এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   সমাজ

  • যতই পড়াশুনা করুন না কেন শ্বশুরবাড়ির কাজের লোক আপনার থেকে জ্ঞানী। কিন্তু আপনি নন। কে কিরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন? 

    গীতশ্রী
    আলোচনা | সমাজ | ০৪ এপ্রিল ২০২২ | ১৭৫১ বার পঠিত
  • শাশুড়ি কখনোই মানবে না আপনি ঠিক। কাজের লোকের কথায় ভুল লেকচার ঝাড়বে সেও ভালো তবু কিছুতেই মানবে না যে বউ সঠিক। এমনকি ডাক্তারও যদি আপনাকে support করে তবে সেই ডাক্তারও ভুল!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • avi | 2409:4061:592:c358:9419:6501:ef6:***:*** | ০৪ এপ্রিল ২০২২ ১৯:১৫736111
  • আচ্ছা।
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০২২ ২০:৫৯736112
  • আপনিই বরং বলুন কেমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে আপনাকে। বাংলা টিভি সিরিয়ালের শাশুড়িদের ফেস করার মতো? 
  • avi | 2409:4061:592:c358:9419:6501:ef6:***:*** | ০৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৭736113
  • ডাক্তার কী প্রেক্ষিতে শাশুড়ি বৌমা ও কাজের লোকের মনোমালিন্যে সাপোর্ট করেন,এটাও একটু বিস্তারে বলা হৌক।
    কাজের লোক সিক লিভ নিয়েছেন মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ছাড়া? 
  • tutul shree | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ০০:১৩736116
  • ছেলের দেড় বছরে ফিডিং বোতল ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। ডাক্তার বললেন খুব ভালো কাজ করেছেন। কাজের মাসি বলল একদম ঠিক করোনি। শাশুড়ি মাও একই সুরে উপসংহার টানলেন। আরও একধাপ এগিয়ে বললেন ডাক্তার বাজে।
    আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:০৫736117
  • ওঃ এই সমস্যা। তাইলে একটা গপ্প বলি। রবিবাসরীয়তে পড়া। লেখকের নাম মনে থাকলে নিয্যস লিং দিতুম। যদ্দুর মনে পড়ছে আলী সায়েবেরই গল্প। বেশ প্যারাফ্রেজিত। তো তিনি তখন শেষ শয্যায়। ওনার দাদা বৌদি ইত্যাদিরা দেখা করতে গেছেন। বৌদির মুখে সমস্যার ছাপ দেখে ওই অবস্থাতেও কারণ জানতে চাইলেন। বৌদি বললেন ছোট নাতিটা ফিডিং বোতল ছাড়তে চায়না এদিকে প্রায় প্রায় তিন বছর বয়েস হতে চললো। কী যে হবে! আলী সায়েবও সমস্যার গুরুত্ব অনুধাবন করে দীর্ঘ নি:শ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলেন। বেশ অনেকটা সময় পরে চোখ মেলে বললেন ভাবছিলাম, জানো! কিন্তু অনেক ভেবেও জজ ডাক্তার মোক্তার পুলিশ মাস্টার দারোগা কোনও পদে কোনও আপিসেই এমন কাওকে মনে করতে পারলুম না যাঁর মুখে ফিডিং বোতল দেখেছি! এও কি আর ফিডিং বোতল মুখে জজ হয়ে বসবে?
     
  • Joshita Ghoshal | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ০১:৪৮736118
  • টুটুল,
    আমি বুঝতে পেরেছি। এটা বুঝবার জন্য যে সহানুভূতিটুকুর প্রয়োজন, তা শ্বশুরবাড়িতে থাকা মেয়েরা ভিন্ন কেও সেভাবে বুঝবে না।
  • Amit | 121.2.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ০৩:২৯736119
  • একদম ঠিক। এসব অনেক ঘটনা নিজের চোখেই দেখা নিজের ঘরে এন্ড আশেপাশে। এই জন্যেই বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতে না থেকে হাসব্যান্ড আর ওয়াইফ এর আলাদা থাকাটা জরুরি। 
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ০৪:০৯736121
  • আমার এক আত্মীয়। তাদের যথেষ্ট পয়সা আছে আলাদা থাকার, আর খুব ভদ্রভাষায় বললেও শাশুড়ি অত্যন্ত বদ, তবু আলাদা থাকবে না, বাড়িভাড়া বাঁচাবে আর শাশুড়ি নাতিকে দেখবে - এই ধান্দা। এখন যা অবস্থা হয়েছে বলার না। বিয়ের পরে স্বামী স্ত্রীর আলাদা থাকা খুব জরুরী, কিন্তু সবার তো সে সঙ্গতি থাকে না।
  • Amit | 121.2.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ০৫:২০736123
  • সেতো বটেই। যাদের সঙ্গতি থাকেনা বা মেডিকেল ইমার্জেন্সি , সেগুলোর কথা একটু আলাদা। আমার বক্তব্য ছিল যে এখনো যেমন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়িতে থাকাটা  ডিফল্ট মোড সেটা পাল্টানো উচিত এখন । আলাদা থাকাটাই ডিফল্ট হোক। বাকি গুলো এক্সেপশন। 
     
    সিমিলারলি যেমন হাসব্যান্ড ওয়াইফ দুজনেরই চাকরি করা উচিত আর ঘরের কাজও ইকোয়ালি শেয়ার করাও উচিত। সোশ্যাল বা ডোমেস্টিক ইকুয়ালিটি তো সহজে  আসবেনা। সবই একটা কন্টিনুয়াস অনগোয়িং প্রসেস। 
  • সাবালক | 2a03:e600:100::***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ০৮:০১736124
  • ১৮ বছর বয়স হলেই ছেলে বা মেয়ের আলাদা থাকা উচিত।
  • avi | 2409:4061:592:c358:9419:6501:ef6:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১০:৩৯736125
  • এক পরিবারের তিন সদস্যকে আলাদা আলাদা ভাবে দেখতে হয়েছিল। প্রত্যেকেই ভালো মতো স্ট্রেসের মধ্যে আছেন। এমপ্যাথি সহ দেখলে প্রত্যেকের প্রেক্ষিতই যথেষ্ট মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার মতো। স্বামী, স্ত্রী, শাশুড়ি। এঁরা যে এক পরিবারের, সেটা জেনেছিলাম মাস দুই পরে। তাঁরা প্রত্যেকেই মানতেন যে অপর ব্যক্তিদের নিজস্ব স্পেস এবং স্বাধীনতা দেওয়া উচিত, না দেওয়াতে সমস্যা হবে ইত্যাদি। কিন্তু সমস্যা তৈরি হত সীমারেখার সংজ্ঞা নির্ধারণে।
  • . | 43.25.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১১:৪২736128
  • ফিডিং বোতলে দুধ খেত? ই বাবা। ওখানেই তো সর্বনাশ হয়ে গেছে।
  • একক | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১২:৪১736129
  • যার ফ্লোর তার ম্যানেজার। শ্বাশুড়ি জাতীয় প্রাণীদের সঙ্গে ফ্লোর শেয়ার কল্লে উৎকট বায়নাক্কা আর অকারণ ইগো ক্ল্যাশে জীবনে শক্তিক্ষয় ছাড়া কিচুই হয়না। 
     
    কিন্তু ওই, এক পিস শ্বাশুড়িকে সহ্য করে নিলে কত আয়ার খরচ বেবিসিটারের খরচ ক্রেশের খরচ এবং ঝামেলা বেঁচে যায়। যেদিন শরীর দিচ্চে না সেদিন ও বাড়ির টাটকা খাবার টুকু, সুইগির অখাদ্যর চে বেটার। 
     
    লাভের দিকে পাল্লা বেশি না ক্ষতির দিকে সেটা প্রতি পরিবারেই আলাদা। তবে অশক্ত নিষ্কর্মা তদুপরি সম্পত্তিবিহীন শ্বাশুড়ি হলে তাকে এলজোলাম খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা ভালো। অন্তত চোপা বন্ধ থাকে। একদম মেরে ফেলার দক্কার নেই।
  • avi | 2409:4061:592:c358:9419:6501:ef6:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১২:৫৪736130
  • এতে দ্বিমত আছে।
    আলপ্রাজোলাম খুব জনপ্রিয় সিডেটিভ হলেও তুলনামূলক শর্ট অ্যাক্টিং। একটু লম্বা সময়ের এফেক্ট চাইলে আরো বিকল্প সিডেটিভ দুষ্প্রাপ্য নয়।
  • একক | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৩:০৩736131
  • হ্যাঁ সে ত বটেই। ভ্যালিয়াম টেন খাইয়ে দিলে ভালো হয়?  
     
    আসলে দেখেচি, নিয়মিত এলজোলাম খাওয়ালে তারা কেরম এল মেরে থাকে। ঘুম থেকে উঠেও ঘুমঘুম, শরট টার্ম জিনিসপত্র ভুলে যায়। এরকম এল মেরে থাকা পাব্লিকরা,  জ্বালায় কম। ভ্যালিয়াম খাওয়ালে যদি কুম্ভকর্ণের মত ঘুমিয়ে উটে ইন্দ্রজিৎ এর মত লড়াই কত্তে লাগে?  
     
    কী খাওয়ালে পারমানেন্ট এল মেরে যাবে?  
  • avi | 2409:4061:592:c358:9419:6501:ef6:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৩:২১736132
  • ভ্যালিয়াম মানে ডায়াজেপাম তুলনায় লম্বা সময়ের, অবশ্যই। 
    পার্মানেন্ট করার জন্য মামি একমাত্র অপশন।
  • একক | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৩:২৯736133
  • এইসব মামি মামা রা আরেক আপদ। মানে শ্বাশুড়ির ভাই বেরাদর। এমন এক ভাব যেন তাঁরা লর্ড কার্জনের গুষ্টি। উল্টোদিকের কাওকে এপ্রিশিয়েট করবে না!  
     
    মামি বানালে বেহালা পুলিস ধরবে। বেহালা সাইডে, শুনিচি চৌরাস্তার জ্যাম খানা খন্দ পেরিয়ে যারা পৌচয় তারা অল্রেডি ওয়াকিং ডেড। তকন বেহুলো রা তাদের ধরে ধরে মামি করে রাকে। 
     
    একটু মানসিকভাবে এলবেলে করে রাখা যায় কী খাইয়ে বলুন না?  হাই ডোজ এন্টাই এংজাইটি ওসুদ খাওয়ালে?  বেশ উচিতমত ভেবলে থাকবে?  
  • avi | 2409:4061:592:c358:9419:6501:ef6:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৪৬736134
  • আগেকার যুগের অ্যান্টিসাইকোটিক। কিন্তু তারা ভেবলে রাখে মাথার বেসাল গ্যাংলিয়ায় ডোপামিন প্রভাব কমিয়ে। বেশিদিন চললে পার্কিনসন রোগের বৈশিষ্ট্য দেখায়। সে মেলা ঝামেলা।
    অ্যাংজাইটির ওষুধগুলো এতকিছু করে না, বিশেষ করে পোস্ট ওয়াইটুকে ড্রাগস। লোকজন সেসব খেয়ে রেগুলার লাফিয়ে বেড়ান। এইমাত্র একজন এলেন, সদ্য চিলকা থেকে শ্রীকাকুলাম কোস্টাল ট্রেক করে এসেছেন, সোলো, লাগাতার হাই ডোজ এসএসআরআই খেয়ে যাচ্ছেন।
  • একক | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০৫736135
  • না না কোন ক্ষতি কত্তে চাই না। মানুষকে রোগে ভুগতে দেকলে আমার ভারী ক্লেশ হয়। 
     
    ভেবলে রাখতে চাই জাস্ট। লোবোটমি কল্লে হয় না? এট্টুখানি খাবলে  নিলুম বেশ! 
  • Somnath Roy | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৪:১৪736136
  • ভারতে সমস্ত দম্পতি যদি আলাদা বাড়িতে থাকতে চান, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের ছেলে/মেয়েও আলাদা বাড়িতে। মোট কতগুলো বাড়ি লাগবে?
  • avi | 2409:4061:592:c358:9419:6501:ef6:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৪:১৯736137
  • আহা, লোবোটমি! সে ভারি ইন্টারেস্টিং জিনিস।
    ডাঃ মনিৎসের নাম সবাই শুনেছেন নিশ্চয়, যিনি এই ব্যাপারটার উপকারিতা সবাইকে জানান তিরিশের দশকে। ভদ্রলোকের ব্যাপক রঙিন জীবন। ডাক্তার, চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ী, এদিকে আবার ব্যস্ত রাজনীতিবিদ, দেশের পররাষ্ট্র না প্রতিরক্ষা কীসের যেন মন্ত্রীও হয়েছিলেন। যাক, লোবোটমি করে ভদ্রলোক বেশ বিখ্যাত হন। সেযুগে ভেবলে রাখাই ছিল একমাত্র চিকিৎসা, ফলে সেসব বেশ কার্যকর হয়। অনেকের ওপর এই অপারেশনটি করেন ডাক্তারবাবু।
    বিশ্বযুদ্ধ পার করে এক শান্ত স্নিগ্ধ সময়ে চেম্বারে গুলিবিদ্ধ হন ডাঃ মনিৎস। আততায়ী তাঁরই পুরোনো এক রোগী, লোবোটমি করা। পরে পরে আরও ফলাফল বেরোয় লোবোটমি করার পর রোগীদের মধ্যে নাকি এরম ডিসইনহিবিটরি আচরণ বেশ বেড়ে যাচ্ছে। লোকজনের মধ্যে উৎসাহ কমে যায়। প্লাস ডাক্তারবাবুর ওপর এরম হাতে গরম সাইড এফেক্ট এট্টু হরর মেশানোও ছিল।
    হেন্স সাজেস্টেড, লোবোটমি খুব গোলমেলে ব্যাপার।
  • একক | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৪৬736138
  • হ্যাঁ এই ডাগদারবাবুর গপ্প ত বিখ্যাত,  পড়েচি। লোবটমি গোল্মেলে ব্যাপার, কিন্তু কত সম্ভাবনার দজ্জা খুলে যায় তাই না?  বেশ একটা সম্ভাবনাময় শ্বাশুড়ি ও পাওয়া যাবে।
  • avi | 2409:4061:592:c358:9419:6501:ef6:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৪০736139
  • এরকম সম্ভাবনাময় স্ত্রীর কথা দাদু বলে গিয়েছিলেন, শাশুড়ির চিন্তা বঙ্গসাহিত্যে কম।
    "অর্থাৎ কোনোদিন বা গৃহমার্জন করবে, কোনোদিন বা স্বামীর পৃষ্ঠমার্জন করবে! একদিন বা মেঝেতে গোময় লেপন করলে একদিন বা স্বামীর পবিত্র মাথার উপর ঘোল সেচন করলে-- পূর্বাহ্নে কিছুই ঠিক করবার জো নেই।"
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৫১736140
  • যা বুঝলুম গুরুতে মাত্র একপিসই আছেন যিনি শ্বশুর বাড়িতে থেকে সহানুভূতিওলা হতে পেরেছেন। বাকি লোককে "রোগুবির রক্কে" করুন। 
  • tutul shree | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৩৯736147
  • যখন প্রতিটা কথায় কাজে ছিদ্রান্বেষণ, সন্দেহ আর এইট পাশ সুলভ তিরষ্কার ( যদিও আমি দুটোতে মাষ্টার্স, বিএড এবং পাঁচ বছর শিক্ষকতা করেছি) সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র সম্পর্কের খাতিরে শ্রদ্ধা মেইনটেন করা সম্ভব?
  • Amit | 14.2.***.*** | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৪৫736148
  • সম্পর্কের খাতিরে শ্রদ্ধা জিনিসটাই একটা বেকার লিয়াবিলিটি। যেটা মিউচুয়ালি আদৌ ডেভেলপ করেনা সেটা জাস্ট ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া। আদতে টক্সিক। 
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৬:০৯736149
  • একদমই না।
    তবে কী বলুন তো, পাবলিক ফোরামে যদি এ নিয়ে কিছু করতেই হয়, তাহলে খিল্লি করুন। না হলে লোকজন কন্টেকস্ট না বুঝে খামোখা জাজমেন্টাল হবে। অথবা এককের মত বদবুদ্ধির লোকজন শাশুড়িকে কী করে হাই (অথবা লো) করে রাখতে হয় সে নিয়ে উল্টোপাল্টা ফান্ডা দেবেঃD। আর প্রয়োজন বুঝলে পেশাদার অথবা নিকটজনেদের সাহায্য নিন।

    গুরুতে একটা প্রাচীন ইন-্ল ব্যাশিং টই ছিল, খুঁজে পাচ্ছি না। পেলে তুলে দেবো। আপাতত এই টইটা থাকুক। দোষ করেছিলাম একটাই, নিজের স্যুটকেসটা নিজে গোছাইনি। তার জন্যে লোকে কত কথাই না বললো। আমি কি আর বলতে গেছি যে তার আগে মায়ের অনুপস্থিতিতে ছ'মাসের শিশুপালন থেকে দীর্ঘ লং ডিসটেন্স সম্পর্ক (প্রাক ও উত্তর বিবাহ), গৃহকর্ম, এইসব নিয়ে আমি একজন বিশেষজ্ঞ বিশেষ?

    আর বলে বা ভেন্ট আউট করে যদি ভালো লাগে তাও ঠিকই আছে। সব সময় মানুষ সমস্যার কথা সমাধানের জন্যে বলে না, বলে হাল্কা হওয়ার জন্যেও বলে।
  • রঞ্জন (আদি) | 2405:201:3006:811b:c43c:bd29:9e5d:***:*** | ১২ এপ্রিল ২০২২ ১৭:০২736270
  • শাশুড়ির গল্প?
    আমাকে দেখে শ্বশুরবাড়ির তেলুগু কাজের মাসি বলল--খুব ভাল সোন্দর জামাই পেয়েছ।
    শাশুড়ি হাসতে গিয়ে বিষম খেলেন। ওঁর ইশারায় ছোটশালি বলল-- শান্তাম্মার পক্ষে এমন কমেন্ট স্বাভাবিক। তেলুগু ফিলিমের হিরোগুলো হিন্দি ফিল্মের ভিলেনের মত দেখতে। রজনীকান্তকে দেখলেই ঠাওর হয়। 
     সেদিন সন্ধ্যায় ছোটশালিকে নিয়ে সিনেমায় যাওয়ার কথা ছিল। বলে দিলাম-- মাথা ধরেছে।
    আসলে আমার শাশুড়ি প্রথম দিন থেকেই আমায় অপছন্দ করতেন এবং ভাইস ভার্সা! 
    ওনার কারণঃ সুন্দরী ছিলেন। আর আমার আলটপকা মন্তব্য-- মেয়ে দেখতে রাজি হইনি, কারণ মেয়ের মাকে  আগেই দেখে ফেলেছিলাম -- কোন ছোটলোক রঙ চড়িয়ে ওনার কানে তুলে দিয়েছিল। উনি ভুরু কুঁচকে -- ভদ্রঘরের ছেলের এ কী পিবিত্তি? 
    আমার কারণঃ উনি বড্ড পাকা।  যখন গান্ধীজির ছেলে মেয়ের কথা তুললাম ওনার বিষম লাগলো। বললেন --গান্ধীজির ছেলেমেয়ে কখনও শুনিনি তো! কোন সিরিয়ালেও দেখায় নি।
     
    ফলে একদিকে  স্ত্রী যখন ছত্তিশগড়ে প্রথম কন্যার জন্মের সময় সিজারিয়ানের জন্য ওটিতে ভর্তি,  তখন আমার আর শাশুড়ির তুমুল ঝগড়া চলছে-- যে সন্তান ভূমিষ্ঠ হইবে সে কোন মাধ্যমে লেখাপড়া শিখিবে? উনি- ইংলিশ মিডিয়াম, আমি- বাংলা বা হিন্দি মিডিয়াম। 
    শেষে উনি বললেন- ঠিক আছে, তুমি যদি তোমার বাচ্চাকে মূর্খ বানাতে চাও তো--
    আমি তেলে বেগুনে জ্বলে-- আপনি কোন মিডিয়ামে পড়েছিলেন যদি দয়া করে জানান!
    ওনার মুখ চুপসে বেগুনি।
    এটা বিলো দ্য বেল্ট!
    দেশভাগের আগে ছিলেন যশোরের সিভিল সার্জনের মেয়ে। বাচ্চা মেয়েকে গভর্নেস পড়াত, আদব-কায়দা শেখাত। দেশভাগের দাঙ্গায় হারালেন বাবা-মা দুজনকেই। কোনরকমে প্রাণ হাতে করে বাচ্চা মেয়ে মামাবাড়ির সঙ্গে  এসে ভবানীপুরে উঠল। পড়াশুনোর কথাই ওঠে না। চোদ্দ বছরে বিয়ে দেওয়া হল। বিলাসপুরের  রেলের লেবার কোয়ার্টারে অনেক দারিদ্র্যের মধ্যে সংসার চালালেন। ভোপাল এসে ভেল'এর চাকরিতে জীবনে কিছু স্বাচ্ছন্দ্য এল। কিন্তু নিজের চার সন্তানের সঙ্গে মানুষ করলেন মাসতুতো বোন এবং দুই ননদের ছেলেদেরও। 
    এদিকে শ্বশুর মশাই ভোপাল্ বাজারে বাংলা নাটকের একচ্ছত্র পরিচালক। ফলে সময়ে অসময়ে গুচ্ছের চায়ের ফরমাশ। ফের ব্রিজ খেলে কখন ফিরবেন তার জন্যে জেগে বসে থাকা। 
    অনেক গুণ ওনার। কাউকে চোখে দেখে তার জামাকাপড়ের ম্যাপ দর্জিকে সঠিক বলে দেন। সিনেমাতে হিরোর সোয়েটার দেখে ঘরে এসে ডিজাইন হুবহু তুলতে পারেন।
     
    আজ আমার মত বুড়ো জামাই ওনার  সঙ্গে আড্ডা দেয়, ওনার গলায় যূথিকা রায় ও শীলা সরকারের পুরনো বাংলা গান শোনে। বাদ যায় না ধনঞ্জয় ও পান্নালাল।
    আমি জিগাই-- গীতা পড়ে কী বুঝলেন?
    --ভালো লাগেনি।  ভগবান নানান যুক্তিতক্কো দিয়ে অর্জুনকে নিজের ঘরের লোকজনকে মারতে উসকে দিল কেন? এ কীরকম ভগবান? 
    আমি চেঁচিয়ে উঠি-- আপনিই গীতা ঠিক বুঝেছেন। আপনি আর দামোদর কোশাম্বী।
    --কোশাকুশি? তিনি আবার কে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন