ক্ষমা করো (অনুবাদ কবিতা) : নন্দিনী সেনগুপ্ত
বুলবুলভাজা | কাব্য | ১৭ জুলাই ২০১৯ | ১৯৫৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
গের্ট্রুড কোলমার রচিত ‘ফেরগিব’ কবিতা অবলম্বনে লেখা।
কোলমারের জন্ম মধ্যবিত্ত ইহুদী পরিবারে ১৮৯৪ সালে বার্লিনে। ১৯১৭ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতার বই। ১৯২০ সালের পর থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে তার কবিতা। সমালোচকরা বলেছিলেন যে গের্ট্রুড সম্ভবত ইহুদীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জার্মান ভাষার লেখিকা। ত্রিশের দশকের শেষ দিক থেকে যখন নাৎসিবাহিনীর অত্যাচার জোরদার হতে থাকে ইহুদীদের উপর, গের্ট্রুডের বহু কবিতার বই নষ্ট করে ফেলা হয়। নিজের বাসস্থান ছেড়ে বারবার স্থানান্তরিত হতে হয় নাৎসিবাহিনীর হাত থেকে বাঁচবার জন্য। ১৯৪৩ সালের মার্চ মাসের পরে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। কার্যকারণ, সূত্র সবই বলছে সম্ভবত, ঐ সময় তিনি আউসভিৎসে খুন হয়ে যান ।
ভ্রান্তিপর্বত শান্তিতীর্থ : নন্দিনী সেনগুপ্ত
বুলবুলভাজা | ধারাবাহিক : বিবিধ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৪৬২ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
এই যে মানুষের হিমালয়কে দেখবার এত ইচ্ছা, সে তো শুধুই তীর্থ দর্শনের পুণ্যার্জনের জন্য নয়। ট্রেকিং করতে যাওয়া ভ্রমণেচ্ছুক মানুষের সংখ্যা কম নয়। পর্বতারোহণ ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে স্পোর্টস হিসেবে। শুধুমাত্র ভারতবর্ষ নয়, সারা পৃথিবী থেকে আগত ট্যুরিস্ট, পর্বতারোহী এদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে দিন দিন। হিমালয়ে পদে পদে এত বিপদ, সে কথা কি মানুষ জানে না? হয়তো এই বিপদের জন্যই হিমালয়ের আকর্ষণ আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘিরে কিছু ভাবনা : নন্দিনী সেনগুপ্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ২১০০ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৫
প্রথমে অবশ্য খবরগুলোই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। হঠাৎ মনে হয়েছিল যে এটা কি কোনো রাজনৈতিক চক্রান্ত? সামনে লোকসভা নির্বাচন, কিছুদিন আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের সরকারি অফিসারেরা মার খেয়ে এসেছেন সেই জায়গা থেকে এবং সেই অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতা শেখ শাজাহান ফেরার, এই ঘটনাপ্রবাহ তো জানা ছিল। কিন্তু নেতা যে আসলে নেতা নন, মাফিয়া, সেই বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত জানা ছিল না। মাফিয়ার সম্পত্তি তো আর দ্বীপের মধ্যে আকাশ থেকে পড়েনা, মাটি থেকে সেখানে গজিয়ে ওঠে না টাকার গাছ। একটু একটু করে মানুষকে শোষণ করে ফুলেফেঁপে ওঠে ক্ষমতার ধ্বজাধারী। সম্পত্তি সেখানে ধ্রুবক, শুধু তার মেরুকরণ ঘটে।
পলাণ্ডু সংহিতা : নন্দিনী সেনগুপ্ত
বুলবুলভাজা | কাব্য | ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪০৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ১০
একটা নধর আকারের গোটা পেঁয়াজ,
পান্তাভাতের থালার পাশে।
এই স্বপ্নটা বিলাস ক’দিন ধরেই দেখছে।
আসলে এখন গোটা একটা পেঁয়াজ
একবেলায় কে আর খেতে পাবে?
অর্ধেক বা সিকিভাগ বরাদ্দ,
যা দাম বাড়ল… কিছু করার নেই।
বাদ চলেও যেতে পারে একদম।
তখন শুধু লঙ্কার আচার দিয়েই…
বউ দু’আঙুল দিয়ে যেভাবে সিঁদুর পরত,
সেভাবে একটিপ লাল লঙ্কার আচার
কৌটো থেকে তুলে নেবে সে।