ব্যর্থ বোঝাপড়া : শুভাশিস পাল
বুলবুলভাজা | আলোচনা : স্বাস্থ্য | ০৪ মার্চ ২০২২ | ২২২৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
একটু একটু করে পিছলে যাওয়া মেয়ের স্মৃতি, তারপর শুধু নিশ্ছিদ্র নিকষ আঁধার। একটাই আকুতি শেষ পর্যন্ত: পরিবার টা যেন ভেসে না যায়!
সঙ্গে সঙ্গে আমার আরেকটি অনুভূতি হলো, নিজের জীবনে আমি লোকটা protagonist, কিন্তু এই পরিবারের জীবনের চলচ্চিত্রে আমি জীবনের এক অন্ধকার চৌমাথায় দাঁড়িয়ে থাকা এক চরিত্র। এক মহাজাগতিক উইপোকার ঢিপির অজস্র ক্রসরোডের একটা অকিঞ্চিৎকর মোড়ে এই পরিবারের সঙ্গে আমার দেখা। ছোট্ট কোণায় আমার জীবন বেঁচেছি, এদের জীবনও তেমনই আরেক কোণায় চলছে। এদের জীবনের ট্র্যাজেডি এরা সবটা দিয়ে অনুভব করছে, আমি তার খানিকটা পারছি।
পরীক্ষার বন্ধু : শুভাশিস পাল
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ৪৬৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪
দিন দুয়েক কাটলো, এক একদিন কাটে আর পাহাড় প্রমাণ টেনশন বাড়তে থাকে, পরীক্ষা চলে এলো। সার্জারী একটা সাগর, medicine একটা সাগর। কি কি করে পেরবো, যদি বা উৎরে যাই, biostat বই চাপা পড়ে বোধয় গত জন্মে মরেছিলাম, কিছুতেই মাথায় ঢোকেনা। হোস্টেল থেকে বেরোনো বন্ধ, লোকজনের মুখ দেখিনা, ফুট খানেক দাড়ি হয়েছে, সেই নিয়েই সাপ্তাহিক অন কল করতে যাই। তার আবার সুবিধে ও আছে!
সেই বাসি দাড়ির শোনা গল্প; আমাদের এক সিনিয়র ডিউটিতে, সেদিন নার্সিং হোম এ তুলকালাম শুরু হয়েছে কি একটা কারণে, আগুন টাগুন লাগিয়ে দেয় আর কি! কই ডাক্তার, শুয়োরের বাচ্চা ডাক্তার কোথায়! এইসব হাকডাক চলছে। সেই দাদা হেলথ সার্ভিস করা লোক, বাঘা বাঘা জায়গায় একা নাইট ডিউটি করে এসেছে, যেখানে দিনের বেলা লোকে দল বেঁধে চলে সমাজবিরোধীদের ভয়ে। তাকে এই শহুরে শখের ঝামেলাবাজরা কি করবে?
তো সেই দাদা, শার্ট টার্ট আউট করে, চুল উস্কো খুস্কো করে, ১৫ দিনের না কাটা দাড়ি নিয়ে লিফট দিয়ে না নেমে সিঁড়ি দিয়ে নামতে শুরু করবে যেই, দেখছে হুড়হুড় করে বানের জলের মত বিষখ্যাত জায়গার লোক ঢুকছে ওয়ার্ডে। হাতে পেলে একটা মার ও মাটিতে পড়বেনা, কার ভুল, কি গন্ডগোল, কিচ্ছু বলার জো নেই। বেশ কিছু লোক সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে সেই দাদাকে দেখলো বটে, দামী শার্ট প্যান্ট, যদিও আউট করা। কিন্তু ওই যে বাঁচিয়ে দিল ১৫ দিনের অশৌচ মার্কা দাড়ি।