বাবা... বাবা, তুমি থাকলে ভালো হ'তোঅমঙ্গলের এতো দুঃখ-বিষাদ কুড়ে কুড়ে খায় রোজ।আমার ভেতরের শরীরটা কাঁদতে থাকে,আর বাইরের শরীরটা-অন্ধকার আচ্ছন্ন মাঠে গিয়ে চাঁদ দ্যাখে,চাঁদ দেখার কী খিদা আমার!আর শ্মশান থেকে যাবার সময়তোমার পুড়ে যাওয়া বেদিতে, আগুন দেখলেমনে হয় বুকের স্পন্দনে, আগুনের শিখার ওঠা-নামা।এবং একটা মানুষ পুড়ে যেতে যতক্ষণ সময় লাগে, একটা জীবনও পুড়ে যেতে সময় লাগে ততক্ষণ।আমিও পুড়তে থাকি...এই পৃথিবীতে সবারই বাবা থাকলে ভালো হ'তো, আমার বলতে ইচ্ছা করে না; আমার বাবা নেই।কিম্বা যখন কোথাও তোমার নামের আগে লিখতে হয়, মৃত! ~। শুভঙ্কর বৃক্ষ ... ...
গানআমি প্রথম গান শুনেছি, আমার মায়ের মুখে আর বাবার মুখে শুনেছি বক্তৃতা। আমাদের যখন চালের দোকান ছিলো —তখন সেই দাঁড়িপাল্লায়, গান আর বক্তৃতা কখনো মাপিনি৷ কিন্তু আমার গানই বেশি, ভালো লাগে।বাবা থাকতে মায়ের আনন্দের গান শুনতাম। এখন মায়ের দুঃখের গান শুনি।~। শুভঙ্কর বৃক্ষ ... ...
দেওয়ালের ফটকসে থাকে সেই লাল দেওয়ালের ফটকের পাশেযেখানে বটগাছটা দাঁড়িয়ে আছে—একটা পুরোনো বিশ্রান্ত সত্যের মতো।তার গলার বোতাম খোলা জামা,মনে হয় যেন আকাশকে প্রবেশের ছাড়পত্র দিয়েছে।প্রতি সকালেই-সে ঝাঁট দেয় ধুলোর ওপরে—যা আবার ফিরে আসে হাওয়ায়।ঠিক প্রতিশ্রুতির মতো।লোকেরা ভুলে গেছে তার নাম—কেউ ডাকে কাকা,দাদু,বা ওই লোকটা নামে। যে লোকটা ফুলেদের সঙ্গে কথা বলে।বিকেলে বাচ্চারা তার সিঁড়ি পেরিয়ে যায়—হাসে, খেলাধুলা করে।তারা টের পায় নাওই লোকটার চোখে নিস্তব্ধতা জমে আছে।একটা পুরো জীবন থেমে আছে তাতে,যা বলে না কিছুই, শোনায় অনেক। আজ দুপুরে কিছু লোক এলো—ধূপ, দড়ি আর একটা কাঠের খাট নিয়ে।বাচ্চারা আজ সিঁড়ি পেড়োলো না। নীরবতায় আজ শিশুরা থমকে আছে, বটগাছ থমকে আছে হাওয়া বিহীন হয়ে। খোলা জামাটায় ... ...
অনুক্ত সবার DNA টেষ্ট হয়ে গেছে, দেশে। আধার কার্ড হওয়ার মতোন। এখন থেকে বোঝা যাবে। কে? কোথায়? দক্ষ..! সবাই সবার দক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। শুধু পশু-পাখি-গাছ তাদের দক্ষতা হারায়নি। পাখিরা এখনও গান গায়, চিৎকার চেঁচামেচি করে, সন্ধ্যেবেলা; আর আজকে সন্ধ্যেবেলা, লটারির দোকানে তর্ক হচ্ছিলো। যে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা নাকি তাদের ডি.এন.এ. টেস্ট করায় না। নইলে তারা যে কতোটা অদক্ষ, সেটা বেরিয়ে পড়বে। ~। শুভঙ্কর বৃক্ষ ... ...
আয় রাষ্ট্র, কবিতা শোনাই(১)ফিঙে পাখি দেখলেই, অচিন্ত্য'র কথা মনে পড়ে। কারণ ও কবিতায় বলেছিলো - 'কবিরা মরে গেলে ফিঙে হয়ে যায়।'কিন্তু কবিতা লেখা মরে গেলে কি হয়, ও সেটা বলেনি ;আর আমিও জানি না। আমি এটা জানি, যে কবিরা মরে গেলে ফিঙে হয়ে যায় না।অথবা ফিঙে পাখিও মরে গেলে, কবি হয়ে জন্মায় না। হয়তো অচিন্ত্য ফিঙে পাখি হতে চেয়েছিলো।কিন্তু বড়ো বড়ো গাছ দেখলেই আমার ভানুর কথা মনে পড়ে। কারণ সে জন্মদিনে প্রেমের প্রতীক হিসেবে বাড়ির পুকুরপাড়ে গাছ রোপন করেছিলো। এখন আর ভানুর কথা মনে পড়ে না, কারণ বড়ো বড়ো গাছ দেখি না। যেই বিশাল বিশাল গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসতো; সরকার উন্নতি প্রকল্পে দায়িত্ব নিয়ে গাছগুলো ... ...
স্বভাব ও প্রতিফলন একজনের সাথে দেখা হ'লো হঠাৎ ;জানালো - তার মাথা গরম। সে কথায় কথায়, উঠলো তেরে। মাথা গরমের প্রভাব বুঝতে পারলাম কিন্তু তাকে বোঝানো গেলো না, সে হিংসা করছে, প্রচন্ড হিংসা করছে। তারপর থেকে যখন দেখা হয়। আগে জিজ্ঞেস করে নিই তার মাথা গরম কিনা। সে একদিন উল্টে জানতে চাইলো, মাথা গরম জানতে চাইছি কেনও? সেই মূহুর্তে তার গালে চড় কষিয়ে বললাম, মাথা গরম হচ্ছে, এবার কার ওপর এই মাথা গরমের প্রতিশোধ নেবে, সেখানে যান আরেকটা চড় না খাওয়ার আগে। ভাবলাম হয়তো কিছু পাল্টাবে। উল্টে উনি এখন কথাতেই তেড়ে ওঠে না, গায়েও হাত তোলে। ~। শুভঙ্কর বৃক্ষ ... ...
"আমি এখন সেইখানেই আছি ;যেখান থেকে নিজেরই খবর আর, পাই না। 'লালন' তুই জানিস, এই বৃক্ষ'কে!সে বীজ'ই, খুঁজে, পায় না..."~। শুভঙ্কর বৃক্ষ ... ...
টাওয়ার অফ সাইলেন্সরতন টাটা মারা যাওয়ার পর তাঁকে আগুনে দহন করা হয়েছে। কিন্তু এখন ইন্ডিতে বি.জে.পি. সরকার চলছে। হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থান চলছে। তাই জন্যও হতে পারে। কিন্তু আগুন দাহ করা হিন্দু নামক ধর্মের একটা রীতি। কিন্তু রতন টাটা পারসি ছিলেন। সেই অনুযায়ী ওই শরীর শকুনকে খাওয়ানো হবে। কিন্তু মিডিয়ার গবেষকরা বলছে দেশে শকুন কমে গেছে তাই আগুনে দাহ করা হয়েছে। কিন্তু এটা বলছে না যে প্রকৃতি ভারসাম্যহীন হয়ে পরছে। অথচ নুনের দাম কমেনি। শকুন কমে গেছে, নুনের দাম বেড়ে গেছে। বিট্রিশদের সময় গান্ধীজি নুনের ওপর থেকে ট্যাক্স হাটিয়েছিলো। আর টাটা গোষ্ঠী নুনের ওপর ট্যাক্স লাগিয়েছিলো একচেটিয়া ব্যাবসা দখল করেছিলো। সাইলেন্স অফ টাওয়ার এখন কোলাহলপূর্ণ। কিন্তু গান্ধীজি মরার পর থেকেই। সাইলেন্স অফ টাওয়ার কোলাহলপূর্ণ হয়ে গেছে। গান্ধীজি মরার পর ... ...
উৎসর্গ : বেঁচে থাকা সমস্ত তিলোত্তমা'কে নদীরা কখনো আত্মহত্যা করে না নদীরা খুন হয়, সভ্যতার হাতে। ঠিক তেমনই, নারীরা কখনো আত্মহত্যা করেনি। তারা খুন হয়েছে.. !~। শুভঙ্কর বৃক্ষ ... ...
এমন একটা ঝর ওঠাও গাছগুলো আরো জীবিত লাগে, হাওয়াতে নড়লে। আর হাওয়া না থাকলেও, যখন ট্রেন যায় তার হাওয়াতে বস্তির গাছগুলোকে বিদ্রোহীর মতো চঞ্চল মনে হয়। আর এখন এই মফস্বল-শহরকে'ও বিদ্রোহীর মতো চঞ্চল মনে হচ্ছে। বেকারত্বের প্রতি আর শোষণের প্রতি এতটা বিতৃষ্ণা; যে আর ভালোই লাগছে না..! এই জীবনের বাসস্থান। বাস্তবে কিছুই ভালো নেই..! কিন্তু Big boss এর নেটওয়ার্কে, টিভিতে ; সব ঠিক। তখন আমার গণতন্ত্রকে, হাওয়াহীন স্তব্ধ ... ...