রাজনীতির ছবি, ছবির রাজনীতি (প্রথম পর্ব) : যোশী যোসেফ
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৩ আগস্ট ২০১১ | ৬২৩ বার পঠিত
অ্যাফস্পা ১৯৫৮ পুরস্কার পেল, যা আমরা আলোচনা করছিলাম,তাই এটা আমাকে পীড়া দিচ্ছে। আমি জানি আমি যে সব সংস্থার জন্য কাজ করি সেখানে আমি এই সব জিনিস একজন আধিকারিক হিসাবে দেখাতে পারব না, কিন্তু একজন শিল্পী, একজন নাগরিক, একজন ভারতীয় হিসাবে আমি বাঁচতে পারব না যতক্ষণ আমি এই সত্যটাকে কোথাও, কোনো আকারে লিপিবদ্ধ করছি। তাই আমি নিজেই একজন দ্বৈত সত্ত্বায় পরিণত হচ্ছি, একজন আধিকারিক সত্ত্বা, যে তার পরিচয় বহন করে, চেষ্টা করে এমন কিছু করার যা খুব অবাস্তব নয়, একদম ডাহা মিথ্যে কথা নয়। আমার কর্মরত সংস্থার জন্য মণিপুরের ওপর একটা ছবি করার সময় কোনোভাবে মণিপুরের সত্যটাকে প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার ভেতরকার যন্ত্রণাদীর্ণ সত্ত্বা ভালোভাবে ঘুমোতে পারে না, আমি যে সব নিজের চোখে ঘটতে দেখেছি। আমি সবার সঙ্গে মদ্যপান করি, যেহেতু মণিপুরে মদ নিষিদ্ধ তাই আপনি খোলাবাজারে মদ পাবেন না, তাই আমাদের মদ্যপান করতে আর্মি পিআরওর কাছে, অসম রাইফেলস পিআরওর কাছে যেতে হয়, সব মিডিয়ার লোকজনেরও আর্মি পিআরওর কাছে কোটা বাঁধা আছে। সেখানে অনেক মালায়ালি অফিসার আছেন, উকিল অফিসার আছেন, তো আপনি তাদের সঙ্গে বসে মদ খান, আর ৪-৫ পেগের পরে, একটা অন্য মণিপুর, যেখানে হিন্দি গান মানা, হিন্দি গান গাওয়া হয় না, আর রাতে মনিপুরিদের কাছ থেকে সবচেয়ে ভালো জিনিস যা পাওয়া যায় তা হল হিন্দি গান। তাই রাতের একটা মনিপুর আছে, রাত ৯টা ১০টার পর, মণিপুর যা অ্যাফস্পাতাড়িত নয়।