
আমরা প্রত্যেকে একেকজন "বস্তু": object, আমার সঙ্গে আমার পেন, আমার লেখার পাতা, সমস্ত কিছু সংশ্লিষ্ট। আমার অঙ্কের মডেল, মায় করোনা ভাইরাস, সমস্ত কিছু একসূত্রে গ্রথিত। এইটাই আমার অস্তিত্বের কারণ, পারস্পরিক সম্পর্কের মূলসূত্র (ontology)। আমার অস্তিত্বের থিওরি।
এই ব্যাপারটি, যেখানে আমরা কেউ কারো "নিয়ন্তা", নই, একসূত্রে গ্রথিত, একেই বলব object oriented ontology (বস্তুকেন্দ্রিক অস্তিত্ববাদ)।
তাই যদি হয়, তবে মানুষ, প্রকৃতি, ভাইরাস মিলেমিশে যে ভয়ঙ্কর জগাখিচুড়ি চলছে, এইভাবে ভাবলে ঠাণ্ডা মাথায় আমাদের উদ্ধার পাবার পথ কি হতে পারে? এই লেখাটায় এই বিষয়গুলো নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোচনা করা যাক।
:|: | 174.255.***.*** | ২১ মে ২০২১ ০৬:৫৩734422খুব ভালো বিষয় বস্তু। শুধু অবজেক্ট হিসেবে "আমি" এই রকম গ্রসলি ধরে না নিয়ে যদি আমার দেহ, আমার মন ইত্যাদি গুলি অবজেক্ট আর সেগুলির সঙ্গে কেমন সম্পর্ক হচ্ছে প্রকৃতি ইত্যাদির -- সেই দৃষ্টিভঙ্গি আনলে মনে হয় অন্যরকম হয়। জগাখিচুড়িটা আফটার অল ওই অবজেক্ট গুলোর মধ্যেই হচ্ছে। আমি নিজে সব কিছুর সাক্ষীস্বরূপ উইটনেস কনসাসনেস -- এই সেপারেশনটা থাকলে আলোচনায় একটা নির্লিপ্তি আসার সম্ভবনা আছে। সেই আকর্ষণে এই অনুরোধ।
"শুধু অবজেক্ট হিসেবে "আমি" এই রকম গ্রসলি ধরে না নিয়ে যদি আমার দেহ, আমার মন ইত্যাদি গুলি অবজেক্ট আর সেগুলির সঙ্গে কেমন সম্পর্ক হচ্ছে প্রকৃতি ইত্যাদির -- সেই দৃষ্টিভঙ্গি আনলে মনে হয় অন্যরকম হয়।"
:|:, বড় মূল্যবান কথা লিখেছেন, এবং এই "দৃষ্টিভঙ্গীটাই" এখানে আলোচনার বিষয়, :-)
"আমি" কথাটার মধ্যে একটা সাবজেকটিভিটি রয়েছে, যে আমি, মানুষ, আমরা/আমি সবকিছুর নিয়ন্তা, আমার জন্যে এই জগদ্ব্যাপার, আমি আছি বলে জগত রয়েছে, (নাকি জগৎ রয়েছে তাই আমি আছি cogito ergo sum) | এই যে idealism, object oriented ontology এর অবস্থান এর বিপ্রতীপে |
মানে আমি থাকি বা না থাকি, আমি না থাকলেও, আমি না দেখলেও, আমি না ভাবলেও জগৎ ছিল, আছে, এবং থাকবে/থাকছে। মানুষ না থাকলে, "আমি না থাকলেও", আমার ভাবনার বাইরে যে বাস্তবের উপস্থিতি, আমাদের মনে সচরাচর ব্যাপারটা সহজ ভাবে আসে না, এই "বাস্তব"কে "কল্পনা করে" নিতে হয় আমাদের ("আমি নেই ভাবতেই ব্যথায় ব্যথায় মন ভরে যায়" কিশোরের গলায় গানের কথা মনে পড়ে গেল, ;-) ) | একেই না হয় আমরা "স্পেকুলেটিভ রিয়ালিজম" বলি।
সে অবশ্য এক অন্য ভাবনার যাত্রা, :-)
&/ | 151.14.***.*** | ২৪ মে ২০২১ ২১:৪৬734443রোজই ঘুরে দেখে যাই এটা, খুব সাগ্রহ অপেক্ষায় আছি।
অরিন,
জানি আপনি খুব ব্যস্ত। কিন্তু এই স্পেকুলেটিভ রিয়ালিজম, এই অব্জেক্ট ওরিয়েন্টেড অন্টোলজি যে টেনে ধরেছে। অল্প হলেও কিছু লিখে ফেলুন। অপেক্ষায় আছি।
ভরসা আছে, চতুর্ভুজ ঠিক সময়ে দোহার দেবেন।
রঞ্জনবাবু, &\, আপনাদের নির্দেশ শিরোধার্য | অবশ্যই লিখব এই সপ্তাহের শেষে।