হেমন্তকথা : ইন্দ্রাণী দত্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৮ এপ্রিল ২০০৬ | ৯০৬ বার পঠিত
ঈস্টার আর অ্যানজাক ডের ছুটি শেষ। জনগণ কাজে ফিরছেন। বাতাসে মৃদু হিমভাব, আপিসফেরতা হাল্কা জ্যাকেট,এক ঘন্টা দেরীতে সকাল। অস্ট্রেলিয়ায় এখন হেমন্ত, এপ্রিল ফুরিয়ে এল স্কুলের দু সপ্তার ব্রেক শেষ হ'তে এখনও কদিন বাকি-পাবলিক লাইব্রেরি থেকে 'প্রিমিয়ার রিডিং চ্যালেঞ্জ'এর বই ইস্যু হচ্ছে প্রচুর।
নিছক ব্যক্তিগত, অথবা -- : ইন্দ্রাণী দত্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | ৯৭৪ বার পঠিত
সেদিন উত্তর-পূর্বাঞ্চল মোটের উপর শান্তই ছিল। শুধু একজনই মারা যান গুলিতে। আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের উপর বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে যান যিনি, তিনি লেখিকার আপনজন। -- সম্পাদক। তোমার সঙ্গে আর দেখা হবে না। কথা তো ছিল না এমন। পুজো আসে, পুজো যায়। আমাদের বয়স বাড়ে।বিজয়ার প্রণাম সারি ফোন অথবা ইমেলে। আমাদের জানা থাকে, পরের বিজয়ায় প্রণাম করার লোক আরো কমে যাবে। আমরা প্রস্তুত থাকি। এবারে তৈরী ছিলাম না। আমাদের আর দেখা হবে না। এরকম তো কথা ছিল না।
হলদে কেকের রাস্তা : ইন্দ্রাণী দত্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০১ অক্টোবর ২০০৬ | ৮৮৬ বার পঠিত
"ফলো দ্য ইয়েলো ব্রিক রোড"-ডরোথি,কাকতাড়ুয়া, টিনের সেপাই, সিংহমশাই সবাই হাঁটছেন ইয়েলো ব্রিক রোড ধরে, এই গানখানি গাইতে গাইতে। পথের শেষে সব পেয়েছির দেশ-সব্বার মন:স্কামনা পূর্ণ হবে অজ দেশের উইজার্ডের জাদুদন্ডের ছোঁয়ায়। গন্তব্যে পৌঁছে অবশ্য মিথগুলি ভেঙে যেতে থাকে... বছরকয়েক আগের টাইম পত্রিকায় প্রায় এই লেখার মতই শিরোনাম ছিল একটি আর্টিকেলের।মনে পড়লো।তবু হেডিং বদলাতে ইচ্ছে হ'ল না। আসলে, ইয়েলো কেকের সমস্ত গল্পেই ইয়েলো ব্রিকের গানটাই থিম সঙ।
জন এলিয়টের ইচ্ছামৃত্যু : ইন্দ্রাণী দত্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ | ৯৮০ বার পঠিত
ইউথ্যানেজিয়া অস্ট্রেলিয়ায় বেআইনী। সুইসাইড তা' নয়। আবার, অ্যাসিস্টেড সুইসাইড নিষিদ্ধ এখানে। যদি আপনি অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা হ'ন আর রোগযন্ত্রণা আপনার বেঁচে থাকার সমস্ত ইচ্ছে শেষ করে দেয়, ইউথ্যানেজিয়ার জন্য আপনাকে যেতে হবে সুইজারল্যান্ড।নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, আর ইউ এস-এর ওরেগনে ইউথ্যানেজিয়া আইনী তবে শুধু সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য।সুইজারল্যান্ডের গল্পটা অন্য।ইউথ্যানেজিয়া নিষিদ্ধ সুইজারল্যান্ডেও। কিন্তু আত্মহননে নি:স্বার্থ সহায়তা নিষিদ্ধ নয়।
কালবেলা : ইন্দ্রাণী দত্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০২ মে ২০০৭ | ১০৪৯ বার পঠিত
মেয়েদুটি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে।ব্যাকগ্রাউন্ডে বালি, সমুদ্র। খোলা চুল, স্কার্ট,টপ। বছর বারো বয়স হবে হয়তো। কিম্বা তারও কম।অথচ তাদের চোখ, ঠোঁট, সামান্য তেরছা করে ঈষৎ এগিয়ে রাখা বাঁ পা নিশ্চিত মনে করাবে কোন তরুণীকে।অন্তত: এই মুহূর্তে অনেককেই সেরকমই মনে করাচ্ছে । তাঁদের একজন এমা রাশ, অস্ট্রেলিয়ান ফেমিনিস্ট, অ্যাকাডেমিক।গত অক্টোবরে এখানকার বামঘেঁষা "থিঙ্ক ট্যাঙ্ক' দ্য অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট থেকে এমা প্রকাশ করেছেন একটি অ্যাকাডেমিক পেপার,যার শিরোনামটি-ই প্রবল বিতর্কিত-করপোরেট পিডোফিলিয়া।
না-মেয়েলি কথা : ইন্দ্রাণী দত্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৮ জুলাই ২০০৭ | ৯৯৭ বার পঠিত
নাতাশা স্টট, সেনেটর, ডেমোক্র্যাট; ক্যারল ব্রাউন, সেনেটর, লেবার; জুডিথ ট্রোথ, সেনেটর, লিবারাল; কেরি নেটল, সেনেটর, গ্রীন। অস্ট্রেলিয়ার এই মহিলা সেনেটররা রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতাকে সরিয়ে রেখে আপাতত: একজোট দুটি বিলের সমর্থনে।
অ্যাবরশন পিল RU 486 এর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য একটি বিল, অন্যটিতে প্রেগনেন্সি কাউন্সেলিংএর বিজ্ঞাপনে সত্যভাষণের দাবী।
চারটি মেয়ে, দুটি বিল-বিষয় অ্যাবর্শন। নিছক মেয়েলি প্রসঙ্গ? আসুন, দেখা যাক।
চারশো সাতান্ন : ইন্দ্রাণী দত্ত
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ১০২৭ বার পঠিত
যদিও এখন শহরে এসে গেছেন জর্জ বুশ, কন্ডোলিজা রাইস কিম্বা হু জিনতাও, শিগ্গিরি এসে পড়বেন শিনজো আবে, স্টিফেন হারপার প্রমুখরা, যদিও এই মুহূর্তে সমস্ত অস্ট্রেলিয়া সিডনির দিকে তাকিয়ে, যদিও এই মুহূর্তে শুরু হ'তে চলেছে এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কো-অপরেশন ফোরামের সামিট, যদিও এখন মিডিয়া জুড়ে শুধুই নিরাপত্তার বিবরণ আর নেতাদের মুখ, ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে হলদে কেকের রাস্তা এবং ১২৩; আমরা যাব শহর থেকে দূরে, সঙ্গে থাকবে সম্পূর্ণ অন্য সংখ্যাত্রয় -৪৫৭।
খুঁটে খাওয়ার গ্রাফিতি : ইন্দ্রাণী দত্ত
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ০৩ জুন ২০০৭ | ১১৪৩ বার পঠিত
জলপাত্রটি কানায় কানায় ভরা।তলায় নীল নুড়ি।লালচে বেগুণী পাখনায় জল কাটে, ঘাই দেয়। নুড়ি ছুঁয়ে উঠে আসে। জলপাত্রের কাঁচদেওয়ালে বিম্বিত হয় সে। সিয়ামিজ ফাইটার। লড়ে যায় নিজের প্রতিবিম্বের সঙ্গে। এক দানা, দু'দানা, তিনদানা খাবার-দিনে তিনবার। জল পাল্টানো সপ্তাহে একদিন।
পুরোনো টেবিল। দাগধরা।টেবিল ঘিরে চেয়ার।চার, পাঁচ,ছয়। কিম্বা তার বেশি। মর্নিং টী, লাঞ্চ, আফটারনুন টী। ওরা চা খায়।কফি। সূপ, কাপ নুডলস,স্যান্ডউইচ। টেবিল ঘিরে ওরা ক'জন। প্রতিদিন।
যাপনকাল : ইন্দ্রাণী দত্ত
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : পুজো ২০১০ | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৮১৪ বার পঠিত
আকাশ ছিল না। উপুড় করা চ্যাপ্টা বাটি পৃথিবীর ওপর। যা আকাশ নয়। অথচ পাখি ছিল, ডানা ছিল। একঝাঁক পাখি-ক্লান্ত অধৈর্য- ডানা মেলার খোঁজে একদিন ধাক্কা দিতে শুরু করল সেই উপুড় অর্ধগোলকে। আকাশ ভাসে না তবুও। তারা তখন তাদের চঞ্চু দিয়ে, চঞ্চুধৃত বৃক্ষশাখা দিয়ে -যে যেমন পারল-ধাক্কা দিতেই লাগল অনড় আকাশে- মাটিতে পা, চঞ্চু ঊর্দ্ধমুখী-লক্ষ ডানা ঝাপটাচ্ছে একযোগে - অবশেষে ভাসল আকাশ। উঁচুতে, আরও উঁচুতে, পাহাড় পর্বতের মাথা ছাড়িয়ে অনেক অনেক উঁচুতে। নাগালের বাইরে।