সরিতার পাগুলো কার্নিশের শ্যাওলার মধ্যে কিছু খুঁজছিলো। পায়ের চাপে চেপ্টে গিয়ে ঘন সবুজ থেকে ফ্যাকাশে সবুজ হয়ে যাচ্ছিল শ্যাওলার স্তর। আর কার্নিশ খুঁজছিলো সরিতার ফ্রকের ভেতর শ্যাওলা-ধওলা আকাশ। কতক্ষন? অনেকক্ষন। যতক্ষণ ধরে ঠাম্মা ছাদে উঠতে দেখলেই সাবধান করতো আমাদের, ততক্ষণ। কার্নিশের আশে পাশে যেতে বারণ করতো, মাথা নাড়তো আর চাবির গোছাটা দুলতো। এখন যেমন সরিতার অস্থির পাদুটো। পায়ের ধাক্কায় লিন্টেল থেকে গোত্তা খেয়ে দুলে দুলে নিচে পড়লো একটা মরচে ধরা পেরেক। যেখানে পড়লো সেই রাস্তা থেকে ডান দিকে গেলে গলি। তার ভেতর কুন্ডুদের বাড়ির বড় গেটের সামনে আমাদের পাড়ার নতুন পাগলী। "রুম ঝুম ঝুম ঝুম, রুম ঝুম ঝুম, শুকনো ... ...
শিল্পের সন্ধানে একটি সত্যিকালীন অফিসমূলক ঘটনার পদ্যলিপি বুদ্ধেশ্বরের ফিরে যাওয়া উচিত ছিল না সেদিন। যদিও আমি জানি যে, সে ফিরে আসবে। কয়েকটা পুরোনো এ-ফোর কাগজ আর একটা কালো কোট গায়ে বিডিও-ডিএম-ডিআরএম অফিসে ঘোরা বুদ্ধেশ্বর, ফিরে আসার আগে কিছু ভাববে না, জানি। ভূগোল-অবাধ্য যে হাওয়া প্রতি শুক্লপক্ষে আসে সুদূর শাখালিন আইল্যান্ড থেকে লক্ষণপুরের মাঠে, সেই হাওয়া চরিয়ে খায় বুদ্ধেশ্বর আর কোট গলিয়ে খোঁজে শিল্পের মাঠ, যেন সে প্রশাসনের কপাট ডিঙিয়ে ফুঁড়ে দেবে বাঁকুড়ার বুক। বুদ্ধেশ্বর চেয়েছিলো সেটাই, যেটা কেউ চায়নি,-"একটা কককারখানা, একটা হহহাসপাতাল, একটা ইলেকটিরিক রেল লাইন, একটা তাপবিদুত"-কেন্দ্রের ছাই যেন থেকে থেকে উড়ে ঢেকে দেবে নবান্নের পাকা ... ...
একটা পোল উঠে গেছে পৃথিবীর তলপেট থেকে, তাতে গুঁড়ি মেরে নুড়িপাথর, তাতে বাঁকুড়ার বাওয়াল-বাউল, গান গায়, তরঙ্গ তোলে। উজ্জ্বল ও প্রোটিনক্লান্ত হয় সবিশেষ। দীর্ঘ পোলের প্রান্ত থেকে বিলিরুবিন আলো, নিচে আমরা, সংক্রান্তির ধান ও আমাদের কালবৈশাখীর মতো ভালো, এখানে সেখানে আছড়ে ফেলা যায়। হৈ হৈ উল্লাস ওঠে.. গড়াগড়ি খায়, রৌদ্র গন্ধ, আমাদের শরীর হলুদ হয়ে যায়। ঢেঁকির জনশ্রুত পুষ্টিগুণ শুধু ... ...
এই তো জীর্ণ জাদুগরী নগর, তার দেহে অমোঘ নোনা বাসের হর্ন, পাশে তুমি রাহগীর কনডাক্টর। জিরোও, ফুটপাথের মাংসপিন্ড, অচলায়তন। সাইরেনের মত রোদ এসেছে নাকী বুকে? নারী, জাগাও, নাগরিক ... ...
একটা ট্রাক্টর, দুটো লোক এলো, ওরা খুঁড়তে লাগলো, খুঁড়লো। একটা বাগদী শহর দেখা গেলো, পঁচিশতলা ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে বনসাই পলাশ মিললো, তিনটে ভূম পড়ে ছিল খাঁ খাঁ, ধল, তুঙ্গ আর সামন্তর বাসা। বাঁকড়ি ভাষা দদ্যাড়ে উড়ে গেলো ... ...
হাওয়া বয়,একটা গোটা শহর জুড়েহাওয়া বয়,কাপড়ের তারে লোভী হাওয়াচিপসের প্যাকেট নিয়ে উড়ে যাচ্ছে। ... ...
এবার সবক নিয়েবাড়ি ফিরে এলামকিছু ভয় সঙ্গে করেবাড়ি ফিরে এলামখুনের তদন্তের পাশ দিয়েরক্তধোয়া জল দিয়েটায়ারে আচমন ওবাড়ি ফেরার সন্ধিক্ষণ।উদভ্রান্ত ভিড়ের দিকে ফিরেউজবুকের মত বাড়ি ফিরে এলামএবং তদ্বীপরিত।'আ মরি মোবাইল ভাষা'র থেকেঘাড় ও মাথার সংযোগ নিয়েবাড়ি ফিরে এলাম।বুঝতে পারলাম মৃত্যু নয়,একটা মর্গের মুখরোচক তদন্ত টেবিলডিনার সংসর্গে বাড়ি ফিরে এলাম। ... ...
একরকম রগচটা হাওয়া, ও ভীষণ ইয়াং রোদ, সাড়া দাও দিওয়ানা লু, সাড়া দাও, দৈনন্দিন প্রতিশোধ। বাঁকুড়ার কাক ঘোরে মেঘে, ঠোঁটে ফোঁড়ে বুক পেট ফায়দা, নিউটন হাসে ঠাঠা দুপুরের পাতে, ধুলোমাটি অক্সিজেন ... ...
(অফিস সিরিজ - ৩) রিপ্পা রিপ্পা রি রাপা রিপ্পা রি../বত্রিশ ইঞ্চি চানাচুর বিজ্ঞাপনের নীচে গড়গড়িয়ে যাচ্ছিলো দুর্নীতির গাড়ি।আমি খুব সম্ভবত.. ছানি কাটা চশমার ভেতরে দুটো চোখ, জমা রেখে চলে যাবো, বেঁচে থাকবে এল সি ডি।ওতে ভরা থাকবে দুর্নীতির ক্ষতিয়ান, আটটার বিতর্ক আর সুগন্ধি সাবান। হাত ধুয়ে ফিরে এলে ফের নতুন করে আবর্জনা স্নান। ওঠো ওঠো টোটোওয়ালা ওঠো, সাধ্যসওয়াল নিয়ে মাতাবো ... ...
বাৎসরিক সনেটে শালিক ঝড়,কলতলাতে ক্র্যাশ হয়েছে এরোপ্লেন।ভিনদেশি প্রেমিক নিয়ে সাথে,গাঁটছড়ায় হৃদস্পন্দন বিলোচ্ছেন,বৈশাখী বধূ ও তার গ্রেগোরিয়ান বর।বাঙালি বলে, অনাচার।একতিরিশের চৈত্র রাতে,প্রেম বয়েছে হালখাতাতে,সিঁদুর মেখে সকাল হলো পার,আজ পয়লাবার।ঝগড়া মেটাও স্বস্তিচিহ্নতোমরা ভিনজাত, মিডিয়ামটাও ভিন্নক্রেজে যদিও গ্রেগোরি ইনমাদার টাঙ্গে আদরবাসা, রবি ঠাকুরে পুন্য। ... ...