ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না । মহাকাশ থেকে একটা দুটো যোগাড় করে নিয়ে এলাম। কিন্তু সাজাতে পারছিনা । ভয় হয় সাজালে যদি নষ্ট হয়ে যায় সেইসব শব্দগুলোর ছন্দ, তখন ?
প্রশ্ন একটাই । কি খান সকাল বিকেল দুপুরে যে এরকম লেখা লিখতে পারেন ? একটার পর একটা লেখা পড়ি আর অভিভূত হই।
আসলে দুটি ফরমায়েশি লেখা দিয়ে খেরোর খাতা খুলে রাখলাম। বিষয়, শব্দসংখ্যা সমস্তই বলে দেওয়া ছিল। স্বতঃস্ফূর্ত লেখা নয়।
তবু আপনার ভালো লেগেছে। খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ জানবেন।
কি আশ্চর্য্য সমাপতন! গত দুদিন ধরে এই বিষয়টাই ভাবছিলাম! কিভাবে এক একটা শব্দ, বাক্য, অনুচ্ছেদ, চরিত্র, গান আমার নিজের মনটা গড়ে দিল আর অজান্তে ভাগ্য নির্ধারণ করে নিল! সেসব স্মৃতির অনেক কিছু এখানেই ফিরে পেলাম।
বয়ঃসন্ধিকালে পড়া ধারাবাহিক পূর্ব-পশ্চিমের দ্বিতীয় খন্ড খুলে আজ বুঝতে পারি অলি চৌধুরির চরিত্র কিভাবে মনের এক কোনায় জমেছিল। ভেবেছিলাম হারিয়ে গেছে - শৈলেন ঘোষের গল্প পড়ে অল্প বয়েসে ফেলা অশ্রুর মত। ফিরে দেখি, সে রয়েছে নীরব নিয়তির মত।
শুধু কি শৈলেন ঘোষ? আরণ্যকের পাতায় পাতায় যখন ছায়া ফেলে মহাকাল, তখনই কি বাঁধ মেনেছে হৃদয়? আর, এই যে অনুচ্ছেদ - একেই কি লুকোতে পারি তুচ্ছ দোহাই দিয়ে?
পথের দেবতা হেসে বলেন পথ
" তোমাদের সোনাডাঙা মাঠ ছাড়িয়ে,
আশ্চর্য,
নস্টালজিয়ায় অ্যালার্জি আছে বলে চেষ্টা করি এই ধরণের লেখা এড়িয়ে চলার। বস্তুত গল্প ছাড়া কিছু লিখি নি বহুবছর।
এবছর দুটি একই ধরণের প্রস্তাব এসেছিল, দোনামনা করে লিখে ফেললাম। শব্দসংখ্যা সীমিত থাকায় সব লেখা সম্ভব হয় নি। নিজেও চাই নি উজাড় করে লিখতে। এই লেখাটিতে নস্টালজিয়া এড়ানো যেত, সেটা করি নি ঐ সম্পূর্ণ উজাড় করা এড়াতে।
তবু আপনার ভাল লাগল, নিজের স্মৃতি ফিরে দেখলেন, এ' অনেকখানি।
ধন্যবাদ জানবেন।
জিৎ ভট্টাচর্য্যের প্রশ্নটা আমারও। জোকস অ্যাপার্ট, আজকাল একটা কথা আমার খুব মনে হয় -- সব ভাষার মধ্যেই শব্দের খুব অপ্রতুলতা। মনের মধ্যে যত রকম অনুভূতি হয়, সব প্রকাশ করার মত যথেষ্ট শব্দ পৃথিবীতে নেই। ইন্দ্রাণীদির লেখা পড়ার পর সেই অনুভূতিটা আরো বাড়ে। আমার কেমন লেগেছে সেটা বোঝানোর মত শব্দ আমি খুঁজে পাইনা। খুব বেশি কষ্ট না খুব বেশি ভালোলাগা সেটা একটা পয়েন্টে এসে গোলমাল হয়ে যায়। "এই এই কারণে ভালো" এমনি গদ্যময় মতামত আজ আর দিতে পারলামনা! ইন্দ্রাণীদি, তুমি হয়তো তবু আমার মত শব্দ-্গরীবের কথা বুঝতে পারবে। আশা রাখলাম।
নষ্ট্যালজিয়া প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার মনে হল - এই রকম ফিরে দেখার মধ্যে নষ্ট্যাল্জিয়ায় নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকলেও একটা গঠনমূলক প্রক্রিয়ায় এ প্রয়াস আবশ্যিক। নিজের মনের চলন, তার গতিবিধি - সে কতটুকুই বা জানা হল? ইন্দ্রাণী ক্রিয়েটিভ লেখক, মন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করাই কাজ। আমরা তো লে ম্যান - কখন আর করতে পারি সেই শুদ্ধিকারী কর্ম? হটাত আলোর ঝলকানির মত এক একটা লেখা সেই চিন্তাগুলো উদ্দীপ্ত করে - এই আর কি!
কেকে,
তুমি নিজেকে শব্দ-গরীব বললে !!
কী আর বলব! যাই হোক, ভালো লেগেছে খুশি হলাম।
আশ্চর্য,
নস্টাল্জিয়া নিয়ে পরে একদিন বিশদ লিখব।
ধন্যবাদ আপনাকে। কতটা ক্রিয়েটিভ, নিজেকে নিয়ে সংশয় আছে। তবু পাঠকের ভালো লাগায় চেষ্টা করে যেতে উৎসাহিত হই।
সবাই ভালো থাকবেন।
ওহ্হ্হ, কী ভালো লেখা কী ভালো লেখা!!!!
অন্ধকার আকাশের তলায় ওই আলোর ময়ূর ---ওটা কোন গল্পের?
কান্নাটা খুব রিলেট করতে পারলাম। বড় হয়ে, বুড়ো হয়েও সেটা পিছু ছাড়েনি। ঢোঁড়াই চরিত মানস এখনো যতোবার পড়ি...। আর ঠিকই যতো গল্প জমেছে সারা জীবন, ভ্রূণের মতো তাদের নড়াচড়া টের পাই। শুধু প্রকাশ করতে পারিনা।
অপূর্ব লিখেছ। পড়ে আবার সেই কান্নাই পেল।
এই লেখাটা পড়তে ভাল লেগেছে। একটা জিনিষ বুঝেছি আমি এক সাধারণ পাঠক গল্পকে অন্যভাবে দেখি। আমার কাছে 'কী বলছেন, কাদের কথা বলছেন' এইটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে বলছেন এটা তত গুরুত্ব পায় না আমার কাছে। ইন্দ্রাণী 'কীভাবে' উপস্থাপন করবেন সেটা নিয়ে নানারকম ভাবনাচিন্তা করেন, নানাভাবে উপস্থাপন করেন। সেসব পাকা লেখকদের কাজ, জরুরী কাজ। খুবই প্রশংসনীয়। আমার ব্যক্তিগতভাবে একেবারে মাপে মাপে কাটা হীরে দেখতে ভাল লাগে নিশ্চয়ই, তবে হীরে তুলল যারা কাটল যারা তাদের কথা, কেমন করে তুলল, কাটল সেসব কথাই বেশী টানে।
এবারে ইন্দ্রাণীর অন্য পাঠকেরা বলতে পারেন তুমি গোদা পাঠক, গল্পের কারুকৃৎ নিয়ে মাথা ঘামাও না, তোমার কথা কে জানতে চেয়েছে শুনি? তা কেউ চায় নি বটে, তবু ঐ গুরুর মুক্তাঙ্গন, তাই এই গোদা পাঠকের কথাটাও লিখেই রাখলাম।
এই তুচ্ছ লেখা সবার ভালো লেগে যাবে ভাবিই নি। টুক করে খেরোয় খাতায় তুলে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলাম।
&/, থ্যাংকু থ্যাংকু। কোন্্ গল্প? না বলা থাক ঐটুকু। তুমি নিজেই খুঁজে পাবে একদিন।
প্রিয় পরিব্রাজক, নস্টালজিয়ার আড়ালে আমার ঘাপটি মেরে থাকা এই লেখায়। এর বেশি কিছু নয়। তোমার ভালো লেগেছে, অশেষ ধন্যবাদ।
অশেষ ধন্যবাদ দ।
গল্পের কাছে ভিন্ন জনের ভিন্ন চাহিদা তো হবেই। যেখানে মূল লেখাটি বেরিয়েছিল, সেখানে অনেকেই লিখেছিলেন গল্পের কাছে কী চান তাঁরা। সব ক'টি লেখাই আলাদা ।
আর, লেখকই হতে পারলাম না এখনও- তায় আবার পাকা লেখক!
উপস্থাপনা নিয়ে খুব কিছু ভাবনাচিন্তা করার যোগ্যতাই আমার নেই। শুধু গল্প বলা আর গল্প লেখার মধ্যে একটা ফারাক করতে চেয়েছি সব সময়- এই আর কী। এছাড়া, উপস্থাপন বা কৃৎ কৌশল তো সব নয়; হতেই পারে না। শুধুই উপস্থাপনা নির্ভর গল্প উৎরোয় কি?
পেয়েছি, পেয়েছি, পেয়েছি ছোটাইদি। আসলে আগে তো বইটা পড়িনি, কেবল মুভিটা দেখেছিলাম, সেখানে তো শুধু মুগ্ধ তরুণ তরুণীর বিস্ময়োচ্ছ্বাসটুকুই টেনে রাখল। অনুমানে অনুমানে গিয়ে বইটা নামালাম, খুললাম। আহ, একদম শুরুতেই আলোর ময়ূর!!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ঃ-)
d প্রসঙ্গ তুললেন বলে ভেবে দেখলুম গল্পের প্রথম বা শেষ লাইন না কন্টেন্টও না ইন্দ্রানীর বেশীর ভাগ গল্প পড়ার সময় সেই লাইনটার অপেক্ষায় থাকি যেটার পর থেকে আর বাকী গল্পটা বুঝতেই পারবো না। কোনও কোনও সময় পুরোটা একবার পড়েই বুঝতে পারি। তখন খুব ভালো লাগে। আর অন্য সময়গুলোয় মনকে বলি কবিজী বলেছেন, কবিতা বোঝবার জন্য নয় বাজবার জন্য। তখনও খুব ভালো লাগে।
উভয় ক্ষেত্রেই উইন উইন -- ভালো লাগা।