোনাম, 'আনন্দময়ীর আগমনে'। এটি একটা বড় ঘটনা। দুর্গা এখানে ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের হাতিয়ার।
    ১৯৭৭-এ বামফ্রন্ট সরকার আসার সময় পশ্চিমবঙ্গে সব মিলিয়ে ১২০০-র বেশি দুর্গা পূজা হতো না। এখন শুধু কলকাতা শহরেই ১২০০ র অনেক বেশি পূজা হয়। আগে গ্রামে গ্রামে লৌকিক দেব-দেবী ওলাইচণ্ডী, মা শীতলা, বনদেবী বা বনবিবি-রা রাজত্ব করতেন। ১৯৭৭-র আর্থিক সমৃদ্ধি বাড়লে কুলীন দেবী দুর্গার আয়োজন বাড়ে।এবং কালীপূজা। সিপিআই (এম) নেতা নেতা প্রমোদ দাশগুপ্ত বলেছিলেন, আমাদের ভোট যতো বাড়ছে কালীপূজাও ততো বাড়ছে।

    দুর্গাপূজার হাল-হকিকৎ যাঁরা রাখেন, তাঁরা বলেন, থিম পূজার জনক প্রখ্যাত সঙ্গীতকার মান্না দে। তিনিই বিবেকানন্দের পাড়ায় বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের সম্পাদক হিসেবে সাবেকি মণ্ডপের বদলে দক্ষিণভারতের মন্দিরের ধাঁচে মণ্ডপ বানাতে পরামর্শ দেন ১৯৭৩-এ। তাতে ভিড় বাড়ে। 
    পূজা উদ্বোধনের প্রথাও শুরু মান্না দে-র হাতে। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি উত্তমকুমারকে দিয়ে পূজা পূজা উদ্বোধন করান। গোটা কলকাতা নাকি ভেঙ্গে পড়েছিল। উত্তমকুমারের সিল্কের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায় জনতার উৎসাহে। 
    ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দ কলকাতার দুর্গাপূজায় আরেকটি মাইলস্টোন। এশিয়ান পেন্টস সংস্থা নিয়ে এল একটি শ্লোগান-- শুদ্ধ শুচি সুস্থ রুচি। শিরোমণি পুরস্কার চালু করলো তারা। চটুল হিন্দিগানের বদলে চালু হল ভালো গান বাজানোর প্রতিযোগিতা। আলোর জাদুও শুরু হলো। তাতে নতুন দিকচিহ্ন আনলেন চন্দননগরের শ্রীধর। আলোর ভেলকি দেখালেন। এখন প্যারিসের আইফেল টাওয়ার সাজাতেও তাঁর ডাক পড়ে। ১৯৮৫র পর থেকেই পূজায় অনেক স্পন্সর জুটতে শুরু করলো। বড় পূজা আর চাঁদা আর পাড়ার পূজা নির্ভর থাকলো না। 
        

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ-বছর ৩৭ হাজার দুর্গাপূজা কমিটিকে  ৫০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। মোট ১৮৫ কোটি ফলে মোটামুটি একটা আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশেও যে প্রায় ৩২ হাজার দুর্গাপূজা হয় এবং সরকার টাকা দেয় সেটা গত বছর প্রথম জানলেন পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ মানুষ। গত বছর ৪৮৩টি  নতুন পূজার খবর প্রকাশিত প্রকাশিত হয় কলকাতার দৈনিকে। এর আগে ঢাকার ঢাকেশ্বরী আর কয়েকটির কথা জানতেন। বাকি খবর সব ছিল নেতিবাচক। মূর্তিভাঙ্গার সংবাদ। 

    পৃথিবীর বহু দেশেই বাঙালিরা ছড়িয়ে আছেন। ১৩৮ টির মতো দেশে। কম বেশি দুর্গা পূজা পালিত হয় অন্তত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ৩২ টি দেশে। যেখানে মুর্তি পূজা হয় না সেখানেও খাওয়া দাওয়া গান বাজনা সম্মিলন হয়। শোলার প্রতিমা যায় ভারত থেকে। প্রবাসী অনাবাসী বাংলাভাষী হিন্দু মুসলমান এটিকে সাংস্কৃতিক মিলনোৎসবে পরিণত করেছেন। তবে সব জায়গায় পাঁজি পুঁথি মিলিয়ে হয় না। সাপ্তাহিক ছুটির দিন দেখে পূজা হয়। হয় খাওয়া দাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 
    পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যালয় পাঠ্যে আগে লেখা হতো, বাঙালির জাতীয় উৎসব দুর্গাপূজা। ১৯৯৮ থেকে একটি আন্দোলন  শুরু হয়, বাংলা ভাষা আন্দোলন -- তাতে আওয়াজ ওঠে :
     ইদ নয় দুর্গাপূজা নয়, বাঙালির জাতীয় উৎসব হোক পয়লা বৈশাখ।
    দুর্গাপূজা আর কিছু না হোক ভারতবাসী বাঙালির প্রধান উৎসব।
     তাতে কতো কতো থিম। ১৯৯৫-এ পুরাতন ব্যবহৃত রেকর্ড ব্যবহার করে মণ্ডপ করেছিল বাইপাস সংলগ্ন বাবুবাগান। চেনা পূজার ভিড় টেনে নেয় তাঁরা। তারপর তো কত কী হল-- ট্রেন দুর্ঘটনাও থিম হয়েছে। আর মণ্ডপশিল্পীদের হাতে আইফেল টাওয়ার, হোয়াইট হাউস, তাজমহল হ্যারি পটারের স্কুল বা রাজস্থানের দুর্গ বানানো জল ভাত। পূজার ৫ মাস আগেই শুরু হয় প্যান্ডেলের কাজ।  এবার শুনছি বহু জায়গায়,  বিশেষ করে প্রথম থিম পূজার জায়গায়,  অসুর করোনাসুর। দেবী করোনানাশিনী।
    রাণি ভিক্টোরিয়া থেকে দেবী করোনা-নাশিনী--এক অভিনব যাত্রাপথ।

    লিখেছেন : Emanul Haque
  • দীপ | 2402:3a80:196c:1aae:778:5634:1232:***:*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০০:৪৭534451
  • আরেক মিথ্যাবাদীর লেখা।
    ১৭৫৭ সালে নিকি বাইজির জন্ম‌ই হয়নি।
     
    "নবকৃষ্ণদেবের দুর্গার মুখ হয় রানি ভিক্টোরিয়ার মুখের আদলে। আর সিরাজের মুখ স্থাপিত হয় মহিষাসুরের মুখে। "
     
    ভিক্টোরিয়ার জন্ম ১৮১৯ সালে। এতোটাই মাথামোটা! 
  • দীপ | 42.***.*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০০:৫১534453
  • "আদি-বাসিন্দা আদিবাসী বা সাঁওতালরা মনে করেন, দুর্গা তাঁদের ঘরের মেয়ে। আর্যদের ছলনায় ভুলে সুরপক্ষে যান। 
    বাংলায় দুর্গা যেমন পূজিত হন—তেমনি দক্ষিণভারতে পূজিত হন মহিষাসুর। এই ‘মহিষ’ মানে মোষ নয়, শ্রেষ্ঠ। এই মহিষাসুর পুরাণ অনুযায়ী বঙ্গের রাজা। 'আনন্দবাজারে' পড়েছেন ঝাড়খন্ডের অসুর জাতি দুর্গাপূজার কদিন অশৌচ পালন করেন--কারণ তাঁদের পূর্বপুরুষ এই দুর্গার হাতে নিহত হয়েছিলেন।"
     
    দুর্গা কখনো আর্য রমণী, কখনো পাহাড়ী মেয়ে, কখনো সাঁওতাল রমণী! একের পর এক অসামান্য থিয়োরি নামছে!
  • দীপ | 42.***.*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০০:৫৩534454
  • আরো কিছু দুকানকাটা শয়তান এদের তালে তাল দিয়ে নেচে বেড়ায়!
    আর বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তি নিয়ে লেখালেখি করলে কুৎসিত গালাগালি দিয়ে সেসব লেখা মুছে দেয়! 
  • দীপ | 2402:3a80:196f:c082:878:5634:1232:***:*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০১:০৪534456
  • বাংলা ভাষী হিন্দু জাতিবাদের জন্ম হয়েছিলো উনবিংশ শতকের কোলকাতায়, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের লুটেরা নব্য জমিদারদের পয়সায়। যা শুধু বাঙালি জাতীয়তাবাদকেই হত্যা করতে চায় নি, খন্ডে খন্ডে ভেঙে দিয়েছে একটি নৃগোষ্ঠী ও তার দেশকে এবং দেড়শ বছর ধরে বিষাক্ত করেছে বাঙালির ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি। ইদানিং এই বঙ্গীয় হিন্দু জাতিবাদ মার খাচ্ছে উত্তর ভারতীয় হিন্দুত্বের হাতে, এর থাকা না থাকায় বাঙালি জাতির কিচ্ছু আসে যায় না। এদিয়ে বড়জোর সর্বজনীন দুর্গাপূজা সম্ভব, সর্বজনীন বাঙালি জাতীয়তাবাদ সম্ভব নয়। 
           ----- রাজু আহমেদ মামুন
  • সুধাংশু শেখর | ১০ জুলাই ২০২৪ ০৫:৩৮534458
  • এই টইতে দীপ নামে এক ব্যক্তি দুজনকে অন্তত ব্যক্তি-আক্রমণ করেছেন, কাউকে বলেছেন মাথামোটা, কাউকে ইতর, কাউকে দুকানকাটা এইসব। যদিও তাদের কাউকেই আমি চিনি না, দীপকেও না। আবার ":-X |" নিকের একজন দীপকে কুকথা ("চুতিয়া চাড্ডি") বলেছেন। না বললেই পারতেন। 

    গোটা ব্যাপারটা দুশ্চিন্তাজনক ও আপত্তিকর।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০৫:৪০534459
  • আর, আসল লেখাটা নিয়ে? সেই ব্যাপারে কী মনে করেন?
  • রঞ্জন | 122.163.***.*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০৫:৫২534460
  • ঠিক বলেছেন। 
    তথ্য ও যুক্তির বিরোধিতা হোক পালটা তথ্যসূত্র ও যুক্তি দিয়ে, গালাগাল ও ব্যক্তি আক্রমণ করে নয়।
  • সুধাংশু শেখর | ১০ জুলাই ২০২৪ ০৫:৫৬534461
  • সেটাও বোগাস ও আপত্তিকর। আমি জেনারেলি ব্যানবিরোধী কিন্তু এদের প্ল্যাটফর্ম দেওয়াও ঠিক হচ্ছে কি না জানি না।
  • র২হ | 172.56.***.*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০৬:৪৩534462
  • পুরো জিনিসটা ধরে ডিলিট করে দিলেই হয়। যত আবর্জনা।
  • র২হ | 2601:c6:d200:2600:b978:ffc9:7bac:***:*** | ১০ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৩534464
  • ওহো আমাকেও কোট করেছেন। তাহলে থাক গো গুপু। আমার কথা হেথা কেহ তো বলে না করে শুধু মিছে কোলাহল। একদম যখন গুরুদের সঙ্গে এক লিস্টিতে ঠাঁই দিয়েছেন।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন