আর্ট ক্যাম্প কুষ্টিয়া - মূর্ছনার সাত দিন : অরণ্য
বুলবুলভাজা | অপর বাংলা | ১০ জানুয়ারি ২০১১ | ৯৮৩ বার পঠিত
অবশেষে রাত যখন কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে গভীরভাবে জেকে ধরল খামারকে, আর আচমকা হিম বাতাস কাঁপিয়ে দিতে থাকল শরীর, তখন সবাই ঘন হয়ে বসেছিলাম অগ্নিকুন্ডের চারপাশে। হয়তবা গভীর রাতের প্রকৃতি আর কুয়াশার চাদর ঘুমের কোলে ঢলে পড়া মানুষগুলোর প্রাণে বাজতে থাকা আনন্দধ্বনি কিছুটা হলেও থিতিয়ে এনেছিল, কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখার চারপাশে মেলে ধরা হাতগুলো বেয়ে শরীরের দিকে অগ্রসরমান উষ্ণতা কেনজানি থিতিয়ে আসা সেই উত্তেজনাকেই পুনরোজ্জীবিত করছিল বারবার আর কয়েকদিন ধরে ক্রমশ: জমতে থাকা দারুণ স্মৃতিগুলো নিজেদের অজান্তেই থরে থরে সাজিয়ে পড়ছিল প্রাণের গভীরে। কেউ কেউ কিছুক্ষণ পরপরই উসকে দিচ্ছিল আগুন আর আমি গনগনে শিখার দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম, এমন প্রকৃত অবকাশই শিল্পীদের একান্ত প্রয়োজন, যেখানে সে খুব ভালভাবেই তার বোধের গভীরে প্রবেশ করে অনুধাবণ করতে পারে শিল্প, প্রকৃতি আর শব্দের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা নৈ:শব্দের বিপুল কলরোলের অদৃশ্য যোগসূত্র, যা তাকে হয়ত আরও বেশ কিছুদিন রশদ যোগাবে সামনে এগিয়ে যাবার।
আমি কুমুর প্রেমে পড়েছিলাম : অরণ্য
বুলবুলভাজা | পড়াবই : মনে রবে | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২১৪৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
আমি কুমুর প্রেমে পড়েছিলাম। শুধু আমি নয়, আমরা সবাই, যারা গুরুতে লিখতাম, গল্প করতাম, ২০০৯ ও তার পরবর্তী কিছু বছর।
কী ইচ্ছে ছিল, দিল্লী যাব, সামাসামনি আড্ডা মারব, অনেক অনেক ক্ষণ। তা হল না, গুরুতে আড্ডার স্মৃতি-ই রয়ে গেল। অমন বন্ধু আর হয় না।
কুমু-র লেখা ছিল মজাদার, রসে টইটম্বুর। মজার আড়ালে থাকত এক প্রীতিময়, মানবিক মুখ, স্নেহার্দ্র, ভালবাসায় জরজর - মানুষের ওপর বিশ্বাস ছিল অটল। মন খারাপের দিনে, বহু আঘাতে রক্তাত্ত সময়ে, ওর লেখা বিশল্যকরণীর কাজ করত
মধ্যরাতের কীট : অরণ্য
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : পুজো ২০১০ | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ২১২ বার পঠিত
হে গাছ, তোমাকে বলছি শোনো, শুনতে পাচ্ছো কি, কীভাবে কুরে কুরে খেয়ে চলেছে শরীর, মধ্যরাতের কীট? কুকুরের চিৎকার শুনে, আমি বড়জোর কল্পনা করতে পারি মানুষের হাসি, যারা শেষরাতে ঘরে ফেরে, মাতাল। এর বেশি হলেই এসে যায় শ্মশান, যেখানে তুমিও পুড়তে থাকো নির্বিকার। আমাকে প্রশ্ন করো না এখন, একটা অদ্ভুত স্বপ্ন শেষে এই মাত্র জেগেছি! অগোছালো আমি তাকিয়ে আছি দূরে। জানি, প্রশান্তির কোন সংজ্ঞাই দিতে পারে না কেউ। তবুও বিশ্বাসী মানুষ, প্রিয় ঘুম। এতসব হট্টগোল শেষে পড়ে থাকে হাড়, আর সেদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে লালা ঝরায় পোষা কুকুর। তারপরও আমি ভালবাসি জাদুঘর, ভালবাসি সাপের খেলা, বোমারু বিমান, কসাইয়ের দোকান। বর্ণিল মোড়কে এভাবেই ফিরে আসে বাধ্যবাধকতা, আর টিভির পর্দায় সারাদিন ভেসে থাকে সুখ।