যে চিঠি পৌঁছবে না কোনওদিন, কোনও ঠিকানায়।এরপর একদিন আয়ুহীন পরিমাপে দূরত্ব বাড়িয়ে নেয় অবুঝ হৃদয়। নাছোড়বান্দা ভরসা আস্তে আস্তে লুকিয়ে পরে ওই পাহাড়ি ঝর্ণার নীচে, লোকগাথায়। মানুষের মতো মানুষ। প্রথম দুই মানুষের মধ্যে আলোকবর্ষ ফারাক। একটা নিস্তরঙ্গ জীবনের মধ্যে হঠাৎ সেদিন কতগুলো পাতা ঝরেছিল একটা, দুটো করে। তাতে প্রত্যেক স্তর কেঁপে ওঠে ভয়ে, ওরা লুকিয়ে পড়তে পারলে বাঁচে। ম্লান ... ...
প্রিয়তম .... তুমি লিখতে বিপ্রতীপ স্বরের গল্প। বিরোধ যেখানে বারুদগন্ধ চেনায়। আলো-আধাঁরির পাশে পাশে হেঁটে যাবে বাকরোধী অর্ধায়ু। ছায়াময়, আশ্রয় হয়ে ওঠার আগে যেখানে বত্রিশ সেতু পার হয়ে জলস্পর্শ করে।সব চেনা গল্পে বিপ্রতীপ স্থান। মোহন বাঁশি সুরে উপবাসী মুখে বিষ তুলে পরিযায়ী স্বর বাকরোধী। নিঃশব্দ তাই নীলকন্ঠ হয়েছে আজ? এ আবরণ খসে গেলে অর্ধায়ু, বারুদগন্ধে ভ্রষ্ট ... ...
মা,তবু দেখো কী অসহ্য আলোয় বেঁচে আছি। গল্প বলতে বলতে যেখানে তুমি ঘুমিয়ে পড়েছিলে সেখান থেকে মনে না পড়া কথাগুলো বলতে শুরু করেছি আমরা। আমাদের অভাবগুলো আজ তোমার গল্পের মতো শোনায়। আবছা আলোয় আমাদের ব্যথাগুলো প্রলাপ হয়ে ওঠে। যেমনটা তুমি বলতে। বড়ো হয়ে মায়ের মতো হব। "ফিরব বললে ফেরা যায় নাকি..." জন্মদাগ বরাবর ... ...
নিঃশব্দ চরণপাতশব্দ মাতাল ভাঙন পাশে,সন্তাপহীন সে পরবাসে,অভিমানী সম্প্রপাতেরুদ্র মাতেতৃষিত আঁখিপাত। ... ...
অসহনীয় দ্বন্দ্ব বাঁধাতীব্র হৃদয়-বিষাদ গাথাঅহর্নিশশোক-পত্র-পদ্মরাগেনিভৃত স্বর-নিনাদ জাগেঅনিমিখ। ... ...
প্রত্যেক দিনের শেষে বইয়ের শেষ পাতার মত একটা ভালোলাগা মিশে থাকে। অদ্ভুত কষ্টে সেই ভালোলাগার অনুভূতি কোনোদিন যদি ধুয়ে যায় তবে কালপুরুষ, দেখো তার সাথে ক্যানভাসের গায়ে ভুল করে পড়ে যাওয়া রঙ যেন ক্ষত হয়ে আসার আগেই ঝাপসা হয়ে যায়। এই প্রার্থনায় অনেক কোমল স্বরের যন্ত্রণা লুকিয়ে পড়ে। তুমি জানো কাকে বলে দুঃখ? আমি জানি। ভৈরবী যখন কোমল ঋষভ-কে বুকে টেনে নেয় তখন শুনতে পাও, কী গভীর ভালোবাসায় এক সাধনার সমাপ্তি হয়? জানতে পারো ঈশ্বর-স্বপ্ন-স্ফটিক ভাঙে? শুনতে চাও, কী পরম শৈত্যে শীতঘুম নামে বইয়ের শেষপাতার প্রতি অক্ষরে। সব শব্দের নাম দিতে দিতে ক্লান্ত তুমি সেদিন আশ্রয় নেবে পুনরাবৃত্তির। স্থৈর্যের শীতলগ্লানি ... ...
অনুবাদ : যে রাতের কাছে তুমি দৃষ্টি রেখে এলেসে অতল চেনে দূর থেকে দূরতর, তারও বেশী দূর।বিলম্বিতসুদূর অতীত থেকে প্রতিপদে আশাফিরে গেল অতন্দ্র প্রহরীর হাত ধরে।আরও কিছুদিন, বাকী আছে, বাকী আছেআমার কাছে ; জড়ো করিহৃদয়ের পাদদেশে।করতলব্যাপী হয়ে শূন্যতা বিস্তারী।অনর্গল পূর্ণতায় গতি রুদ্ধ করেআমার দুহাত জুড়ে তোমার মুখচ্ছবি।শুধু তোমায় সাথে নিয়ে এ উজানি দেহ বাওয়া,মুখোমুখি হতে হবে জেনেছিন্ন মূল হয়ে,দীঘল বাতাসে ভেসে যাওয়াবালুময় মুঠো থেকে তিতিক্ষা সয়ে যায়।শুধু যে সময় ঝরে গেলতপ্ত ধুসূর বালি।ধু-ধু করা গহীন আঘাতএক পশলা বৃষ্টিদিনেআজ হঠাৎ জীবন নামে ঝরে। মূল লেখা: As high as the nightfar from your eyeslatelike an ancient guard of hopeI gather the days remaining to meand ... ...
প্রবল আঘাত আমায় নৈঃশব্দ্য দিয়েছে চিরকাল। উঠে চলে যেতে ইচ্ছে হয় খুব। নতুন চাদর পেতে, সব ঝেড়ে পরিপাটি দেখে চলে যেতে ইচ্ছে হয়। বসে থাকার দাগটুকু মুছে দিয়ে জানলার ফাঁক দিয়ে পিছলে আসা আলোয় যে ধুলোবালি ওড়ে ওদের সাথে আমি উড়ে যেতে চাই। ওদের মত আমায়ও কেউ মনে রাখেনি। তাই কী ভীষণ অনায়াসে উঠে যাওয়া যায়। তারপর লোভ হয়, বড় লোভ হয় থেকে যেতে, পরিপাটি বিছানায় বসে, আমার থেকে যাওয়াগুলো রেখে যেতে। তারপর? ধুলোবালি চোখে পড়ে। জল ঝরে ক্রমাগত। একসময় দেখি ছাই রঙ আমায় বুকে টেনে নেয়। জানলার গরাদ ডিঙিয়ে ধুলো-বালি-ছাই উড়ে যায়। অবিকল আমার মত ক'রে!কবেকার পুরানো অনুতাপ আমায় ... ...
পরম আকাঙ্খিত।ছুঁতে চাও তাকে?শীতল হও,শীতল হও।আগুন ছুঁতে হলে।ধরো, তোমার শরীর জুড়ে ডুবে যায়আপতিক সংরাগে রামধনুর অনুকম্পা;হয়তো প্রস্তরীভূত তোমার দুহাতেঅবনমিত ক্ষয়,মসৃণ আবেশে সিক্ত।যদি কিছু স্বীকারোক্তির দায়নেমে আসে তোমার দু'চোখ ধরে ?যার তুলির টানেউঠে এসেছিল প্রত্যেক পেশীতন্তু ;এক এক করে,তার প্রত্যেক অস্থি-র বঙ্কিমতায়তোমার স্তিমিত অক্ষর সাধনা;আজন্মলালিত।শীতঘুম থেকে কবি উঠে আসে।শূন্য চিত্রপটে বিতাড়িত রক্তাভ অনুভব,তমোময় রক্তের আস্বাদ।অমৃতসমা।শিল্পীর আয়ুধে ইতিহাস লেখেনিসূক্ষ্মতর বিভাজন।কল্পিত শ্রাবণ।কোন জলে ধুয়ে যায় নিঃশব্দ অধিকার?সেই জলে নামো তুমি, প্রিয়তমা।অক্ষত আকল্প জুড়ে জুড়েএক শরীর জন্ম নিক।যে চিত্রকল্প জুড়ে প্রেয়সীর নগ্নতা,তাই হোক তবে আজ : উদ্বায়ী।আগুন ছুঁতে চাও?দগ্ধ হও,দগ্ধ হও।শীতলস্পর্শী হলে।প্রেয়সীর পরিবর্তিত অভিমুখেরস্থানান্তরিত প্রেক্ষাপট, দাঁড়িয়েছিলে কি তুমি?তোমার আরব্ধ দু'চোখ, ভেসে আসেপ্রেয়সীর বাহুডোর।শ্রাবণের শেষ ... ...
যে রাতের কাছে তুমি দৃষ্টি রেখে এলেসে অতল চেনে দূর থেকে দূরতর, তারও বেশী দূর।বিলম্বিতসুদূর অতীত থেকে প্রতিপদে আশাফিরে যায় অতন্দ্র প্রহরীর হাত ধরে।আরও কিছুদিন, বাকী আছে, বাকী আছেআমার কাছে ; একসাথে জড়ো করি,হৃদয়ের পাদদেশে।করতলব্যাপী হয়ে শূন্যতা বিস্তারী।অনর্গল পূর্ণতায় গতি রুদ্ধ করেআমার দুহাত জুড়ে তোমার মুখচ্ছবি।শুধু তোমায় সাথে নিয়ে এ উজানি দেহ বাওয়া,মুখোমুখি হতে হবে জেনেছিন্ন মূল হয়ে,দীঘল বাতাসে ভেসে আসাবালুময় মুঠো থেকে তিতিক্ষা সয়ে যায়।শুধু যে সময় ঝরে গেলধুসূর বালি।ধু-ধু করা গহীন আঘাতএক পশলা বৃষ্টি দিনেআজ হঠাৎ জীবন নামে ঝরে। As high as the nightfar from your eyeslatelike an ancient guard of hopeI gather the days remaining to meand I ... ...