এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • যাদবপুর: কাঙালিদের হাতেও‌ রক্তের দাগ 

    Eman Bhasha লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ আগস্ট ২০২৩ | ৩৪৪৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • শিবপুর প্রেসিডেন্সি ধ্বংস প্রাতিষ্ঠানিক। তাতেও কাঙালিদের সায় । 
    শিবপুর কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে গেলে নাকি ভালো হবে।
    দেশের আইআইটিগুলো থাকা সত্ত্বেও শিবপুরের নাম ছিল দেশে সর্বোচ্চমানের।‌ দেশের দ্বিতীয় ভালো প্রতিষ্ঠান ছিল।
    এখন?
    প্রেসিডেন্সি কলেজ ছিল মানবিক বিদ্যায় দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান।
    বিজ্ঞানে দ্বিতীয়।
    কোনওবার সেন্ট জেভিয়ার্স কোনওবার সেন্ট স্টিফেন্স হতো প্রথম বা দ্বিতীয়।
    লোকে, বললো, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বশাসিত হলে ভাল্লো হবে।
    এখন ১৫০-র মধ্যেও আসে না।
    বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যাদবপুর এখনও দেশের চার নম্বর প্রতিষ্ঠান।
     
    কিন্তু ragging বিরোধিতার নামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কেই Ragging করে সংঘ পরিবারকে যাদবপুরের দখল নিতে বহু প্রগতিশীল, বহু তৃণমূল, কিছু বাম যেভাবে সহায়তা করলেন তা লজ্জার। যাদবপুর বাঙালির গর্ব। সারা দেশে বাঙালির গর্ব করার মতো আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথায়? যাদবপুরকে বিশ্বভারতী বানানোর চেষ্টা হচ্ছে।
    তাতে আমার চেনা অচেনা বহু মানুষের হাতে রক্তের দাগ থাকছে।
    যাদবপুরে কিছু ছাত্রের অন্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক শিক্ষার্থী শিক্ষা সহায়ক কর্মীদের দায়ী করা কোন ধরনের শিক্ষাপ্রেম?
    বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে Ragging হয় না?
    দেশের আইআইটিগুলোতে আংশিক বেসরকারিকরণ হয়েছে।
    গরিবের ছেলেমেয়েরা আর পড়তে পারেন না। ৮-১২ লাখ টাকা লাগে।
    যাদবপুরে চার বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে লাগে ১৮৪০০ টাকা।
    যাদবপুর বেসরকারিকরণে রাজি হয় নি।
    তাই তার বছরে মাত্র ৫ হাজার টাকায় একজন ছাত্র এম এ পাস করতে পারবেন।
    ওটাই অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে ১০ লাখের বেশি লাগবে। শুধু টিউশন ফি।
    বাইরের লোক গিয়ে মদের বোতল, কন্ডোম ফেলে আসবে?
    আর ছবি তুলে বলা হবে, যাদবপুরের সবাই এমন?
    বলা হয়েছে, যাদবগাছি!
    জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে যা করা হয়েছে, এখানেও তাই ।
    শুধুমাত্র তফাৎ এই, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিল সংঘ পরিবার।
    এখানে বাঙালি নামক কাঙালি সমাজ।
    তাদের অতৃপ্ত বাসনা, অসূয়া, ঈর্ষা আর দলাদলির প্রবণতা থেকে বাঙালির সবচেয়ে গর্বের এবং গরিবের শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সংঘ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে নিজেদের সাফাই গাইছেন।

    একজন ছাত্র মারা গেছেন।
    খুব অন্যায়।
    আর একটা গর্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বহুজন  মিলে জেনে বুঝে ফাঁসিকাঠে চড়ানোও ক্ষমাহীন অপরাধ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit | 220.235.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৮:১৩522641
  • "বাইরের লোক গিয়ে মদের বোতল, কন্ডোম ফেলে আসবে?
    আর ছবি তুলে বলা হবে, যাদবপুরের সবাই এমন? "
     
    - খুব সত্যি কথা সব। সেই জন্যেই তো আমরা যাদবপুরের প্রাক্তনীরা চাই যে এরকম যত আলতু ফালতু বাইরের লোকজনের ঢোকা একেবারে বন্ধ হোক। চাদ্দিকে সিসিটিভি বসানো হোক সমস্ত ক্যাম্পাসে আর হোস্টেলে আর রীতিমতো কড়া সিকিউরিটির ব্যবস্থা করা হোক। যারা এখনো সিসিটিভি চায়না তারা আন্দোলন না মাড়িয়ে অন্য কলেজ খুঁজে নিক। 
     
    আর যেসব অপদার্থ এক্স ছাত্র গুলো পাস্ করার পরেও ফ্রি তে হোস্টেলে মোচ্ছব করে বেড়াচ্ছে তাদেরকেও গলাধাক্কা দিয়ে  তাড়ানো হোক।
     
    এবার এসমস্ত স্টেপস কেন্দ্র করবে কি রাজ্য করবে তাতে করে কলেজের স্ট্যান্ডার্ড এর কোনো ইতর বিশেষ হবে না। 
  • দীপ | 2401:4900:3ee0:c413:1d2d:4fc3:6b41:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৫১522644
  • https://fb.watch/mxfZ1eGK9U/
     
    এগুলো নিয়ে কথা বললেই সে কাঙালি!
  • Amit | 220.235.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৯:০৮522646
  • হেহে - :-) তোর ধম্ম বাপেদের তো এখন চামড়া গুটিয়ে সেঁকা চলছে রে থানায়। হায়দরাবাদ মাড়িয়ে কি ওগুলোকে বাঁচাতে পারবি ? 
  • dc | 2401:4900:1cd1:121e:f8af:ee8c:f571:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৯:১৬522647
  • "সেই জন্যেই তো আমরা যাদবপুরের প্রাক্তনীরা চাই"
     
    এখানে আমরা কথাটা বোধায় একটু কনফিউসিং। আমিও যাদবপুরের প্রাক্তনী, আমি চাইনা যে চতুর্দিকে সিসিটিভি বসানো হোক। সিসিটিভি না বসিয়েও র‌্যাগিং সমস্যার সমাধান করা যায়। আমি আরও দুয়েকজনকে চিনি যারা সিসিটিভি বসানোর বিরুদ্ধে। কাজেই "আমরা" কোন একটা হোমোজিনিয়াস এন্টিটি নয় :-)
  • :-) | 2405:8100:8000:5ca1::271:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৯:১৮522648
  • এইটুকুনি গ্রেম্যাটার নাহলে কি আর চাড্ডি হতিস রে গান্ডু? তোর বাপ তো খুব লাপাচ্চে  দেকলাম যাদবপুরে নাকি রামমন্দির বানাবে!  বানালেই তোরা পোঁদে পতাকা লাগিতে নেচে বেড়াস। ততক্ষণ এইটে বল হায়দরাবাদের ওই হোস্টেলে সিসিটিভি ছিল কি ছিল না?না থাকলে কেন নেই? থাকলে কী ছিঁড়ছে?
  • Amit | 220.235.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৯:২৬522649
  • ওকে।হোমেজেনাস নাহলে কি এসে গেলো ? আমি যাদেরকে চিনি এবং কথা হয়েছে তারা সবাই চান। বহু কলেজে বা হোস্টেলে সিসিটিভি আছে এবং সেখানে এসব নিয়ে আন্দোলন হয়নি কোনোদিন। ক্যামেরা থাকলে যে ​​​​​​​সেটা এধরণের ​​​​​​​অপরাধের ​​​​​​​ডিটেরেন্ট ​​​​​​​হিসেবে ​​​​​​​কাজ ​​​​​​​করে ​​​​​​​বা ​​​​​​​অপরাধী ​​​​​​​ধরতে ​​​​​​​সাহায্য ​​​​​​​করে ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​প্রমাণিত ​​​​​​​সত্য। ​​​​​​ ​
     
    এবার যারা সিসিটিভি চান না সেটা তাদের মত। তাদের আশা করি তথাকথিত যুক্তিও থাকবে। সেসব  নিয়ে কোনো  ইন্টারেস্ট নেই। 
  • Amit | 220.235.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৯:২৭522650
  • :-) কটা লেড়ো পেলি রে আজকে ?বেশি খাস না। তোদের তো ঘি সহ্য হয়না আবার। 
  • | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৩৫522651
  • লোকের এই এত সিসিটিভিফেটিশ কি চাদ্দিকে এত রিল দেখে দেখে হয়েছে নাকি কে জানে! আরে বাবা সার্ভেল্যান্স যন্ত্র করে না মানুষই করে। যাদবপুরে কী হয় বা কোঈ কী হত এটা ডিন, রেজিস্ট্রার ছাত্র ইউনিয়নগুলো জানত না নাকি? দিব্বি জানত। এখন দায়িত্ব এড়াতে যা খুশী বলছে।
     
    যাদবপুরের ৪ নং গেটে নাকি সিসিটিভি ছিল সে নাকি বহুদিন খারাপ। তা সে ঠিক করার দায়টা কার ছিল? ছাত্রদের? প্রাক্তনীদের? মেকানিকাল ল্যাবও নকি সিসিটিভির আওতায়। সেখান থেকে নাকি করোনাকালে কয়েক লাখ টাকার যন্ত্র চুরি গেছে। তো সে ব্যপারে দায় কার? শাস্তি কী হয়েছে? 
     
    উপরে একজন হায়দ্রাবাদে ওড়িশার মেয়েটির মৃত্যুর উল্লেখ করেছেন দেখলাম। অত দূর যেতে হবে না। খড়গপুর আইয়াইটির ফয়জান আহমেদের কেস তো হোস্টেল কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকার সবাই মিলে চেপে দিতে  চেয়েছিল। সেও র‍্যাগিং। তবে আহমেদ কাজেই লোকে এড়িয়ে যাবে  স্বাভাবিক।
     
    মোদ্দা সিসিটিভি কিছু মিরাকিউরল নয় যে সব সারিয়ে দেবে।  জিরো টলারেন্স নীতি, কোন অভিযোগে দ্রুত বহিষ্কার এইগুলো করলে আপসে কমে যাবে। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:494c:990d:2f9f:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৪৪522652
  • যাদপ্পুরে রামমন্দির বললেই হবে!! ওখানে দীঘার জগন্নাথমন্দিরের একটা সিটি ব্রাঞ্চ হোক।
  • dc | 2401:4900:1cd1:121e:f8af:ee8c:f571:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৫৫522653
  • যাদবপুরে সেই মান্ধাতার আমল থেকে র‌্যাগিং হয়। শিবপুরেও হয়, দুর্গাপুরেও হয়। সিসিটিভি কাকে বলে তাই যখন কেউ জানতো না, তখন থেকেই হয়। এই কলেজগুলোর প্রত্যেকে চিরকাল জানে যে র‌্যাগিং হয়। কাজেই চতুর্দিকে সিসিটিভি বসানোটা সলিউশান মনে হয়না, বরং কর্তৃপক্ষ যদি সত্যিই র‌্যাগিং বন্ধ করতে চান তো সেইমতো ব্যবস্থা নিতে পারেন। আমার তো মনে হয় অ্যাকাডেমিক ইয়ারের প্রথম কয়েকটা মাস যদি হোস্টেল সুপার, ডিন, হেড ডিপরা মিলে নিয়মিত ছাত্রদের সাথে মিটিং করেন, হোস্টেলে ঘোরাঘুরি করেন, তাতেও র‌্যাগিং কমবে। 
  • dc | 2401:4900:1cd1:121e:f8af:ee8c:f571:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৫৭522654
  • জগন্নাথমন্দির? তারপর যদি চতুর্দিকে আওয়াজ ওঠে, অ্যাই নেড়ে দে না? cheeky 
  • Amit | 220.235.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৫৮522655
  • শুধু পাতি কয়েকটা ক্যামেরা লাগালে যে সব সমস্যা ম্যাজিকের মত মিটবে না সেটা সবাই বোঝে। এতে ফেটিশের কিছু নেই। একটা সিস্টেম ইন্স্টল্ করলে সেটার ক্লোজ মনিটরিং, মেনটেনান্স , আপগ্রেড , প্রাইভেসি ম্যানেজমেন্ট সবকিছুই প্ল্যান থাকা দরকার। সর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে হাজারটা ক্যামেরা লাগলেও যে কাজ হয়না সেটা কমন সেন্স। 
     
    আর ক্যামেরা থাকার সাথে সাথে প্রো এক্টিভ আন্টি-ৱ্যাগিং ম্যানেজমেন্ট ও জরুরি। যেটা যাদবপুরে চিরকাল নন এক্সিস্টেন্ট। একটা খুন র পর রেজিস্টার ডিন এরা চারদিন ধরে ইকমুনিকেডো হয়ে যাচ্ছে -হোস্টেল সুপার গেটকিপারকে পুলিশ কে না ঢুকতে নির্দেশ দিচ্ছে -এদের সবার এগেনস্ট এ তো ক্রিমিনাল নেগলিজেন্স এর মামলা করা উচিত। 
  • যুক্তি | 116.193.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১০:৫৮522657
  • ডিসির সিসিটিভি না লাগানোর পেছনে কি যুক্তি? 
    স্টুডেন্টরা মলে, আইনোক্সে, রেস্তোরাঁ তে যায় না? 
    এঁরা যেখানে থাকে বা ডিসি যে হাউজিং এ থাকে, সেখানে সিসিটিভি নেই? 
    পরিচয়পত্র নিয়ে ইউনিতে ঢোকা তো বাঞ্ছনীয়।
    বিদেশে ইউনিতে লাইব্রেরীতে সারারাত স্টুডেন্টরা যেতে পারে।
    আই কার্ড সোয়াইপ করে। এতে তো প্রাইভেসি নষ্ট হয় না। বরঞ্চ চোর চুরি করতে গেলে দুবার ভাবে।
    যাদবপুর ইউনিতে নাকি রাতে বহিরাগতরা ঢুকে মদের বোতল, নেশার সামগ্রী, কন্ডোম রেখে চলে যায়।
    আর প্রগতিশীল সুশীল স্টুডেন্টরা, কবিতা, গান, ডিবেট আর পড়াশুনায় মেতে থাকে। জানেই না এসব নেশা কি বস্তু! রাতে কারা ঢুকে পড়ে, ইত্যাদি  প্রভৃতি।
    কিন্তু তাঁরা চায় হোক কলরব। সিসিটিভি নিপাত যাক। পরিচয়পত্র পুড়ে যাক। বজায় থাক শুধু স্বেচ্ছাচারিতা!
  • যাদবগাছি | 77.9.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১১:২৫522658
  • ৱ্যাগিং হচ্ছে হোস্টেলে আর এরা পুরো ক্যাম্পাসে শিশিটিভি চাইছে ক্যান
  • সৃষ্টিছাড়া | 2405:201:a41e:a89c:2852:d42e:20c1:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১২:০৪522661
  • আসল সমস্যা সিউডো প্রগতিশীল অতি উপার্জন, পিতা মাতা দের অভিভাবকদের স্বাধীনতার নামে বেলেল্লা পনা প্রশ্রয়।
    রাজনীতি র নীতিহীন দিশাহীন উচ্ছিষ্ট গনতন্ত্র চর্চা, আর বিগত ১২ বছর প্রশাসন হীন লুম্পেন রাজত্ব, ভিক্ষান্ন গ্রহনে উৎসাহ, মানবতা, সৌজন্যবোধ বিরোধী পারিবারিক ঘৃণ্য উদাসীনতা।
  • সৃষ্টিছাড়া | 2405:201:a41e:a89c:2852:d42e:20c1:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১২:১৩522662
  • প্রগতিশীলতার নামে ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি সন্ত্রাস, ধর্ম গৌণ, ক্ষমতা দখলদারি লক্ষ্য।
    চর্চার নামে, উচ্ছিষ্ট পরিবেশন।
    তিনটি স্নাতকোত্তর অভিজ্ঞতা থেকে ও তাই নিজেকে বেমানান জীব মনে হয় এই কদর্য মানসিকতার মাঝে।
    তাই ২০ বছর কর্কট রোগের যন্ত্রণা ও সীমাহীন অনটন আজ এই যন্ত্রনার কাছে তুচ্ছ।
    কু শব্দ প্রত্যুত্তর এর অপেক্ষা থাকবে, যা আসলে উপেক্ষা
  • যুক্তি | 116.193.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১২:৫১522663
  • পুরো ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর পেছনে যুক্তি হলো,মদ,গাঁজার আসর থেকে ইউনি কে মুক্ত রাখা।
     
  • dc | 2401:4900:1cd1:121e:f8af:ee8c:f571:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৩:১৮522665
  • "ডিসির সিসিটিভি না লাগানোর পেছনে কি যুক্তি? 
    স্টুডেন্টরা মলে, আইনোক্সে  , রেস্তোরাঁ তে যায় না? 
    এঁরা যেখানে থাকে বা ডিসি যে হাউজিং এ  থাকে,সেখানে সিসিটিভি নেই? "
     
    একটু বড়ো করে উত্তর দি :-)
     
    প্রথমত, আমি ইন জেনারেল কেস স্টাডি না করে সিসিটিভি বসানোর বিরোধী। এমনকি রাস্তাঘাটে যত্রতত্র বসানোরও বিরোধী। কারন আমি স্টেট সার্ভেল্যান্স, অথরিটারিয়ানিজম ইত্যাদির বিরোধী, যা কিনা যত্রতত্র সিসিটিভি বসানো আর সিটিজেনদের ২৪ * ৭ সার্ভেইল করার নেক্সট স্টেপ। 
     
    আমি, অন্তত ইন্ডিয়াতে একেবারে মাইনরিটিতে পড়ি। কারন ইন্ডিয়ানদের মধ্যে প্রাইভেসি, ডেটা ইন্টেগ্রিটি, অ্যানোনিমিটি ইত্যাদি কনসেপ্ট গুলো নিয়ে কোন ধারনাই নেই। ফলে আমাদের দেশে ডেটা প্রোটেকশান আইন নেই, পেশেন্টদের জন্য হিপা নেই, আর বোধায় ৯৯% ইন্ডিয়ানরা জানেই না যে এরকম কোন আইনের দরকার আছে বা প্রাইভেসি ইজ আ রাইট ইত্যাদি। আমাদের দেশে যেকোন অর্গানাইজেশান অনায়াসে যেকোন ব্যাক্তির বার্থডে ইঅত্যাদি জানতে চায় আর যেকোন লোক সেসব অনায়াসে বলেও দেয় কারন কেউ জানেই না যে কিছু কিছু ইনফর্মেশান প্রাইভেট, অন্য কারুর বা সরকারের সেসব জানার রাইট নেই। 
     
    এই হলো জেনারাল কথা। এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর। এখন মল, রেস্টুরেন্ট, সিনেমা ইত্যাদি সর্বত্র সিসিটিভি লাগালো থাকে, আমি এসবেরই বিরোধী। আমার একটা ফ্ল্যাট আছে শহরের একটু বাইরে, সেখানে প্রচুর সিসিটিভি লাগানো, আমি তার বিরোধিতা করেছিলাম। আমার বাড়ি হলো শহরে কিলপক গার্ডেন বলে একটা জায়গায়, সেখানে সর্বত্র সিসিটিভি বসানো, আমার গলিতে প্রতিটা বাড়ির গেটে সিসিটিভি বসানো। আমার পাড়ার একটা রেসিডেন্টস অ্যাসোসিয়েশান আছে, তারা এসে আমাকেও লাগাতে বলেছিল। সেসব সিসিটিভির মেন্টেন্যান্স অন্য একটা কোম্পানি করে, তাদের কাছেও ডেটার কপি থাকে। আমি এই সবেরই বিরোধী। 
     
    এবার দেখা যাক কোথায় কোথায় সিসিটিভি বসানো যেতে পারে, সাবজেক্ট টু ডিটেলড কেস স্টাডি। মিলিটারি কমপ্লেক্সের অ্যাক্সেস কন্ট্রোল করার জন্য মনে হয় লাগানো যায়, তেমনি এয়ারপোর্ট বা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বা পাওয়ার জেনারেশান ইত্যাদি যেসব সিকিওরিটি সেন্সিটিভ জায়গা, সেখানে বসানো যায়। তার আগে ভালো রকম প্ল্যান করা উচিত, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, লেভেল অফ অ্যাক্সেস, থ্রেট কন্ট্রোল ইত্যাদি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত, আমাদের দেশে সেসবের কিছুই হয়না। 
     
    এবার যাদবপুর বা অন্যান্য ইউনিভার্সিটি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। আমার মতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে (আর অফিসেও) গেট কন্ট্রোল অবশ্যই করা উচিত। চাইলে সিএল বা ওয়ার্কশপগুলোয় আই কার্ড ইস্যু করা যেতে পারে, যাতে শুধু কার্ডহোল্ডাররাই সেগুলো অ্যাক্সেস করতে পারে। এসব সিস্টেমেরই পিরিয়ডিকালি অডিট করা উচিত। ক্যাম্পাসে যত্রতত্র সিসিটিভি লাগানো উচিত না, হোস্টেলে তো অবশ্যই না, কারন তাতে প্রাইভেসির সিভিয়ার ভায়োলেশান হবে। হোস্টেলেও অ্যাক্সেস কন্ট্রোল করা যেতে পারে। আর উচিত ডিন ইত্যাদিদের মাঝে মাঝে হোস্টেলে গিয়ে ছাত্রদের সাথে আলোচনা করা, যা আগে লিখলাম। 
     
    এই হলো গিয়ে আমার ভিউপয়েন্ট। এসবের কোন কিছুই হবে না, তবে কিনা আজ রোববার তো, তাই হাতে খানিক সময় আছে :-)
  • dc | 2401:4900:1cd1:121e:f8af:ee8c:f571:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৩:২১522666
  • ওহো মদ গাঁজা বাদ পড়ে গেছে। যাদবপুরে মদ গাঁজা ছাড়া পড়াশোনা হবে, ভাবতেও শিউরে উঠছি। মানে কলেজে পড়তে ছেলেমেয়েরা যদি মদ গাঁজাই না খেল তাহলে তো জীবনের ষোল আনাই বৃথা! যাদবপুরে পড়তেই আমার ওল্ড মংকের সাথে প্রথম পরিচয় হয়েছিল, মাঠে বসে প্রথম ভিটামিন জি টেনেছিলাম। সেসব বন্ধ হয়ে যাবে? হায়! 
  • dc | 2401:4900:1cd1:121e:f8af:ee8c:f571:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৪৩522667
  • উফ কন্ডোমও বাদ পড়ে গেছে :-( 
     
    অবশ্যই ক্যাম্পাসের ভেতর কয়েক জায়গায় কন্ডোম ভেন্ডিং মেশিন বসানো উচিত। একটা মজার কথা বলি। আমার ফ্ল্যাটটা হলো পুনামালী বলে একটা জায়গার কাছে, সেখানে কাছেই একটা খুব বড়ো হাসপাতাল কাম মেডিকাল স্কুল আছে, নাম সবিতা মেডিকাল কলেজ (গুগল করে দেখতে পারেন, saveetha medical college). এই কলেজের অনেক ছাত্রছাত্রী ওখানে হোস্টেলে থাকে, অনেকে আশেপাশে পেয়িং গেস্ট হিসেবেও থাকে, আমার হাউজিং এও অনেক থাকে। এবার, পুনামালি হাইরোডের ওপর, এই কলেজের কাছেই একটা শেল স্টেশান আছে। জানেন বোধায়, প্রতিটা শেল স্টেশানে শেল সিলেক্ট নামের দোকান থাকে, যেখানে স্ন্যাক্স, কন্ডোম ইত্যাদি কিনতে পাওয়া যায়। তো এই শেল এর মালিক আমার খুব ভালো বন্ধু, ওখানে গেলে মাঝে মাঝেই গল্প হয়। একবার সেই মালিক আমাকে বলেছিল, আমার দোকানে সবচেয়ে বেশী কি বিক্রি হয় বলতো? কন্ডোম। এই সবিতার ছাত্রছাত্রীরা এসে প্রচুর কেনে। আমি বলেছিলাম ক্যাম্পাসের ভেতরেই তো ফ্রি ভেন্ডিং মেশিন বসানো উচিত! আমার বন্ধু বলেছিল তা উচিত, তবে ছাত্রছাত্রীরা এসে কন্ডোমের সাথে খাবারদাবারও কেনে, এখানে বসে চা কফি ইত্যাদি খায়, তাই আমার তো ভালোই সেল হয়। 
     
    এই তো হলো ব্যপার :-)
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:9813:2cbe:ba01:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৫০522668
  • সর্বত্র সিসিটিভি আছে, সেখানে যাদবপুরের ছেলেমেয়েরা যায়, তাহলে ইউনিতে কেন সিসিটিভি মানবে না, এ যুক্তি দিলে উল্টো বলা যায় যে ইউনিতে সিসিটিভি মানে না বলে কি তারা ঘরেই বসে থাকবে ?

    কথা ঠিক এটা না মনে হয়।

    আজকাল তো স্কুলে স্কুলে সিসিটিভি চালু হয়ে গেছে। কেন ? বাবা - মাকে আশ্বাস দেওয়ার জন্য যে তাদের সন্তানরা সুরক্ষিত আছে। এবং কর্তৃপক্ষ এটা করে কাজ দেখাচ্ছে যে স্কুলের উন্নতি চলছে। কিন্তু ভেবে দেখার যে ৫ বছর বলস থেকে একটি মানুষ ক্যামেরার আওতায়, নিয়ন্ত্রিত। এটা কি ঠিক হচ্ছে ?

    অন্যদিক দিয়ে বলা যায় শিক্ষা বস্তুটির মধ্যে আর মুক্ত আকাশের কল্পনা নেই বলে, তার লজিক্যাল এণ্ড হল স্কুলেই নিয়ন্ত্রণ চালু করা।

    আবার মল ইত্যাদিতে ক্যামেরা, সেও,ঐ, পাবলিককে প্রবোধ দেওয়া যে তারা সুরক্ষিত। হঠাৎ বোমাটোমা ফেটে যাবে না, কেউ ক্ষেপে গিয়ে কিছু করে ফেলবে না। কিন্তু যেভাবে ব্যাগট্যাগ চেক হয়, সে দিয়ে এসব সত্যি আঁটকানো যাবে ?

    কিন্তু ঐ আশ্বাসবাণী আর কি।

    কলেজ ইউনির ছেলেপুলেরা একটা মাঝখানের জায়গায় আছে। বাড়ি - পরিবার- স্কুল নিয়ন্ত্রিত সময় থেকে বেরিয়ে আসছে আর সুনাগরিক হয়ে, সুরক্ষার আশ্বাস পাওয়ার দিনগুলো এখনও তার প্রয়োজন হয়ে পড়েনি। নিয়ন্ত্রিত হওয়া আর নিজেই নিয়ন্ত্রণের কর্তা হয়ে ওঠার মাঝে একটা পজিশনে আছে বলে নিয়ন্ত্রনকেন্দ্রিক ব্যবস্থার বিরোধিতা করতে চাইতে পারে।

    অবশ্য এও ঠিক যে কলেজে ক্যামেরা ব্যাপারটা হ্যাঁ - না দিয়ে পুরো বিচার করা যায় না। বেশ কিছু কলেজে, সারা দেশে, আপত্তি উঠেছে আবার কিছু জায়গায় স্টুডেন্টরাই সেসবের ব্যবস্থা করার দাবী জানিয়েছে।

    এটাও বলার, যে ২০১৫ সালের ইউজিসি রেকোটা পড়ে দেখবেন, যেখানে বিবিধ নির্দেশের সাথে সিসিটিভি আর বায়োমেট্রি দিয়ে ইউনি ক্যাম্পাস মুড়ে ফেলার কথা ছিল। এসবও ছিল যে স্কুলের মত কলেজেও PTM হবে, এক্সকার্শনে যাওয়ার আগে বাড়ির লোকের সাথে কথা বলা হবে বা অনুমতি নেওয়া হবে, এবং পুলিশ থানা বসানোর কথাও বলা হয়েছিল ! পড়লে বুঝবেন নির্দেশগুলো ছিল ক্রমশঃ প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠা মানুষদের সেই স্কুলবয়সের নিয়ন্ত্রিত শিশু বানিয়ে রাখা অথবা সুরক্ষিত সুনাগরিক তৈরী করা। কিন্তু যারা বানিয়েছে তাদের নিশচয় যুক্তি ছিল সেসবের অথবা কোন বড় কিছু ঘটে গেলে লোকজন এসে সেইসব নির্দেশের উপযোগিতা ব্যাখ্যা করবে। ঐসব রেকো থেকে এখন মনে হয় শুধু সিসিটিভি ব্যবহারটাই ফোকাসে আছে, কারণটা মনে হয় এটা যে এই কাজটি করে ফেলা কলেজের পক্ষে মোটামুটি সহজ।
  • যুক্তি | 116.193.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০১522670
  • দেখাযাক ডিসির যুক্তির কি উত্তর দেওয়া যায়।
    আমিও যদুপুরের প্রাক্তনী।
    আমাদের দেশের লোকজনের প্রাইভেসি সম্পর্কে ধারণা কম।
    দীর্ঘজীবন বিদেশে কাটানোর পর নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি উন্নত দেশগুলো সিসিটিভিতে মোড়া। অফিস, মল, রেস্তোরাঁ, ট্যাক্সি, বাস, পার্ক, বাজার, রাস্তা, ইউনি - সর্বত্র। পুলিশ এর কথা অনুযায়ী সিসিটিভি অপরাধী সনাক্ত করণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। দেশের যেকোন প্রান্তে মোটামুটি, দুই শ মিটার এর মধ্যে সিসিটিভি কভারেজ আছে।
    ডিসি হাউজিংয়ের সিসিটিভি নিয়ে প্রতিবাদে আছেন, কিন্তু হাউজিং ছেড়ে অন্যত্র উঠে যান নি।
    সংখ্যা গরিষ্ঠের মতামত মুখ বুঁজে মেনে নিয়েছেন।
    দুই, অফিসেও নিশ্চয় সুবোধ বালকের মতন সিসিটিভির আন্ডারে কাজ করে থাকেন।
    দুই, যে ক্যাম্পাসে বহিরাগত ঢুকে নেশার আসর বসায় সেখানে আরো বেশি করে সিসিটিভি লাগানো উচিত। কারণ স্টুডেন্টরা বহিরাগত দের আগমন কমানোর কোন সল্যুশন বার করতে পারে নি।
    তিন, আপনি যাদবপুরে কি ভিটামিন জি টেনেছেন সেটা বড় কথা নয়। এক তো গাঁজা কথাটা উল্লেখ করতে পারছেন না। কিসের ভয়? নেশার পক্ষে ওকালতি করবেন না।
  • Amit | 163.116.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০২522671
  • সিসিটিভি র যারা পক্ষে: 
     
    ১। প্রাইভেট পরিসরে যে যা নিজের ইচ্ছে করতে পারেন। তাতে রাষ্ট্র প্রতিবেশী কারোর কিচ্ছু বলার অধিকার নেই যতক্ষণ অন্যের শান্তি বা অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। আমি হেডফোনে তারস্বরে গান শুনলে সেটা আমার চয়েস কিন্তু অন্যের কান ফাটিয়ে জাম্বো স্পিকারে বাজালে সেটা আর ব্যক্তিগত পরিসর থাকে না। 
     
    ২। রাস্তাঘাট ,ক্যাম্পাস , খেলার মাঠ হোস্টেল এগুলো ব্যক্তিগত জায়গা নয়- এগুলো পাবলিক প্রপার্টি। হোস্টেলে নিজের ঘর প্রাইভেট এক্সেস কিন্তু কমন এরিয়া পাবলিক এক্সেস। এসব জায়গায় এমন কিছু করা র অধিকার কারোর নেই যেটা অন্যের শান্তি বা অধিকার ভাঙতে পারে। এসব জায়গায় প্রাইভেসি যুক্তি টাই অসাড়। ঠিকমতো জায়গায় জায়গায় সিসিটিভি থাকলে এবং সেসবের প্রপার মনিটরিং হলে কেও ৱ্যাগিং ইভ টিসিং , চুরিচামারি বা অন্য কোনো অসভ্যতা করলে হাতেনাতে প্রমান সমেত ধরা পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি এবং এগুলো এফেক্টিভ ডিটেরেন্ট (সর্ষের মধ্যে ভুত থাকলে অবশ্যই অন্য কথা - যেমন কেও মেক ল্যাবের গল্প শোনাবেন যে সিসিটিভি থাকতেও চুরি আটকায়নি - সিস্টেম করাপ্ট হলে চোরকে সক্কলের সামনে ধরলেও আটকানো যাবেনা। এসব উদা গুলো সভ্য দেশ বা সমাজের  জন্যে)। 
     
    ৩। যাদের মদ গাঁজা খাওয়ার শখ তারা প্রানভরে খান না যত খুশি - নিজের ঘরে বা হোস্টেলে র ঘরে র প্রাইভেট পরিসরে। কারোর কিছু আসে যায়না। কিন্তু এসব শখ মেটানো কমন পাবলিক এরিয়াতে করা যায়না। সভ্য দেশগুলো তে পাবলিক পার্কে বসে মাল খেলে পুলিশ ধরে ফাইন করে কোনো মাতলামি না করলেও। সব জায়গায় নোটিশ দেওয়া থাকে কি কি করা বারণ। তখন ব্যক্তিগত অধিকার দেখিয়ে পার পাওয়া যায়না। 
     
    ৪। আগে টেকনোলজি ছিলোনা - ইউস করা যায়নি।এখন আছে - কেন ইউস করা হবেনা ? ক্যাম্পাসে কেও প্রেম করলে চুমু খেলে কারোর কিচ্ছু বলার নেই। এডাল্ট ছেলে মেয়েরা যে যা ইচ্ছে করুক যতক্ষণ দুপক্ষের সম্মতি থাকছে। কিন্তু কেউ জোরাজুরি করলে বা মাতলামি ভাঙচুর বা ৱ্যাগিং করলেও সেসব প্রাইভেসি র আওতায় পড়বে নাকি ? 
     
    ৫। যাদবপুরে বা অন্য কলেজে প্রফেসর বা ডিন এনাদের আন্টি ৱ্যাগিং ইনিশিয়াটিভ কেমন কাজ করেছে এদ্দিন তো দেখাই যাচ্ছে। যেখানে এদের কোনো কন্ট্রোলই নেই কোনো ড্যামেজ ঠেকানোর - সেখানে কয়েকজনের প্রাইভেসী কনসার্ন এর থেকে কয়েকজনের সেফটি টা অনেক বেশি দরকারি। 
     
    ৬। ডেটা এক্সেস এন্ড কন্ট্রোল অবশ্যই একটা কনসার্ন। সেসবের ঠিকঠাক আইন আনার জন্যে আন্দোলন হোকনা- কে বারণ করেছে ? সেসব তো হতে দেখা যায়না। উল্টে যত আন্দোলন সিসিটিভি বসানোর বিরুদ্ধে। 
     
  • যুক্তি | 116.193.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৪:১১522672
  • সি এস, সেতো মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গুলোর ভেতরে ফাঁড়িকরে পুলিশ পোস্ট করা আছে।বহুদিন ধরেই। প্রচুর  সিসিটিভি লাগানো আছে।এটা তো মেডিকেল পড়ুয়া আর জুনিয়র ডক্টর দের দীর্ঘদিনের দাবী অনুযায়ীই বসানো হয়েছে।পড়ুয়া দের নিজেদেরই  স্বার্থে।নাইট ডিউটি সেরে মহিলা ইন্টার্ন,হাউষ্টাফ বা নার্সদের হোস্টেল ফেরার সুরক্ষা প্রদানের জন্য। কোনো প্রাইভেসি নষ্ট করার গুজবও শোনা যায়নি কোনোদিন। এখানেও তো প্রচুর স্টুডেন্ট পড়াশোনা করে।
    প্রাইভেসি নষ্ট হবেই বা কি করে? 
    যাদবপুরের দাবিগুলো তো ধ্যস্টামী মনে হচ্ছে।এসব সমর্থন যাঁরা করছে, তাঁরাও তো সমান ভাবে ধ্যাস্টামি তে যুক্ত বলে মনে হচ্ছে।
     
  • dc | 2401:4900:1cd1:121e:f8af:ee8c:f571:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৪:১৮522673
  • যুক্তি - এই দ্যাখো, গাঁজার কথা তো আগের পোস্টেই বললাম! গাঁজা বলতে ভয় পাবো কেন? যেকোন কলেজ স্টুডেন্টকেই আমি মদ গাঁজা ইত্যাদি খেতে বলি, কন্ডোম ব্যবহার করতে বলি। আমার এক মাসতুতো ভাই বছর দুয়েক আগে যাদবপুরে ভর্তি হয়েছে, তাকে আমি মাঝে মাঝেই জিগ্যেস করি গাঁজা ইত্যাদি খায় কিনা। আরেক ভাই অনেক বছর আগে চেন্নাই আইআইটিতে পড়তো, তার সাথে বসে মদ আর গাঁজা দুটোই খেয়েছি। সে ব্যাটা এখন আমেরিকাতে থাকে। 
     
    বেশ কিছু দেশে মারিজুয়ানা নিয়ে আইন আনা হচ্ছে, আমেরিকার নানান স্টেট আর অন্যান্য দেশে এই নিয়ে আইন বানানো হচ্ছে বা ডিবেট হচ্ছে। এটা আমার বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে, আশা করি ভারতেও হবে, যদিও এই বুড়ো বয়সে আর মারিজুয়ানা নিতে পারবো কিনা জানিনা :-(
     
    "ডিসি হাউজিংয়ের সিসিটিভি নিয়ে প্রতিবাদে আছেন,কিন্তু হাউজিং ছেড়ে অন্যত্র উঠে যান নি।
    সংখ্যা গরিষ্ঠের  মতা মত মুখ বুঁজে মেনে নিয়েছেন।"
     
    এইখানে একটা টেকনিকাল চাল দিয়েছিলাম laugh​এই হাউসিংএ দুবছর আগে আমি আর আমার খুব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু রেসিডেন্টস অ্যাসোশিয়েশান বানিয়েছিলাম, আমার বন্ধু অ্যাসোসিয়েসানের সেক্রেটারি হয়েছিল। তখন কেউ কেউ বলেছিলেন সব কমন এরিয়ায় সিসিটিভি বসানো হোক, প্রতিটা ব্লকের প্রতিটা ফ্লোরেও লাগানো হোক। আমি বলেছিলাম ফ্লোরে ফ্লোরে বসানোর তো প্রশ্নই নেই, সেরকম হলে আমি অ্যাসোসিয়েশানই উঠিয়ে দেব। আর কমন এরিয়াতেও খুব ওয়েল ডিফাইন্ড কয়েকটা জায়গায় বসানো হবে, তার অ্যাক্সেস পলিসি থাকবে ইত্যাদি। ক্লাব হাউসে সিসিটিভি বসানো হবে না। 
     
    কিলপকেও আমার বাড়ির সামনে কাউকে সিসিটিভি বসাতে দিইনি। তো একেবারে বিনা প্রতিবাদে মেনে নিয়েছি, সেরকম বোধায় বলা যাবেনা।
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:9813:2cbe:ba01:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৪:২১522674
  • পস্চিমে তো অনেক অনেক সিসিটিভি আছে, এখানে নয় কেন, এ যুক্তিটা দেওয়া হয়। পশ্চিমেও ক্যামেরা বসিয়ে ঠিক কতখানি ক্রাইম কমানো গেছে এবং কী রকমের সেসব ক্রাইম সে নিয়ে তর্ক - পেপার আছে। পার্কিং লট আর বাড়ি ভেঙে চুরিতে এফেক্টিভ বেশী, এরকম মত পড়া যায়। অন্য রকম ক্রাইমে কেমন কাজ করে সে মনে হয় পুরো বোঝা যায় নি। এদেশেও কিছু বিশ্লেষণ হয়েছে, কিন্তু তার মধ্যে কন্ট্রাডিক্শন আছে।

    কিন্তু হ্যাঁ, পাবলিক পার্সেপশন হল, ক্যামেরা বসালে কাজে দেবে।
  • যুক্তি | 116.193.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৪:২৫522675
  • ওহ আর একটা কথা।বিদেশে বহু         হাসপাতাল,ইউনি ক্যাম্পাস স্মোক ফ্রি। কিছু ডে জিগ্নেটেড এরিয়া ছাড়া।
     এমন কি গাড়িতে বসেও স্মোকিং চলবে না। একমোডেশন গুলো ও।
    হাসপাতাল গুলো পুরোটাই স্মোক ফ্রি। মানে পুরো এরিয়া ইনক্লুডিং কার পার্কিং এরিয়া।
    সুতরাং বিদেশের উদাহরণ দিয়ে ঢপ দিলে চলবে না। ওখানে তো প্রতিপদে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। 
  • dc | 2401:4900:1cd1:121e:f8af:ee8c:f571:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৩০522676
  • সিসিটিভি সিস্টেম কিভাবে ইম্প্লিমেন্ট করা হবে বা কিভাবে ব্যবহার করা হবে সে নিয়ে আমাদের দেশে কোথাও কোন আলোচনা দেখতে পাইনা। 
     
    কোথায় কোথায় সিসিটিভি বসানো হবে? কেন? সেখানে বসালে কি সিস্টেমটা এফেকটিভ হবে? 
     
    কিরকম ক্যামের ব্যবহার করা হবে? উইথ ইন্ফ্রারেড? কেন? মোশান সেন্সিটিভ নাকি অলওয়েজ অন? কেন? উইথ অডিও? কেন? 
     
    ডেটা কতোদিন রাখা হবে? পনেরো দিন, নাকি এক মাস, নাকি ছ মাস? কেন? 
     
    সেই ডেটা কে দেখতে পারবে আর কে কপি বা ডিলিট করতে পারবে? লেভেল অফ অ্যাক্সেস কি হবে? কেন? 
     
    যে কোম্পানি সিসিটিভি বসাবে বা মেন্টেন করবে তাদের কি কোন সিকিওরিটি অডিট হয়? সেই অডিট কি তারা স্কুল বা ইউনি কর্তৃপক্ষকে জমা দেয়? 
     
    স্কুল বা ইউনির ডেটা সংক্রান্ত পলিসি কি? অ্যানোনিমিটি পলিসি কি? ডেটা স্টোরেজ আর ডিলিশান এর পলিসি কি? কোন লেভেলে এই সব ডিসিশান নেওয়া হবে আর এগুলো কোন আইনের আওতায় আসবে? কেন? 
     
    এসব আলোচনা কোন মিডিয়ায় হতে দেখিনা। আমাদের দেশে অবশ্য এখনও ডেটা প্রোটেকশান আইন নেই। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন