মানবিকতা ও বৈধতার অন্ধকার চেহারা : আসামের 'বিদেশি' আটক-শিবিরের ঝাঁকি-দর্শন - প্রথম পর্ব : হর্ষ মন্দার, অনুবাদ - স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ২২১২ বার পঠিত | মন্তব্য : ৮
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ মনিটর হিসাবে, আক্টিভিস্ট হর্ষ মন্দার জানুয়ারিতে আসামের দুটি আটক শিবিরে যান। এই লেখাটি তাঁর অভিজ্ঞতার হাড়-হিম করা বিবরণ। প্রথম প্রকাশঃ ২৬ শে জুন, ২০১৮, দ্য স্ক্রোল। লেখক ও স্ক্রোলের অনুমতিক্রমে প্রকাশিত।
মানবিকতা ও বৈধতার অন্ধকার চেহারা : আসামের 'বিদেশি' আটক-শিবিরের ঝাঁকি-দর্শন - দ্বিতীয় পর্ব : হর্ষ মন্দার, অনুবাদ - স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১৮৫৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
আন্তর্জাতিক আইনও স্পষ্টভাবে বলেছে যে অভিবাসীদের জেলে আটকানো যাবেনা, এবং তাঁরা অপরাধী নন। জাতিসংঘের শরণার্থীদের নির্দেশনার হাইকমিশনারের নির্দেশ অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত আটক শিবির গুলিতেই কেবল কাউকে আটকে রাখা যাবে। নির্দেশনাগুলি বলে যে, সরকার “শরণার্থী বা অভিবাসীদের, অপরাধ আইনের অধীনে বন্দী ব্যক্তিদের থেকে আলাদা করে কোন জায়গায় রাখতে” বাধ্য। ২0১২ সালে প্রকাশিত জাতি সংঘের নির্বিচারে আটকদশার বিষয়ে কার্যনির্বাহীপরিষদের (UN Working Group on Arbitrary Detention) রিপোর্টে, নয় নং নীতিতে বলা হয়েছে "শরণার্থী বা অভিবাসীদের রক্ষণাবেক্ষণ, এই উদ্দেশ্যটির জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি পাবলিক জায়গায় করা দরকার; তবে বিবিধ বাস্তব কারণে যদি সেটা করা সম্ভব নাও হয় সেক্ষেত্রেও তাঁদের অবশ্যই আইনতঃ অপরাধীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা কোন জায়গায় রাখা উচিত।" UNHRC এও বলে যে আটক-আদেশ কোনভাবেই শাস্তি্মূলক নয়। জেলখানা, কারাগার এবং কারাগার বা জেলের মত ু’রে যেসব জায়গা ব্যবহার করা হয় সে সব জায়গাগুলিকে এ বাবদে ব্যবহার করা উচিত না।
আসামের বিদেশি ট্রাইব্যুনালের রোজনামচা : সৌরদীপ দে - অনুবাদ স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১০ আগস্ট ২০১৮ | ২৬৮৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ২২
এই আটক-হওয়া মানুষদের অবস্থা বন্দীদের থেকেও খারাপ। তিনি ক্যাম্পের একটি দুঃখজনক বিবরণ দিয়েছেন, যেখানে দেখিয়েছেন যে এঁরা অন্যান্য "নাগরিক বন্দীদের" তুলনায় কেমন অনেক বেশি বিধি নিষেধের মধ্যে থাকেন। কোকড়াঝাড় কারাগারের নারী বন্দীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, এই মহিলাদের প্রায় এক দশকের মধ্যে একটি মোটামুটি ৫০০ বর্গ মিটারের ঢাকা জায়গার বাইরে বেরোতে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এই আটক-হওয়া মানুষদের অধিকার সম্পর্কে কেন্দ্র বা রাজ্যের থেকে কোন নির্দেশিকা বা নির্দেশ নেই। আসাম জেল ম্যানুয়ালের দ্বারা এই আটককেন্দ্রগুলি পরিচালনা করা হয়। রাজ্য আটক-কেন্দ্র ও কারাগারের মধ্যে বস্তুতঃ কোন তফাত করে না , এবং জেল কর্তৃপক্ষ আটক-হওয়া-মানুষ আর কোন অপরাধের-দায়ে-অভিযুক্ত বা দোষী-প্রমাণিত-হওয়া কারাবন্দীদের মধ্যে বেছে বেছে আসাম জেল ম্যানুয়ালের বিধিগুলোর প্রয়োগ করেন। জেল-নিয়মের আওতায় থাকা বন্দীরা প্যারোল বা কাজ-করে-মাইনে পাওয়ার মত যে সব সুবিধাগুলি পান, সেগুলোর থেকে এই আটক-হওয়া মানুষেরা বঞ্চিত।
পুরুষ, নারী ও ছয় বছরের উপরের ছেলেদের তাদের পরিবার থেকে পৃথক করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি বলে যে কীভাবে এই নির্বিচারে, অনির্দিষ্টকালের জন্য কারাবন্দীদের মত অবস্থায় আটক করে রাখা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। প্রতিবেদনটি আরও জানায় যে আসন্ন NRC র ( যা কিনা সম্ভবতঃ লাখ লাখ মানুষকে রাজ্যহারা করবে) প্রেক্ষিতে কিভাবে মানুষের মৌলিক অধিকার, বিশেষতঃ সব থেকে পবিত্র সংবিধানের আর্টিকল ২১ দ্বারা সুনিশ্চিত করা যে অধিকার, বিপন্ন। এই সব রাজ্যহারা মানুষদের নিয়ে কী করা হবে, সে বাবদে ভারতের কোন নীতি নেই।
সুতরাং, আটক শিবির সম্পর্কে সত্যিগুলো বাইরে বেরিয়ে এসেছে। রিপোর্টে অনেককিছু আছে এবং পরিস্থিতির গভীরতা বোঝার জন্য, আমি আন্তরিকভাবে চাই যে সবাই এই নিবন্ধ এবং পূর্ণ রিপোর্টটি পড়ুন
সার্স-কোভ২ ভাইরাসও সম্ভবত আমাদের সঙ্গে অনেক দিন থাকবে: পিটার পিওট (২) : অনুবাদঃ স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৮ মার্চ ২০২০ | ৪৬০৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
আমার বিশ্বাস যে সম্ভবত আগামী কয়েক মাসে, আমরা খুব সম্ভবত এখানকার ওষুধগুলোরই এমন কোন off-label” ব্যবহার পাব যেটা আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিত্সা করতে সাহায্য করবে। অন্য ভাবে বললে, এখনকার কোন ওষুধেরই, যেটা আদতে হয়ত HIV র মত অন্য কোন ভাইরাল সংক্রমণ সারাতে ব্যবহার হয়, তার নতুন কোন ব্যবহার পাব । তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সময় লাগবে আর অনেক অনেক সত্যিকারের পরীক্ষা করতে লাগবে। নতুন রোগাপহরক ওষুধগুলোর ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলিতে চলছে অনেক জায়গাতেই, বিশেষত চীনে। এটা খুবই আশার কথা।
সার্স-কোভ২ ভাইরাসও সম্ভবত আমাদের সঙ্গে অনেক দিন থাকবে: পিটার পিওট (৩) : অনুবাদঃ স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৮ মার্চ ২০২০ | ৪৭৪১ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
পিটার পিওট জনস্বাস্থ্য ও বিশ্ব স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা, স্নাতকোত্তর গবেষণা এবং উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের ডিরেক্টর।ফিনান্সিয়াল টাইমস তাঁর সম্বন্ধে বলেছে "বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত 'ভাইরাস শিকারী' "। প্রফেসর পিওট ১৯৭৬ সালে জাইরেতে ইবোলা ভাইরাসটির আবিষ্কর্তাদের মধ্যে একজন। তিনি ১৭টি বই আর ৬০০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। বই এর মধ্যে আছে ২০১২ সালে WW Norton থেকে প্রকাশিত 'No Time to Lose' নামের ওঁর স্মৃতিকথা, যেটা ফরাসী, ডাচ, জাপানি এবং কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত, আর আছে 2015 সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস থেকে প্রকাশিত 'AIDS between science and politics'।
কার বোঝা কে বয়? : স্বাতী রায়
বুলবুলভাজা | আলোচনা : পরিবেশ | ০৫ জুন ২০২২ | ২৭৮৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৮
সুন্দরবনের একটা একদম অন্যরকম, অন্যত্র না-দেখা-যাওয়া সমস্যাও আছে। প্রতিবার সেখানে সাইক্লোন ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয় আর মানবতার খাতিরে প্রচুর ব্যক্তি/ সংস্থা সেখানে ত্রাণ দিতে এগিয়ে আসেন। কিন্ত সমস্যা হল এই ত্রাণের সঙ্গে আসা প্লাস্টিক। কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ নামের একটি এনজিও একটি প্রাথমিক সার্ভে করে জানিয়েছেন যে আমফান বিপর্যয়ের পরে কমপক্ষে ২৬ মেট্রিক টন প্লাস্টিক সুন্দরবনে এসে জমা হয়েছে। ইয়াসের পরেও, তুলনায় ছোট স্কেলে হলেও, এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বিপর্যয়ের ত্রাণ হয়ে যাচ্ছে ত্রাণের বিপর্যয়।