এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  কাব্য

  • কবি অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তীর কাব্যসমগ্র

    π লেখকের গ্রাহক হোন
    কাব্য | ১৭ জুন ২০২৩ | ৯১৫ বার পঠিত
  • ছড়িয়ে ছিটিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। এখানেই বরং সব কবিতারা এক সুতোয় গাঁথা থাকুক। 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | ১৭ জুন ২০২৩ ২০:৫০740233
  • অর্ঘ্যদীপবাবু, আপনার সব কবিতা এখানেই রাখুন। এই লিনক্টা নিজের কাছে কপি করে রাখুন, শেয়ার করতে হলেও এটাই করুন। আপনাকে আর কষ্ট করে আলাদা আলাদা টই খুলতেই হবে না!  কবিতা এলেই এখানে লিখুন।
    অনেক অনেক ধন্যবাদ!  
  • help | 82.103.***.*** | ১৭ জুন ২০২৩ ২১:১৭740237
    • "কিন্তু টাইপত্তরে লিখব কীভাবে?"
     
    'আপনার মতামত দিন' বাক্সে কবিতা পেস্ট করে 'জমা দিন' বোতাম টিপে দিন।
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৭ জুন ২০২৩ ২১:৪১740239
  • কবিতা:- আক্ষেপ
    কলমে:- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    ঘাস হয়ে জন্মালে বড় ভালো হতো,
    মানুষ হয়ে এত লাঠিঝাঁটা খেলাম মানুষের থেকে-
    এর চেয়ে ওটাই ভালো হতো।
    এমনি দলিয়ে যেত সকলে, ঘেন্না থাকত না নিজের মনে,
    জানি তো আমি কী।
    বড় ভুল হয়ে গেল মানুষ জন্মে।
    আসলে-
    ঠিক বলতে নেই, সাহায্য করতে নেই,
    প্রতিবাদ করতে নেই,
    সারা দেহ বালিতে ঢুকিয়ে শুধু মুখ বাড়িয়ে দেখতে হয় কোথায় কী হচ্ছে,
    জোর ডামাডোল বাঁধলে নিমেষে মুখ ভিতরে।
    কিছু বলেছ কী গেছ...।
    তাই আক্ষেপ করি, ঘাস হয়ে জন্মালে বড় ভালো হতো।

    ১৭ই জুন,২০২৩,দুপুর২:৪৮, বারুইপুর 
     
  • পাঠক | 178.218.***.*** | ১৭ জুন ২০২৩ ২১:৫৫740240
  • বাঃ ভাল লাগল অর্ঘ্যদীপবাবু। আরো লিখতে থাকুন।
  • জসল | 2607:fb90:ac9d:fdbb:39bb:1398:597b:***:*** | ১৮ জুন ২০২৩ ০১:২৫740241
  • এইটা বেশ ভালো হয়েছে - সব এক জায়গায় থাকবে। এখানেই লিখুন, অর্ঘ্যদীপ।
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৮ জুন ২০২৩ ০৬:৪০740242
  • ইচ্ছে - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    আমি হব চাঁদ, 
    তুমি জোছনা।
    নিশি গভীর হবে, 
    বিরাজ করবে নিস্তব্ধ মায়াময়তা।
    আমি হব বাঁশি, 
    তুমি সুর।
    আমি হব গানের বাণী,
    তুমি কন্ঠস্বর।
    সে পরিবেশ হবে পরম লীলাময়
    ঢাকবে মেঘ সারা চরাচর,
    উপরে মিলব আমি তুমি
    নিচে তোমার স্বরের সুরে আমি।

    --- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
    ১৭ই জুন,২০২৩,রাত ৯:২০, বারুইপুর

     
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৮ জুন ২০২৩ ০৬:৪৩740243
  • উদাস দৃষ্টি হতাশ পাখি - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    যখন তুমি জানালার গ্ৰিল ধরে উদাস ভাবে তাকিয়ে থাকবে শেষ বিকালের আকাশের দিকে,
    তখন দেখবে একটা সাথীহারা পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে
    হতাশ হয়ে এ মেঘের কোল থেকে অন্য মেঘের কোলে।
    জানো ঐ পাখিটার কাহিনি?
    ওর কিন্তু সাথী ছিল
    তবে তা পূর্বজন্মে,
    হুবহু তোমার মতো দেখতে
    ঠিক, তুমিই যেন।
    আর পাখিটা কে জানো?
    যার ফটোতে তুমি প্রতি সন্ধ্যায় ধূপ দেখাও
    অঝোর ধারায় কেঁদে-
    সে এজন্মে ঐ দশায় আছে একা জীবন নিয়ে।
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৮ জুন ২০২৩ ১৬:৪৩740244
  • আশা - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী 
     
    দেখা হোক তোমার সাথে জীবনের পরে,
    কথা হোক তোমার সাথে ওপারে গিয়ে,
    ভালোবাসা হোক তোমাকে নতুন ভালোবাসায়,
    বাস করা হোক তোমার সাথে অচেনা জায়গায়,
    হারিয়ে যাওয়া হোক তোমার সাথে নতুন স্বপ্নে,
    পরস্পরের দিকে তাকানো হোক বিদায়ী ঘুমের পরে,
    হাতে হাত রাখা হোক সামনের পথ চলার,
    সাথী হিসেবে থাকা হোক আগামী অধ্যায়ের।

    ১৮ই জুন,২০২৩,সকাল ১০:১৭(ভোর থেকে মেঘলা আকাশ), বারুইপুর 


     
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৮ জুন ২০২৩ ১৭:১১740245
  • মৃত্যুর পরে - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    এ কী অবস্থা সূর্যের আলো এত ঠান্ডা হতে পারে,
    একটুও উষ্ণতা নেই তাতে!
    যেন, কোটি কোটি লক্ষ কোটি অদৃশ্য বরফ মাখা তীর আমায় বিঁধছে প্রতি সেকেন্ডে...‌...।
    এবার একটু একটু আরাম হচ্ছে,
    ঠান্ডা কমছে...।
    কিন্তু আমার দশা এমন হলো শেষমেষ?
    ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছি ছাই হয়ে এদিক ওদিক!

     
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৮ জুন ২০২৩ ১৯:৫৭740247
  • হতাশা - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী 
     
    জীবনটা আঁধারের মায়ায় ভরা,
    নেই কোনো আলোর রেখা।
    পথ ভরা শুধু অন্ধকূপে;
    চলতে পারিনা নিশ্চিন্তে।

    জীবনে ফুটবে কবে সূর্যমুখী জানিনা,
    চাঁদোয়া হয়েছে কাঁটা বুনো ঝোপে,
    ওদের ঘায়ে অনবরত রক্ত ঝরছে।
    নেই তবু মুক্তির পথ।

    ১লা জুন,রাত ১০টা, বারুইপুর 

     
  • π | ১৮ জুন ২০২৩ ২১:৩১740248
  • জিজ্ঞাসা ( অকবিতা)
    ------------------------------
    জিজ্ঞাসা (কবিতা) এই সমগ্রর টইতে না এসে আলাদা সুতোয় ঝুলছে কেন? 
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৯ জুন ২০২৩ ০৭:১৫740249
  • কবিতা একটি মেয়ের নাম - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    কবিতা একটি মেয়ের নাম।
    ওর সাথে আমি ঘর বাঁধব
    গোটা জীবনটা একসাথে কাটাব,
    খুব ভালো করে হয়ত সংসার চলবে না
    লেখালেখি করি, কতই বা আয় হয়,
    তবে অভাবও রাখব না কিছু
    যতটা পারব মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব,
    আনন্দে দুঃখে হেসে খেলেই জীবন কাটাব।

    বিয়ে হয়ে গেছে।
    'ভাগ্যের চাকা ঘোরে না' কে বলে এ কথা?
    এই কবিতা কেন লিখতে বসেছি জানো?
    এক অবিশ্বাস্য ঘটনার কথা তোমাদের বলব বলে!
    শোনো,
    বিয়ের পর কোনো এক রাতে গভীর ঘুমে একটা স্বপ্ন দেখলাম-
    আমি কবিতার সারা দেহের ওপর কী যেন লিখছি, ওর চোখ নাক ঠোঁট গলা বুক হাত পা সব লেখায় ভরা।
    একটু ভালোভাবে দেখতে চেষ্টা করলাম কী ওগুলো,
    আশ্চর্য ব্যাপার!
    দেখি, ছন্দে ভরা লাইনের পর লাইন, সম্পূর্ণ এক কবিতা,
    কবিতার গায়ে কবিতা!
    পরদিন সকালে দেখলাম, কোথা থেকে না জানি আমার ঘরে এক বস্তা সোনার মোহর উদয় হয়েছে।
    স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করায় কোনো উত্তর দিতে পারেনি।
    মনে মনে ভাবলাম, আমাদের অভাব ঘুচে গেল তাহলে।

    সত্যিই এখন দিন বেশ ভালোই কাটছে।
    লেখালেখি করে যা উপার্জন হয় 
    আর সেই মোহর এখনও সব ভাঙানো হয়নি,
    যা আছে ওতেই আমাদের সারা জীবন রাজসুখে চলে যাবে।
    ঈশ্বর কখন কার প্রতি দয়া করেন কেউ জানেনা।
    আর হ্যাঁ, যদি আবার কখনও এমন স্বপ্ন দেখি,
    যদি পাই ফের সোনার মোহরের বস্তা-
    তবে তা সমাজের উন্নয়নে দান করে দেব।
    আপাতত এখানেই শেষ করলাম কবিতা।

    --- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
    ১৮ই জুন,২০২৩,বিকাল, বারুইপুর 
     

     
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৯ জুন ২০২৩ ০৭:১৭740250
  • আদম ইভ - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    যখন তুমি আমার কাছে এসে বল,
    "আমি তোমায় ভালবাসি"
    তখন মনে হয়,
    এ বিশ্ব যতদিন থাকবে ততদিন আমরা বাঁচব।
    আমরা হব বিশ্বের দীর্ঘ আয়ুসম্পন্ন মানুষ,
    আমাদের প্রেম হার মানাবে অতীতের
    লাইলি মজনু, রোমিও জুলিয়েটদের।
    শেষ বলে কিছু নেই, শেষ থেকেই হয় শুরু,
    রাত যত গভীর হয় ভোর তত এগিয়ে আসে।
    এ নীল গ্ৰহ বিনাশের সাথে সাথে, 
    সৃষ্টিকর্তা হয়ত আমাদের পাঠাবেন এমনই নতুন সৃষ্ট কোন গ্রহে প্রথম মানুষ আদম-ইভ রূপে।

    ৭জুন,২০২৩, সন্ধ্যা ৭:১৫, বারুইপুর 
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৯ জুন ২০২৩ ০৭:১৭740251
  • সহবাস - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    ইচ্ছে করছে তোমায় খুন করি।
    তারপর সেই মৃতদেহটা ফেলে রাখি রাস্তায়,
    শেয়াল কুকুর শকুন মিলে ছিঁড়ে খাক।
    শেষে পড়ে থাকবে যে সম্পূর্ণ কঙ্কালটা,
    তাতে আমার শরীর থেকে সব মাংস কেটে একে একে বসিয়ে দেব।
    ফলে তোমার আর আমার এক মিশ্র দেহ গঠিত হবে।
    থাকব একসাথে।
    তখন আর তোমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না পার্কে, সিনেমা হলে
    এমন লুকিয়ে প্রেম করার দরকার হবে না।
    সবই এক হবে-
    রক্ত,
    মাথার চুল থেকে পায়ের নখ অবধি সব অঙ্গ,
    শুধুমাত্র যৌনাঙ্গ ছাড়া।
    রাতদিন সহবাস করব চুটিয়ে।

    --- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
    ৭জুন,২০২৩,সকাল ৭টা, বারুইপুর
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৯ জুন ২০২৩ ০৯:০৭740252
  • কেউ আমাকে স্নান করার জল দাও - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী 
     
    কেউ আমাকে স্নান করার জল দাও।
              আমি বৃষ্টিতে ভিজব না
                        পুকুরে নামব না
              নদীতে পা ডোবাব না
                        চোখের সাগরে ভাসব না
    কেউ আমাকে স্নান করার জল দাও।
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৯ জুন ২০২৩ ১০:০০740253
  • বিস্ময় - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    আমার মনের ভিতর শত মনের স্থান,
    তাতে থাকে হাজার লোকের বাস।
    তাদের মিলিয়ে ঐ লক্ষ জোড়া চোখ-
    সব চোখেই দেখি কিনা একটাই শুধু মুখ।
    কি আশ্চর্য, মুখটা যে আমারই!
    এত জন আমায় দেখে-
    তবে কেন বসে কাঁদি শুধু নীলকুমারীর তীরে?

    --- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
    ৩জুন,২০২৩,বেলা এগারোটা, বারুইপুর 

     
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ১৯ জুন ২০২৩ ১১:১৬740254
  • নিষিদ্ধ কবিতা - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী 
     
    কবিতা আর লেখা হয়না,
    যখনই লিখতে যাই তখনই 
    তুমি আমার সামনে এসে দাঁড়াও।
    দেখি, তোমার সারা গায়ে নখের আঁচড়ের দাগ
    ঠোঁটের কোনে রক্ত লেগে
    কাপড়ে ধস্তাধস্তির চিহ্ন
    চোখের নিচে জমা কালসিটে
    পা জোড়ায় এলোমেলো রক্তের রেখা।
    বোঝা যায় সবই-
    কেউ তোমার দেহ ভোগ করেছে ইচ্ছেমতো।
    পরে ভাবি, এই তো তোমার সাথেই কল্পনায় 
    কামনার জগতে ডুবে জোর করে সহবাস করি,
    ছেড়ে যেতে চাও, কিন্তু আমার লিঙ্গ বাঁধ মানে না,
    জোর করে শরীরের ক্ষুধা মেটাই।
    শান্তি হলে পরে লিখতে বসি,
    ঘেমে একাকার হই,
    তোমার কষ্ট চিৎকারের আওয়াজ চিন্তা করি
    শেষ বাঁচার আর্তনাদটাও কানে বেজে ওঠে।
    মনে খুব কষ্ট হয়,
    নিজেকে দুষি এমন করা ঠিক হলো না।
    সেই দুঃখেই কবিতা লিখতে বসি-
    কিন্তু যখনই লিখতে যাই তখনই 
    তুমি আমার সামনে এসে দাঁড়াও।

    ১৫ই জুন,২০১৩,রাত ১০:১০, বারুইপুর 

     
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ২০ জুন ২০২৩ ১৩:১৯740257
  • প্রতিজ্ঞা - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    প্রতিজ্ঞা করেছিলাম জীবনে মনের মানুষ করব একটি মেয়েকে,
    কিন্তু, কল্পনায় ভাবনায় হাজার হাজার মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছি-
    এরপরেও ঐসব উন্নত চিন্তাধারা মনে আনা ঠিক কি?

    প্রতিজ্ঞা করেছিলাম পারলে জীবন দিয়ে হোক- ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়ব, 
    ধর্ষকের কঠোর সাজার ব্যবস্থা করব,
    দেশ থেকে ধর্ষণ একেবারে তুলে দেব।
    কিন্তু, আদৌ কি তা হয়েছে?
    দেশের আনাচে-কানাচে কত ধর্ষণ হয় দৈনিক,
    সব খবর কি খবরে আসে?

    প্রতিজ্ঞা করেছিলাম জীবনে কোনোদিন চাঁদের কলঙ্কভরা আলো দু'চোখে দেখব না,
    কিন্তু, দরজা-জানালা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে যদি চাঁদের আলো ঢুকে পড়ে-
    আমার আটকাবার সাধ্যি আছে?

    প্রতিজ্ঞা করেছিলাম মানুষের মন কোথায় থাকে সেটা আবিষ্কার করব,
    তাই একজন মানুষকে খুন করে তার বুক চিরে দেখলাম- পাঁজর ফুসফুস হৃদপিন্ড আর শুধু রক্ত,
    মনের তো চিহ্ন পেলাম না খুঁজে,
    উপরন্তু হয়ে গেলাম খুনি।

    প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমি নিজের চোখে এর প্রমাণ দেখব, লোকে যে বলে সমুদ্রে আকাশ মেশে- 
    এটা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
    সাত সমুদ্র বৃথাই ঘুরলাম বছরের পর বছর ধরে,
    কোথাও প্রমাণ পেলাম না এই কথার।

    প্রতিজ্ঞা করেছিলাম এই ব্যর্থ জীবন শেষ করে দেব
    কালবৈশাখীর মুখে পড়ে,
    ও যেন আমায় উড়িয়ে নিয়ে যায়।
    কিন্তু কিছুই হলো না,
    ঝড়ের সামনে দু'হাত মেলে দাঁড়ালাম,
    গাছ শিকড় সমেত উপড়ে গেল, বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেল
    তবু আমায় একটুও টলাতে পারল না।

    আমি তো কোনো কথাই রাখতে পারলাম না,
    এখন, ঈশ্বর কি আমায় ক্ষমা করবেন?

    ১৯ জুন,২০২৩,রাত ১০টা, বারুইপুর 

     
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ২১ জুন ২০২৩ ০৭:২২740258
  • ধর্ষণ - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পুরুষেরা ধর্ষণ করে
    নারীরা তার শিকার হয়,
    এটা একটা প্রথায় দাঁড়িয়েছে যা, কোনোদিন বন্ধ হবে না।

    দেশের কোথাও ধর্ষণ হলেই তাবড় তাবড় রাজনৈতিক দলগুলোর কাজ বেড়ে যায়-
    পথ অবরোধ করা, 
    ইয়া লম্বা-লম্বা মিছিল ডাকা,
    টিভি মোবাইল চারিদিকে একটা শোরগোল বেঁধে যায়, 
    সেই সাথে কিশোর কিশোরীরা ছোটো বড়ো প্ল্যাকার্ড বানিয়ে যাতে লেখা "বন্ধ হোক ধর্ষণ", 
    আর
    সন্ধ্যা থেকে মোমবাতি জ্বেলে পথে পথে ধর্ণায় বসা,
    সব মিলিয়ে যেন এক রাজযজ্ঞের আয়োজন!
    রাজনৈতিক দলগুলো বিরাট মাঠ বেছে নিয়ে দুই লাখের মতো লোক জমা করে ভাষণে ভরিয়ে তোলে,
    "এবার থেকে আর ওসব হবেনা,
    আমরা বড়ো রাস্তার ধারে-ধারে, 
    অলিতে-গলিতে, 
    পুরোনো গুদাম ঘর, 
    পরিত্যক্ত স্থানে, 
    বাজার-হাটে সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে দিচ্ছি, ধর্ষিতা নারীর পরিবারকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছি"।
    ব্যাস, তারপর সব চুপচাপ।
    বোঝো, টাকাই হলো সব শান্তির উৎস!

    ফের দুইমাস পরে ধর্ষণের খবর।
    আবার রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা,
    হইহই-রইরই রব চারিদিকে-
    ফের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা আবার সব চুপচাপ।

    সত্যিই নারীর দেহ টাকায় চলে-
    গোপনে টাকা নেওয়া,
    প্রকাশ্যে টাকা দেওয়া,
    শুধু মুছে যায় "পবিত্র" শব্দটা।

    --- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
    ২০জুন,২০২৩,রাত ৮:৩০, বারুইপুর 

     
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ২২ জুন ২০২৩ ১৩:৩৭740264
  • আমি কাঁদতে চাই - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    আমি কাঁদতে চাই।
    আমায় দু:খ দাও তোমরা- 
    মন ভরে
          ইচ্ছে মতো
    যেমন খুশি
          কোনো বাঁধা নেই
    আঘাত করো
           ব্যাথা দাও
    কষ্ট দাও
           পারলে মুখে বিষ ঢেলে দাও
    কিছু মনে করব না,
    আমি নিজেই নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই।
    প্রিয়ার চোখের জল দেখেও কাঁদিনি-
    তাই আমার বাড়িঘর সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে
    আমায় দেশ থেকে বহিষ্কার করো,
    আমি মন ভরে কাঁদব।

     
  • অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী | ২২ জুন ২০২৩ ১৯:৪৮740266
  • রক্ত ঝরানো - অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
     
    ভালোবাসায় রক্ত ঝরানো
    আর বিচ্ছেদে রক্ত ঝরানো দুটো আলাদা।
    বিরহে রক্ত ঝরানো
    আর দুর্ঘটনায় রক্ত ঝরানো সেও আলাদা।
    স্বেচ্ছায় রক্ত ঝরানো
    আর ভুল করে রক্ত ঝরানো তাও আলাদা।
    ভিতরে ভিতরে রক্ত ঝরানো
    আর চিঠিতে রক্ত ঝরানো সম্পূর্ণ আলাদা।
    মাটিতে রক্ত ঝরানো
    আর গোলাপে রক্ত ঝরানো আলাদা, সবই আলাদা।

    --- অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
    ২২জুন,২০২৩,দুপুর ৩:২০, বারুইপুর 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন