এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   স্বাস্থ্য

  • ভারতের কৃষি আন্দোলন এবং পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা

    অরিন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | স্বাস্থ্য | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ | ২৫১৮ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • একটু ভাবুন

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিন | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:০৪733311
  • দু- একটা ছবি দিয়ে শুরু করা যাক,



  • অরিন | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:০৭733312
  • ছবি দুটি থেকে একটি ব্যাপার বোঝা যাচ্ছে যে ভারতের মানুষের সামগ্রিক ভাবে অভুক্ত থাকার একটা ব্যাপার আছে, এবং  এই যে অভুক্তি বা অপুষ্টি, তার রৈখিক চিত্র দেখলে মনে হয় নিম্নগামী। 


    কৃষি আর বিপণনের সঙ্গে এর কি সম্পর্ক?

  • Ranjan Roy | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১২:০০733313
  • মোটাদাগে বললে


     কৃষি +টেকনোলজি= উৎপাদনের স্তর---1


        বিপণন= ক্ষেত থেকে উপভোক্তার কাছে পৌঁছনোর সেতু ---2


    1 সুনিশ্চিত  করবে জনসংখ্যার অনুপাতে খাদ্য উৎপাদন যথেষ্ট কিনা।


    যেমন 60 এর দশকের সংকট ছিল  অল্প  উৎপাদনের। চাল ও গম আমেরিকার ও রাশিয়ার থেকে সাহায্য নিতে হয়েছিল।  উন্নত প্রযুক্তি, সবুজ বিপ্লব।  আজ সারপ্লাস।  রপ্তানি করি। এফসিআই গুদামে উপচে পড়ছে।


    2 চাহিদার ও যোগানের ভারসাম্য এবং দাম নির্ধারণ। 


    এটা সুনিশ্চিত  করবে ক) অধিকাংশ  ক্রেতা কিনতে পারছেন কিনা।


     খ) উৎপাদক/বিক্রেতা সেই দাম পাচ্ছেন কিনা যাতে আগামী দিনে ফের উৎপাদনে উৎসাহিত হবে।


    3 সরকারের ভূমিকা আম্পায়ার  ও ক্রিকেট বোর্ডের। 


    কারণ গোটা বিশ্বের কৃষি অলাভজনক। ইউরোপ আমেরিকাতে হাইলি সাবসিডাইজড। ফুড সিকিউরিটি খোলা বাজারের ভরসায় ছাড়া যায় না।

  • অরিন | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:৫৭733315
  • "Commercial farming, even when done by smallholders, typically deepens class differentiation and capitalist relations. Moreover, several recent studiessuggest that scale matters for profitability in contemporary Indian agriculture. Scholars of agrarian political economy, not just in India but across the global South, have argued that the issue of land reforms is no longer as relevant as it used to be. There is merit to this argument if one were to see land reform as a vehicle for breaking up landlordism and ushering in agrarian capitalism.

    For these organisations though, land reforms remain the long-term inquilabi (revolutionary) vision. It is a question of social justice and equality. Access to land is not just a question of income and subsistence but also of dignity for landless Dalit and non-Dalit households, and especially for women (on which more below). Moreover, in a country where the alternative or the supplement to land-based income for a large majority of agriculturists is precarious informal wage work, access to even small plots of land can provide some income security. It is notable that in some villages where the ZPSC has succeeded in securing access to panchayat lands for Dalits, the households have created different kinds of group farming arrangements to produce paddy and wheat (hitherto bought by the state at MSP) and/or fodder. Even though the returns are small, this counts as a major gain in the wider socio-economic and political context."

    (Shreya Sinha, https://www.theindiaforum.in/article/agrarian-crisis-punjab-and-making-anti-farm-law-protests)

    এখানে বেশ কয়েকটা ব্যাপার জড়িয়ে আছে:

    ১) কৃষিকাজ, খাদ্য উৎপাদন, এবং তার বন্টন ও বিপণন কার হাতে থাকা চাই? 

    রঞ্জনবাবু লিখেছেন (সঙ্গত ভাবেই):

    "চাহিদার ও যোগানের ভারসাম্য এবং দাম নির্ধারণ। 


     

    এটা সুনিশ্চিত  করবে ক) অধিকাংশ  ক্রেতা কিনতে পারছেন কিনা।


     

     খ) উৎপাদক/বিক্রেতা সেই দাম পাচ্ছেন কিনা যাতে আগামী দিনে ফের উৎপাদনে উৎসাহিত হবে।"

    নিশ্চিতকরণের কাজটা কার করার কথা?

    বাজার নির্ধারণ করতে পারে কি?

     


    এক দিকে দেশে বাম্পার ক্রপ উৎপাদন হচ্ছে, ভারত পৃথিবীর অন্যতম প্রধান চাল ও গমের রফতানীকারক দেশ, অন্য দিকে দেশে নিদারুণ Hunger, তার মানে কোথাও একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে | 

    এক তো এমনি খাদ্যাভাব, আরেকটি সমস্যা "গুপ্ত খাদ্যাভাব"/গুপ্ত/সুপ্ত খিদে", যেখানে সাংঘাতিক রকমের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের অভাব দেখা দিয়েছে। এবং ২০৩০ এর মধ্যে ভারতকে যদি sustainable development goal এর অন্তর্গত "শূন্য খিদে"/Zero Hunger অবস্থায় পৌঁছতে হয়, তাহলে অন্তত কৃষকের গোলা থেকে দেশের মানুষের থালা পর্যন্ত এমন কিছু করতে হবে যাতে জনস্বাস্থ্য বজায় থাকে। 
    পাকে চক্রে খাবারের বাজারে বৃহৎ পুঁজি টানতে গিয়ে যদি হিতে বিপরীত হয়, তার খেসারত কে দেবে বা সে ব্যাপারে কি ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপাররগুলো এই বিল পড়লে পুরোপুরি বোঝা যায় না। 
     
    তাছাড়া, বিশ্ব উষ্ণায়ণের আমলে কৃষিকাজ , বিশেষত যে দেশে অত্যন্ত আবহাওয়া নির্ভর, সেখানে একটি কৃষকের উৎপাদন বা অনুৎপাদনকে সামাল দেবার জন্য একটি সামাজিক সুরক্ষার বা রক্ষাকবচের প্রয়োজন আছে। 
     
     
  • অরিন | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:০৭733316
  • https://www.frontiersin.org/articles/10.3389/fsufs.2018.00011/full#B60


    "... micronutrients with the greatest supply chain losses—vitamin A, folate, and calcium—are associated with widespread risks of deficiency (across the majority of the population in India). This signals the need for a mass intervention strategy with nation-wide coverage. India's demographic distribution currently poses important challenges to developing a country-wide food network that fully addresses MiND. Such infrastructure is often most effective through centralized distribution centers—thereby most-suited to urban populations, and rural regions with sufficient connectivity (Miller and Welch, 2013). The development of such networks in expanding urban centers should form a near-term (next 5 years) priority. Connectivity with rural populations is likely to be limited during this period, however work toward rural integration over longer timescales (>10 years) should be an ongoing and progressive priority."


    (Ritchie and others. Quantifying, Projecting, and Addressing India's Hidden Hunger: Front. Sustain. Food Syst., 30 April 2018 | https://doi.org/10.3389/fsufs.2018.00011)


    সরকার ও সমাজ হাত গুটিয়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে এই সমস্যাটি বাড়বে বই কমবে না। 

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::d6:***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:১২733317
  • বৃহত পুঁজির তো খুব সুনাম চারদিকে। আগে দেশের প্রত্যেকটা মানুষের ফুড সিকিউরিটি না দিয়ে বৃহত পুঁজির কথা ভাবার প্রশ্নই নেই। আর এই কাজটাতে বৃহত পুঁজির উৎসাহ বা এক্সপার্টাইজ নেই।

  • Ranjan Roy | ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:০৯733330
  • সরকারের বক্তব্যঃ 


    ১ এই সন এপিএমসি বা মণ্ডিতে ফসল কেনাবেচার বাধ্যবাধকতার নিগঢ়ে কৃষকের উন্নতি হচ্ছেনা। রেজিস্টার্ড ফড়ে এবং ধনী কৃষকের দল সাঁট করে এদের একটা সীমার বাইরে বেড়ে উঠতে দিচ্ছে না। তাই ওরা নায্য দাম পাচ্ছেনা। খামোকা এমএসপি নামক ভর্তুকিতে কিনতে বাধ্য হয়ে ( শুধু চাল আর গমই সরকার কেনে , বইয়ে যাই লেখা থাকুক) সরকারও টাকা নষ্ট করছে। এফসিআইয়ের গুদামে ফসল পচে যাচ্ছে। নতুন আইনে  কৃষক এবং সরকার ক্রমশঃ এই সব শেকলের থেকে বেরিয়ে মুক্ত হবে। মন্ডীর বাইরে বড় হাউসগুলোর প্রতিনিধিও শুধু প্যান কার্ড দেখিয়ে বিনা ট্যাক্স দিয়ে চাষীর সঙ্গে দরাদরি করে যত ইচ্ছে কিনতে পারবে। ট্যাক্সো না লাগায় মন্ডীর চেয়ে বেশি দামে বেচবে। চাষী ও  ব্যাপারির জন্যে উইন-উইব গেম। লুজার শুধু রাজ্য সরকার ও আড়তিয়া নামক রেজিস্টার্ড দালালেরা। এইভাবে কৃষকের স্বার্থে 'ওয়ান নেশন, ওয়ান মার্কেট' গড়ে উঠবে। আমরা চাষীদের নিজের ইচ্ছেমত দেশের যে কোন প্রান্তে পছন্দসই দামে ফসল বেচার স্বাধীনতা দিলাম।


     ছত্তিসগড়ের কৃষক কেরালার ক্রেতার সঙ্গে দরাদরি এবং মাল পাঠানো -- এসব কীভাবে করবে? ইট ইজ ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টুপিড! সব বাজার ডিজিটালি জুড়ে দিচ্ছি।  ফলে ডিজিটালি মার্কেট ইনফর্মেশন ও প্রাইস  নেগোশিয়েশন হবে । অনলাইন বুকিং হবে। ক্রেতার লোক চাষির ঘর থেকে নিয়ে যাবে । ( এপ্রিল ২০১৬তে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখুন।)


    (আইনে কোথায় লেখা আছে এমএসপি থাকবে না? মন্ডী বন্ধ হবে? চাষী নিজের সুবিধে মত যেখানে ইচ্ছে বেচুক।)


       -- কৃষকদের বক্তব্যঃ বাস্তবে তৈরি হচ্ছে এক নয় , দুটো মার্কেট। একটা মন্ডীর ভিতরে এবং বাইরে । বাইরের ট্যাক্স না দেওয়া ক্রেতা বেশি দাম দিয়ে ক্রমশঃ সব কৃষককে মন্ডীর বাইরে খোলা বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য করবে। মন্ডী ব্যবস্থা  ক্রমশঃ শুকিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। আর মন্ডীর বাইরে যেকেউ ফসল কেনাবেচা করতে পারে আইন করায় এপিএমসি আইন এমনিতেই তামাদি হয়ে গেছে।


      আর রেজিস্টার্ড আড়তিয়ারা ২% কমিশনে কাজ করে এবং সরোকারকে ট্যাক্স দেয় বটে, কিন্তু কৃষকদের  থেকে যে দামে কেনে সেই দাম লেখা রসীদ দেয় । ফলে চাষী সরকারি ব্যাংক (কোওপারেটিভ ব্যাংক ) থেকে ততটাই পেমেন্ট পায় ।ওই কমিশন এবং ট্যাক্স চাষির ঘাড়ে চাপে না। ( বাকিটা চা খেয়ে এসে নামাচ্ছি।)


    আমি ব্যাপারটা এভাবে দেখছি ঃ জমা পুঁজি নিয়ে শেয়ার বাজারে ফাটকা খেলবো নাকি সরকারি ব্যাংকে কম সুদে কিন্তু বাঁধা আয়ে  বাকি জীবন কাটাবো?

  • Ranjan Roy | ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৫১733331
  • ২ এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্টে নিয়ম বদলে 'মজুত' কথাটাই উড়িয়ে দেয়া হল। এর ফলে যে কোন  ফসল যে কোন পরিমাণে স্টক করা যাবে। সরকার বলছেন এর পরিণামে বড় ইনভেস্টমেন্ট আসবে।


         ঠিক কথা। এতদিন স্থানীয় এবং ছোট ব্যবসায়ীরা মন্ডীতে ফসল কিনে স্টক করত। তাদের থেকে কিনত প্রথমে হোলসেল, পরে তাদের থেকে রিটেইলাররা। এভাবে চেন বেড়ে যাওয়ায় উপভোক্তারা অ্নেক বেশি দামে খাদ্যদ্রব্য পেত। এবার সাপ্লাই চেন ছোট হওয়ায় চাষী ও শহুরে উপভোক্তা সবাই ন্যায্য বিক্রয় ও ক্রয়মূল্য পাবে। সবার জন্যে উইন  উইন সিচুয়েশন। মাথায় বাজ পড়ছে মিডলম্যান আড়তিয়াদের। ওরাই আন্দোলনের পেছনে আসল উস্কানিওলা।


    --অন্য মত হল এই আইন আসলে বৃহৎ পুঁজির জন্যে উইন উইন। অবাধে বিনা ট্যাক্সোয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন কেনাবেচা ওঃ স্টক কে করতে পারে? খেয়াল করুন। ২০১৭ সালেই মুকেশ আম্বানি বলেছেন -- শিক্ষা, কৃষি ও হেলথকেয়ার হল আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। এই ঘোষণার কয়েক মাসের মধ্যেই আম্বানিজীর জিও রিলায়েন্স স্কুল ভারত  সরকারের ছ'টি স্কুল অফ এক্সসেলেন্সের তালিকায় মুম্বাই আই আই টি ও বিটস পিলানির সঙ্গে স্থান পেল, যদিও তখন স্কুলটি শুরুই হয়নি।


    তেমনই আদানীর কৃষি বিপণন এবং কৃষি পরিকাঠামোর জন্যে দুটি সংস্থা  এবং দেশজুড়ে কয়েকশ' গোডাউন তৈরি করা লক্ষণীয়। মানে যে কাজ এতদিন সরকারে এফ সি আই গোডাউন করত এখন সেই কাজ আদানী-আম্বানীরা করবেন এই আইনে বলীয়ান হয়ে। 


    ৩ সরকারের মতে কৃষকদের ন্যায্য দাম পাইয়ে দেওয়ার এবং বাজারের ওঠাপড়ার থেকে বাঁচানোর সমাধান হল কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং। মূল্য, ফসল এবং তার পরিমাণ মরশুমের আগেই কন্ট্র্যাটে থাকবে। ফলে চাষী অগ্রিম দাদন নিয়ে কাজ করবে। জেস্টেশন পিরিয়ডে খাওয়াপরার চিন্তা নেই। ফসল ফলার পর মার্কেটিং এর মাথাব্যথা নেই। কী মজা!


    --চাষীরা বলছেনঃ স্থানীয় রেজিস্টার্ড ফড়েদের সঙ্গে আমরা দরাদরি করে খানিকটা পেরে উঠি। মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস সরাদরির জন্যে একটা বেঞ্চ মার্ক। ওরা না কিনলে ওই এমএসপিতে সরকার ধান-গম কিনে নেয়্। আমরা নিশ্চিন্ত। ওই ফড়েরাও ধার সার-বীজের জন্যে ধার দেয় । ওরা আমরা এবং কৃষিশ্রমিক, ভাগচাষী সব একই ইকোসিস্টেমের অংশ।


       কিন্তু এই কন্ট্র্যাক্টে বড় পার্টির প্রতিনিধি সামনে এসে কাজ করবে। কন্ট্র্যাক্ট হবে, ইংরেজিতে ডিজিটালে। ওরা একবছর ভাল দামে কিনে অতিরিক্ত স্টক করে পরের বছর যদি না কেনে বা উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কমে বেচতে শেষমেশ বাধ্য করে তো আমরা নাচার।


    এছাড়া আইনে ওদের ছাড় দেওয়া আছে যে ওরা ফসলের কোয়ালিটি এবং সময় ইত্যাদি বাহানায় আম্মাদের চুক্তি অনুযায়ী ফসল কিনতে অস্বীকার করোতে পারে। কিন্তু আমরা ওদের কম দামে বেচতে না করতে পারিনা।


    ৪ ঝগড়ার ফয়সালাঃ আইনে চাষীর আদালতে যাওয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, চাষী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গঠিত রিকনসিলিয়েশন কমিটিতে যেতে পারে, সন্তুষ্ট না হলে বড়জোর কালেক্টরের কাছে।


    সরকার বলছেন-- ধারা ১৫তে স্পষ্ট বলা আছে-- বকায়া টাকার জন্যে দাদন দেনেওলা চাষির জমি নিতে পারবে না।


    চাষিদের বক্তব্যঃ এরপরেই ধারা ১৬ বলছে  কালেক্টরের  ফয়সালা চাষির বিরুদ্ধে গেলে টাকা আদায়ের জন্যে রেভিনিউ অ্যাক্ট অনুসারে অ্যাকশন নেয়া হবে। মানে জমি নিলামে চড়বে।


    অভিজ্ঞতা বলছে --কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং এ পোলট্রি ইত্যাদিতে চাষিদের বেশ লাভ হয়েছে। কিন্তু ফসলের ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রে পেপসি কোম্পানির চাষীদের বিরুদ্ধে কোটীটাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলার কথাও মনে রাখতে হবে। মার্কিন মাল্টিন্যাশনালের থেকে লাতিন আমেরিকার চাষিদের অভিজ্ঞতা সবাই জানেন ।


    আবার সুপ্রীম কোর্টের ল'ইয়ার কেটিএস তুলসী বলছেন-- ওই আইনে যেভাবে 'চাষি' শব্দকে ডিফাইন করা হয়েছে তাতে ভাগচাষী খেতমজুরেরা বাদ পড়ে গেছে। অথচ ওরাই কৃষক সমাজের বড় অংশ।


    আমার কথাঃ চাষিরা বড়োলোক হওয়ার এবং প্রধানমন্ত্রী কথিত আয় দুগুণ করার স্বপ্নে খোলা বাজারে নামবে? যে খেলায় সরকার আর আম্পায়ার হতে রাজি নয়? নাকি কিছু কম কিন্তু সুনিশ্চিত আয়ে মন্ডি ব্যবস্থা ও এমএসপি'র ছত্রছায়ায় থাকবে?


    আমি ছাপোষা মানুষ। পেনশনের টাকা কম সুদে সরকারি ব্যাংকে রাখি। একদিন লাখপতি হব বোলে শেয়ার বাজারে ফাটকা খেলতে রাজি নই। চাইনা মাগো রাজা হতে!

  • Arijit Kumar | ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:৪৭733332
  • বিপণন ও মজুতে বড়/বহুজাতিক পুঁজি এলেই তার পদ্ধতি আধুনিক হয়ে যাবে এটা তর্কের খাতিরে মেনে নিলেও, এই প্রশ্ন আসতে বাধ্য আধুনিকীকরণের জন্য যে খরচ হবে, যে বাড়তি জ্বালানি/বিদ্যুৎ লাগবে, যে জমি লাগবে সেসব কোথাথেকে আসবে? নিশ্চিতভাবেই তা আদায় হবে আমার মত সাধারণ ক্রেতার গলায় গামছা দিয়েই। এটা সহজবোধ্য যে পরিবহন খরচের জন্য ও মধ্যস্থতাকারীর জন্য যে খরচ এখন বহন করতে হয় ক্রেতাকে তাও বাড়বে ব‌ই কমবে না। তাহলে হরে দরে চাষী এখন যে চাল ১০ টাকা কেজি বিক্রী করছেন আর আমরা ৪০-৫০ টাকায় কিনছি, তা নিদেনপক্ষে ৭০-৮০ র মত দাঁড়াবে (এর থেকে বাড়বে ভাবার সাহস দেখাতে পারছি না)।  তাহলে আমার‌ তো চাষীর‌ চেয়েও বেশী বিপদ! 


    ধরা যাক এইসব আইনটাইন কৃষকরা মেনে নিলেন। এমতবস্থায় এই বিপদটা যখন কাগজে, টিভিতে, সোস্যাল মিডিয়ায় জায়গা করে নিতে পারবে, তখন এই কৃষকদের ওপর‌ই চাপ বাড়বে দাম ১০ টাকা কেজির বদলে ৭ করার বা আরো কম, এবং ততদিনে আর ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনার সরকারী ব্যবস্থা নেই (বিএস‌এন‌এল, ভিএস‌এন‌এল, সার কারখানা, যন্ত্রাংশ কারখানার অভিজ্ঞতা তাই বলে)।


    এরপর‌ও যদি চালে পোকা/খুদকুঁড়ো থাকে, পরের বার গিয়ে বলতে পারবনা আগের চালটা বাজে ছিল, এবার অন্য দোকানে নেবো, কারণ ততদিনে তো একচেটিয়া দখল হয়ে গেছে বাজার আর চাষের ক্ষেতের। অর্থাৎ যা বুঝছি দীর্ঘমেয়াদেও সুবিধা কেবল বড়/বহুজাতিক পুঁজির। 

  • অরিন | ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:৫৯733333
  • রঞ্জনবাবু , @ArijitKumar , আপনাদের দুজনের পরিপ্রেক্ষিত থেকে সমস্যাটিকে দারুন ভাবে  বিচার করেছেন । রঞ্জনবাবু'র বক্তব্য,


    "পেনশনের টাকা কম সুদে সরকারি ব্যাংকে রাখি। একদিন লাখপতি হব বোলে শেয়ার বাজারে ফাটকা খেলতে রাজি নই। চাইনা মাগো রাজা হতে!"


    কৃষিকাজের ক্ষেত্রে আজ কালকার দিনে  "শেয়ার বাজারে ফাটকা খেলার " একটা বড়  অজানা সমস্যা, বিশেষ করে ভারতের মতো কৃষিপ্রধান দেশে যেখানে এখনো কৃষি আবহাওয়ার পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে একটা "নিরাপত্তা" না থাকলে, বা মাথার ওপরে সরকারি বা সমাজের একটা "হাত" না থাকলে কিন্তু কৃষক বিপদে পড়ে  যাবেন, কারন বাজার লাভ দিতে পারে, বাজার কিন্তু খুব নিষ্ঠুর! কারো পরোয়া করে না । 


     অতিবৃষ্টি,অনাবৃষ্টি, দুটোর একটাও ভালো নয় । সেক্ষেত্রে ফসল যদি আশানুরূপ না হয়, চাষি মার্ খাবেন। আম্বানি আদানি অন্য জায়গা থেকে ফসল তুলে বাজারে চড়া  দামে বেচবেন, মানুষ কিনতে বাধ্য হবেন । 


    কালক্রমে কৃষক এমন কিছু ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন যার জন্য পরিবেশ সাংঘাতিক রকম ক্ষতিগ্রস্ত হবে , যেমন fertiliser এর অপপ্রয়োগ, ইত্যাদি, যার জন্য নানারকমের পরিবেশ জনিত অসুস্থতা, জলস্তর নেমে যাওয়া, পানীয় জলে অতিরিক্ত নাইট্রোজেন এবং যার জন্য নানান রকমের অসুখ । 


    কৃষক রাজা হন, কে না চায়? কিন্তু এনারা যা কল করছেন, তাতে ফাটকা খেললে আদৌ  হবে কি?


    তার থেকে "কম সুদে সরকারি ব্যাংক" কিন্তু অনেক ভালো । 


    নতুন  বিলগুলোতে আমি কোনোরকম সরকারি তরফে সুরক্ষার কথা পড়লাম  না! সেইটা মারাত্মক । 


     

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন