এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বরিশালের যোগেন মন্ডল

    b
    অন্যান্য | ২৯ আগস্ট ২০১২ | ৬৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 135.2.***.*** | ২৯ আগস্ট ২০১২ ১৫:২৭574400
  • সম্প্রতি দেবেশ রায়ের লেখা বইখানি পড়লাম। তবে ওনার পরবর্তী জীবন (স্বাধীনতার পরে) সম্পর্কে খুব একটা লেখা নেই। নেট-এ ঘেঁটে ওনার রেজিগনেশন লেটার পেলাম। কেন উনি কলকাতায় চলে এলেন, এবং এখানে ওনার কাজ কর্ম কি কি ছিলো একটু বিশদে জানতে চাই।
    এখানে বাংলাপিডিয়ার লিংকঃ
    http://www.banglapedia.org/httpdocs/HT/M_0119.HTM
  • ekak | 69.97.***.*** | ২৯ আগস্ট ২০১২ ১৫:৫৩574401
  • sharodia তে বেরিয়েছিল । ভালো লেখা ।
  • b | 135.2.***.*** | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:০৯574402
  • বইটা নিয়ে বিশেষ কিছু বক্তব্য নেই।
    কিন্তু যোগেন মন্ডল পূর্ববঙ্গের নমোশূদ্রদের অবিসম্বাদী নেতা, আম্বেদকরকে বাংলা থেকে জিতিয়ে এনেছিলেন ১৯৪৬ কন্সটিটুয়েন্ট ইলেকশনে। তিনি, ১৯৫০ সালে ভারতে চলে আসার পরে একেবারে নন এনটিটি হয়ে গেলেন নাকি? অথচ আম্বেদকর তখন-ও জীবিত। নাকি স্বাধীন ভারত জিন্না-র প্রাক্তন মন্ত্রীকে স্রেফ উপেক্ষা করল?
    এমনো হতে পারে, নমোশূদ্রদের রিফিউজি হয়ে খুব কম এদেশে এসেছেন, ফলে ওনার সাপোর্ট বেসটা ভারতে ছিল না।
    এই প্রশ্নগুলো ভাবাচ্ছে।
  • Deb | 127.2.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:২৯574403
  • খুব সোজা কথায় বলতে গেলে ওনার সম্বন্ধে সেই সময় এপার বাংলার সাধারণ মানুষ এবং রাজনীতিকরা একটাই মত পোষণ করতেন - "দেশভাগের দাবী করার সময় মনে হয়নি,এখন ল্যাং খেয়ে এখানে এসে আর কি হবে। একটু দেরী হয়ে গেছে"।

    উনি যে কারণে লীগকে সমর্থন করেছিলেন সেটা অমূলক ছিলো না ঠিকই। সেইযুগে নমশুদ্রদের (এবং অন্যান্য তথাকথিত নিচু জাতেরও) প্রতি উচ্চবর্ণ হিন্দুদের ব্যবহারই (আজও কি খুব পাল্টেছে) ওনাকে বাধ্য করেছিলো। লীগ নেতারাও ভরসা দিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য যে পাকিস্তানের নেতারা বারগেনটা রাখেন নি। ভারতের দিকে দেশভাগের পর যা পরিস্থিতি সেসময় যোগেন মণ্ডলের মত কারোর গ্রহণযোগ্যতা না থাকাটাই স্বাভাবিক।
  • পাপাঙ্গুল | ১২ মে ২০২৪ ২৩:১৫742962
  •  
    ১৯৫০ সালের ২৪ অক্টোবর আনন্দবাজার পত্রিকা প্রতিবাদে লিখছে, “শ্রীযুত মণ্ডলের করাচী হইতে ভারতে আসিতে ছদ্মনাম বা ছদ্মবেশের প্রয়োজন হয় নাই। সরকারী কর্মচারীদের সহিত যোগসাজসে বেনামে এবং বিনা ফটোগ্রাফে পাসপোর্টেরও প্রয়োজন হয় নাই, সাধারণ যাত্রী হিসাবেই তিনি আসিয়াছেন।”

    করোনা-পূর্ব পৃথিবীতে এক দিন বিশ্বস্ত সূত্রে আচমকা জানা গেল, সেই যোগেন মণ্ডলের একমাত্র ছেলে জগদীশ মণ্ডল এখনও বেঁচে। চার দিকে এত মতুয়া-মতুয়া রব, আর ভারত-ইতিহাসের ব্যতিক্রমী চরিত্রটিকে খতিয়ে দেখব না?

    কোনও ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ নেই, পূর্বপরিকল্পনা নেই। রটনা আদো কতটা ঘটনা, সেটা জানতে এক সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্রবিদ্যার অধ্যাপক মৈনাক বিশ্বাস, তাঁর বন্ধু সুদীপ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গী হলাম। গড়িয়া স্টেশন থেকে আরও দূরে, কলকাতা শহর যেখানে আচমকা শেষ হয়ে গিয়েছে, কাঁচা ড্রেন আর সিমেন্টের রাস্তা, সেই পাঁচপোতা অঞ্চলে বৃদ্ধ জগদীশ মণ্ডলের নিবাস। পাকা বাড়ি, সামনে গাছগাছালি-সহ পুকুর। জগদীশবাবু রেলে চাকরি করতেন, দীর্ঘকাল প্রায় একক চেষ্টায় খোঁজাখুঁজি করে সংবাদপত্রের বিভিন্ন ছবি ও ক্লিপিং, সরকারি ও বেসরকারি হরেক নথিপত্র নিয়ে সাত খণ্ডে ‘মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ’ নামে বই লিখেছেন। বাংলা সাহিত্যে এ রকম পরিশ্রমী পিতৃস্মৃতি বিশেষ নেই।

    বৃদ্ধ জগদীশবাবু তখনও কথা বলেন, কিন্ত মাঝে মাঝে খেই হারিয়ে ফেলেন। সাত খণ্ডের বইটি কেনা গেল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পণ্ডিতরাও সেই বইয়ের কিছু তথ্যকে মান্যতা দেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর এক নিবন্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন, “রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর না করে তত্ত্বনির্ভর রাজনীতির সন্ধানেই কি যোগেন্দ্রনাথ পথ হারালেন? এর বদলে অন্য পদ্ধতিটি যদি তিনি গ্রহণ করতেন, তা হলে তিনি ভাবতেন না লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষের কোনটা করা উচিত। বরং অনুমান করার চেষ্টা করতেন, তারা কোনটা করতে পারে অথবা করতে চলেছে, সেই মতো নিজের কর্তব্য স্থির করতেন।” সমাজবিজ্ঞানীর সিদ্ধান্ত, “এই দ্বিতীয় পদ্ধতিটা তত্ত্বনির্ভর নয়, তা হলো স্ট্র্যাটেজি, হালের বাংলায় যাকে বলা হয় কৌশল।” তাঁর কথার রেশ টেনে বলা যায়, আজকের মতুয়া রাজনীতিতে হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ কেউই নেই। আছে শুধু কৌশল।
     
     
    ‘আইডেন্টিটি পলিটিক্স’ যে কী ভয়াবহ, যোগেনবাবুর শেষ দিনগুলিই তার প্রমাণ। জগদীশবাবু বলছিলেন, তখন ওঁরা টালিগঞ্জের সুলতান আলম রোডে থাকতেন। ১৯৫২ সালের পর তাঁর বাবা প্রায় সব নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন ও হেরেছেন। ১৯৬৭ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের পতনের পর আম্বেডকরের রিপাবলিকান পার্টির হয়ে ১৯৬৮ সালে ভোটে দাঁড়ান, সেই ভোটপ্রচারেই তাঁর মৃত্যু। যোগেন মণ্ডল তখন কুপার্স ক্যাম্প, বাগজোলার উদ্বাস্তু শিবিরে আর নমশূদ্র আইডেন্টিটির কথা বলেন না, বামপন্থীদের সঙ্গে জোটের কারণে সেখানে স্লোগান তোলেন, ‘আমরা কারা? বাস্তুহারা’।

    এ ভাবেই শেষ হয়ে গিয়েছিল নমশূদ্র রাজনীতির সেই ব্যাতিক্রমী ঝলকানি। খবর পেয়েছি, করোনা-পর্বের শেষে ২০২২ সালে জগদীশবাবুও এই পৃথিবী ছেড়ে গিয়েছেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন