আমি ভীষণ ক্ষমতা লোভী। সব সময়েই নিয়ন্ত্রনে রাখতে চাই সব কিছু। সব সময়ে চাই বশে থাকুক সব। বহুদিন ধরে অভ্যাস, অনুশীলনের পরে কিছুটা হলেও সামলাতে পেরেছি কিছু কিছু। আমাদের সব্বাকেই হতে হবে দমনপ্রিয়,নিয়ন্ত্রনকারী। তবেই আসল মোক্ষ প্রাপ্তি! জীবনে আমাদের প্রথমেই নিয়ন্ত্রন করতে হবে এই 'আমি'টাকে। জানতে হবে তার পছন্দ, অপছন্দ, ভালোলাগা, মন্দলাগাগুলোকে। জানতে হবে, আসলে সে কী চায়? তার কিসে শান্তি, কিসে তৃপ্তি। আত্মজ্ঞান, অহম্ কে না জানলে কোনো কিছু জানারই আসলে কোনো মূল্য নেই! কিন্তু আমরা জানতে চাই সবকিছুই, আগাপাশতলা জরিপ করি দুনিয়ার সবটাই, কিন্তু কখনো নিজেকে জানতে চাই না, নিজের ভেতরকার আমি কী চায় , তাই জানতে পারি ... ...
সারাজীবন মানুষ যাকে শোষণ করতে চায় তাকে তোল্লা দিয়ে এসেছে। এবং তোল্লা খেয়ে সে যখন খেজুর গাছে উঠে বসে আছে, বেচারা না পারছে নামতে, না পারছে পালাতে, তাকে নিচ থেকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আদায় করা হয়েছে সবকিছু। সেই প্রথা আজও চলছে।মেয়েদের মা বানিয়ে, দেবী বানিয়ে, সতীত্বের খুড়োর কল তার সামনে ঝুলিয়ে, তাকে নিজের দখলে রেখেছে পুরুষ আজীবন। না, ঠিক আজীবন বললে ভুল হবে, যবে থেকে পরিবার কনসেপ্ট এসেছে। তার আগে নারী ছিল স্বাধীন। যেহেতু সে উর্বরা,সন্তান উৎপাদনকারী, তাই প্রতি দল বা গোষ্ঠীতে তার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। সব গোষ্ঠী চাইতো সবচেয়ে উর্বরা নারী তাদের গোষ্ঠীতেই থাক। তাই তাদের খুশি রাখার জন্য গোষ্ঠীপতিদের ... ...
কখনো কখনো বিশ্বাস ভেঙে গেলে, মন খারাপ হয় খুব। কিন্তু আবার উঠে দাঁড়াই এই ভেবে, এটা অভিজ্ঞতা! এর বড় দরকার ছিল।©® শম্পা সাহা ... ...
আমি আসলে চিরকালের এঁড়ে । বাথান বেড়িয়ে বেড়া ভাঙাই যেন আমার লক্ষ্য। চাই না মোটেও তাই, লক্ষ্মী হতেই চাই! কী জানি? হয়তো মিথ্যে বলছি! কারণ তা না হলে কেউ রোজ রোজ এরকম উল্টো গান গায়! সবাই খুব দেখি আজকাল লয়্যালিটি খোঁজে। কি জানি ফ্যাশনে ইন, নতুন ট্রেন্ড কিনা? হয়তো বা চিরকালই ছিল, আমার মত ঘোর অসংসারী, অলক্ষ্মীর তা জানা ছিল না! তাদের মতে যারা পজেসিভ, যারা কথায় কথায় কন্ট্রোল করতে চায়, এই পরবে না, এই করবে না, ওর সঙ্গে মিশবে না, ওর দিকে তাকাবে না ইত্যাদি, প্রভৃতি! তা নিয়ে আবার ভারী আদিখ্যেতা! সে নাকি সত্যি ভালোবাসে, তাই এসব করে! কারণ সে ... ...
আমি জীবনে একবার প্রেমে পড়েছিলাম। হ্যাঁ একবারই, কারণ এই নয় যে আমি খুব ভালো, সতী সাবিত্রী, সচ্চরিত্র বা ওই জাতীয় সব ভালো ভালো কথা, আসলে ধুপধাপ প্রেমে পড়বার যোগ্যতা বা ক্ষমতা কোনোটাই আমার নেই। তা সেই প্রেমে একবারেই সিনেমা সিনেমা ফীল পেয়েছিলাম। মিথ্যে বলবো না, দেখা হবার আগে আগে, দেখা করবো ভাবলেই বুক ধরফর করতো, কেমন একটা ভীষণ ঘোর ঘোর ব্যাপার। সেই সময় দিন গড়িয়ে কখন যে সন্ধ্যা নামতো টের পেতাম না। পড়তে যাবার নাম করে নেমে পড়তাম অন্য বাস স্ট্যান্ডে, কলেজ বাঙ্ক করে কাটিয়ে দিতাম রাস্তায় রাস্তায়। মানুষ খারাপ ছিল না, আর তখন তো চোখে শুধু ওই মুখখানা ছাড়া ... ...
এই বয়সে এসে বুঝি,আসলে জীবনে বুঝিনি কিছুই।যখন ছোট্ট বেলায় ভালো রেজাল্ট করতাম,ভাবতাম পড়াশোনাটা বুঝি!এখন যখন দেখলাম যে পড়াশোনার ওই বিদ্যে জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই কাজে লাগে না,বুঝলাম আসলে তখনো বুঝিনি কিছুই।বুঝলে তো কাজে লাগাতে পারতাম।তখন সদ্য কিশোরী, পড়তাম,"বাবলী,বাংরিপোসির দু রাত্তির",পড়তাম ,"ঋভুদার সঙ্গে জঙ্গলে""শেষের কবিতা","হলুদ বসন্ত",ভাবতাম না জানি প্রেম ভালোবাসার কত কি জেনে বুঝে ফেলছি!যখন জয় গোস্বামীর"পাগলী তোমার সঙ্গে", পড়লাম ভাবলাম ঠিক ওই রকম যে ভালো বাসবে,তাকে ভালোবাসবো!যখন "বনলতা সেন" পড়লাম, অপেক্ষায় থাকলাম, কেউ যদি আমার হাঁটু ছুঁই ছুঁই চুলে "বিদিশার নিশা"খুঁজে পায়,তাকে ভালোবাসবো।সেই তো আসল প্রেমিক।সেই তো আসল ভালোবাসতে জানে!আশেপাশে ভালোবাসার এক অদ্ভূত জগৎ তৈরি করে খুঁজতে লাগলাম সেই মানুষটাকে।কিন্তু বোকা ... ...
আমরা জীবনে মরি মাত্র একবার, কিন্তু বাঁচি প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তেই।প্রতিটা ভোর আমাদের জন্য এক নতুন জীবনের সূচনা করে। অথচ আমরা সেটাকে এড়িয়ে মৃত্যকেই বেশি গুরুত্ব দিই। যা জীবনে একবার আসে, তাকে এত গুরুত্ব না দিয়ে যা রোজ পান, তাকে ভাবুন আর শুরু করুন নতুন করে। জীবন এক নতুন মোড় নেবে। নেবেই!©® শম্পা সাহা ... ...
আমার একটা প্রশ্নের উত্তর কারো জানা থাকলে দাও প্লিজ,' মেয়েদের শ*রীর দেখানো হয় বলে ধ*র্ষ*ণ বাড়ছে। কারণ তা যৌ*ন উ*ত্তে*জ*না*মূলক!' এই বক্তব্য মোটামুটি বেশিরভাগেরই। অন্য দেশের তুলনা টানবো না, কারণ তাদের আর আমাদের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি এক নয়। কিন্তু সত্যিই কি উ*ন্মু*ক্ত শ*রী*র দেখলে ধ*র্ষ*ণেচ্ছা বাড়ে? কা*মে*চ্ছা বাড়তে পারে, কিন্তু তা জো*র করে আদায়!! সত্যিই কি তাই?বিজ্ঞান বলে লি*বি*ডো নারী পুরুষ সকলের আছে, কারণ এর জন্য মূলতঃ টেস্টোস্টেরন দায়ী! পুরুষের টে*স্টোস্টেরন বেশি তাই তার লি*বি*ডো বেশি সাধারণত! সাধারণত বললাম কারণ অনেক পু*রু*ষের কা*মে*চ্ছা মডারেট বা কম বা নেই। সেটা পুরোপুরি হরমোন লেভেলের ওপর। আবার নারীরাও অ্যা*গ্ৰে*সি*ভ হবে কিনা এক্ষেত্রে, সেটাও ... ...
আমার চেহারা নিয়ে আমি কখনো মাথা ঘামাই না।জানি কালো হলে লোকে কালো তো বলবেইফরসা হলেও নিশ্চয়ই আমার চেয়ে বেশি ফরসা কেউ আছে।সুন্দরী টিকোলো নাক হলেও আমার চেয়ে সুন্দরীর তো অভাব পৃথিবীতে নেই,ছিলোনা কখনো।মোটা হলে কেউ বলবে, "জলহস্তী",রোগা হলে, "শুঁটকি",চোখ বড় হলে, "ড্যাবা ড্যাবা",ছোট হলে, "কুতকুতে",স্মার্ট হলে, "বাবা, বড় ঢং! "ঘরোয়া হলে, "গেঁয়ো! "তাই আমার আচার আচরণ নিয়েওআমার কোনো মাথা ব্যথা নেই।যদিও জানি আমার রং করা চুল,জিন্সেও আপত্তি কারো কারো।শাড়িতেও নিশ্চয়ই অন্য কারো হতো।"ব্লাউজটা বড্ড বেশি পিঠ কাটা! ""শাড়ি কতো নীচে পরা, নাভি দেখা যাচ্ছে""চুড়িদারে মানায় না মোটে"বলার লোকের ও অভাব নেইচোখ, ঠোঁট, লিপস্টিকের রং নিয়েও মেহফিল সাজানোর লোকের তোঅভাব দেখিনা চারিপাশেবিয়ে ... ...
আগুনের পাশে বসে ফাগুনের প্রতীক্ষা করি।চিতা জ্বলে ধিকি ধিকি আঁচে, মন ভাবে, কোন আগুনে পুড়ি!©® শম্পা সাহা ... ...