রঙ আমার যে রঙ ভালোলাগে, সেই রঙে কি তোমার খুব মন কেমন হয়? অথবা যে রঙ আমি ফেলে এসছি, সে রঙেই তোমার বিষন্নতা লুকানো আছে? পথ আমার এসব কথাই পথ জানে..বালক বয়েসে যে তিন আঙ্গুলের রঙ লাগিয়েছিল বসন্তের, সে এখন যুবা। ফেলে আসা রঙ এখন মুছে গেছে বালিকা যুবতীর গাল থেকে, বসন্ত সমীরণ তাই দৃশ্যমান এখন। লেডি বার্ড সাইকেল কোচিং এর শেষে মিশে যায়, মফস্বলে সন্ধ্যে হয় হয় যেন.. এসবই বয়স বেধে দেয়। নড়া হয়না, মন স্থির হয়ে থাকে কৈশোরে পড়া উপন্যাসে। কি নাম ছিল সেই বইয়ের ? ডিমাই সাইজে রাঙানো প্রচ্ছদ, রঙিন নরনারী মুখ। প্রথম যখন সে সব লেখা পড়ি, ... ...
বাঙালি চলতি হাওয়ার পন্থী, তাকে ক্যালেন্ডারের দুয়ো দেখাতে যাওয়া অর্বাচীনের কাজ।তাই বৈশাখ মানেই অলওয়েজ পঁচিশ।এর বাইরে আমাদের বাংলা তারিখ মনে রাখার কোনো হুলিয়াই নেই, এই সবই আবার মনে রাখার সংস্কৃতি দেখানোর তাগিদে।তাই আমিও বচ্ছরকার প্রথম দিন পয়লা না পহেলা লিখব বলে দ্বন্দ্বে পড়ি।নত্ব-সত্ব না জানা লোকেদের এসব হয়.. মুগ্ধবোধ পড়িনি তাই মনে যা আসে তাই লিখে দিই।কিন্তু আরেকটা নতুন নববর্ষের ঠিক আগে আগেই যখন এই লেখা লিখছি, তখন নববর্ষ মনে আমার একটা গোটা দিনকেই মনে হয়, যা সেই চৈত্রের শেষ বিকেল থেকে শুরু হয় আর বৈশাখের প্রথম দিনেই শেষ।শুধু কি তাই?এতটুকুতেই শেষ?হালের বাঙালির এক সপ্তাহের নিউ ইয়ার ইভ, এক পক্ষকালের ... ...
সব থেকে সহজ বোধ হয় কোনো কিছু না লেখা। তারপর না লেখা পাতায় বাজারের ফর্দ টুকে ফেলা। সেই বাজার হয়তো করে আনতে হবে কোনো এক রবিবার। তারপর লেখা ফুরিয়ে যায়। যেমন বহুদিন পুকুর পাড় দিয়ে হাটা হয়না বিকেলে, হাটা হয়না পুরনো পাড়া ধরে বাজারের পথে। তেমনই এই ছোট্ট লেখাটা শেষ হয়ে যাবে কোনো এক নির্দিষ্ট শব্দতে পৌঁছে। সেই শব্দ কী আমি জানি? ... ...
জন্ম কলকাতায়। পড়ার দৌড় একদমই কম। এক রাস্তায় যার বারবার ঘুরতে ভালোলাগে। লিখতে বসলে, সব লেখা শেষে দেখে সবই কেমন নিজের হয়ে গেলো। যেমন প্রলাপ বকলে হয়। ... ...
একটা টাটকা শোক থেকে আরেকটা টাটকা শোকে চলে যাচ্ছি। প্রথমটার থেকে দ্বিতীয়টায় গেলে পরের গুলো লঘু হয়ে যাচ্ছে। আসলে ধীর গতিতে দেখলে আমাদের এই শোক উবাচ অনেকটাই সময় ধারার মতো ইতিহাস মেনে চলছে, যুগ বদলালেও আমরা একেবারে যুগপৎ বদলে যাইনি। রামের কাছে একটা মৃত্যু ভোর ভোর এসে পৌঁছায় তো সেটা শ্যামের কাছে সেটা প্রাক দুপুরে। তারপর দুজনের শোকবহর চলে প্রকৃতি মেনে। আমি আপনি সেখানে হাত ঢোকাতে পারিনা। বড়জোর পারলেও আম্ফান ইয়াসে ভেসে যাওয়া শুকনো ত্রাণ বিনিময়ের মতো, হাত বুলিয়ে ছেলে ভুলোনো। কিন্তু রাম শ্যাম? রাম শ্যাম রহিম করিমের আবহাওয়ার খবর ভেসে যায় পাড়া থেকে বেপাড়া হয়ে পরিচিত গ্রহান্তরে। ... ...