সাতাশ সেকেন্ড, মৃত্যুর মুখোমুখি : সোমনাথ গুহ
বুলবুলভাজা | পড়াবই : প্রথম পাঠ | ১২ মে ২০২৪ | ২২৯৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৯
ঘৃণা, হিংসার এই বাতাবরণে একজন লেখক কী করবেন? রুশদি মিথিক্যাল গ্রিক পয়গম্বর, সংগীতকার অরফিউয়াসকে স্মরণ করছেন। তাঁর মাথা ছিন্ন করে যখন তাঁকে হেব্রাস নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল তখনও অরফিউয়াস গান থামাননি, তাঁর সংগীত দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই ভয়াবহতার আবহে আমাদেরও আজ গান গেয়ে যেতে হবে, জোয়ারের দিক পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
নগুগি ওয়া থিওংগার ছেলেবেলা : সোমনাথ গুহ
বুলবুলভাজা | পড়াবই : মনে রবে | ২২ জুন ২০২৫ | ৬৫৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
১৯৪৭ এর এক সন্ধ্যায় লেখকের মা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি স্কুলে যেতে চাও?’ পরিবারে তাঁর দাদা ওয়ালেশ মোয়াঙ্গি এবং কয়েকজন তুতো ভাই অতীতে স্কুলে গেছে, কিন্তু পয়সার অভাবে দু এক বছর বাদেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। মেয়েদের অবস্থা তো আরও করুণ, তাঁরা কেউই এক বছরও ক্লাস করে উঠতে পারত না। বাড়িতে অক্ষরজ্ঞান অর্জন করতো যাতে অন্তত বাইবেলটা পড়তে পারে। তাই মা যখন তাঁকে প্রশ্ন করেন তিনি বিহ্বল বোধ করেন। যখন তিনি কোনও মতে সম্মতি প্রকাশ করেন, মা তাঁকে জানিয়ে দেন যে তাঁরা গরীব, এবং তাঁর দুপুরের খাবার নাও জুটতে পারে। ‘কথা দাও ক্ষুধা বা কষ্টের কারণে তুমি কখনো পড়াশোনা ছাড়বে না। এবং তুমি সব সময় তোমার সেরাটা দেবে।‘ স্কুল এবং ইউনিফর্মের খরচ তাঁর মা খেতের ফসল বাজারে বিক্রি করে যোগাড় করলেন। একটি দোকানে পোশাক কিনতে গিয়ে নয় বছর বয়সি বালক দেখল দেয়ালে চশমা পরা এক ভারতীয়ের ছবি টাঙান রয়েছে। কয়েক বছর বাদে জানলেন তিনি এম কে গান্ধী যাঁর সাথে ১৯২১ সালে গঠিত ‘ইস্ট আফ্রিকান এ্যাসোসিয়েশন’-এর নেতা হ্যারি থুকু সংযোগ স্থাপন করেছিলেন এবং সেই সূত্রে স্থানীয় ভারতীয় ও তাঁদের নেতা মণিলাল এ দেশাই-এর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে ছিলেন।
নোবেল পুরস্কারের জুজু : গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস, ভাষান্তর: সোমনাথ গুহ
বুলবুলভাজা | সমোস্কিতি | ০৯ অক্টোবর ২০২৫ | ৫৭৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
আমি কোনও নির্ভুল পূর্বাভাস মনে করতে পারছি না। সাধারণত দেখা যায় বিজয়ীরাই সব চেয়ে বেশি বিস্মিত বোধ করেন। ১৯৬৯এ আইরিশ নাট্যকার স্যামুয়েল বেকেটকে যখন পুরস্কার প্রাপ্তির কথা জানান হয় তিনি ভয়ে আর্তনাদ করে ওঠেন, “হায়, ঈশ্বর, এ কি সর্বনাশ হল!” ১৯৭১এ পাবলো নেরুদা সুইডিশ অ্যাকাডেমির গোপন সূত্র মারফত খবরটা প্রচারিত হওয়ার তিন দিন আগে সেটা জেনে গেছিলেন। পরের দিন রাতে তিনি প্যারিসে বন্ধুদের নৈশাহারে আমন্ত্রণ করলেন, যেখানে তিনি তখন চিলের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। আমরা বুঝেই উঠতে পারলাম না যে আয়োজনটা কিসের জন্য যতক্ষণ না সান্ধ্য পত্রিকায় খবরটা দেখলাম। “ছাপার অক্ষরে না দেখলে আমি কোনও কিছু বিশ্বাস করি না,”, অপরাজেয় হাসির ধুম তুলে তিনি পরে আমাদের ঘটনাটা জানান।