এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পৃথিবীর প্রথম ‘তথ্যচিত্র‘ নানুক অফ দ্য নর্থ‘-এর ১০০ বছর: তথ্যচিত্র অথবা আর্ট ফিল্ম?

    Stone Age Publications লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ নভেম্বর ২০২২ | ৯১৮ বার পঠিত
  • এই ২০২২ সালেই ‘নানুক অফ দ্য নর্থ‘-এর একশ‘ বছর পূর্তি হলো। শুরুতে তথ্যচিত্র হিসেবে স্বীকৃত হলেও পরবর্তী সময়ে এই সিনেমাটি কতটুকু ‘প্রকৃত তথ্যচিত্র‘ আর কতটা এর কিছু দৃশ্য ‘অভিনীত‘ হয়েছে, তেমন তর্ক বোদ্ধা মহলে উঠেছে। তবু, আধুনিক সিনেমার ইতিহাসে সাদা-কালো এই ছবিটির গভীরতার ব্যঞ্জনা অপরিসীম। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন রবার্ট ফ্ল্যাহার্টি। সিনেমার ইতিহাসে এই ছবিটিকেই ‘প্রথম তথ্যচিত্র‘ হিসেবে স্বীকার করা হলেও বাস্তবে ‘নানুক অফ দ্য নর্থ‘-এর আগেই থমাস এডিসন কয়েকটি বাস্তব জীবনের ঘটনা বড় স্ক্রিনে বা পর্দায় প্রথম দেখান। সেই ‘বাস্তব চিত্র‘গুলো আয়তনে সংক্ষিপ্তই
    ছিল। তবে সাধারণ মানুষের জীবনের সত্য গল্পগুলো বর্ণনাধর্মী আঙ্গিকে প্রদর্শনের কাজে ফ্ল্যাহার্টি ছিলেন বলতে গেলে এক বড় মাপের উদ্ভাবক। তাঁর পরিচালিত ছবিগুলোর ভেতর রয়েছে ‘নানুক অফ দ্য নর্থ (১৯২২),‘ ‘মোয়ানা (১৯২৬)‘ এবং ‘ম্যান অফ আরান (১৯৩৪)।‘ তিনটি ছবির ভেতরে ‘নানুক‘-ই পরিচালকের প্রথম কাজ যেখানে তিনি কানাডীয় আর্কটিক অঞ্চলের এক পুরুষ ও তাঁর পরিবারের কাহিনী বলতে চেয়েছেন।
     
    ‘নানুক অফ দ্য নর্থে‘র গল্পটি কি নিয়ে?
     
    এই গল্পের নায়ক নানুক এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তান সমেত তাঁর পরিবার কানাডীয় আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ছবিটির দর্শকেরা নানুককে বেশ কিছু দৃশ্যে দেখতে পায় যা হুবহু বাস্তব মনে হলেও আসলে দৃশ্যগুলো 'অভিনীত' হয়েছে। যেমন, এই সিনেমায় সিন্ধু-ঘোটক শিকারের দৃশ্য রয়েছে যেখানে ছবির নায়ক নানুক তাঁর পূর্বপুরুষদের ব্যবহৃত শিকারের ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে শিকার করছে দেখালেও বাস্তবে বিশ শতকের শুরুর দুই দশকের ভেতরেই এস্কিমোরা শিকারের কাজে ততদিনে আধুনিক বন্দুকের ব্যবহার শিখে গেছিল। কাজেই এই তথ্যচিত্রের বরফের দৃশ্য বাস্তব, হাড় হিম করা শৈত্য বাস্তব তবে শিকারের দৃশ্যটি পুরোটাই ‘মঞ্চায়িত।‘ আজকের দিনের হিসেবে এই ছবিকে আর ‘বাস্তব তথ্যচিত্র‘ না হলেও আজো অনেকেই এই ছবিটিকে পৃথিবীর বাকি সব তথ্যচিত্রের ‘পিতামহ‘ মনে করা হয়। কারণ এই ছবিতে ফ্ল্যাহার্টি যে সব কৌশল ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছেন, তা‘ পরবর্তী এক শতাব্দী ধরে সারা পৃথিবীর তথ্যচিত্র নির্মাতারা ব্যবহার করবেন।
     
    কিভাবে বানানো হয়েছিল ‘নানুক অফ দ্য নর্থ?‘
     
    পরিচালক ফ্ল্যাহার্টি কিন্ত শুরুতে একটি তথ্যচিত্র বানাতে চাননি। তাঁর বিধবা স্ত্রী পরবর্তীতে একাধিক গণমাধ্যমকে বলেছেন যে পরিচালক আসলে ছবিটির বাণিজ্যিক বিতরণ চেয়েছিলেন এবং সেই লক্ষ্যে ছবিটিকে একটি বিবরণধর্মী ছবি হিসেবেই তৈরি করতে চেয়েছেন। এজন্যই পরবর্তী সময়ে বানানো পৃথিবীর অসংখ্য নানা তথ্যচিত্রের মত এই ছবিতে পরিচালক নিজে কিন্ত গল্পের কোন অংশ নন।
     
    ডক্যুমেন্টারি: আ হিস্ট্রি অফ দ্য নন-ফিকশন ফিল্ম‘-এ এরিখ বার্নৌ জানান যে ফ্ল্যাহার্টি এই ছবির জন্য শ্যুটিং বা দৃশ্যধারণের কাজ শুরু করেন ১৯১৪ সালে এবং তাঁর চিত্রধারণের মূল অভিমুখ ছিল কানাডার ইনুইত জন-গোষ্ঠির জীবন তুলে ধরা। ইনুইতরা এস্কিমোদের একটি শাখা। ফ্ল্যাহার্টি অনুভব করেছিলেন যে তাঁর ছবিটি অনেকটা ভ্রমণ কাহিনীর মত দেখাচ্ছে এবং তাই তিনি খানিকটা বদল আনতে চাইলেন। কাজেই নিখাদ ট্র্যাভেলগ ফিল্মেও বদলে তিনি এক এস্কিমো পুরুষ এবং তাঁর পরিবারের গল্প বলতে চাইলেন এবং দেখালেন যে কিভাবে তাঁরা বাঁচে বা বেঁচে থাকে। কিন্ত এটা করতে গিয়ে নিছকই ক্যামেরা চালিয়ে ইনুইত সম্প্রদায়ের স্বাভাবিক জীবনধারা তিনি দেখাননি। বরং কাহিনীর নায়ক ‘নানুক‘কে তিনি তুলে দিলেন ক্যামেরার সামনে ‘অভিনয় মঞ্চে‘- উত্তেজক একাধিক দৃশ্যে যার ভেতর রয়েছে সিন্ধু-ঘোটক শিকার করা বা বরফের ঘর (ইগলু) নির্মাণ।
     
    এই ছবির সবচেয়ে নন্দিত দৃশ্যগুলোর একটি ছিল নায়ক নানুক বরফের ঘর বা ‘ইগলু‘ বানাচ্ছে। কিন্ত বাস্তবের একটি এস্কিমো আবাসন বা ‘ইগলু‘ আসলে ততটা সুপরিসর ছিল না। কিন্ত সিনেমায় আরো খানিকটা সুন্দর দেখানোর জন্য পরিচালক আয়তনে আরো বড় একটি ইগলু বানান যার ভেতরে স্বচ্ছন্দে তাঁর ক্যামেরা ও ক্রুদের নিয়ে ঢোকা যাবে। প্রায় দু‘দশক ধরে কানাডায় অভিযান চালিয়ে এবং দশ বছর শ্যুট করার পরও প্রদর্শিত বা রিলিজ হবার পূর্বে ছবিটির সব কাজ শেষ হয় ১৯২২ সালে। ছবিটির বিক্রি অত সহজ ছিল না। পরপর পাঁচটি কোম্পানী পরিচালকের অনুরোধ ফিরিয়ে দিল শেষশেশ ‘পাথে‘ নামে একটি প্রতিষ্ঠান এটির বিতরণ করতে রাজি হয় এবং ফ্ল্যাহার্টিও ছবি ‘তথ্যচিত্র নির্মাণ‘ জঁনরার আওতায় মান্য হয়।
     
    ‘নানুক অফ দ্য নর্থে‘র উত্তরাধিকার

    থিয়েটারে প্রদর্শিত হবার সাথে সাথে ‘নানুক অফ দ্য নর্থ‘ সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়। সমালোচকদের ইতিবাচক প্রশংসার সুবাদে ছবিটি বক্স অফিস সাফল্য অর্জন করে। তবে ছবিটির মূল চরিত্র বা নায়কের নাম ‘নানুক‘ ছিল না- তাঁর নাম ছিল আল্লাকারিয়াল্লাক। এই ‘তথ্যচিত্র‘-এ যে এস্কিমো নারীটিকে ‘নানুকে‘র স্ত্রী হিসেবে দেখানো হয়- সে আসলে ‘নানুকে‘র স্ত্রী ছিল না।  এস্কিমো নানুক সেই ১৯২২ সাল নাগাদ শিকারের কাজে বন্দুক ব্যবহার শিখে গেলেও সিন্ধু-ঘোটক শিকারের দৃশ্যে পরিচালক তাঁকে জোর করেন বর্শা ব্যবহারের জন্য যাতে ছবির আখ্যানে একটি অনিন্দ্য সুন্দর নিটোলতা ফুটে ওঠে। এই ছবির সীল মাছ শিকারের দৃশ্যেও সীল মাছ বরফের চাঁইয়ের নিচে থাকলেও প্রতি বিশ মিনিট অন্তর শ^াস নিতে বরফের চাঁইয়ের নিচ থেকে একটু মুখ তোলে এবং তখনি ছবির নায়ক নানুক ওদের দিকে হারপুন ছুঁড়ে দেয়। সীল মাছ শিকারের দৃশ্যটি বাস্তবে ‘অভিনীত‘ হয়েছিল আর সিন্ধু-ঘোটক শিকারের দৃশ্যেও শুধু বর্শায় পেরে উঠবে না ভয়ে নায়ক ‘নানুক‘ বা আল্লাকারিয়াল্লাক বারবার চেঁচিয়ে উঠে পরিচালক ও গোটা ছবির ক্রু-দের কাছে বন্দুক চাইছিল। কিন্ত পরিচালক ভাণ করেন যেন শুনতে পাননি যতক্ষণ না দৃশ্যটির শ্যুটিং সম্পূর্ণ হয়। বর্শা ব্যবহারের ‘আদিমতা‘ দেখানোর মাধ্যমে ককেশাস চিত্র পরিচালক এস্কিমোদের ‘অপরতা‘কেই যেন পশ্চিমের কাছে ‘বিক্রি‘ করেন। বাস্তবে এ ছবির নায়ক ‘নানুক‘ বা আল্লাকারিয়াল্লাকের সাথে ককেশাস অভিযাত্রীদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, সে একটি আধুনিক ফ্ল্যাটে থাকতো এবং ততদিনে সে বর্শা বা হারপুনের বদলে বন্দুকেই শিকার করতো। এই ‘অভিনেতা‘র মৃত্যুর পর ফ্ল্যাহার্টি পশ্চিমের দর্শক-শ্রোর্তৃবর্গের কাছে নানুক অভাবে বা না খেতে পেয়ে মারা গেছে বললেও আসলে সে টিউবারক্যুলোসিস বা যক্ষায় মারা গেছিলো।
    ‘নানুকে‘র পর আরো একাধিক তথ্যচিত্র বানানেও প্রথম ছবির মত সাফল্য পরিচালকের পরবর্তী কোন ছবিই আর পায়নি। যেমন, চার বছর পর নির্মিত ছবি ‘মোয়ানা‘ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে।
     
    তবে যতই কতিপয় ‘মঞ্চায়িত‘ দৃশ্য থাক, ‘নানুক অফ দ্য নর্থ‘ সবকিছুর পরও তথ্যচিত্রের ভুবনে অগ্রপথিকের সম্মান পাবে। এই ছবি কতটা ‘তথ্যচিত্র‘ আর কতটা ‘আর্ট ফিল্ম‘ সে তর্কে না গিয়েও বলা যায় যে এই ছবিতে এস্কিমোদের একটি শাখা ইনুইতরা ‘আধুনিক সভ্যতা‘র সাথে পরিচিত হবার আগে ঠিক কেমন জীবন যাপন করতো তার এক দূর্লভ, নান্দনিক উপস্থাপণা ছবিটিকে এক শতাব্দী ধরে সব সিনে-বোদ্ধার ‘মাস্ট ওয়াচ‘ লিস্টে
    রেখেছে।
     
     
    তথ্যসূত্র: (https://www.cbr.com/nanook-of-the-north-first-documentary-100-years//) সহ একাধিক প্রবন্ধ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন