দ্বিভাষী তত্ব : বোধিসত্ব দাশগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৪ মে ২০০৯ | ৮৩৪ বার পঠিত
আজ (১৭ মে) সকাল থেকে খবরের কাগজপত্রে বাঘা বাঘা কলমচিদের লেখাপত্র যা পড়লাম, তাতে মনে হল, একটুও বাড়িয়ে বলছিনা, যেন দুটো নির্বাচনের খবর পড়ছি। জোড়ায় জোড়ায়। একটা ইংরেজি একটা বাংলা , একটা কেরল লাইন একটা বেঙ্গল লাইন, একটা আবাপর প্রথম পাতার একটা আবাপর তৃতীয় পাতার, একটা আবাপর একটা বর্তমানের, একটা টেলি একটা কাগুজে, একটা প্রণবের একটা মমতার, একটা মা-মাটি-মানুষের একটা স্থায়িত্বের বা গ্রোথের, একটা গ্রামের একটা রাজ্যের, একটা অন্ধ্র প্রদেশের চালের, একটা আসামের বাড়া ভাতে ভাগ বসানো অনুপ্রবেশকারীর, একটা প্রকাশ কারাতের একটা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের, একটা বিজয়নের একটা অচ্যুতানন্দনের, একটা নন্দীগ্রামের একটা অধীরবাবুর, একটা কবীর সুমনের নাগরিক প্রতিবাদের, একটা শতাব্দী রায়ের ডুরে পাড়ে ঘরোয়া মেনে নেওয়ার, একটা রুপচাঁদ পালের একটা তড়িৎ তোপদারের, একটা মুম্বাই একটা অন্ধ্র , একটা নীতিশের একটা নবীনের, একটা মনমোহন-সোনিয়াজির দিল্লীর আর একটা রাহুল গান্ধীর উত্তর প্রদেশের, একটা চন্দ্রবাবুর একটা করুণানিধির। তবে কাগজেরা একটা বিষয়ে ঢোঁক গিলেছেন, ভোটের আগের দিন বলেছিলেন, এ ভোট নন্দীগ্রামের বিরুদ্ধে সিঙ্গুরের। ওটা হয়নি। ওটাতে নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুর একসঙ্গে ছিলেন ডালহৌসী আর লালবাজারের বিরুদ্ধে।