অবসরের সময় এগিয়ে আসছে। লোকে রিটায়ারমেন্টের জন্যে পয়সা জমায়। সে তো জমাতেই হবে। সেই সঙ্গে স্থির করেছি জায়গাও জমাব। ভারত-নেপাল-ভূটান-বাংলাদেশ-পাকিস্তানের নানা জায়গায়, যেখানে অবসরের আগে পরে গিয়ে সময় কাটান যেতে পারে। দুদিন হতে পারে, দু-হপ্তা হতে পারে, দু-মাস হতে পারে। পাহাড় বা জঙ্গল। নিজেদের অভিজ্ঞতা জানান। জায়গার নাম কী, ভারতের কোথায়, কবে গেছিলেন, ভালত্ব কী - এইসব। সঙ্গে দিয়ে দেবেন, যেতে চাইলে কোথায় কী ব্যবস্থা করতে হবে।
ভোরবেলা উঠে জিপে চেপে বন্যজন্তু দেখার শখ আমার নেই। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে সল্ট-লিকিং দেখারও। অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প যাবারও। শুঁড়িপথ বা চলনসই ট্রেল থাকলে বা না-থাকলেও চলবে। একটা পরিচ্ছন্ন ঘর, পরিস্কার কলঘর, পরিচ্ছন্ন খাবার ব্যবস্থা। রুটি-তরকারি-চা-ডিম হলেই চলে যাবে। কলের বাতি না থাকলেও, চলেগা। কিন্তু অবশ্যশর্ত নির্জনতা। ভিড়ভাট্টার বাইরে, অফ-সার্কিটে। যেন রাতে আকাশে তাকালে খালি চোখে ছায়াপথ দেখা যায়।
আশা করি এই চাহিদা নিয়ে আমার মতন অনেক লোকই আছেন। হয়ে যাক।
নিউজিল্যান্ড যদি না যাওয়া যায় তবে পেনস্যিল্ভেনিয়া যান - চেরি স্প্রিন্কস স্টেট পার্ক। ছায়াময় ছায়াপথ।
একটা উদাহরণ দিই। ডেটেড উদাহরণ, মানে অনেক বছর আগে গেছিলাম।
জলদাপাড়ায় থাকার জায়গা তখন শুধু পার্কের ভেতরে হলং টুরিস্ট লজ। শেষসময়ে জলদাপাড়ার প্ল্যান হওয়াতে জায়গা পাওয়া যায়নি। লোকেরা বলল, নীলপাড়া চলে যান। বেশি দূর নয়। ম্যাপ যদি দেখেন, দেখবেন তোর্সার একদিকে জলদাপাড়া, আর তোর্সা পেরিয়ে তার ঠিক উল্টোদিকে নীলপাড়া। নীলপাড়া এখন জলদাপাড়া এলিফ্যান্ট রিজার্ভের বাফার জোন। তখনও ছিল বোধহয়।
নীলপাড়ায় ছিল একটাই ফরেস্ট বাংলো। কাঠ না কংক্রিটের থামের ওপর দোতলায় কাঠের বাংলো। কলের বাতি ছিলনা। জেনেরেটর ছিল। সে সন্ধ্যেবেলা বন্ধ হয়ে যেত। রাত ন'টা নাগাদ এক-ঘন্টার জন্যে চালান হত ডিনারের জন্যে। অনেকটা এরকম দেখতে ছিল বাংলো। ওখানে সব বাংলোয় এরকম দেখতে।
বারন্দায় বসে থাকলে প্রায় নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। সামনের হাইওয়ে দিয়ে হয়ত গাড়ি-ট্রাক গেছিল, এখন খেয়াল নেই। আর আকাশে চাইলেই পরিস্কার ছায়াপথ।
এখন এ জায়গা এরকম আছে কিনা জানিনা। আমি বলছি পঁয়তিরিশ বছর আগের কথা।
আরে আমারও ঠিক একই প্ল্যান! স্ত্রীর সাথে এই নিয়ে কিছু ডিসকাসও করেছি। আমাদের ইচ্ছে মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে একটা চাকরি জুটিয়ে নিলে, বা যদি রিসার্চ শুরু করে, তো আমরা দুজন নানান জায়গায় ঘুরে বেড়াবো। আমার খুব ইচ্ছে দক্ষিন আমেরিকায় ঘোরার, আর প্যাসিফিকে যে ছোট্ট ছোট্ট দ্বীপগুলো আছে সেগুলো ঘুরে দেখার। পাঁচ ছ মাস পরপর হয়তো মেয়ের খোঁজ নেবো। পরিষ্কার থাকার জায়গা আর ভালো খাবার পেলেই হয়ে যাবে।
মানস অভয়ারণ্যের মধ্যে মথনগুড়ি লজ। বড় আই লিখেছিলেন বোধ হয়।
ইচ্ছেগাঁও। আপার ইচ্ছেগাঁও শান্ত চুপচাপ একটা গ্রাম। রঙচঙে বাড়ি, সব বাড়িতেই হোমস্টে আছে। আর গোটা গ্রামের যে কোন জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। মনে হয় গ্রামটা কাঞ্চনজঙ্ঘায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক বিশেষ থাকে টাকে না।
পুরুলিয়ার দিকটায় যেতে পারেন। প্রায় কুড়ি বছর আগে যখন ভালোপাহাড় গেছিলাম, বান্দোয়ান ছাড়িয়ে, কৌরবের কমল চক্রবর্তী তখন সেখানে সদ্য জায়গাটা তৈরী করছেন, জঙ্গল বানাবার জন্য গাছ লাগিয়েছেন, থাকার জায়গা করেছেন, বাথরুমে মনে হয় আলো ছিল না, চারপাশটা অন্ধকারই থাকত; সামনে দিয়ে গাড়ী চলার রাস্তা কিন্তু সেই রাস্তাতে দাঁড়িয়েই ওপরের দিকে তাকিয়ে জেনেছিলাম যে আকাশে অত তারা থাকে ! এখন মনে হয় আরো নানা কিছু করেছেন, স্কুল হয়েছে, চাষাবাদও চলে।
দ-দি কবে গেছিলেন? আমি একটু ছবি-টবি দেখলাম। এটা তো মনে হচ্ছে ডেভেলাপ করছে। একটু ঘিঞ্জি হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। নাকি ছবি দেখে ভুল মনে হল?
বইকত, ভালপাহাড় লিস্টে আছে। ২০১৮ সালের একটা ফিচার পড়লাম। অনেক বড় হয়েছে। কমল চক্রবর্তী বলছেন যে ভালপাহাড় ল্যন্ড সিলিং রিচ করে গেছে। ১৯৯৭ সালে যখন ভালপাহাড় তৈরি হচ্ছে তখন পরবাস থেকে কমলদার প্রথম উপন্যাস 'ভিক্টর কুজুর' বেরোচ্ছে। পরবাসের সূত্রে তখন বইমেলায় কমলদার সঙ্গে অনেক দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে। কৌরবের স্টলে একটা ডেস্কটপ বসিয়ে পরবাস দেখতাম আমি আর অনুব্রত। সেই সময়ে কমলদা ভালোপাহাড়ের জন্যে ফান্ড তুলছেন। পয়সা থাকলে স্বত্ব কায়েম করতাম।
এমন যায়গায় যান যেখান থেকে ক'টি ভালো গাছ দেখা যায়, যেমন ধরুন
কাল আমি জানাব এমন কয়েকটি জায়গার কথা। সমস্ত খুঁটিনাটি সমেত। যদি কারও কাজে লাগে। ছবিছাবা তেমন দিতে পারব বলে মনে হয় না, তবে চেষ্টা করব দু-একটা দেওয়ার।
ইচ্ছেগাঁও একটু বেশিই পরিচিতি পেয়ে গেছে, তার ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। বরং পাশের সিলেরিগাঁও চলে যান। থাকার জায়গা খুব একটা নেই কিন্তু সেও হয়ত বদলে যাবে যতদিন রিটায়ার করবেন।
সিমলিপাল জঙ্গলের বনবাংলো সমূহ - ২৫ বছর আগের কথা, নামগুলো ঠিক স্মরণ নাই, গুগলাতে হবেক। ভারতের জঙ্গল গুলো রত্নখনি, বহু বনবাংলো-র পরিবেশ-ই অসাধারণ
অভ্যুর দেওয়া গাছটা কি বাওবাব ?গাছটা কোথায়?
মাদাগাস্কারের বাওবাব! অজ্জিত থাকলে খুশি হত।
এই গাছে ওঠা কঠিন .
১. রাজ্যের ভেতরে - পুরুলিয়ার বড়ন্তি। ফেব্রুয়ারির শেষ অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহে গেলে লালে লাল হয়ে থাকে। লালে অ্যালার্জি না থাকলে যাওয়া যায়। কতগুলো প্রাইভেট হোটেল ছাড়া আশেপাশে একটা চায়ের দোকান অবধি নেই।
২. পাহাড়প্রেমীদের জন্য - কুমায়ুনের চৌকরি এবং মুন্সিয়ারি। মুন্সিয়ারি চৌকরির থেকে নির্জন।
৩. পাহাড়ও চাই, নদীও চাই - ভুটানের পারোতে এক রাত কাটিয়ে যতদিন খুশি পুনাখাতে থাকুন। স্বর্গীয় সৌন্দর্য।
কাছাকাছি থাকবে মানালি-মণিকরণের রাস্তায় কাসোল।
৪. জঙ্গলপ্রেমী - এগেইন কুমায়ুনের বিনসর। চায়ের কাপ হাতে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত। কেএমভিএন আবাসটি ছাড়া চার চত্বরে কেউ নেই।
৫. সমুদ্রপ্রেমী - আন্দামানের নীল আইল্যান্ড। আরেকটু এগোতে চাইলে মায়াবন্দর। বিচে নিজেদের ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাবেন কি না সন্দেহ।
৬. সবচেয়ে সেরা অথচ যেখানে পাহাড়-নদী-সমুদ্র কিচ্ছু নেই - লিটল রণ। যেখানে শুধু তারা দেখার জন্য বহু বিদেশি পর্যটক আসেন।
যেখানে যেতে চান বলবেন, ডিটেল দিয়ে দেব মানে যতটা পারি আর কি।
আহা ঘোর শীতে ইচ্ছেগাঁও সিলারিগাঁও চারখোল চটকপুর সিটঙ্গ লামাহাট্টা যেখানে ইচ্ছে যান না। বটুদের ভীড় পাবেন না বিশেষ। তাপমাত্রা 8 কি ৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নামলেই আর একটু ফ্রস্টিং হলেই বটুরা নেচেকুঁদে পালিয়ে যায়। এছাড়া জুলুক, জোংগু ধোত্রে যেতে পারেন।
হিমাচলের ছিটকুল, স্পিতি, লাদাখের নুব্রা ভ্যালি, উত্তরাখন্ডের কুয়ারি পাস ইত্যাদিতে লোকে যায় তারা দেখতে। লাদাখের প্রায় সব জায়গা থেকেই পাবার কথা।
আমার স্ত্রী কয়েকদিন আগে ওয়াইল্ড প্ল্যানেট রিসর্ট নামে একটা জায়গা আবিষ্কার করেছে, এটা মুদুমালাই টাইগার রিসার্ভ এর কাছে। কেউ গেছেন কিনা জানিনা। আমরা ভাবছি মে-জুন মাসে ঘুরতে যাবো. এই হলো লিংকঃ
https://srgroupsonline.com/wild-planet-jungle-resort/43/overview
কিন্তু ন্যাড়াদা তো পাহাড় জঙ্গল মরুভূমি সমুদ্র বাওবাব পলাশফুল কিছু চান না । শুধু নির্জনতা , ছায়াপথ আর পরিচ্ছন্ন কলঘর।
(ন্যাড়াদার সেরকম রেস্ত থাকলে এলন মস্কের রকেটে চড়ে চাঁদে চলে যান। নির্জনতা , ছায়াপথ++ , পরিচ্ছন্ন্তা পাবেন। কলঘরটা এখনই বলা যাচ্ছে না, তবে চাঁদে জল আছে শুনিচি । )
*পরিচ্ছন্নতা
ত্রিপুরায় ঐরকম গুচ্ছ জায়গা, সরকারি লজ আছে কিন্তু খুব একটা লোক থাকে টাকে না। আর সার্কিট হাউস গুলো তো চমৎকার।
কিন্তু আবার শুনছি অপহরন শুরু হচ্ছে, জঙ্গলের মধ্য ট্যাকা ওলা লোক পেলে ধরে বস্তায় বেঁধে বাংলাদেশ বা বার্মা নিয়ে চলে যেতে পারে। অনেকে আবার মুক্তিপনের টাকা পেলেও জ্যান্ত ফেরত দেয় না, এই একটা সমস্যা। আর যতদিন ক্যাম্পে রাখে ততদিন রান্না করা উঠোন ঝাড়ু দেওয়া ঐসব করায়।
পাহাড় জংগল সমুদ্র এসব বেড়াতে গেলে ভালো। থাকা ইজ আ ডিফারেন্ট বলগেম। ডিস্কারেজ করছি না, কিন্তু নিজে পাহাড়ে ও জংগলে কার্যসূত্রে থেকেচি, তাই মেডিকেল ইমারজেন্সিতে কতটা অসহায় অবস্থা হয় তার একাধিক অভিজ্ঞতা আচে। রিটায়ার্ড লাইপে ডাক্তার - হাস্পাতাল একটা জরুরি ব্যাপারত!!
তবু তার মধ্যেই নির্জনতা - তারা ভরা আকাশ এবং চিকিতসা পরিসেবা পাবেন এরম জায়গা মহারাস্ট্রে ও কেরালায় আচে। কোলাপুর বা রাত্নাগিরি সাইডে শুগার মাফিয়ারা বাংলো বানিয়ে থাকে। যে কারনে ক্লাব হাউস - হাস্পাতাল- হাত বাড়ালে লিকিয়র বুটিক ইত্যাদি পাবেন।
ওদিকে কেরলে তিন চারটে স্পট আচে যেখানে পাহাড় জংগল তারাদল এবং বুকে বেদানা ফুটলে আধা ঘন্টার মধ্যে ফাসক্লাস আইসিসিইউ পাবা যায়।
আমার নিজের আবার পন্ডি ভাল্লাগে, একটু ভেতর দিকে। ল্যাদারু যায়গা। ব্যাপক আকাশ।সস্তার মাছ। মদে ট্যাক্সো নাই।
হ্যাঁ পন্ডি খাসা জায়গা। বছরখানেক আগে একটা মেছো বিচের ধারে থাকলাম, ছোট্ট হোটেল, ছখানা মাত্র ঘর, তাতে চমৎকার ফরাসী খানা পাওয়া যায় আর রাতে যে হোটেলের বেয়ারা ভোরবেলা সে সার্ফিং ইন্স্ট্রাকটর, সারাদিন মাছের নৌকো আর জেলেদের হৈ হল্লা, রাতে একেবারে নির্জন সৈকত।
নিমো - হাওড়া থেকে মেন লাইন লোকাল ঘন্টা দুয়েক
একটু কনসলিডেট করি। আপাতত যা নাম পেয়েছি সেগুলোর লিস্ট,সঙ্গে গুগুল ম্যাপের লিঙ্ক। পরে খুঁটিয়ে ময়না করা যাবে। আরও সাজেশন আসুক। বুদ্ধদেব গুহর জঙ্গলের বইতে সারান্ডা,অচানকমার এসব যে জায়গার নাম পাই ছোটইনাগপুর অঞ্চলের সেই সম্বন্ধের কারুর অভিজ্ঞতা আছে। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল পার্কের ভেতরে ফরেস্ট রেস্ট হাউজে থাকতে গেলে কীভাবে সম্ভব? সাধারণ লোকে বুকিং করতে পারে? কীভাবে?
সারান্ডা ফরেস্ট ! কারো আর কোয়েনা নামে দুই প্রবাহিত নদী। বিভূতিবাবুর তো চষে ফেলা ছিল, থলকোবাদে রাত্রি নামে বইটা লিখেছিলেন। সিংভূম ডিস্ট্রিক্ট, ক'বছর আগে মাওবাদী প্রভাব ছিল, এখন মনে হয় টুরিস্ট যায়।
কাজিরাঙ্গাও দেখতে পারেন। হ্যাঁ, বড় রিসোর্ট কিছু আছে কিন্তু ক'বছর আগে গিয়ে এক জয়গায় থেকে বড় ভালো লেগেছিল, ডিসেম্বরের শেষে গেছিলাম, আসামের অনেক দিনের পুরোন এক পরিবারের (পদবী বড়ুয়া) এক সদস্য চালান। এক- আধবার নয় জঙ্গলে ঢুকলেন, হাতির পাল, গণ্ডার দেখলেন, জিপে করে যেতে যেতে আশে পাশে কিছু ডাক শুনে জানতে পারলেন যে কাছেই নিশ্চয় বাঘ বিচরণ করছে ! বাকী সময়টা বসে থাকলেন।
করবেট ন্যাশনাল পার্কের ভেতরের ফরেস্ট রেস্ট হাউসের বুকিং মনে হয় করা যায়, অনলাইন বা চেনাজানা লোকের মারফত সেখানকার লোকেদের মাধ্যমে। এক সময়ে কিছু খোঁজ নিয়েছিলাম। যা মনে হয়েছিল জিম করবেট বা অন্য সাহেবরা সেই আমলে শিকারের সময়ে জঙ্গলের ভেতরে যেখানে থাকত সেগুলিই রেস্ট হাউস হয়েছে, পুরোন কাঠামোটা রেখে। এখানে করবেট পার্কের একটা রেঞ্জের ভেতরে থাকার ব্যাপারে তথ্য আছে।
ছত্তিশগড়
১ অচানকমার অভয়ারণ্য(বিলাসপুর জেলা)
বিলাসপুর শহর থেকে ৫৫ কিমি অভয়ারণ্য। টাইগার পয়েন্ট, বাইসন পয়েন্ট । বিলাসপুর থেকে এসি বাস, পুলকার, সবই পাবেন। বনবাংলো, ওয়াচ টাওয়ার, একটু মানে ৩০ কিমি এগিয়ে গেলে খড়ের বাংলো সব পাবেন। আরও একটু এগিয়ে যান তো সোজা অমরকন্টক, মানে নর্মদার উদ্গম স্থল সোনগুড়া। ওখানে থাকার একগাদা বন্দোবস্ত। বিলাসপুর থেকে যাত্রাপথটাই খুব সুন্দর। একদিকে খাড়া পাহাড়, ঘনজঙ্গল, অন্যদিকে খাদ। হাজার তিনেক ফুট নীচে; মাঝে মধ্যে শুকনো নদীর খাত।
২ বারনওয়াপারা অভয়ারণ্য (রায়পুর জেলা)
ন্যাশনাল হাইওয়ে কোলকাতা-মুম্বাই থেকে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে তিরিশ কিলোমিটার গেলে বনবিভাগের এবং প্রাইভেট রেস্ট হাউস।
কাছেই (মানে জঙ্গলের ভেতর ৩০ কিমি) সিরপুর (প্রাচীন শ্রীপুর)। ৩৬টি গড়ের অন্যতম।
সেখানে মহানদীর পারে বিশাল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের মিউজিয়াম। শৈব, বৌদ্ধ সবই আছে। নালন্দার মতন তিনটে বিহার খুঁড়ে বেরিয়েছে, এখনও কাজ চলছে। আর রয়েছে একটি বিশাল উঁচু বিষ্ণুমন্দির।খুব সুন্দর।কিন্তু অনেকখানি ধাপ বেয়ে উঠতে হয়। সিরপুরেও ভদ্রজনের বাসযোগ্য সরকারি গেস্ট হাউস আছে। হাইওয়েতে গেলে স্ট্রিট ফুডের স্বাদ পাওয়া যাবে।
৩ চিত্রকূট জলপ্রপাত (বস্তার জেলা)।
নিরাপদে যেতে পারেন। ব্রতীন মাত্র ঘুরে এসেছে। ওর থেকে জেনে নিন।
সি এস ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:০৯
কাজিরঙ্গার ওই হোটেলটির নাম ওয়াইল্ড গ্রাস .
b, হ্যাঁ, ওয়াইল্ড গ্রাস।
বড় বাওবাব শুধু না, মাদাগাস্কারে ছোটো গিরগিটিও আছে। https://www.bbc.com/news/world-africa-55945948