শ্রী শিবরাম চক্রবর্তী মশাই তাঁর "বাড়ি থেকে পালিয়ে" বইখানিতে লিখেছিলেন : "তারিয়ে তারিয়ে খেতে হলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাও!" আজ রোববার বলে কথা। ফ্লুরিস, ক্যালকাটা ক্লাব, হায়াতের বো-টাই আর stiff upper lip ওয়ালা ব্রেকফাস্ট তো অনেক হলো.... আজ বেরিয়ে পড়ুন! ... ...
লীলা মজুমদার বলেছিলেন "পাঁউরুটি হল অনেকগুলো ফুটোকে ময়দা দিয়ে জুড়ে রাখা।" জয়া মিত্র জিজ্ঞাসা করেছেন, "কবিতাও কি নয় অনেকগুলো চুপ করে থাকাকে কয়েকটা মাত্র শব্দ দিয়ে জুড়ে রাখা?" আমাদের মাস্টারমশাই কমলকুমার মজুমদার বলতেন -- "একমুঠো হারিয়ে যাওয়া মানুষকে মিলিয়ে দিয়ে... দুদন্ড জিরিয়ে নিয়ে... দুটো বিড়ি হাতবদল করে নিতে দেবার সরাইখানার নাম হলো গে পথ.."। আর একদিন, কমলকুমার আমাদের craft র ক্লাস নিচ্ছিলেন। হঠাৎ বললেন -- " ' পথ '- কি জানো? পথ হলো পথিকের মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে চলা আর আলপথে সহসা দেখতে পাওয়া আরেকজন পথিক কে ডেকে বলা -- আমি চললাম... তুমিও চলে এসো । " কিছুই না বুঝে বলেছিলাম -- " আর কলকাতা হলে ? ... ...
কে বলে গো এই দিবসে নেই " তিনি "! হ্যালোউইন তো লাল-কুমড়া, আমাগো ভূত মিঠা। পেত্নিগুলান ডাগর-ডোগর, মেমসি-রা সব সিঠা ।। ... ...
আমরা যারা ওনাকে চিনতাম... প্রায় কিছুই চিনতাম না ওনাকে। কেউ পড়েছি ওনার কাছে। কেউ আবার পরীক্ষা দিয়েছি। অনেকেরই আবার বিভিন্ন হাসপাতালে-ক্লিনিকে ওনার হাউসস্টাফ, রেজিস্ট্রার কিংবা Associate Consultant হিসেবে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। বলা হয় ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের পরে নাকি অমন Clinical Acumen ও অগাধ পান্ডিত্য আর বেশী চিকিৎসকের ছিল না। ক্লাসে পড়াতেন এবং বেডসাইড ক্লিনিকে শেখাতেন এক্কেবারে নিজস্ব ঘরানায় । শ্লেষ-স্যাটায়ার- ব্ল্যাক হিউমার মিলিয়ে-মিশিয়ে যে মেডিসিন পড়ানো যায়.... আর কে জানতো? সক্কলকে "আপনি" বলে সম্বোধন করতেন বলেই হোক বা আপাত-রূঢ় বাক্যপ্রয়োগের জন্যই হোক - ... ...