দুয়ারে ভোট, তাই ঝুলি থেকে বেরিয়েছে দাঙ্গার বেড়াল - ১৯৮৪ আর ২০০২। দুই প্রধান দলের মধ্যে তুই বেড়াল না মুই বেড়াল চলছে* - তর্জন-গর্জন আক্রমণ, ক্ষমা চাওয়া-না-চাওয়ার প্রতিযোগিতা। ১৯৮৪ সালে দুই শিখ দেহরক্ষীর হাতে ইন্দিরা গান্ধী হত্যা হবার পর দিল্লী ও উত্তর ভারতের কয়েকটি শহরে শিখ নিধন চলেছিল কয়েক সপ্তাহ ধরে। শুধুমাত্র দিল্লীতেই প্রায় তিন হাজার নারী পুরুষ শিশু খুন হয়। গোধরায় করসেবকদের পুড়িয়ে মারার পর গুজরাটে মুসলমান নিধন চলে মাসাধিক কাল। হতাহতের সংখ্যা স্বভাবতই কয়েকগুণ বেশি। সংখ্যার বিচার এখান ... ...
মুম্বাইয়ের জনতা কলোনির জকিন আরপুথাম বিগত ৪০ বছর ধরে কাজ করছেন ভারতের বিভিন্ন শহরে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন নিয়ে। ম্যাগসেসাই পুরস্কারও পেয়েছেন। নিজেও বস্তিবাসী তিনি। রাষ্ট্রের কর্তাদের কাছে জকিনের বিখ্যাত উক্তি - আমরা তোমার দাতব্য চাই না, আমাকে তোমার পরিকল্পনায় শামিল কর।
কলকাতার জনসংখ্যার যে বিশাল অংশ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী বস্তিতে থাকেন, যে বিশাল অসংগঠিত শ্রমের স্রোত প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে শহরে এসে ঢোকে, তার একটা বড় অংশই এই শহরের অতিকায় সচল যন্ত্রটির অবিছেদ্য নাটবল্টু। তাদের শস্তা শ্রম আমাদে ... ...
বারো বছর পর মেট্রোর ভাড়া বেড়েছে, এক ধাক্কায় অনেকটাই। আর তার জেরে এই গণপরিবহণ থেকে রাতারাতি খসে গিয়েছেন ৮০ হাজার মানুষ (৭০ হাজার নয়), মোট যাত্রীর প্রায় ১৪ শতাংশ। যেভাবেই দেখা যাক না কেন, এটা নিঃসন্দেহে একটা খবর। আর এই খবরটা একটি দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে আনন্দসংবাদ হিসেবেই - Fare hike & footfall dip suit Metro fine।* সেই ৮০ হাজার মানুষ বিকল্প পরিবহণের এই আকালে কীভাবে যাতায়াত করছেন, সেই ভাবনার প্রতি কারোর কারোর দেখা যাচ্ছে এক তীব্র সোচ্চার নির্লিপ্তি।
সোচ্চার নির্লিপ্তি সব সময়েই দাঁড়িয়ে থাকে ন ... ...
হারানো-প্রাপ্তি –নিরুদ্দেশ
আরামটা টের পাওয়া যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। নির্দিষ্ট করে বললে ৭ই নভেম্বর থেকে। মেট্রোয় আগের মতো সেই দমবন্ধ-করা ভিড় নেই, অফিস টাইমে এস্কালেটারের মুখে মনুষ্যদেহের জমাট জট নেই, কামরার দরজা বন্ধ হচ্ছে অনায়াসে, এমনকি দুপুরবেলায় উল্টোদিকের জানলার বাইরে দেয়াল/ প্ল্যাটফর্মও দেখা যাচ্ছে এক ঝলক।
সংবাদপত্র জানাচ্ছে, ৭ই নভেম্বর থেকে কলকাতার মেট্রোয় নিত্যযাত্রীর সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে ৭০ হাজারের মতো। তাতে অবশ্য মেট্রোর কর্তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। কারণ দৈনিক আয় এক ... ...
জঙ্গলমহলে আবার গোপন ছক কষছে মাওবাদীরা, লক্ষ্য পুলিশ ক্যাম্প - খবরটা পড়ে মনে পড়ে গেল বছর কয়েক আগে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট। সন্ত্রাসবাদী গেরিলাবাহিনির অতর্কিত হামলা রুখতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি থানায় দুটি করে দিশি কুকুর পোষার প্রস্তাব দিয়েছিলেন পুলিশের বড়কর্তারা। তাঁদের যুক্তি ছিল - দিশি ওরফে নেড়ি কুকুরেরা রাতে ঘুমোয় না। অতএব ...
এই বিষয়ে একটি ছোট পত্রিকায় লিখেছিলাম। তার কিছু কিছু লাইন হয়তো এখনও অপ্রাসঙ্গিক হবে না।
"নিন্দুকেরা যাই বলুক, এ এক অভিনব প্রস্তাব। লুকোনো বোমা কিম ... ...