আহ, শান্তি
কি পরিশ্রমই না করেছি।
শরীরে শরীর ভাসিয়েছি
দেহের চাক থেকে মধু কেঁটেছি,
লাঙল চালিয়েছি উর্বর জমির বুকে
ফালা-ফলে করেছি নরম মাটি
বীজ ফেলে দিয়েছি।
এখন শরীর জুড়ে তৃপ্তি
আহ, ক্লন্তি জড়িয়ে আসছে চোখে
ঘুমিয়ে পড়ব।
ফোঁসফোঁস করে কে ?
কাঁদছে কি ও!
কেন কাঁদবে?
বিয়ে করে এনেছি, দলিল করে নিয়েছি
আমার সম্পত্তি- যেমন চাইবো ব্যবহার করব
কাঁদবে কেন?
আমি কি পরপুরুষ?
ধর্ষণ করেছি ?
জোর অবশ্য একটু করেছি
জোর না করলে কি এমন তৃপ্তি মিলে!
বুকের মাংসে কি দাগ বসিয়েছি?
ব্যথায় কাঁদছে ?
একটা বোধয় উচিত হয়নি,
তবে কি করবো?
রোজ এক ঘ্যান-ঘ্যান, আজ না আজ না
তবে কবে?
আমারটা খায় আমারটা পরে
আর আমি হাত দিতে গেলেই-
ঊম_ ভালো লাগছে না
আজ শরীর খারাপ,
কেন?
যখন চাইবো যেভাবে চাইবো দিতে হবে
না দিলে জোর করব।
কাবিনে কিনেছি, আমি স্বামী
জোর করার অধিকার আমার আছে
আজ যেমন করেছি।
ও কাঁদলে কাঁদুক, আমার কি?
আমার শরীর জুড়ে তৃপ্তি
শান্তির ঘুমে বুঝে আসছে চোখ।
ও প্রথমে কাঁদবে
পরে অভিমান করবে
রাগ করবে
হয়তো ঘৃণাও একটু
তারপর ঠিক ঘুমিয়ে পড়বে।
পরদিন সকালে আবার আমার জন্য নাস্তা বানাবে
কাপড় গুছিয়ে দেবে
আমার ভালো-মন্দের খেয়াল রাখবে।
আমি এভাবেই মজা লুটে নেব
এই বোকা, অসহায়, অবলা তনু থেকে।
এই বেটাগিরি এখন ঘরে ঘরে। প্রতিকার নাই?
কবিতা আকারে লিখলেও লেখাটিকে মুক্ত গদ্য মনে হয়েছে